প্রিয়বন্ধুর অনুরোধে লিখলেন ‘কর্ণকুন্তীসংবাদ’

relationship between Jagadish Chandra Bose and Tagore

প্রবাসে নির্বান্ধব শুষ্ক ও অবসন্ন জীবনের মধ্যে যখন নিরবচ্ছিন্ন একাকীত্ব যখন জগদীশচন্দ্রকে গ্রাস করত, তখন আলো বলতে রবি’র আলোই তাঁকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলত। তার মধ্যে দিয়েই আশার আলোর সন্ধান পেতেন। সেই বন্ধুত্ব নিয়ে লিখলেন পীতম সেনগুপ্ত।

চোখের আলোয়: ছোটগল্প

চোখের আলোয় chokher aloy illustration

স্বস্তিকা কী বলবে কথা খুঁজে পাচ্ছিল না। তবে শুনতে ভাল লাগছিল। কত বছর পর আবার মায়ের গলা। একটু বেশিই কি ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছে ও? খেয়ে দেয়ে মা পৌঁছে দিয়ে এল ঘরে। কুঞ্জকাকা সুন্দর করে পরিষ্কার করে ধূপ জ্বালিয়ে রেখেছে। বিকেলে দেখা হবে স্বস্তিকার বন্ধুদের সঙ্গে… তারপর? লিখছেন সৈকত ঘোষ।

‘অবন একটা পাগলা’ বলেছিলেন রবিকা

William Rothenstein

৫ ডিসেম্বর ছিল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। সেই দিনটিকে স্মরণে রেখে তাঁর সঙ্গে কাকা রবীন্দ্রনাথের স্নেহোচ্ছল সখ্যের গল্প শোনালেন পীতম সেনগুপ্ত তাঁর কবি-সমীপে কলামে।

প্রিয়বন্ধুর অনুরোধে লিখলেন ‘কর্ণকুন্তীসংবাদ’

William Rothenstein

প্রবাসে নির্বান্ধব শুষ্ক ও অবসন্ন জীবনের মধ্যে যখন নিরবচ্ছিন্ন একাকীত্ব যখন জগদীশচন্দ্রকে গ্রাস করত, তখন আলো বলতে রবি’র আলোই তাঁকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলত। তার মধ্যে দিয়েই আশার আলোর সন্ধান পেতেন। সেই বন্ধুত্ব নিয়ে লিখলেন পীতম সেনগুপ্ত।

দিনের পরে দিন: সুভাষ-শংকর সখাসংবাদ

Sankar Ghosh and Subhash Mukhopadhyay

বিশিষ্ট বাঙালি সাংবাদিক শংকর ঘোষের সঙ্গে এক আশ্চর্য অন্তরঙ্গতায় আবদ্ধ ছিলেন পদাতিক-এর কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। সেই কলেজজীবন থেকেই সখ্য। ব্যক্তিগত স্মৃতির সাগর সেঁচে সেসব মণিমুক্তো তুলে আনলেন শংকর-ঘরণী আলপনা ঘোষ।…

টেলিপ্যাথি (গল্প)

Illustration by Upal Sengupta

ঠিক পরের মাসে ধুমধাম করে ইয়াসমিনের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল সেই ডাক্তার পাত্রের সঙ্গে। ইমরান কোনওদিন জানতেও পারেনি যে তার জন্যে মনে এত আগুন নিয়ে একটি মেয়ে আরেকজনের ঘরের প্রদীপ জ্বালাতে যাচ্ছে। খুব স্বাভাবিক কারণেই বাকি বছরটা ইয়াসমিন এক কলেজে থাকলেও তিনজনের খুব একটা দেখা হয়ে ওঠেনি। হোস্টেলেও আর থাকা হয়ে ওঠেনি ইয়াসমিনের। প্রতিনিয়ত স্বামীসেবা আর ঘরকন্না বাদ দিয়ে নিজের জন্যে বাঁচা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল সে ।

চিরসখা হে (গল্প)

আমি তো রোজই স্কুলের পাশ দিয়ে যাই, জানিস। ভুল বললাম। রোজ না। মাঝেমধ্যে। ওই এরিয়ার দোকানের অর্ডার তুলতে যেতে হয়। এক এক দিন তো এক একটা এলাকা আমার। দোকানে যাই। অর্ডার তুলি। কার্ড সোয়াইপ করার মেশিনের মতো দেখতে একটা যন্ত্রে রিকুইজিশনগুলো পাঞ্চ করি। ডিস্ট্রিবিইউটারের কাছে সঙ্গে সঙ্গে চলে যায় সেগুলো। কয়েকদিন পরে ডেলিভারি দেওয়ার সময় আবার ডিস্ট্রিবিউটারের ছোট ম্যাটাডরে। স্কুলের পাশ দিয়ে গেলে তাকাই। তিনতলায় বারান্দার পাশের জানালাটা দেখি। ওইখানেই তো আমাদের ক্লাস নাইন। ক বিভাগ। মানে এ সেকশন। দোতলার মাঝামাঝি ওই ঘরটা। আমাদের ক্লাস সেভেন। খ বিভাগ। মনে পড়ে। ঘাড় উঁচু করে তাকালে কয়েকটা মাথাও দেখতে পাই। আমাদের তখনকার মতো ওরাও হয়তো এখন ভাবছে বড় হব কবে।