নবাব দরবারে সাধক রামপ্রসাদ
বহু বছর আগে মুর্শিদাবাদের এক মফসসল শহরে কালীপুজো উপলক্ষে স্থানীয় দলের ‘যাত্রা’ দেখেছিলাম। সন্ধেবেলা থেকে কনসার্ট আর ঐতিহাসিক কোনও পালায় ঘন ঘন টিনের তলোয়ারের লড়াই ছাড়া কোনও দৃশ্যই মনে নেই। তারপরে আর কখনও যাত্রা দেখা হয়নি। শেষ পর্যন্ত এই নিউজার্সিতেই এ বছর কালীপুজোর দু’দিন আগে স্থানীয় নাট্যদল ‘নিউজার্সি অপেরা’র তৃতীয় নিবেদন ‘নবাব দরবারে সাধক রামপ্রসাদ’ দেখার সুযোগ হল। এই শখের যাত্রাদলটি এর আগে ‘নটী বিনোদিনী’ আর ‘মীরার বঁধুয়া’ নামে দুটি পালা মঞ্চস্থ করেছিল। তারপর কোভিড আর তৎপরবর্তী বিধিনিষেধের কারণে নতুন পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হয়েছিল। এবার সেই তৃতীয় নিবেদন মঞ্চস্থ হল ২২ অক্টোবর সমারসেট শহরের ‘আনন্দ মন্দিরে’। কালীমন্দির সংলগ্ন বড় অডিটোরিয়ামে মূল মঞ্চটি অবশ্য ব্যবহার করা হয়নি। হলের এক প্রান্তে যাত্রার রীতি অনুযায়ী নিচু মঞ্চ ও সামান্য দৃশ্যপট ব্যবহার করা হয়েছিল। মঞ্চের বাঁদিকে কিছু দূরে হারমোনিয়াম, তবলা, ঢোল, কাঁসর নিয়ে বাদ্যবৃন্দের দল। দর্শকের আসন বলতে সামনের দিকে শতরঞ্চির বদলে কার্পেট পাতা। তার পিছনে সারি সারি চেয়ার। আমেরিকায় বাংলা যাত্রা দেখার উৎসাহে অনেকেই কার্পেটে বসেছিল। যথারীতি পালা শুরু হওয়ার আগে থেকেই ছোট ছেলেমেয়েগুলো কার্পেটের ওপর হুড়োহুড়ি লাগিয়েছিল। হঠাৎ কনসার্ট আরম্ভ হতে ঝাঁঝের ঝনৎকার শুনে চমকে ওঠে, তারপর হল অন্ধকার হয়ে যেতেই কার্পেটে শুয়ে বসে পড়ল।

যাত্রার কনসার্ট যখন তুঙ্গে উঠেছে, জোর স্পটলাইটের আলোয় শুরু হল সখিদের নাচ। চকচকে শাড়ি, জামা পরে তারা কোমর দুলিয়ে নাচছে— “মন যে আমার কেমন কেমন করে”…। কি তাদের রমক, ঠমক, হাসি আর চোখের ভঙ্গি! আমার সমস্যা হচ্ছে, মেয়েগুলোকে বিলক্ষণ চিনি। কেউ ভরতনাট্যম আর কথাকলির টিচার। কেউ কর্পোরেট জগতে বড় চাকরি করে। কিন্তু যাত্রাপালায় নাচতে নেমে সবাই নির্দেশিকা অপরাজিতাদির কথায় ‘নাগর গেছে পরের ঘরে’র সঙ্গে খেমটা স্টাইলে এমন নাচতে লাগল যে, কার্পেটের দর্শকরা মুঠো মুঠো খুচরো কয়েন, আর এক ডলারের নোট ছুঁড়ে দিতে লাগল। এই ট্রেনিংটা আমরা নিউজার্সি অপেরার আগের দুটো পালা দেখতে গিয়ে পেয়েছিলাম। ইতিমধ্যে বাচ্চাগুলো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। কিন্তু নীতিশিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ওদের হাতে পয়সাকড়ি দেওয়া হয়নি। সখিদের নাচের পরে কিছুক্ষণ ধীর লয়ে হারমোনিয়াম বাজল। পরিবেশ শান্ত হয়ে এসেছে। আমরা বসে আছি রামপ্রসাদের প্রতীক্ষায়।
যাত্রার কাহিনি ও ঘটনাবিন্যাস অনুযায়ী মোট ষোলোটি দৃশ্যের এই পালার মূল চরিত্র শাক্ত উপাসক সাধক রামপ্রসাদ সেন। পটভূমি তার গ্রাম কুমারহাটি, পরবর্তী সময়ে যা হালিশহর নামে পবিত্র তীর্থভূমির মর্যাদা পায়। তাঁর জন্মকাল সম্ভবতঃ ১৭১৮ অথবা ১৭২৩ সাল। মৃত্যু ১৭৭৫ সালে। কালীর উপাসক সাধক রামপ্রসাদের অধ্যাত্মজীবন এবং তাঁর রচিত ভক্তিগীতি রামপ্রসাদী গান বা শ্যামাসঙ্গীত আজও হিন্দু ধর্মশাস্ত্র ও বাংলা সাহিত্যের পাঠ্যসূচীর অন্যতম বিষয়। তাঁর জীবন ও অধ্যাত্ম দর্শন নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা, কিছু অলৌকিক ঘটনা, কিছু প্রচলিত কিংবদন্তী, ঐতিহাসিক ও প্রামাণিক তথ্যের ভিত্তিতে এই মহাজীবনের কাহিনি একটি যাত্রাপালার পরিসরে প্রতিফলিত হওয়া সম্ভব নয়। তবু পালাকার শ্রী শক্তি সিংহ রচিত এবং পরিচালিকা অপরাজিতা দাসের সম্পাদনা ও নির্দেশনায় আমরা বিন্দুর মধ্যেও সিন্ধুদর্শনের অনুভবের আভাস পাই।
