পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে সৃজিতের ছবি ‘গুমনামী’‚ যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে| নেতাজীর মৃত্যু রহস্য নিয়ে নানা কথা বললেন সৃজিত| তাঁর সঙ্গে কথা বললেন তন্ময় দত্তগুপ্ত|

এই পুজোতেই নেতাজীর মৃত্যু রহস্য নিয়ে আপনার গুমনামী সিনেমা রিলিজ করছে।যা নিয়ে বিতর্ক ইতিমধ্যেই তুঙ্গে।নেতাজীর এই মৃত্যু রহস্য ঠিক কী কারণে আপনার ছবির বিষয় হল?


সৃজিতঃ এটা অত্যন্ত পুরনো ইস্যু। ছোটবেলা থেকেই  ইতিহাস বইতে নানান মণীষীদের কথা পড়েছি। তাদের জন্মদিন আছে। মৃত্যুদিনও আছে। কিন্তু নেতাজীর মৃত্যুদিনের আগে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন। এই প্রশ্নবোধক চিহ্ন ৭৪ বছর পরেও আছে। এটা জাতির  লজ্জা। পৃথিবীতে কোনও মণীষীর মৃত্যু নিয়ে এরকম ধোঁয়াশা নেই। এই বিষয়টা আমি ছোটবেলা থেকেই পড়েছি। বড় হয়ে আমি আরো পড়াশোনা করেছি।ফাইনালি আমার মনে হয়েছে এই প্রশ্নগুলো তুলে ধরা প্রয়োজন। আমার মিডিয়াম হোল সিনেমা।তাই আমি আমার সিনেমার মাধ্যমে এই প্রশ্নগুলো তুলে ধরেছি।আমি মনে করি,এখনকার মানুষ বা প্রজন্মের কাছে নেতাজীর মৃত্যু রহস্য প্রায় বিস্মৃত।মানে তুমি কি কেবল তেইশে জানুয়ারি?— এরকম হয়ে গেছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি চাই না মানুষ এ ব্যাপারে বিস্মৃত হোক। আমার মনে হয় এই প্রশ্ন,বিতর্ক চলুক।


 ফৈজাবাদের অনেকেই গুমনামী বাবাকে নেতাজী বলে বিশ্বাস করতেন। তিনি শেষ দুবছর ছিলেন ফৈজাবাদের রামভবনে।সেখানে আপনি গিয়েছিলেন।যারা গুমনামী বাবাকে স্বচক্ষে দেখেছে,আপনি তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।আপনার কি মনে হয়েছে গুমনামী বাবা নেতাজী? আপনার ব্যক্তিগত ইন্টারপ্রিটেশন কী?

সৃজিতঃ দেখুন গুমনামী বাবার আগে আরেকটা জোরালো থিওরি আছে।এটা নিয়ে মানুষ খুব একটা কথা বলতেন না।সেটা হোল রাশিয়ার কিছু কথা।বাজেটের অভাবে আমি রাশিয়া গিয়ে শুট করতে পারিনি।ডঃ পূরবী রায়ের রিসার্চে এই অংশের কথা আছে।গুমনামী বাবা-র অনেক আগে থেকেই প্যারালালি নেতাজীর মৃত্যু রহস্য থেকে পর্দা ওঠানোর চেষ্টা করেছেন ডঃ পূরবী রায়।নেতাজীর প্লেন ক্র্যাশে মৃত্যু হয়েছে;এই নিয়েও প্রচুর বই আছে।আমার ছবিতে সেটাও প্রাধান্য পেয়েছে।দৃশ্যায়ণ করার জন্য প্লেন ক্র্যাশ থিওরির অনেক দলিল আমি পেয়েছি। যেটা রাশিয়ান থিওরিতে অতোটা  পাইনি।আমার ছবিটা মুখার্জী কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরী।মুখার্জী কমিশন নেতাজীর প্লেন ক্র্যাশের থিওরিকে রিজেক্ট করেছে।আবার এভিডেন্সের অভাবে রাশিয়ান থিওরিকেও রিজেক্ট করেছে।গুমনামী বাবার ক্ষেত্রে লিগ্যাল মুভমেন্ট করেছিলেন ললিতা বসু।উনি গুমনামী বাবার ঘরে গিয়ে কিছু জিনিষপত্র দেখেন,এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টে ললিতা বসু পিটিশন জমা দেন।
উনি এলাহাবাদ হাইকোর্টে গিয়ে বলেন যে এই জিনিষগুলো আমার কাকার (নেতাজী)।এবং গুমনামী বাবাই নেতাজী।  


বুঝতে পেরেছি।আমি জানতে চাইছিলাম আপনার ইন্টারপ্রিটেশন কী?


