চলি বলি রংতুলি: থেরেসা হাউস ও ধনেখালি শাড়ি

Theresa House

চিত্তরঞ্জন থেকে আরও দুটো জায়গা ঘুরে আসব এটা আগেই ঠিক করা ছিল। প্রথম দিন মধুপুর, এখান  থেকে লোকাল ট্রেনে ঘণ্টাখানেক। প্ল্যানটা দিয়েছিল আমার বেড়ানোর পরামর্শদাতা অনির্বাণ। ওখানে লীলাকমল গেস্ট হাউসে একদিন থাকার কথাও বলেছিল। আমি অবশ্য অত ঝামেলায় না গিয়ে ঠিক করলাম সন্ধ্যের আগেই ফিরে আসব। সকাল ন’টা নাগাদ চিত্তরঞ্জন স্টেশনে পৌঁছলুম বটে, কিন্তু ট্রেন […]

আইঢাই: হেঁশেল পোশাক

পরনের কাপড়ের খুঁটেই গলা মুখের ঘাম মোছা, বাচ্চাদের ভিজে মুখ বা হাতের তেলো মুছিয়ে দেওয়া এবং অভিমানে লুকিয়ে চোখ মোছাও। কড়ার তরকারিতে হাত ধোওয়া জল দিয়ে সে হাতও নিজের আঁচলেই মুছতেন। ডান হাতের পাঁচ আঙুলের কাজ সারা মানেই, পরনের কাপড়ে হাতখানি ডলে নেওয়া। হেঁশেলের পোশাক নিয়ে কলম ধরলেন মন্দার মুখোপাধ্য়ায়।

লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ৩ – স্কুলের রাস্তা

memories of Calcutta University

ক্লাস থ্রি-তে উঠে স্কুল ম্যাগাজিনে কবিতা জমা দিতে গেলাম। ভাগ্যিস সঙ্গে ক্লাসের এক বন্ধু ছিল। ক্লাসটিচার ভুরু কুচকে বললেন, তোমার নিজের লেখা? না, মা-বাবা লিখে দিয়েছেন? আমার কান লাল হয়ে উঠেছে। এমন অপমানজনক প্রশ্ন কেউ করতে পারে আমাকে? বন্ধু বলল, না দিদিমণি, ওর খাতা আছে, ও কবিতা লেখে। … শৈশবের কলকাতা ফিরে দেখছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।

দিনের পরে দিন: এক অখ্যাত নায়ক

Naxalbari

নম্র, মিতভাষী, শান্ত সাংবাদিক মানুষটি যে আচমকাই ঘর পরিবার তুচ্ছ করে জড়িয়ে পড়বেন সক্রিয় সশস্ত্র রাজনৈতিক আন্দোলনে, বোঝা যায়নি একেবারেই। সত্তরের দশকের এক অখ্যাত নায়কের কাহিনি আলপনা ঘোষের কলমে।

‘অবন একটা পাগলা’ বলেছিলেন রবিকা

William Rothenstein

৫ ডিসেম্বর ছিল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। সেই দিনটিকে স্মরণে রেখে তাঁর সঙ্গে কাকা রবীন্দ্রনাথের স্নেহোচ্ছল সখ্যের গল্প শোনালেন পীতম সেনগুপ্ত তাঁর কবি-সমীপে কলামে।

লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২ – প্রকৃতির পাঠশালায়

memories of Calcutta University

কবিতার খাতাটা এমনভাবে বুকের কাছে ধরা থাকত যে, বড় ছোট যে কেউ জানতে চাইবে, ওটা কী? তখন আমি বিজ্ঞের মতো বলব, জানো আমি কবিতা লিখি এতে। আর এটাও বলতে ভুলব না যে বড় হয়ে আমি লেখক হব।… শৈশবেই চোখে লেগে গিয়েছিল ভবিষ্যতের নেশা। কলমে অনিতা অগ্নিহোত্রী।

প্রিয়বন্ধুর অনুরোধে লিখলেন ‘কর্ণকুন্তীসংবাদ’

William Rothenstein

প্রবাসে নির্বান্ধব শুষ্ক ও অবসন্ন জীবনের মধ্যে যখন নিরবচ্ছিন্ন একাকীত্ব যখন জগদীশচন্দ্রকে গ্রাস করত, তখন আলো বলতে রবি’র আলোই তাঁকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলত। তার মধ্যে দিয়েই আশার আলোর সন্ধান পেতেন। সেই বন্ধুত্ব নিয়ে লিখলেন পীতম সেনগুপ্ত।

লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ১ – সম্পাদকের পোস্টকার্ড

memories of Calcutta University

দক্ষিণ কলকাতায় নানা বাসা বদল করতে করতে, কর্নফিল্ড রোড, চন্দ্রমণ্ডল লেন, অনিল রায় রোড ঘুরে বাবা-মা যখন হাজরা রোডের তিনতলার বাসায় এসে পৌঁছলেন, তখন কি জানি, এই বাড়িই হবে আমাদের আগামী দু’দশকের ঠিকানা? — লিখছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।