যাত্রার প্রথম অংশে রামপ্রসাদের গার্হস্থ্য জীবন, সাংসারিক দারিদ্র্য, দুঃখ, অর্থের প্রতি অনাসক্তি; অথচ স্ত্রী, পুত্র, সন্তানের প্রতি ভালবাসা, মমত্ববোধ নিয়ে এক সরল, অসহায় মানুষকে প্রত্যক্ষ করি। কালীমায়ের চরণে নিবেদিত প্রাণ রামপ্রসাদ, স্বরচিত শাক্ত পদাবলি গেয়ে তাঁর মাতৃ আরাধনা। রামপ্রসাদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ক্রমশই উপলব্ধি করতে লাগলেন পার্থিব জগতের উর্ধ্বে এক মহাসাধকের মাহাত্ম্য। কিছু অলৌকিক ঘটনার মধ্যে দিয়ে তাঁদের বিশ্বাস দৃঢ় হল। যেমন রামপ্রসাদের ভিটেয় বেড়া বাঁধার সময়, তাঁর কন্যার অনুপস্থিতিতে এক জ্যোতির্ময়ী বালিকার আবির্ভাব এবং বেড়ার অপর প্রান্তে দড়ি ধরে, সেই কাজ সমাপ্ত করে তার অদৃশ্য হয়ে যাওয়া। সময়কালে বালিকাবেশী মা কালীকে চিনতে না পারার আক্ষেপ রামপ্রসাদের গানে আছে— “সময় থাকতে, না দেখলে মন, কেমন তোমার কপাল পোড়া/ মা ভক্তে ছলিতে, তনয়া রূপেতে বাঁধেন আসি ঘরের বেড়া/ মন কেন মার চরণ-ছাড়া।”

কিন্তু কুমারহাটির সেই গ্রাম্যসমাজে দুর্জনের অভাব ছিল না। আত্মভোলা সাধকের বিরুদ্ধে তাদের কটূক্তি, ষড়যন্ত্র, যৎসামান্য জমি আত্মসাৎ করার চেষ্টা, তাঁর কন্যার প্রতি কুদৃষ্টি, নানাভাবেই পরিবারটিকে বিপদে ফেলার চেষ্টা চলছিল। এই সময়ে এক আত্মীয়র সাহায্যে রামপ্রসাদ উত্তর কলকাতার নারাণহাটায় জমিদার দুর্গাচরণ মিত্রের কাছারি বাড়িতে চাকরি পেলেন। জমিদারির হিসাবরক্ষকের কাজ করতে বসে কেবলই তাঁর বেহিসাবী মন কালীমায়ের চরণ বন্দনা করে গান লেখেন। হিসাবের খাতায় গরমিলের অভিযোগ নিয়ে সেরেস্তার কর্মীরা দুর্গাচরণের কাছে নালিশ জানান। এখানেও এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটে। দুর্গাচরণ হিসাবের খাতায় কোনও ভুল-ত্রুটি খুঁজে পান না। তার কিছুক্ষণ আগে ‘ভক্তের মা’-এর রূপ ধারণ করে আবির্ভূত হয়েছিলেন রামপ্রসাদের আরাধ্যা জগৎজননী। তাঁর দেওয়া অন্নগ্রহণ করেও রামপ্রসাদ তাঁকে চিনতে পারেননি। হয়তো এই অলৌলিক আবির্ভাবের ফলেই হিসাবের খাতার গরমিল মুছে গিয়েছিল। লেখা হয়েছিল সেই আশ্চর্য কালীকীর্তন—
আমায় দে মা তবিলদারি
আমি নেমকহারাম নই মা শঙ্করী।
কত রত্নভাণ্ডার সবাই লুটে
ইহা আমি সইতে নারি।
ভাঁড়ার জিম্মা যাঁর কাছে মা,
সে যে ভোলা ত্রিপুরারী।
আমায় দে মা তবিলদারি…