সৃজিতঃ দেখুন আমার কাজ খানিকটা কমিশনের মতোই।আমার কোন থিওরিটা বেশি স্ট্রং বা উইক মনে হচ্ছে;সেটা অপ্রাসঙ্গিক। আমি চাই তর্ক ডিবেট নতুন করে শুরু হোক।আর আরেকটা প্রশ্ন উল্লেখযোগ্য।সেটা হোল মুখার্জী কমিশন সরকারী কমিশন হওয়া সত্তেও,কেন এই কমিশনকে বিনা কারণে নাকচ করা হোল?আমার ছবি মূলত এই প্রশ্নটাই করে।তিনটে থিওরি আমি যথা সম্ভব দেখানোর চেষ্টা করেছি।রাশিয়ান এ্যাঙ্গেলের বিষয়টা একটু কম দেখিয়েছি।মুখার্জী কমিশন এই তিনটে থিওরি নিয়ে তাদের রায় দেয়।আমার কাজ হোল যা যা আমি শুনেছি বা তথ্য পেয়েছি সেটা খুব লয়ালি মানুষের কাছে তুলে ধরা।

আপনি হয়ত কোনও কারণে গুমনামী বাবার ব্যাপারে আপনার ইন্টারপ্রিটেশন আমাকে বলতে চাইছেন না।তাই কি?


সৃজিতঃ আপনি ওই পর্বটাই জানতে চাইছেন।দেখুন বলতে না চাওয়ার কোনও কারণ নেই।আমি যদি আমার নিজস্ব সিদ্ধান্তে না আসি,শুধু ডকুমেন্ট করি তাহলেও একটা ফর্ম বা স্টাইল। এখানে বলতে না চাওয়ার কোনও ব্যাপার নেই।

কিন্তু সৃজিত বাবু ডিরেক্টরস আই বলে-তো একটা কথা আছে।সেই পরিচালকের চোখ কি আবিষ্কার করল গুমনামীর ক্ষেত্রে?


সৃজিতঃ প্রত্যেকটা ছবির নিজস্ব পারস্পেক্টিভ থাকে।পরিচালকের চোখ অনেক সম্ভাবনাকে তুলে ধরতে পারে।কোনও সিদ্ধান্তে নাও আসতে পারে।এটা আমার নিজস্ব ধারণা।এখন লোকজন নিজের মতের দিকে টেনে এনে দলে ভারী করতে চায়।কিন্তু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবেন,কিছু ছবিতে  স্ট্রংলি ডিরেক্টরস আই বেরিয়ে আসে।আবার কিছু ছবিতে বেরিয়ে আসেও না।আমি কোনও বিশেষ সিদ্ধান্তকে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য ছবিটা বানাইনি।তিনটে থিওরির ঐতিহাসিক ভ্যালু আমার কাছে আছে।সেই ঐতিহাসিক ভ্যালুকে আমি মুখার্জী কমিশনের পরিকাঠামোর মধ্যে ফেলে মানুষের কাছে তুলে ধরেছি।তিনটেই আমার কাছে ইকুয়াল ইম্পরটেন্ট।আমি যখন প্লেন ক্র্যাশ সম্পর্কে হাবিবুর রহমানের বিবৃতি পড়ছি তখন আমার মধ্যে দৃশ্যকল্পের জন্ম নিচ্ছে।আবার ডঃ পূরবী রায়ের কাছে যখন রাশিয়ান এ্যাঙ্গেলের কথা শুনছি,তখন সেটাও অসাধারণ লাগছে।আবার গুমনামী বাবার কথা অনুজ ধর ও চন্দ্রচূড় ঘোষের কাছে যখন শুনেছি ;তখন সেটাও দুর্দান্ত মনে হয়েছে।


আপনার শৈশব থেকে যৌবন পর্যন্ত নেতাজীর আদর্শ কিভাবে আপনার কাছে ধরা দিয়েছে?


