এবার এক মহিলা বললেন , যন্ত্রণা সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন।
তিনি বললেন:
তোমার যন্ত্রণা আসলে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ঝিনুকের ওই খোলটি, যা আদতে আবরিত করে রেখেছে, তোমার বোধ।
ফলের বীজ যখন ভাঙে, তখনই তার হৃদয় সূর্যালোকে দাঁড়াতে পারে। তুমিও যন্ত্রণাকে সেভাবেই জানো।
তোমার জীবনের প্রত্যহের অলৌকিকত্বে, হৃদয়কে যদি লগ্ন করে রাখ, বিস্মিত হয়ে দেখবে যে, দুঃখগুলিও কিন্তু সুখের চেয়ে কিছু কম আশ্চর্যজনক নয়।
তোমারই প্রান্তরে বিছিয়ে থাকা, আবহমান ঋতু বৈচিত্র্যকে যেমন তুমি মেনেছ, তেমনই হৃদয় জুড়ে ঋতুর এই খেলাটিকেও তুমি মানতে পারবে।
শীতের হাহাকারের মধ্যেও, দুঃখকে তখন তুমি দেখবে এক গভীর প্রসন্নতায়।
তোমার অধিকাংশ দুঃখই কিন্তু স্বেচ্ছা নির্বাচিত।
তোমার মধ্যে থাকা চিকিৎসকটি কিন্তু, তোমার অসুস্থ সত্তার শুশ্রূষা করেন, তোমারই তিক্ততা বোধ দিয়ে।
ফলে, ভরসা কর সেই কবিরাজটিকে এবং তাঁর নির্দেশিত ওষুধই পান করে চল, এক নীরব প্রশান্তিতে।
আপাতদৃষ্টিতে তাঁর বাহু দুটি কঠিন ও দুর্বহ বোধ হলেও, আসলে তা সেই অদেখা শক্তিরই কোমল স্পর্শ মাখা।
তাঁর বাড়িয়ে দেওয়া, ওই উষ্ণ পানপাত্রে চুমুক দিয়ে তোমার ঠোঁট দুটি পুড়ে গেলেও কিন্তু তুমি জানবে, ওই পানপাত্রটি বানানোর সময়, সেই সর্বশক্তিমানের অশ্রুজলেই কুমোর সেই কাদার তাল মেখেছিল।