প্রবাসীর নকশা: পর্ব ২০

History of Australia part Two

দেশটিতে পা রাখার ক’দিনের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিলেন জোসেফ ব্যাংকস-এর অনেক তথ্যই ভুল ছিল। ১৭৭০ সালে হয়তো ভালো বৃষ্টির জন্য অঞ্চলটি গাছপালায় ভরা ছিল। ১৭৮৮-এ সম্পূর্ণ অন্য চিত্র। বেশ কয়েকবছরের অনাবৃষ্টির ফলে মাটি রুক্ষ, চাষবাসের অযোগ্য।
প্রথম কয়েক বছর জীবন একেবারেই সহজ ছিল না। নানা সমস্যায় জর্জরিত নবীন উপনিবেশটিকে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য ফিলিপকে বহু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। সময়ে সময়ে রীতিমত নিষ্ঠুরও হতে হয়েছে।

কেমন ছিল দুশো বছর আগের অস্ট্রেলিয়া, কেমন তার ইতিহাস? কলম ধরলেন সিদ্ধার্থ দে…

প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৮

Immigrants life tragedy

ষাটের দশকে অস্ট্রেলিয়া থেকে ভালো জাতের ষাঁড় আনানো হত এদেশের গোরুর মান বৃদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে। বর্তমানে ভারত আমাদের মতো মনুষ্যরূপী ষাঁড়দের অস্ট্রেলিয়াতে রফতানি করছে। দেশটার মানবসম্পদ বাড়ছে।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ইতিহাস ও সমাজভাবনার মিশেল, কলম ধরেছেন সিদ্ধার্থ দে…

প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৭

what is Religion- A personal opinion

কিছুদিন আগে হঠাৎ এই নাসলি ওয়াদিয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য পেলাম ইন্টারনেটে অন্য এক বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে। নাসলি পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার নিজের নাতি। মা দিনা জিন্নার একমাত্র সন্তান। বাবা পার্শি শিল্পপতি নেভিল। এই বিয়ে জিন্নার একদম নাপসন্দ ছিল, কোনওদিনই মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু দিনা নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। দেশভাগ হওয়ার পর ভারতেই রয়ে গিয়েছেন। কাকতালীয়ভাবে ওঁর জন্মদিন ১৫ই অগস্ট।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির মিশেল, কলম ধরেছেন সিদ্ধার্থ দে…

প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৬

A cute old love story

বাড়ির রোয়াকে এক যুবক বসে। বছর ১৭ বয়স। ছিপছিপে চেহারা। রং কালোর দিকে হলেও বেশ সুদর্শন। সোজাসুজি রেবার মুখের দিকে তাকাল ছেলেটি। নিঃসংকোচ তাকানোর মধ্যে মুগ্ধতা লুকানোর কোনও চেষ্টা ছিল না। আয়তনেত্রে দেখেও না দেখার ভান করে রেবা বান্ধবীর সঙ্গে ভেতরে চলে গেল।

সেদিন বিকেলে অসীম মিত্র বোনকে বলল: “তোর ঐ বন্ধুটাকে আমি বিয়ে করব।”

বলাই বাহুল্য, কথাটা রেবার কানেও পৌঁছল পরের দিনই।

একটা মিষ্টি প্রেমের সত্যি গল্প, স্মৃতি হাতড়ে কলম ধরেছেন সিদ্ধার্থ দে…

প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৫

immigrant life and friends on abroad

অস্ট্রেলিয়ায় স্বেচ্ছায় অভিবাসী হয়ে আসার শুরুর দিনগুলোতে থেকে থেকে মনে একটা প্রশ্ন জাগত– উদ্বাস্তুদের সঙ্গে আমার মতো স্বল্প পুঁজি আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ছাড়া মানুষদের খুব একটা পার্থক্য আছে কি? ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বেশ কয়েক বছর ধরে অনেক রকম লড়াই করতে হয়েছে পায়ের তলায় মাটি পেতে।

নিজের বিদেশবাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে কলম ধরেছেন সিদ্ধার্থ দে…

প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৪

food habits of Indian community

মিস্টার বিশ্বনাথের অনুপ্রেরণা আমাদের মধ্যরাতের খাওয়ায় বেশ একটা ছোটখাটো বিপ্লব আনল। একটা বড় ডেকচিতে সবাই মিলে ভাত বানাতাম। একটি অন্ধ্রের ছেলে মোটামুটি ডাল বানাতে পারত। সঙ্গে থাকত দেশ থেকে পাঠানো আচার— লংকার, লেবুর, আমের। পাঁচ ছ’জন মিলে থালাভর্তি ভাত নিয়ে কমন রুমে টিভি দেখতে দেখতে জমিয়ে খেতাম।

প্রবাসী জীবনে খাওয়াদাওয়ার নানান মজার গল্প, কলম ধরেছেন সিদ্ধার্থ দে

গল্প: জয়কিষণগঞ্জের গল্প (শেষ পর্ব)

Alolika Mukhopadhyay

বাবা নিজেকে ডিভোর্সড বলেছিল। তুমি এখানে আমাদের নিয়ে আলাদা থাকো। বাবা অ্যালিমনির জন্যে ডলার পাঠায়। বাবার মিথ্যে কথাগুলো মেহরীন আন্টি অনেক পরে ধরতে পেরেছিল।

প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৩

snowfall, disease and fear

খ্রিস্টমাসে কয়েক সপ্তাহের ছুটি। ব্যাবকক হল নামে যে ছাত্রনিবাসে থাকতাম সেটি প্রায় ফাঁকা। আমার মতো কিছু অভাগা দরিদ্র বিদেশি ছাত্র, যাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তারাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছি কেবল। চারদিক মন খারাপ করা সাদা বরফে ঢাকা। বাঙালি মনের অবচেতনে কোথাও এই ফ্যাটফ্যাটে সাদা রঙের সঙ্গে মৃত্যুর একটা যোগসূত্র আছে।

প্রবাসী জীবনের নানা স্মৃতিকথা নিয়ে কলম ধরেছেন সিদ্ধার্থ দে