আম নিয়ে আমোদ

মালদা, মুর্শিদাবাদ জুড়ে আমের এই বৈচিত্র্যময়তার পিছনে বাংলার নবাবকুলের অবদান সুপ্রচুর। আমের নামের সঙ্গেও মিশে আছে নবাবি আমলের ইতিহাস আর চমকপ্রদ কাহিনি। আশরাফ আলির বাগানে ফলেছে এক আম। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। নবাব নাজিম ফেরাদুন জাঁ, যার বাবা হুমায়ুন জাঁ-এর হাতে তৈরি হয়েছিল মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি, তখন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার তক্তে। এই আমের আমেজ নবাবের কাছে পৌঁছনো দরকার। আশরাফ পৌঁছয় দরবারে… আর তারপর?
বিশ্ব আম দিবসে আম নিয়ে কিছু অজানা মজাদার কাহিনি, লিখলেন সপ্তর্ষি রায় বর্ধন
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সাক্ষী, কলমের খোঁচায় ইতিহাস পালটে দিয়েছিলেন এই নারী

আমেরিকার গৃহযুদ্ধের লেলিহান আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছিল এই বইটি। দাসপ্রথার বিরুদ্ধে লেখা এই বই আমূল বদলে দিয়েছিল আমেরিকার ইতিহাস। গৃহযুদ্ধ আরম্ভের পর আব্রাহাম লিংকন একবার দেখা করেন বইটির লেখিকার সঙ্গে। সেদিন প্রথম সাক্ষাতে সবিস্ময়ে তিনি বলেছিলেন : ‘So this is the little lady who started this great war.’
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ২০

দেশটিতে পা রাখার ক’দিনের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিলেন জোসেফ ব্যাংকস-এর অনেক তথ্যই ভুল ছিল। ১৭৭০ সালে হয়তো ভালো বৃষ্টির জন্য অঞ্চলটি গাছপালায় ভরা ছিল। ১৭৮৮-এ সম্পূর্ণ অন্য চিত্র। বেশ কয়েকবছরের অনাবৃষ্টির ফলে মাটি রুক্ষ, চাষবাসের অযোগ্য।
প্রথম কয়েক বছর জীবন একেবারেই সহজ ছিল না। নানা সমস্যায় জর্জরিত নবীন উপনিবেশটিকে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য ফিলিপকে বহু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। সময়ে সময়ে রীতিমত নিষ্ঠুরও হতে হয়েছে।
কেমন ছিল দুশো বছর আগের অস্ট্রেলিয়া, কেমন তার ইতিহাস? কলম ধরলেন সিদ্ধার্থ দে…
শেক্সপিয়র নাটকে অভিনয়ের জন্য সংগীতশিল্পী দান করলেন নিজের মাথার খুলি

মৃত্যুর আগে তাঁর শেষ ইচ্ছে ছিল ‘দ্য মার্চেন্ট অফ ভেনিস’-এর অপেরাটি যেন একদিন মঞ্চের আলো পায়। প্রাণের নাটককারের মধ্যে দিয়ে তিনি ভাবতেন তাঁর কথাগুলো সুর হয়ে মানুষের শিরায় উপশিরায় পৌঁছে যাবে। এরপর তিনি একটি উইল তৈরি করেন যেখানে তিনি মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য দেহ-দান করবেন, আর মাথার খুলিটা দান করবেন রয়্যাল শেক্সপিয়র কোম্পানিকে।
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৯

১৭৮৮ সালের ২৬ জানুয়ারী ক্যাপ্টেন আর্থার ফিলিপ এগারোটি জাহাজ নিয়ে সিডনির বন্দরে এসে নোঙর বেঁধেছিলেন। সাথে ছিল সাতশো কয়েদি এবং চারশ সামরিক ও অন্যান্য অফিসার। এই নৌবহরটিকে আজও বলা হয় First Fleet বা প্রথম নৌবহর।
কেমন ছিল দুশো বছর আগের অস্ট্রেলিয়া, কেমন তার ইতিহাস? কলম ধরলেন সিদ্ধার্থ দে…
এক বাঙালি গুপ্তচরের গল্প

শরৎচন্দ্র দাশকে প্রস্তাব দেওয়া হয় সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করে তিব্বতে যাত্রা করার। অচেনা দুর্গম পথ চেনানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় সহ-প্রধানশিক্ষক গ্যাটসোকে, কারণ অতীতে তিব্বত যাত্রার অভিজ্ঞতা ছিল এই বৌদ্ধ ভিক্ষুর। আইনি কাগজপত্র সইসাবুদ করে দিতে হয় শরৎচন্দ্রকে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী হবে না এই মর্মে। তাঁর মাসিক আয় ধার্য হয় ৩০০ টাকা। শুধু তাই নয়, তাঁর স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্বনামা পর্যন্ত সইসাবুদ করা থাকে। এমন গোপনীয়, এমন গুরুত্বপূর্ণ, এমন ঐতিহাসিক ছিল শরৎচন্দ্রের এই তিব্বতযাত্রা।
এক বাঙালি গুপ্তচরের জীবনকাহিনি, লিখলেন ইশা দাশগুপ্ত…
যাঁদের মনে রেখেছি, যাঁদের মনে রাখিনি: পর্ব ১ – প্রথমা সাবিত্রী

ঈশা দাশগুপ্ত লিখছেন মহারাষ্ট্রের মহিলা সমাজ সংস্কারক সাবিত্রীবাই ফুলে ও তাঁর স্বামী জ্যোতিবা ফুলের কথা।
যে পথে ঈশ্বরের মৃত্যু: শেষ পর্ব

গাছ-গাছালি-ফুলে মোড়া একটা পাথুরে রাস্তা পাহাড়টাকে মুড়ে উঠে গেছে উপরের দিকে। এমনিতেই মোন্যাকোর দিকে যেতে গাছপালা নীস অঞ্চলের থেকে একটু বেশিই।