“ওমিক্রন” সম্বন্ধে যা যা জানলাম

about omicron variant

খুব বেশি ছড়াচ্ছে মানেই যে খুব খারাপ হচ্ছে তা নয়। দেখা যাচ্ছে অল্প সর্দি কাশি গা ম্যাজম্যাজ ইত্যাদি হয়ে ব্যাপারটা মিটে যাচ্ছে। অর্থাৎ মনে করা হচ্ছে,ভাইরাস নিজেকে এমনভাবে বদলেছে যাতে ধারকের ক্ষতি কম হয়।

একটাই চিন্তা সপ্তমীর সকালে…

অতিমারী কেড়েছে স্বাভাবিক জীবন। কেউ জানে না, কবে কী হবে, বা আদৌ কিছু হবে কিনা। এর মধ্যেই আমফান, এর মধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুমিছিল, এর মধ্যেই হাথরস। তাও হইহই করে এসে গেল উৎসবের দিন। এ বার?

ইয়োর অ্যাটেনশন প্লিজ! (রম্যরচনা)

Restaurant

স্টেইনলেস স্টিলের স্পুন আর ফর্ক দিয়ে সেরামিকের প্লেটে ঠুংঠাং হাল্কা ঠুংঠাং আওয়াজ করার মধ্যে একটা দৈব আনন্দ আছে, এটা আমরা বুঝি। তবে করোনাভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে ও বাঁচাতে এমন আওয়াজ এখন করবেন না।…

মহামারী ও দোষারোপ

Black Death

মহামারীর সময়ে সদ্ভাব সম্প্রীতি বিরল কেন? আসলে মহামারীর প্রকোপের সামনে মানুষ বড় অসহায়। অন্তত যতক্ষণ না বিজ্ঞান তার মোকাবিলা করতে পারছে। তাই বোধহয় ভয়, রাগ, চিন্তা সেইসময় মানুষকে –বা বলা ভালো অনেক মানুষকে – গ্রাস করে। সে একদিকে যেমন আশ্রয় খোঁজে ঈশ্বর ও অলৌকিক নানা শক্তির কাছে, অন্যদিকে শত্রু খোঁজে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার জন্য।

ঘর (কবিতা)

Spring during corona

আসলে মেঘেদের অন্তরে জমছে বিন্দু বিন্দু কান্নার বাষ্প। পৃথিবীর অগনিত পুত্রকন্যার অসহায় কান্না।
ক্রমশ একটা আশ্চর্য ভয় আমাদের একলা করে দিচ্ছে, কুঁকড়ে দিচ্ছে ভেতরে ভেতরে
মৃত্যও আজ বড় একলা…
আজ মৃত মানে অতি দ্রুত বেড়ে ওঠা দেহের সংখ্যা মাত্র,
নেই প্রিয় মুখ, নেই শোকের অবকাশ, নেই কারও হাত ধরে বৈতরণি পার!

অপ্রতিরোধ্য বসন্তদিন

central park NYC

কে রুখবে অপ্রতিরোধ্য বসন্তের হাওয়া? চারিদিকের এই মহেঞ্জোদাড়োর শূন্যতার মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দুরন্ত ম্যাগনোলিয়া। দু’মিটারের দূরত্ব বজায় রেখে সন্তর্পণে পাড়ায় হাঁটছি আলেকজান্দ্রা প্যালেসের দিকে। মার্চের প্রথম বাসন্তী রোদ গায়ে মেখে। মনে পড়ে যাচ্ছে বোকাচ্চিওর দশ বন্ধুর কথকতা। মহামারী প্রবল অন্ধকারের বুক থেকে ড্যাফোডিল আলো ছিনিয়ে এনে হালকা হাসিতে তারা ছড়িয়ে দিয়েছে বিংশ শতাব্দির করোনার কলোনিতে। এ সময় ভয়ের। এ সময় নির্ভীকতার। এ সময় সামাজিক দূরত্বে দাঁড়াবার। এ সময় ভীতিপ্রদ রক্তচক্ষুর দিকে সরাসরি তাকিয়ে থাকবার।