মল্লিকা সেনগুপ্তের ‘সীতায়ন’ – ফিরে দেখা

১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল মল্লিকা সেনগুপ্তের উপন্যাস ‘সীতায়ন।’ মহাকাব্যের আখ্যানে কেন্দ্রীয় নারীচরিত্রের সর্বস্তরীয় অবমাননার দিকটি দুঃসাহসিক ভাবে তুলে এনেছিলেন মল্লিকা। তাকে দাঁড় করিয়েছিলেন সমসাময়িক প্রেক্ষিতে। প্রায় পঁচিশ বছর আগেকার এই উপন্যাস আজও কেন একই ভাবে সমসাময়িক, প্রাসঙ্গিক?
যত দূরেই যাই (শেষ পর্ব) (বড়গল্প)

দ্যুতিদীপা অসংখ্য মানুষের মুখ দেখতে থাকে। লিফ্টম্যানের তিতিবিরক্ত মুখ, চড়া লিপস্টিক পরা রিসেপশনিস্টের ভাবলেশহীন মুখ, এবং অগণিত নিকটজনেদের উদ্বিগ্ন, সন্ত্রস্ত মুখ। অসুখ, অর্থব্যয়, বিচ্ছেদের ভারে ক্লিষ্ট মানুষেরা অধীর অপেক্ষায় বসে থাকে এইখানে, এই লাউঞ্জে।…
যত দূরেই যাই (প্রথম পর্ব) (বড়গল্প)

বিশ্বের যাবতীয় মুগ্ধতার ঘোর নিমেষে ভেঙে দিতেই বোধ হয় মোবাইল ফোনের জন্ম হয়েছিল। বিতনুর ফোনে গায়ত্রীর ফোন আসে। ডাক্তারখানা থেকে নিরাপদে ফ্ল্যাটে ফেরার পৌঁছসংবাদ। চকিতে সেলফোন হাতে নিয়ে বারান্দায় বেরিয়ে যায় দ্যুতিদীপা।…
কবিতা, কল্পনালতা

কবিকে জানব বলে সমগ্র জীবন, অতঃপর এই জলে ঘর, জলেই সঙ্গম। চেনাশোনা শেষ হলে অপরূপকথা কাব্য, তীরে এক নির্জন পাথরে বসে দেখি, কোমরের নিচ থেকে মাছের পুচ্ছখানি রোদেলা সকালে চিকচিক করছে স্রোতে নুয়ে।
কড়ি বা কোমল

যে সাঁকোটি প্রিয় খুব, সে কখনও একমুখী নয়
চারটি দশক পর মাঠগুলি, ঘরগুলি,
গাছগুলি, পাখিগুলি, হাওয়াতেই উতরোল হয়।