জীবন থেকে জীবনে: তৃতীয় পর্যায়-পর্ব ৪

রাত বারোটায় আনন্দবাজারের সিঁড়ি দিয়ে শক্তিদার সঙ্গে নামলাম রস বুঝতে। পকেটে দেখলাম টাকা কুড়ি মতন আছে। এক বোতল বাংলা হয়ে যাবে। তবু জিজ্ঞেস করলাম, ‘টাকা কুড়ি আছে। হবে তো?’
শক্তিদা ঠোঁটে তর্জনী ঠেকিয়ে বলল, ‘চুপ! রসের ব্যাপারে টাকার কথা তুলতে নেই।’
শংকরলাল ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক কলাম ‘জীবন থেকে জীবনে’-র তৃতীয় পর্যায়, আজ
চতুর্থ পর্ব …
বুড়ি থুড়ি থুড়ি: জীবন তো একটাই

সমমনস্ক মানুষের অভাব মেটাতে চেয়ে, বিশেষ করে এই ষাট পেরনো শহুরেরা আজ দিশেহারা। তাদের হাতে অর্থ আছে, জীবন যাপনে আছে নিরুপদ্রব স্বাধীনতা, দেদার বেড়ানোর সুযোগ, এয়ারপোর্টে ঢুকলেই হইল চেয়ার, দিনক্ষণ মেনে দুরান্ত থেকে পাঠানো উপহার, প্রতিদিনের ভিডিও কল তবু যেন মন মানে না। শূন্য মনে হয়।
অন্য জীবন অন্য মনন (৯): নাদিয়া সান্তিনি

খাবারে মিশে থাকে স্বাস্থ্য আর সেবার ইচ্ছে। পৃথিবীর তাবড় তাবড় রান্নার ইস্কুলে সেসব শেখায় নিশ্চয়ই। কিন্তু সবাই তো আর সেসব ইস্কুলে যায় না, যেতে পারেও না। তাদের জন্য মা-ঠাকুমাদের ইস্কুল একটা বড়সড় জানলা খুলে দিতে পারে। আমার কথায় প্রত্যয় না হলে আপনারা নাদিয়াকে দেখুন! নাদিয়া সান্তিনি (nadia Santini। তিনি একজন রাঁধুনি। এবং বিশ্বসেরা রাঁধুনিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। লিখলেন অমৃতা ভট্টাচার্য।
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৯

১৭৮৮ সালের ২৬ জানুয়ারী ক্যাপ্টেন আর্থার ফিলিপ এগারোটি জাহাজ নিয়ে সিডনির বন্দরে এসে নোঙর বেঁধেছিলেন। সাথে ছিল সাতশো কয়েদি এবং চারশ সামরিক ও অন্যান্য অফিসার। এই নৌবহরটিকে আজও বলা হয় First Fleet বা প্রথম নৌবহর।
কেমন ছিল দুশো বছর আগের অস্ট্রেলিয়া, কেমন তার ইতিহাস? কলম ধরলেন সিদ্ধার্থ দে…
জীবন থেকে জীবনে: তৃতীয় পর্যায়-পর্ব ৩

সেদিন সকালে ট্রামে করে যখন নায়ারের মেসে যাচ্ছি কেবলই শুনি ও বলছে, “জীবনে বেশি বই থাকে না যা তোমার জীবনটাই বদলে দেবে। ক্ল্যাসিক্স-ফ্ল্যাসিক্স তো ঢের আছে, থাকবেও, পড়তেও হবে। কিন্তু এই যেটা গত তিনদিন পড়ে কাহিল হয়ে গেলাম, এ বই নয় বারুদ। মগজ প্রায় বিগড়ে যাবার দশা। শুধু মনে হচ্ছিল তোমার সঙ্গে শেয়ার করে একটু নর্মাল হই। পরেই ভাবলাম, No. You also need this shock. তোমাকে পড়ে পাগল হতে হবে। তাই সবুর করো, মেসে গিয়ে টোস্ট, অমলেট, চা নিয়ে বসি। তারপর…
শুরু হল শংকরলাল ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক কলাম ‘জীবন থেকে জীবনে’-র তৃতীয় পর্যায়, আজ তৃতীয় পর্ব …
মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ৯

বিধান রায় জিজ্ঞাসা করলেন কোন সাইজটা করলে ভালো হয়? বাবা তখন বঙ্কিম রচনাবলীর ১ নম্বরটা নিয়ে গেলেন। বিধান রায় দেখে খুব খুশি। বললেন, ‘বাঃ, বেশ তো। হাতে ধরে বেশ সহজভাবে পড়া যাচ্ছে। কোনও অসুবিধে হচ্ছে না তো পড়তে’। তখন উনি করলেন কি, ডি.এন.সেনকে ডেকে পাঠালেন। এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের ডি.এন. সেন তখন ওঁর ডান হাত। ডি.এন.সেনও ওই সাইজটা খুব পছন্দ করলেন। তখন ঠিক হল যে ওই সাইজটাই হবে।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…
অন্য জীবন অন্য মনন (৬): অল্পনা রাণী মিস্তিরি

অল্পনা রাণী কি পৃথিবীর বীজকোষের কথা জানেন? কেমন করে সেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে পৃথিবীর প্রাণভোমরা গচ্ছিত আছে, সেকথা বোধহয় তাঁর জানা নেই। জানা থাক বা না থাক, এতে সত্যিই তাঁর কিছু যায় আসে না।
জীবন থেকে জীবনে: তৃতীয় পর্যায়-পর্ব ২

খাঁ সাহেব গেয়েছিলেন বেহাগ, কেদার ও আভোগী কানাড়া। গ্রামোফোন কোম্পানি রেকর্ডও করেছিলেন সেই আসর। ওঁর সঙ্গে হারমোনিয়ামে ছিলেন কমল বন্দ্যোপাধ্যায়। কমলদা’র কাছে শোনা গানের এক বিরতিতে খাঁ সাহেব ওঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘কমল, তুমি কি আমার গলায় এক-আধবার একটা শাঁখের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছো?’’ কমলদা যখন বললেন, ‘‘হ্যাঁ। এর আগের দিনেও গলায় ওই আওয়াজ পেয়েছি। ভাবছিলাম এটা একটা নতুন কাজ আপনার গলার।’’
শুরু হল শংকরলাল ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক কলাম ‘জীবন থেকে জীবনে’-র তৃতীয় পর্যায়, আজ দ্বিতীয় পর্ব