সাম্যের গান (কবিতা)

এই ভাবেই ধনী এই শহরের ফুটপাথে
বসে ওরা ফেরি করে একবেলার
আধপেটা খিদেওলা সন্তানের দায়…
মান (কবিতা)

বন্ধু বদলে বদলে হেঁটে যাচ্ছে গোধূলির দিকে
ফিরে তাকাচ্ছে না তোমার অভিমান।
পুরনো প্রেমের দিকে, নতুন ওমের দিকে হেঁটে যাচ্ছে দীর্ঘ ছায়া নিয়ে
চাওয়ার তুই (কবিতা)

স্যাঁতস্যাঁতে দিন জ্বালাচ্ছে খুব, কিছুই মন টানছে না!
ভাল্লাগে না, ভাল্লাগে না, রোজনামচার কাজের চাপ,
তারচে বরং তুই এলে, বেশ, রোদের আয়েশ চায়ের কাপ;
ভো কাট্টা (কবিতা)

তোমার প্রসাদে মহাবিশ্বের নট-নটি নাচে তাতা থৈথৈ।
আমি তার পর ভরাপেটে আকাশ দেখি
আমার আকাশ, তোমার আকাশ, ওখানে তুমি থাকো ঠাকুর?
আলাপচারিতার সোপান (কবিতা)

তারপর…
ট্রাম, হাতেটানা রিকশা, সাঁতার কাটার শব্দ, প্রেমের ছোঁয়াছুঁয়ি…
দেখতে দেখতে দেখতে বইপাড়া।
ধারালো লেখার মতো দুপুর, পুরনো মলাট বিকেল
দুটো হাতের ছোঁয়ার লালন
ঘর (কবিতা)

আসলে মেঘেদের অন্তরে জমছে বিন্দু বিন্দু কান্নার বাষ্প। পৃথিবীর অগনিত পুত্রকন্যার অসহায় কান্না।
ক্রমশ একটা আশ্চর্য ভয় আমাদের একলা করে দিচ্ছে, কুঁকড়ে দিচ্ছে ভেতরে ভেতরে
মৃত্যও আজ বড় একলা…
আজ মৃত মানে অতি দ্রুত বেড়ে ওঠা দেহের সংখ্যা মাত্র,
নেই প্রিয় মুখ, নেই শোকের অবকাশ, নেই কারও হাত ধরে বৈতরণি পার!
এসো (কবিতা)

এই হাত
রাখা আছে, শর্তহীন
ছুঁয়ে দাও। তার আগে
শুধু একবার ভেবে দেখো
নিরন্তরা

খানিক থামি? নিরন্তরা;
আধার দুটোয় মিলে মিশে আরো অবিনশ্বর হয়ে যাই?
কবি,
তোমার নীরাও বুঝি এমনি?