পাহাড়ের কোলে ঝান্ডি-সুনতালে

একটা হেয়ারপিন বাঁকের পর উৎরাই। উপর থেকে গীতখোলাকে দেখা যাচ্ছে। বাকি পথটুকু দুমড়ে মুচড়ে আছে। পাহাড়ের ধার ঘেঁষে গাড়ি থামল। জলে ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে পিছল রাস্তা। সাবধানে পা টিপে টিপে ঝোরার সামনে ছোট সেতুটার ওপর এসে দাঁড়ালাম। স্থানীয় লোকজনদের এটাই চলার পথ। সমান্তরালে আরেকটা পরিত্যক্ত সেতু। গীতখোলার পুরনো ব্রিজ, সেবকের করোনেশনের আদলে আর্চ। চারপাশে আগাছা জন্মেছে। ওই ব্রিজের ওপরেই একপাশে শতরঞ্জি পেতে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, আরেক পাশে রান্নাবান্না।
ঝান্ডি-সুনতালে ঘুরে এসে লিখলেন শ্রেয়সী লাহিড়ী
পিঁপড়ের ডিমের চাটনি খেতে জঙ্গলমহলের আমলাশোলে

সাবিত্রী জঙ্গলে যাবে পিঁপড়ে সংগ্রহ করতে। ওর বারো বছরের ছেলে মন্সা, আর মন্সার পাড়ার বন্ধু অরবিন্দ সঙ্গে যাবে। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার এমন সুযোগ ছাড়া যায়! পিঁপড়ে শিকারীর দলে ভিড়ে গেলাম। সাবিত্রীদের বাড়ির পিছন দিকে কয়েক পা এগোতেই জঙ্গল শুরু। সাবিত্রী, মন্সা আর অরবিন্দ আগে আগে যাচ্ছে। আমরা ওদের অনুসরণ করতে লাগলাম। প্রথম দিকে পায়েচলা সরু বনপথ, পরে আর পথ বলতে কিছু নেই। লতা-পাতা সরিয়ে, ঝোপঝাড়ের খোঁচা খেয়ে, কখনও গাছের সরু ডাল ভেঙে এগোতে হচ্ছে।
আমলাশোলের আশ্চর্য অভিজ্ঞতা, লিখলেন শ্রেয়সী লাহিড়ী…
স্বপ্নের গ্রাম: খোয়াব গাঁ

ছেলেমেয়েরা আমাদের নিয়ে বিভিন্ন দেওয়ালের আঁকা ছবি দেখাতে লাগল। তাদের কে কোনটা এসেছে তাও কলকল করে বলতে লাগল। বড় ভালো লাগল এদের সংসর্গ। আর কী সুন্দর সব ছবি! হনুমান গাছের ডালে ঝুলছে, হাঁস-মুরগির ছবি, টিকিওয়ালা বামুন লাঠি ভর করে হেঁটে যাচ্ছেন, লাউ মাচানের নীচ দিয়ে গিয়ে দেখলাম লাল কাপড় নিয়ে মানুষ আর ষাঁড়ের লড়াইয়ের ছবি, কোথাও করোনা সচেতনতার ছবি…
ঘরের কাছে আরশিনগর ‘খোয়াব গাঁ’, ঘুরে এসে লিখলেন শিখা সেনগুপ্ত
স্বর্ণলঙ্কা: পর্ব ৩ – প্রাচীন রাজধানী অনুরাধাপুরা

খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে কলিঙ্গরাজ সম্রাট অশোকের পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সঙ্ঘমিত্রা বৌদ্ধধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে সিংহল আসেন এবং এই অনুরাধাপুরা থেকেই শুরু হয় তাদের প্রচারের জয়যাত্রা। লিখছেন শ্রেয়সী লাহিড়ী। তৃতীয় পর্ব।
ব্রিনডংকের অন্দরে: পর্ব ৩

করিডরে কোনও প্রাণের অস্তিত্ব নেই। বেশ গা ছমছম করা পরিবেশ। করিডরের দু’পাশে একের পর এক ঘর। প্রতিটি ঘরই আলোকিত, তবে ঝলমলে নয়। বাঁয়ে প্রথম ঘরটিতে জ্বলজ্বল করছে বেশ কয়েকটি নাৎসি কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্পের নাম।
চলি বলি রংতুলি: বড়দিনে লাভা-লোলেগাঁও

দেবাশীষ দেব লিখছেন – বেলাশেষের পড়ন্ত আলোয় এগিয়ে চললাম পাহাড় আর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। পায়ে-চলা পথ এঁকেবেঁকে অনেক নীচে হয়তো কোনও গ্রামে গিয়ে মিশেছে।
যে পথে ঈশ্বরের মৃত্যু: শেষ পর্ব

গাছ-গাছালি-ফুলে মোড়া একটা পাথুরে রাস্তা পাহাড়টাকে মুড়ে উঠে গেছে উপরের দিকে। এমনিতেই মোন্যাকোর দিকে যেতে গাছপালা নীস অঞ্চলের থেকে একটু বেশিই।
সাদাকালো রঙিন অ্যালবাম

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত নেহরুও এসেছিলেন এই আশ্রমে, নির্ধারিত সংক্ষিপ্ত সময়সূচি অতিক্রম করে প্রায় দেড় ঘণ্টা ছিলেন তিনি, খুঁটিয়ে দেখেন, প্রশ্ন করে জেনে নেন সেখানকার ক্রিয়াকর্ম। কাহিনি শেষ হয় সংসারত্যাগী এক মানুষের কথায়, স্বামী পরমব্রহ্মানন্দের সঙ্গে মিলে যিনি বন সরিয়ে নৈনিতালের কাছে নন্দপুরে গড়ে তুলেছেন মধুসংগ্রহের ক্ষেত্র, এও যে আর এক আশ্রম।