মান (কবিতা)

বন্ধু বদলে বদলে হেঁটে যাচ্ছে গোধূলির দিকে
ফিরে তাকাচ্ছে না তোমার অভিমান।
পুরনো প্রেমের দিকে, নতুন ওমের দিকে হেঁটে যাচ্ছে দীর্ঘ ছায়া নিয়ে
চাওয়ার তুই (কবিতা)

স্যাঁতস্যাঁতে দিন জ্বালাচ্ছে খুব, কিছুই মন টানছে না!
ভাল্লাগে না, ভাল্লাগে না, রোজনামচার কাজের চাপ,
তারচে বরং তুই এলে, বেশ, রোদের আয়েশ চায়ের কাপ;
ভো কাট্টা (কবিতা)

তোমার প্রসাদে মহাবিশ্বের নট-নটি নাচে তাতা থৈথৈ।
আমি তার পর ভরাপেটে আকাশ দেখি
আমার আকাশ, তোমার আকাশ, ওখানে তুমি থাকো ঠাকুর?
আলাপচারিতার সোপান (কবিতা)

তারপর…
ট্রাম, হাতেটানা রিকশা, সাঁতার কাটার শব্দ, প্রেমের ছোঁয়াছুঁয়ি…
দেখতে দেখতে দেখতে বইপাড়া।
ধারালো লেখার মতো দুপুর, পুরনো মলাট বিকেল
দুটো হাতের ছোঁয়ার লালন
তোমায় আমি দেখিনি (কবিতা)

এমন দিনে, ছল ছেড়ে দিই যত
ভালবাসার আয়াসে বিক্ষত
মেঘ যেরকম আকাশ পেলে ডাকে…
তোমার সাড়া পেয়েছি, তাই জানি
আবার আমায় বদলে দেবে গানই
হঠাৎ কোনও পঁচিশে বৈশাখে!
এসো (কবিতা)

এই হাত
রাখা আছে, শর্তহীন
ছুঁয়ে দাও। তার আগে
শুধু একবার ভেবে দেখো
কবিতা, কল্পনালতা

কবিকে জানব বলে সমগ্র জীবন, অতঃপর এই জলে ঘর, জলেই সঙ্গম। চেনাশোনা শেষ হলে অপরূপকথা কাব্য, তীরে এক নির্জন পাথরে বসে দেখি, কোমরের নিচ থেকে মাছের পুচ্ছখানি রোদেলা সকালে চিকচিক করছে স্রোতে নুয়ে।
কবিতার সঙ্গে বসবাস – কস্তুরী সেনের কবিতা

এই কবির জন্ম ১৯৮৫ সালে। তখন আমি ‘উন্মাদের পাঠক্রম’ লেখার পর ‘ভূতুম-ভগবান’ বইটির কবিতা লেখা শুরু করেছি। অর্থাৎ এই কবি বয়সে আমার সন্তানতুল্য। কিন্তু বয়স কম হলেই কাউকে শ্রদ্ধা করা যাবে না, এমন বিশ্বাস আমার নেই। আমি এই কবির লেখার দরজায় বারবার গিয়ে দাঁড়াব।