সৃজিতঃ নেতাজী নিয়ে ছোটবেলা থেকে আমার অবসেশন ফ্যাসিনেশন ছিল।মিশর রহস্যের ট্রেলারেই একটা সংলাপ ছিল।সেটা হোল—‘আমাদের দেশে গান্ধী বুদ্ধ নয়,আরেকজন জন্মেছিলেন।আমার পাড়াতেই থাকতেন।নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস।নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই?’এখান থেকেই আন্দাজ করা যায়; নেতাজী সম্পর্কে আমার অবসেশন।আমার দাদুর বাড়ি ছিল কাশীপুরে।সিথির মোড়ের কাছে।আমাকে ওই শ্যামবাজারের ওপর দিয়ে যেতে হোত।আমার শৈশবের আঁকা প্রথম ছবি হোল;নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ঘোড়ার পিঠে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে।খুবই অপটু হাতে আঁকা ছবি।তখন আমার বয়স পাঁচ কি ছয়।আমার সব সময় মনে হয়েছে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু তার প্রাপ্য সম্মান ভারতবর্ষে পাননি।আমার কাছে তিনি একজন ট্র্যাজিক হিরো।তিনি আমার দেশের সত্যি লিবারেটর।দুহাজার দশে আমি সিনেমা বানাতে শুরু করি।কিন্তু নেতাজীর কথা আমার মাথার পেছনে ছিল।আগের বছর ১৮ আগস্ট ফাইনালি আমি ডিসিশন নেই, নেতাজীকে নিয়ে ছবি করব।ইতিহাসের পাতায় তার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নবোধক চিহ্নের ধোঁয়াশা সরানোর সময় এখন চলে এসেছে।

প্রসেনজিত সুভাষ চন্দ্রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।কিন্তু ট্রেলারে  প্রসেনজিতকে কোনও ভাবেই সুভাষচন্দ্র মনে হচ্ছে না।প্রসেনজিতকে কেন নির্বাচন করলেন এই চরিত্রে ?


সৃজিতঃ আপনার কথাকে আংশিক সমর্থন করছি।একদমই নেতাজী মনে হচ্ছে না;তা নয়।খানিকটা আদল আসছে।নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের ভূমিকায় এর আগে যারা অভিনয় করেছেন,শচীন খেদেকার বাদ দিয়ে,বাকিদের থেকে বুম্বা দা-কে একটু বেশি নেতাজী মনে হচ্ছে। ওয়েব সিরিজের নেতাজীর চরিত্রে রাজকুমার রাও অভিনয় করেছেন।ওনার মুখের আদল লম্বাটে।এখানেই আমার সবচেয়ে বড় আপত্তি ছিল।নেতাজীর মুখের আদল ছিল গোল।আর বুম্বা দা-র মুখের আদল চৌকো।নেতাজীর ক্যারিশ্মা এবং ফিজিকাল এ্যাটিটিউড;এই দুটোকে ম্যাচ করানোর মতো অভিনেতা বাংলায় আর কেউ নেই।আপনি ভেবে দেখুন; নেই। আমি হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে ঠিক করলাম যে বুম্বা দা-কে দিয়ে নেতাজী করাবো— ব্যাপারটা এরকম নয়। ওরকম আপনাদের মনে হতে পারে। কিন্তু এ্যাকচুয়াল প্রসেসটা ওরকম ছিল না।
বুম্বাদার চৌকো মুখকে গোল করার প্রসেসটা অনেক সহজ। কিন্তু লম্বা মুখ থেকে গোল মুখে যাওয়ার প্রসেস অনেক কঠিন। আপনি কেয়ারফুলি প্রস্থেটিক মেকআপ পর্ব খেয়াল করলে দেখবেন নেতাজীর সাথে বুম্বা দা-র মুখের আদলের একটা মিল আছে।বুম্বাদাকে কোনও ভাবেই নেতাজী মনে হচ্ছে না,এই কথাটা একটু বাড়াবাড়ি।

আপনার আরেকটা ছবি রিলিজ করবে।কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন।যেখানে কাকাবাবুর ভূমিকায় প্রসেনজিত।এর শুটিং হয়েছে বিদেশে। সম্ভবতআফ্রিকায়।শুটিংয়ে বিদেশ বিভ্রাটের কোনও ঘটনা ঘটেছে কি?


সৃজিতঃ কাকাবাবুর এই গল্পের অনেক জায়গায় কাকাবাবু সন্তুর সঙ্গে জঙ্গলে হাঁটছে।সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যে হোটেলে গিয়ে গল্প লিখেছিলেন আমরা সেখানেও পৌছে গিয়েছিলাম।এ্যাকচুয়ালি আমাদের ওখানেই শুট করার কথা ছিল।হোটেলটা  মাসাইমারার অনেকগুলো হোটেলের মধ্যে একটা হোটেল।এই হোটেলের অবস্থান জঙ্গলের মধ্যে।এখানে সব থেকে বিভ্রাট হোল,মাসাইমারাতে গাড়ি থেকে নামার পারমিশন দেওয়া হয় না।এই পারমিশন নিয়ে আমাদের সমস্যা হয়েছে।এখনও এই সমস্যা চলছে।আমরা একটা স্পেশাল পারমিশনের চেষ্টা করছি।কিন্তু এখনও সেটা পাইনি।আমাদের কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন শুট করার এটাই প্রধান বিভ্রাট বা অন্তরায়।এই পারমিশন না পেলে আমাকে সাউথ আফ্রিকা চলে যেতে হবে।ওখানে হয়ত শুট করতে হবে। 

কাকাবাবুর দৈহিক বর্ণনার সাথে  প্রসেনজিত চ্যাটার্জীর উচ্চতা বা অন্যান্য দিক কিছুটা বেমানান।তাহলে প্রসেনজিতকে নেওয়ার কারণ কি -বক্স অফিস বা বাণিজ্য?


