ডেট

তুমুল শীতের সন্ধে।’তুমুল’ শব্দটিকে কেটে দিয়ে নীরক্ত লিখছি স্রেফ নিন্দের ভয়ে। ‘আমি কিন্তু ভীষণ নার্ভাস’, আপনি বললেন। আমার একটি হাত ক্রিসমাস গাছ থেকে গড়িয়ে নামলো! সঙ্গে শাদা তারা, খুচরো রাংতা, আরও কত কী… কুয়াশা জমল; সে-ও সেরিব্রাল,আশা করা যাক! কিন্তু ছোট রেস্তোরাঁটিকে, জওহরলাল নেহরু রোড,মেয়ো রোড ক্রসিং-য়ের ফুলওয়ালা ও নির্জন মেয়েদের কীভাবে শূন্যতার মধ্যে ছেড়ে […]
অপয়া

ধন্যি বটে বাঙালনামা ধন্যি বটে পোস্তভাত
অপয়া টাই নিমিত্ত থাক নন্দ ঘোষে কাবার রাত
মনের ভিতর ঘাপটি মেরে উঁকি ঝুঁকি একটু যেই
অমনি পিছল রাস্তা হাজির পায়ের তলায় সর্ষে খই।
কড়ি বা কোমল

যে সাঁকোটি প্রিয় খুব, সে কখনও একমুখী নয়
চারটি দশক পর মাঠগুলি, ঘরগুলি,
গাছগুলি, পাখিগুলি, হাওয়াতেই উতরোল হয়।
প্রতিশোধ

তোর মনে হয় যাবার সময় হল উঠতে হবে, দেরী করিস না যেন! অনভ্যাসের চেয়ার ছেড়ে সসম্মানে মুখোশ ছিঁড়ে নেমে আয় আজ সিংহাসন ফেলে। অহং ,পাপ আর পুণ্য …. থাক! চৌকাঠের ভিতরেই থাক, তুই শুধু খালি পায়ে ,নগ্ন মনে, ক্লান্ত শরীরে হেঁটে চলে যা ওই যেখানে শেয়াল কুকুর শকুন মানুষ না হয়েও দিব্যি বেঁচে আছে সেখানে। […]
মাইকেলের বীরাঙ্গনারা

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ আপাতভাবে ভারতীয় হিন্দু পুরাণ ও মহাকাব্যের নারীর জবানি হলেও, এর অন্তরে সমসময়ের অন্দরমহলের ছায়া স্পষ্ট। হিন্দু পুরাণ আর মহাকাব্যের পরিচিত, স্বল্প পরিচিত, প্রায় অপরিচিত নায়িকাদের চিঠির আকারে তৈরি এই কাব্যের কাল্পনিক চিঠিগুলোর পরতে পরতে থাকে অভিযোগ, আকুতি, প্রশ্ন। প্রশ্ন পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোকে, অভিযোগ পুরুষের প্রবঞ্চনার বিরুদ্ধে। বোঝাই যায়, এইসব বয়ান নিছক […]
ভাঙা-জলসা থেকে

‘এ সবই নশ্বরতা’, বলে তুমি হারমোনিয়াম সরিয়ে দাও। ফুলের রেণুর মতো,ঝরে-পড়া মাত্র কথাগুলি মিলিয়ে যাচ্ছে বাতাসে। তোমার হাতচিঠিগুলোর জন্যও আশঙ্কা হয়! কেমন নির্জন হয়ে এল ডিসেম্বর মাস,কী বলব, নশ্বরতার ধর্মই এই! চোখ শুকিয়ে আসার আগে,আমি তোমাকে জানাতে চাই শুধু, একের পর এক শীতকাল পার হয়েও গান থেকে যাবে