এক বাঙালি গুপ্তচরের গল্প

শরৎচন্দ্র দাশকে প্রস্তাব দেওয়া হয় সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করে তিব্বতে যাত্রা করার। অচেনা দুর্গম পথ চেনানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় সহ-প্রধানশিক্ষক গ্যাটসোকে, কারণ অতীতে তিব্বত যাত্রার অভিজ্ঞতা ছিল এই বৌদ্ধ ভিক্ষুর। আইনি কাগজপত্র সইসাবুদ করে দিতে হয় শরৎচন্দ্রকে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী হবে না এই মর্মে। তাঁর মাসিক আয় ধার্য হয় ৩০০ টাকা। শুধু তাই নয়, তাঁর স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্বনামা পর্যন্ত সইসাবুদ করা থাকে। এমন গোপনীয়, এমন গুরুত্বপূর্ণ, এমন ঐতিহাসিক ছিল শরৎচন্দ্রের এই তিব্বতযাত্রা।
এক বাঙালি গুপ্তচরের জীবনকাহিনি, লিখলেন ইশা দাশগুপ্ত…
অসীমা চট্টোপাধ্যায়– গর্বের উত্তরাধিকার

১৯৩৮ সালে সফল ও সার্থকভাবে রসায়নবিদ্যার স্নাতক হন অসীমা, তারপর ১৯৪০ সালে স্নাতকোত্তর। ১৯৪৪ সালে লিখিত হয় এক নতুন ইতিহাস। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম রসায়নের মহিলা ডক্টরেট ডিগ্রির অধিকারী হন অসীমা চট্টোপাধ্যায়– যার পোশাকি নাম তখন ছিল ‘ডক্টর অফ সায়েন্স’ বা ডিএসসি।
বৈজ্ঞানিক অসীমা চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে লিখলেন ঈশা দাশগুপ্ত..
যে গণিতশিল্পীকে মনে রাখিনি

কালিদাস রায় কেশবচন্দ্রকে ক্লাস ফাইভ সিক্সের জন্য একটি অঙ্কের বই লিখতে বলেন। তাঁর জোরাজুরিতে অল্পসময়ের মধ্যে পাণ্ডুলিপিও তৈরি করেন কেশবচন্দ্র। ইউ এন ধর অ্যান্ড সনস্ কালিদাস রায়ের বই ছাপতেন। তাঁদেরই প্রকাশনায় প্রকাশিত হল ‘নব পাটিগণিত’। খুব দ্রুত বইটি জনপ্রিয় হয়ে উঠল। কেশবচন্দ্র পেতে থাকলেন রয়্যালটির টাকা। কেশবচন্দ্রের অর্থনৈতিক অবস্থা এই প্রথম সুদিন দেখল। এর পরেই প্রকাশিত হয় তাঁর বিখ্যাত ‘ম্যাট্রিক ম্যাথামেটিক্স’ বইটিও।
…’গণিতশিল্পী’ কে সি নাগের জীবনসংগ্রাম নিইয়ে লিখলেন ঈশা দাশগুপ্ত
যে স্বাধীনাকে মনে রাখিনি

যাঁর সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়েছে সে যদি চন্দ্রমুখী হয়, অন্যজন কে? চন্দ্রমুখীর বাবা ভুবনমোহন বসুকে যেমন বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে হয় দেরাদুনে, অন্যজনের বাবাকেও হতে হয় সমাজচ্যুত। লিখছেন ঈশা দাশগুপ্ত।
বইয়ের কথা: পান্তীর মাঠ

এই সেই পান্তীর মাঠ, এই সেই শিবনারায়ণ দাসের গলি, যাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে সমগ্র কাহিনিপট। তাই পান্তীর মাঠ, শিবনারায়ণ দাসের গলি তো শুধু কোনও ভৌগোলিক নাম নয়, তা ভূগোলকে ছাপিয়ে ইতিহাসের অংশ, কখনও নিজেও ইতিহাস। … পাঠপ্রতিক্রিয়া লিখলেন ঈশা দাশগুপ্ত।
মহৎ নোবেল পুরস্কার– কতটা মহৎ?

নোবেল পুরস্কার। নামমাহাত্ম্যেই শিহরণ খেলে যায় শোনামাত্র। প্রতি বছর পুরস্কার প্রাপকদের নিয়ে হইচইও কম হয় না। তথাপি নোবেল পুরস্কারের নেপথ্যে কি বৈষম্যের বা অপ্রাপ্তির কাহিনি নেই? খোঁজ নিলেন ঈশা দাশগুপ্ত।
যাঁদের মনে রেখেছি, যাঁদের মনে রাখিনি: শেষ পর্ব – আদর্শের উত্তরাধিকার

জ্যোতিবার মৃত্যুতে আরও একবার তাঁর আদর্শ আর কাজকে সম্মান জানালেন স্ত্রী সাবিত্রী। নিজের হাতে তুলে নিলেন অন্ত্যেষ্টির অধিকার। ইতিহাসের একটি অধ্য়ায় শেষ হয়ে এল। লিখছেন ঈশা দাশগুপ্ত। আজ শেষ পর্ব।
যাঁদের মনে রেখেছি, যাঁদের মনে রাখিনি: পর্ব ১৯ – তারাবাঈ, কাদম্বিনী এবং…

১৮৮২ সাল নারীস্বাধীনতার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী সময়। সেই একই বছরে নারীর অধিকার রক্ষার অনেকগুলি ক্ষেত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হয় পাঁচজন নারীর হাত ধরে। লিখলেন ঈশা দাশগুপ্ত।