সৃজিতঃ এটা আপনাদের ভুল ধারণা।এখন বক্স অফিস বা বাণিজ্য হয় পরিচালকের নামে।অভিনেতার নামে নয়।আপনি আনন্দ পাবলিশার্সের কাকাবাবুর ইলাস্ট্রেশনে দেখবেন কাকাবাবুর মুখের আদল বুম্বাদার মুখের খুব কাছাকাছি।নেতাজীর ক্ষেত্রে আমি আপনার মন্তব্য আংশিক সমর্থন করছি।কিন্তু এ ক্ষেত্রে আপনার মন্তব্য উড়িয়ে দিচ্ছি।এবার আসি উচ্চতার প্রসঙ্গে।উচ্চতা ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল এবং লেন্স দিয়ে অনেকটা ম্যানুপুলেট করা যায়।এ ছাড়া হিল জুতো তো আছেই।আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোল,বুম্বাদাকে কাকাবাবু হিসেবে আমি কাস্ট করিনি। ওঁকে কাস্ট করেছিলেন সুনীল গাঙ্গুলী।এবার সুনীলদার কাস্টিং নিয়ে প্রশ্ন উঠলে;আমার কিছুই বলার নেই।কাকাবাবুর স্রষ্টার ওপর বোধ হয় আর কোনও তর্ক থাকে না।


অন্য একটা প্রোজেক্টে কাকাবাবু চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর করার কথা ছিল।যে কোনও কারণেই সেই প্রোজেক্ট আর হয় নি।আপনার কি মনেহয় না কাকাবাবুর মুখের আদল বা উচ্চতার সঙ্গে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী অনেক বেশি মানানসই?


সৃজিতঃ দীপক দা ডেফিনেটলি কাকাবাবুর অনেক ক্লোজ।কিন্তু বাচনভঙ্গির জায়গা থেকে আমি বুম্বাদাকে এগিয়ে রাখব।ফিজিক্যালি এবং হাইটের দিক থেকে দীপকদা ডেফিনেটলি কাকাবাবুর অনেক কাছাকাছি।


ফেলুদা বা ব্যোমকেশের মধ্যে ছবি করার অফার এলে আপনি কোনটাকে নির্বাচন করবেন?


সৃজিতঃ আমি ফেলুদা নির্বাচন করব।ব্যোমকেশ অনেক ভাবে এক্সপ্লোর হয়েছে।আবীর দারুণ ফেলুদা করবে।আবীরের ফিচারের সাথে সত্যজিত রায়ের ফেলুদার অরিজিনাল স্কেচের খুব মিল।ফেলুদাকে নিয়ে অনেক কিছু করা যায়।ফেলুদা এখনও সেভাবে এক্সপ্লোর হয়নি।আমি প্রোফেসার শঙ্কুও করতে চেয়েছিলাম।কিন্তু সন্দীপ রায় রাইটস দেননি।


এবার একটা র‍্যাপিড ফায়ার। আপনি সিনেমা সমালোচনার বহু লেখা পড়েছেন।লেখনীর জায়গা থেকে শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে কাকে নির্বাচন করবেন?


সৃজিতঃ ফিলম সমালোচনার জায়গায় আমি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলব।ওনার সমালোচনার মধ্যে একটা স্নিগ্ধতা আছে। সঞ্জয়দার লেখা খুবই ভাল লেখা।ক্ষুরধার লেখা। কিন্তু এতোটাই ধারালো যে মাঝেমধ্যে কেটে যায়। আর কেটে গেলে সেপ্টিসেমিয়া হওয়ার চান্স থাকে।

পরিচালক হিসেবে কে বেশি পছন্দের —কৌশিক গাঙ্গুলী না অঞ্জন দত্ত?


সৃজিতঃ  কৌশিক গাঙ্গুলী।


সিনেমা না বই ?


সৃজিতঃ এটা খুব কঠিন।সিনেমা।


প্রেমিক সৃজিত মুখার্জী না পরিচালক সৃজিত মুখার্জী ?


সৃজিতঃ  প্রেমিক সৃজিত মুখার্জী (হাসি) । 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *