সকালবেলায় সবে চায়ে চুমুক দিয়ে সুডোকু নিয়ে বসেছি, অমনি গিন্নীর তাড়া এল বাজার আনতে হবে। উফ্‌, গত জন্মে কত পাপ করলে যে এ জন্মে বাজার যেতে হয়। বাজার যেতে আমার মোটেই ভালো লাগে না। তার উপর বায়না এল– “রোজ আনবে।” 

“অ্যাঁ, রোজ বাজার? কেন সপ্তাহে একদিন করেই তো হয়ে যাচ্ছিল”, – আমি প্রতিবাদ জানাই।

“আ মোলো যা…রোজ মানে গোলাপ…আজ ভ্যালেন্টাইন’স ডে জান না? ভালোবাসার দিন। বাড়িতে অন্তত একটু ফুল আসুক। তোমার রোমান্টিসিজ্‌ম তো রোমান সম্রাটদেরও হার মানাবে। অন্তত ফরমায়েশ মেনে এটুকু এনো” – বউ এর বিদ্রূপ ধেয়ে আসে। 

অগত্যা ব্যাজার মুখে বাজারে বেরোলাম।

ততক্ষণে হোয়াট্‌সঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি ও উইকিপিডিয়ার দৌলতে আমার ভ্যালেন্টাইন এর ইতিবৃতি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়ে গেছে। জানা হয়ে গেছে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের শহিদ হবার কথা। অতএব ভ্যালেন্টাইনস্‌ ডে এখন বিশ্বায়নের বাজারে ভালোবাসাকে পণ্য করে দিয়েছে। (আমাকে আবার ভালোবাসার শত্রু ঠাউরে শহিদ করে দেবেন না প্লিজ)। মধ্যবিত্ত বাঙালি আমি…এক কাপ চা আর সুডোকুতেই সুখী। বাজার যেতে হবে শুনেই আসলে মেজাজটা খিঁচড়ে গেছিল।

যাকগে, প্রসঙ্গে ফিরি। বেরিয়েই দেখা ডঃ বড়াল (অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর) আর পত্রনবীশের সঙ্গে। এদের পরিচয় নিশ্চয়ই আবার নতুন করে দিতে হবে না। তা যা বলছিলাম– দেখি ডঃ বড়াল পত্রনবীশবাবুকে বলছেন– আরে, অযথা মাথা গরম করবেন না। চলুন পার্কে বসে একটু লেমন টি খাবেন।

আমি শুধোই – হয়েছেটা কী?

  • আর বলবেন না, – পত্রপাঠ সূত্র ধরেন পত্রনবীশ– গত সাত তারিখ বাজারে বেরিয়ে দেখি সৃঞ্জয় ছোঁড়াটা একটা বড় ফুলের তোড়া কিনে গদগদ হয়ে ফিরছে। চোখাচোখি দেখা তাই ভদ্রতা করে বললাম– কি হে, তোমার ভ্যালেন্টাইন ডে কি সপ্তাহ খানেক আগেই শুরু হয়ে গেল? তা অকালপক্কটি বলে কি – আঙ্কল, বড্ড ব্যাক-ডেটেড হয়ে যাচ্ছেন, সেভেন্থ হল রোজ ডে, তাই এই গোলাপের তোড়া। একটু আপডেটেড থাকুন – আপনাদের ফোমো হয় না?
  • ফোমো? এবার আমার অবাক হবার পালা…মোমো শুনেছি, এমন কি হোমো ও শুনেছি, কিন্তু ফোমোটা কি…আর আমার গিন্নিও তো আমাকে আজ গোলাপ আনতে বলল, তাহলে কি গিন্নির টাইমারটাও সাত দিন পিছিয়ে?
  • এই জন্যেই বলছি – চলুন পার্কে গিয়ে বসে একটু চা খাই আর আপনাদের প্রশ্নের একে-একে উত্তর দিই। ডঃ বড়াল টোপ দেন। শার্লকের যেমন মাইক্রফট, ফেলুদার যেমন সিধু জ্যাঠা, বড়াল আমাদের তাই। না, উপমাটা ঠিক হল না বোধহয়– হাবুল, ক্যাবলাদের যেমন টেনিদা, আমাদের তেমন বড়াল। যাক্‌গে, আবার বিষয়চ্যুত হচ্ছি…এইসব হচ্ছে সকালবেলায় সুডোকু না করতে পারার ফল। 

আমরা পার্কে বসলাম। চায়ে একটা চুমুক দিয়ে আয়েশ করে ‘আঃ’ বলে শুরু করলেন বড়াল– ফোমো হচ্ছে ইংরাজিতে F-O-M-O অর্থাৎ কিনা Feeling of Missing Out…আজকালকার জেনারেশনের ব্যবহার করা অ্যাক্রোনিম। আর এবার আমরা দেখে নিই এই বিভিন্ন দিবসের উদ্‌যাপনের একটা তালিকা। ৭ ফেব্রুয়ারি হচ্ছে সত্যিই রোজ ডে, ৮ হচ্ছে প্রপোজ ডে, ৯ চোকোলেট ডে, ১০ টেডি ডে, ১১ প্রমিস ডে, ১২ হাগ ডে, ১৩ কিস্‌ ডে এবং শেষ পর্যন্ত আজ ১৪ হল ভ্যালেন্টাইনস ডে। এমন কি ১৫ তেও একটা বিশেষ দিন আছে– স্ল্যাপ ডে।

  • যওসব! – পত্রনবীশ সংক্ষিপ্ত এবং ক্ষিপ্ত ।
tea
চায়ে একটা চুমুক দিয়ে শুরু করলেন বড়াল

ওদিকে হাগ ডে শুনে আমার মনে পড়ে গেল অনেক পুরনো এক বাংলা সংবাদপত্রের শিরোনাম। কোন এক রাষ্ট্রনায়ক সেবার জার্মানির বন শহর থেকে নেদারল্যান্ডসের হেগে এসেছিলেন। কাগজে শিরোনাম হয়েছিল– বন থেকে হেগে এলেন অমুক নেতা ।

সে যাকগে, আর আমি বিষয়চ্যুত হব না এই অঙ্গীকার করলাম। বরং বিষয়টাকে জিইয়ে রাখতে, বড়ালের জ্ঞান ভাণ্ডারে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করলাম– ও সব ছাড়ুন তো বড়ালবাবু, বরং বলুন তো বিশ্ববিখ্যাত সব বৈজ্ঞানিকদের ভ্যালেন্টাইন বা ভালোবাসা কেমন ছিল। জানতে ভারী কৌতূহল হয়। তাদের ভালোবাসা কি শুধুই ওক্সিটোসিন, ডোপামাইন আর সেরোটনিন হরমোনেই আটকে ছিল নাকি মনের ও বিশেষ একটা ব্যাপার ছিল?

– ভেরি ইন্টারেস্টিং কোয়েসচন – বড়াল জ্ঞানদানের সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ।

লেবু চায়ে আরেক চুমুক মেরে বড়াল শুরু করলেন। আজ আপনাদের বলব কয়েকজন বিশ্ববরেণ্য বৈজ্ঞানিকের প্রেমের ব্যাপারে। শুরু করা যাক আমাদের সবার চেনা আইন্সটাইনকে দিয়ে– ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে নামের বেশ মিল আছে, কী বলেন? হেঃ, হেঃ…

– কেন নিউটন? – পত্রনবীশ আর একটু আগে থেকে শুরু করতে চান।

– নাঃ, নিউটন ছিলেন অকৃতদার। যদিও ‘যদিদং হৃদয়ং মম, তদন্তু হৃদয়ং তব’ তাঁর বলা হয়ে ওঠেনি, তবুও কানাঘুঁষো শোনা যায় যে তাঁর নাকি সমকামী প্রেম ছিল ফ্যাতিও দ্য দুইলার নামের এক গণিতজ্ঞের সঙ্গে। সঠিক প্রমাণ অবিশ্যি কিছু নেই। যদিও ফ্যাতিও হঠাৎ করে তাঁর জীবন থেকে সরে যাওয়ার পর নিউটন গভীর অবসাদে পড়েন।

– কী কাণ্ড– পত্রনবীশ এত বড় হাঁ করলেন যে একটা আস্ত আপেল তার মধ্যে ঢুকে যেত।

ততক্ষণে বড়াল বেগ পেয়ে গেছেন। বলে চললেন– নিউটন ছাড়ুন। বরং আইন্সটাইনের প্রেম নিয়ে ডেনিস ওভারবায়ের লেখা একটা দারুণ বই আছে– ‘আইন্সটাইন ইন লাভ – আ সাইন্টিফিক রোমান্স’। সেই ব্যাপারে শুনুন। আইন্সটাইনের প্রথম ভালোবাসা কলেজ সহপাঠিনী মিলেভা মারিক। বিয়ের আগেই তাঁদের এক কন্যা সন্তান হয়, লাইসার্ল – যার খোঁজ পরবর্তীকালে কেউ পায়নি। কানাঘুষো শোনা যায় হয় তাকে দত্তক দিয়ে দেওয়া হয় অথবা তার অকালপ্রয়াণ ঘটে। তো এমতাবস্তায় আইন্সটাইন নিজের মা’র অমতে মিলেভাকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পাঁচ বছর যেতে না যেতেই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। এত বড় বৈজ্ঞানিক, অথচ নিজের স্ত্রীর ব্যাপারে যথেষ্ট সংকীর্ণ। মিলেভাও বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে চান, এদিকে আইন্সটাইন তাঁকে নিছকই হাউজ-ওয়াইফ্‌ করে রাখার পক্ষপাতী। বহুবার আইন্সটাইনের জন্য যথেষ্ট অপমানকর পরিস্থিতির মধ্যেও মিলেভাকে পড়তে হয়েছিল। শেষে দুই ছেলে নিয়ে ঘর ছাড়লেন মিলেভা। অবশেষে বিয়ের ষোলো বছর পর অনেক তিক্ততা পেরিয়ে ১৯১৯ এ ডিভোর্স হয় তাঁদের।

Albert Einstein with wife
অ্যালবার্ট আইন্সটাইন ও মিলেভা

– ইশ্‌, ছিঃ ছিঃ – প্ত্রনবীশের গলার ধীক্কার ও খানিক হাহাকার।

– দাঁড়ান মশাই, আরও আছে। বিচ্ছেদের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আইন্সটাইন আবার বিয়ে করেন নিজের মাসতুতো বোনকে। এলজা লোয়েন্থাল। এখানেও কিন্তু গণ্ডগোল। শোনা যায় এলজার আগের বিয়ের থেকে যে প্রথম কন্যা সন্তান ছিল, যার নাম ছিল ইলজে, তার সঙ্গেও নাকি প্রেম ছিল আইন্সটাইনের।

– থামুন, থামুন, এগুলো শুনতে ঠিক ভালো লাগছে না বড়ালবাবু – এবার আমি বাধ সাধি। এখানে ভালোবাসাটাই কেমন মিসিং। আজকে ভালোবাসার দিনে, এমন কিছু একটা শুনি যাতে…

– বেশ, বেশ – তাহলে আপনাদের শোনাই আধুনিক কালের অন্যতম সেরা বৈজ্ঞানিক স্টিফেন হকিং-এর অম্লমধুর প্রেমের গল্প। সেটাকে ভিত্তি করে তো রিসেন্টলি একটা সিনেমাই হয়ে গেল – ‘দা থিয়োরি অফ্‌ এভরিথিং’ । হকিং ও জেন ওয়াইল্ডের প্রথম দেখা ১৯৬২ ‘র নববর্ষের এক পার্টিতে। এর পরে ১৯৬৩ হকিং জানতে পারেন তাঁর ভয়ঙ্কর অসুখ হয়েছে। মোটর নিউরন ডিজিজ– যার ফলে ধীরে ধীরে তাঁর স্বাভাবিক সব ক্ষমতা হ্রাস পাবে এবং অচিরেই তিনি সম্পূর্ণ রূপে প্রতিবন্ধী হয়ে যাবেন। কিন্তু এর পরেও কিন্তু জেন তাঁকে ছেড়ে যায়নি। বরং ১৯৬৪ তে তাদের বিয়ে হয়। দীর্ঘ ৩১ বছর তাঁদের বৈবাহিক জীবন অতিবাহিত হয়। এর পর অবিশ্যি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়, যখন হকিং তাঁর এক নার্স ইলেন মেসন কে বিয়ে করেন। কিন্তু গল্পের এখানে শেষ নয়। বরং ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল মাত্র সাত বছর পরেই হকিং–মেসনের বিচ্ছেদ হয় এবং হকিং এর জীবনে জেন আবার ফিরে আসেন। শেষ কটা বছরে আবার তাঁরা সুখে সংসার করেন। 

– বাহ্‌, এইতো মধুরেণ সমাপয়েৎ। কিন্তু আজ প্রেমের দিনে, আগাগোড়া সুন্দর একটা সম্পর্কের গল্প কি পাওয়া যাচ্ছে না? – আমরা ঠিক যেন সন্তুষ্ট হইনি তখনও।

Stephen Hawking and wife Jane
জেন ও স্টিফেন হকিং

– হ্যাঁ নিশ্চয়ই আছে। ভুরি ভুরি আছে। রেডিয়োঅ্যাক্টিভ পদার্থের আবিষ্কারক পিয়ের ও মারি কুরি, অক্সিজেনের আবিষ্কারক ল্যাভয়শিয়ার ও তাঁর স্ত্রী মারি অ্যান পিয়েরেত্তে– এদের সকলের বিজ্ঞান-চর্চা ও একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা, উদাহরণ হয়ে আছে। তাতে আখেরে বিজ্ঞানের লাভই হয়েছে। যদিও চাঁদেও যেমন কলঙ্কের দাগ খোঁজে লোকে, তেমনি অনেকে বলে মারি কুরির নাকি একটা অ্যাফেয়ার হয়েছিল ১৯১০ সালে পল ল্যাঞ্জেভিন নামক এক পদার্থবিদের সঙ্গে। কিন্তু তাতে তো আমি কোনও অন্যায় দেখি না, কারণ সে ঘটনা ঘটে পিয়ের মারা যাবার পাঁচ বছর পরে। অন্যদিকে ফরাসি বিপ্লবের সময় ল্যাভয়শিয়ারকে বন্দি করা হয় এবং পরে গিলোটিনে চড়ানো হয়। এরপর তাঁর স্ত্রী মারি অ্যান, যিনি নিজে ইংরাজি, ল্যাটিন ও ফরাসি ভাষায় স্বচ্ছন্দ ছিলেন, অদম্য পরিশ্রম করে ল্যাভয়শিয়ারের গবেষণার সমস্ত পেপার, স্মৃতিকথা ইত্যাদি প্রকাশ করেন।  এই না হলে ভালোবাসা! কিন্তু এ সব কিছুকেই বোধহয় ছাপিয়ে যাবে আমেরিকান পদার্থবিদ রিচার্ড ফেনম্যানের ভালোবাসার গল্প। ট্র্যাজিক লাভ স্টোরি। অবিশ্যি ফেনম্যান জীবনে তিনবার বিবাহ করেন। কিন্তু তাঁর প্রথম স্ত্রী আরলিনের প্রতি তাঁর ভালোবাসা সারা জীবন অক্ষুন্ন ছিল। গল্পটি এরকম। ফেনম্যান ও আরলিন কিশোর বয়স থেকেই একে অন্যের প্রেমে পড়েন। অনেকটা আমাদের দেবদাস আর পার্বতীর মতন। কিন্তু এখানেও বিধাতা বাধ সাধে। টিবি রোগে আক্রান্ত হন আরলিন। ডাক্তাররা বলেন বেশি দিন বাঁচার আশা কম। তা স্বত্তেও ফেনম্যান আরলিনকে বিয়ে করেন। ভবিতব্য যা ছিল, তাই হল। সে সময়কার মারণ রোগ কেড়ে নিল আরলিনের প্রাণ। ফেনম্যানের বয়স তখন মাত্র ২৭ বছর। বিধ্বস্ত হয়ে পড়লেন তিনি। এই যন্ত্রণা বহু বছর ধরে কুরে কুরে খেয়েছে নিঃসংগ বৈজ্ঞানিককে। তাদের এই সুন্দর প্রেমের নিদর্শন হয়ে আছে একের অন্যেকে লেখা অসংখ্য প্রেমপত্রে। তার মধ্যে একটি চিঠি প্রকাশ পায় ফেনম্যানের মৃত্যুর পর ১৯৮৮ সালে। সেখানে দেখতে পাওয়া যাওয়া অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাষায় ফেনম্যান তাঁর ভালোবাসার নিবেদন করেছেন আরলিনের প্রতি। কিন্তু মজার ব্যাপার এই চিঠি লেখা হয়েছে আরলিনের মৃত্যুর প্রায় বছর দুই পরে। চিঠিতে স্পষ্ট, তিনি তখনও আরলিনকে  কতটা ভালোবাসেন। শেষে আবার একটা পুনশ্চও যোগ করে দিয়েছেন – আমায় ক্ষমা কোরো আমি এই চিঠি পোস্ট করছি না, কারণ তোমার নতুন ঠিকানা আমার জানা নেই। এই না হলে সত্যিকারের ভালোবাসা।

Richard Feynman and Arline love life of eminent scientist
ফাইনম্যান ও তাঁর প্রথম স্ত্রী আরলিন

এই গল্পটা শুনে আমরা সকলেই কমবেশি অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম। সবে খানিকটা রোমান্টিসিজম জেগে উঠছে মনে, এমন সময় মুঠোফোন বেজে উঠেছে। ওপারে গিন্নি। বেশ মোলায়েম স্বরে আমি ভালোবাসা দেখাই – হ্যাঁগো শোনো, তোমার জন্য গোলাপ, টেডি, চকলেট সবই আনছি…

মাঝপথেই আমাকে থামিয়ে ঝাঁঝিয়ে ওঠে গিন্নি– আর আদিখ্যেতা করতে হবে না। শুধু বাজারটা এনে উদ্ধার করো আমায়

নিমেষে রোমান্টিসিজম্‌ উধাও। ভ্যালেন্টাইন ডে শেষ হয়ে আমার জন্য স্ল্যাপ ডে যেন শুরু হয়ে গেছে। ঘোর বাস্তবের সম্মুখীন হয়ে হন্তদন্ত উঠে পড়ি। এই বাজার করার জন্যেই এ জীবনে আমার আর রোমান্টিক হওয়া হল না। আপনারা ভালো থাকবেন, ভালো বাসবেন।।

ছবি সৌজন্য: Flickr

Kuhoki alias Souvik Maiti

‘কুহকী’ তাঁর ছদ্মনাম। এ নামেই প্রকাশিত হয়েছে “একলব্য অতঃপর ও অন্যান্য গল্প" বইটি, যা পাঠকের ভালোবাসা পেয়েছে। কুহকীর জন্ম ১৯৭৫-এ কলকাতায়। আইআইটি থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার, বর্তমানে একটি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পেশা হলেও দেশবিদেশের সিনেমার বিশেষ অনুরাগী। নেশা, সাহিত্যচর্চা ও ছবি আঁকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *