অষ্টমীর অষ্টরম্ভা

অষ্টমী তো এল। কিন্তু ঠাকুরদেখায় আদালতের রক্তচক্ষু। মানতেই হবে। উদ্যোক্তা থেকে ভক্ত, যুগল থেকে ভিখিরি – সবারই মুখ চুন। এ কেমন পুজো এল?
মাইনে (ছোটগল্প)

করোনা রোগের জেরে চলছে লকডাউন। কাজে যেতে হচ্ছে না অতসীকে। ঘরে বসে মাইনে তো পাচ্ছেই, ত্রাণের চাল ডাল আলুও জুটে যাচ্ছে। কিন্তু এত ঘরে বসে থাকাও তো বিরক্তিকর। ছেলে-ছেলের বৌয়ের গজগজ শোনা কি পোষায়? তাহলেঅতসী কী করে?
শ্রীকৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনামের মতো জানা গেল মাস্কনামা!

করোনার আগমনে গিয়াছে দেশ ছেয়ে! সঙ্গে সানাইয়ের পোঁ হিসেবে এন্ট্রি নিয়েছে মাস্ক! কিন্তু সৃজনশীল ভারতবাসী, ফাঁকিবাজ ভারতবাসী, বেপরোয়া ভারতবাসী মাস্ক পরার বিষয়টিকে প্রায় শিল্পের উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন! মাস্ক পরি না না-পরি, নাউ দ্যাট ইজ় দ্যা কোয়েশ্চেন! উত্তরের আশায় অম্লানকুসুম চক্রবর্তী!…
করোনা ও কো-মর্বিডিটি

নভেল করোনাভাইরাসের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর হার যত বাড়ছে, তত শোনা যাচ্ছে একটি অপরিচিত শব্দবন্ধের ব্যবহার। কো-মর্বিডিটি। এবং এই কো-মর্বিডিটি নিয়ে বিতর্কেরও শেষ নেই। শরীরে কোন কোন রোগ থাকলে রোগীকে কো-মর্বিডিটি ফ্যাক্টরের আওতায় ফেলা হবে, আর কী কী ক্ষেত্রে হবে না, তা নিয়ে প্রশ্নও উঠছে বিস্তর। এরমধ্যে ডায়াবিটিসের ভূমিকা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি। শহরের অন্যতম নামকরা […]
ইয়োর অ্যাটেনশন প্লিজ! (রম্যরচনা)

স্টেইনলেস স্টিলের স্পুন আর ফর্ক দিয়ে সেরামিকের প্লেটে ঠুংঠাং হাল্কা ঠুংঠাং আওয়াজ করার মধ্যে একটা দৈব আনন্দ আছে, এটা আমরা বুঝি। তবে করোনাভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে ও বাঁচাতে এমন আওয়াজ এখন করবেন না।…
বসন্তদিন (গল্প)

ছুটির দিনে দুব্রোভনিকের জনবহুল রাস্তা স্ত্রাদুনে চলে যায় সুজয়। একটা বিয়ার নিয়ে বসে থাকে সৈকতে। দু’ চারটে চেনা মুখ হাসে। সামান্য গল্পস্বল্প হয়।
আমি ভয় করব না (প্রবন্ধ)

গত দু মাসে, শুধু নিউ জার্সি রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৩১,৮৯০-এর কিছু বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৮৫৫০-এর বেশি রোগীর। মাত্র কয়েকশো রোগী দিয়ে শুরু করে সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে বাড়তে এখন এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা। এদেশে অর্থনীতির পতনের বিপ্রতীপে এই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি। হাসপাতালের ভেতরে রোগীর সংখ্যা যত বেড়েছে, বাইরে মানুষের সংখ্যা তত কমেছে। ক্রমশ শুধু জরুরী পরিষেবার কর্মীদের রয়ে গেছে।
মহামারী ও দোষারোপ

মহামারীর সময়ে সদ্ভাব সম্প্রীতি বিরল কেন? আসলে মহামারীর প্রকোপের সামনে মানুষ বড় অসহায়। অন্তত যতক্ষণ না বিজ্ঞান তার মোকাবিলা করতে পারছে। তাই বোধহয় ভয়, রাগ, চিন্তা সেইসময় মানুষকে –বা বলা ভালো অনেক মানুষকে – গ্রাস করে। সে একদিকে যেমন আশ্রয় খোঁজে ঈশ্বর ও অলৌকিক নানা শক্তির কাছে, অন্যদিকে শত্রু খোঁজে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার জন্য।