হিসাবের খাতা দেখে বিস্মিত, অভিভূত জমিদার দুর্গাচরণ মিত্র উপলব্ধি করেছিলেন, এই ভক্ত কবিকে তুচ্ছ বিষয়কর্মে বেঁধে রাখা যাবে না। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রামপ্রসাদের জন্যে মাসিক মাইনের ব্যবস্থা করে তাঁকে কুমারহাটিতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। রামপ্রসাদ গ্রামে ফিরে গিয়ে কালী আরাধনা ও ভক্তিগীতি রচনায় অধ্যাত্ম জীবনযাপনের মাধ্যমে সৃষ্টি করলেন বাংলা লোকসাহিত্যের এক নতুন ধারা— রামপ্রসাদী সঙ্গীত, যা শাক্ত পদাবলীর এক বিশিষ্ট রূপ। তাঁর রচনায় লৌকিক শব্দের মাধ্যমে যে গভীর জীবনদর্শন, আজও বাঙালির হৃদয়ে, মননে সেই ‘মানবজমিন’ এক আশ্চর্য ‘কয়েনেজ’ হয়ে আছে। রামপ্রসাদের মহিমা ক্রমশ কুমারহাটি, হালিশহর থেকে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচারিত হয়ে নদীয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে পৌঁছল। তিনি রামপ্রসাদকে তাঁর সভাকবির মর্যাদা দিলেন। তবে সাধক কবি নিজের গ্রামেই মায়ের মন্দিরে শক্তির আরাধনা আর ভক্তিগীতি রচনাতে নিমগ্ন ছিলেন।

রামপ্রসাদের গানের খ্যাতি একসময় মুর্শিদাবাদে নবাব সিরাজউদৌল্লার কাছেও পৌঁছেছিল। কথিত আছে, গঙ্গায় বজরায় ভ্রমণ করতে করতে একসময় সিরাজ রামপ্রসাদের গান শুনতে পেয়ে আকৃষ্ট হয়েছিলেন। এখানে যাত্রার তৃতীয় দৃশ্যেই দেখি কুমারহাটির কালীমন্দিরে অন্তরাল থেকে সাধারণ পোশাকে সিরাজ রামপ্রসাদের গান শুনছেন। এরপর ষষ্ঠ দৃশ্যে মুর্শিদাবাদের প্রাসাদে নবাব সিরাজ, লুৎফান্নেসা, মোহনলাল, মীরজাফরের উপস্থিতি থেকে শুরু হয় অষ্টাদশ শতকে বাংলার রাজনৈতিক পটভূমি তথা “বাংলার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা”র আসন্ন সংকেত। ক্রমশ আরও কয়েকটি দৃশ্যে হীরাঝিল প্রাসাদ, নবাবের দরবারে সিরাজ-সহ ওই ঐতিহাসিক চরিত্রগুলির উপস্থিতি, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, সংঘাত, বিশ্বাসঘাতকতা, সিরাজের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও তাঁর করুণ পরিণতির কথা আসে। এরই মাঝে কাহিনি আবর্তিত হয়েছে সাধক রামপ্রসাদের আধ্যাত্মিক জীবন ও তার পারিপার্শ্বিক প্রভাব ও প্রতিক্রিয়াকে কেন্দ্র করে। নবাবের অনুরোধে তাঁর দরবারে রামপ্রসাদের আগমন, আত্মভোলা দীনহীন এক মানুষের মতো মাটির আসনে বসে স্বরচিত গানে মাতৃবন্দনা— এই দৃশ্যটি বাংলার ওই যুদ্ধবিগ্রহের অশান্ত পটভূমিকায় এক অপার্থিব বৈপরীত্য সৃষ্টি করেছে।
মোট ষোলোটি দৃশ্যে মঞ্চস্থ এই যাত্রার মধ্যপর্বের শেষদিকে রামপ্রসাদের সাধক জীবনের উত্তরণের কাহিনি বিভিন্ন ঘটনা ও চরিত্রের সমাবেশে অভিনীত হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁর স্ত্রী সর্বাণীর মৃত্যু হয়েছে। কন্যা জগদীশ্বরীর বিবাহ ও অন্যান্য বন্ধনমুক্তির শেষে রামপ্রসাদ তন্ত্রসাধনা ও কালীকীর্ত্তনে মগ্ন থাকেন। ক্রমশ তাঁর মহাপ্রয়াণের সময় আসন্ন হয়। মায়ের কাছে তিনি ইচ্ছামৃত্যু কামনা করেছিলেন। ১৭৭৫ সালে কালীপুজোর রাত শেষ হওয়ার পর ভোরবেলায় তিনি মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তি ও পূজার ঘট-সহ হালিশহরের গঙ্গায় আত্মবিসর্জন দেন। ওই অঞ্চলের বহু মানুষ সেই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছিলেন। যাত্রার শেষ দৃশ্যে প্রবহমান গঙ্গা, আবহসঙ্গীতে বিষাদের সুর, কালীমূর্তি মাথার ওপর ধরে রেখে রামপ্রসাদের অতলে নেমে যাওয়ার মুহূর্তে মূর্তির হাত থেকে খাঁড়াটি পড়ে যাওয়া, তাঁর প্রিয়জন, ভক্ত-মানুষদের ক্রন্দন, হাহাকার— দর্শকদের অভিভূত করেছে।

ভক্তিমূলক যাত্রাপালা ‘নবাব দরবারে সাধক রামপ্রসাদ’-এর রচনাকার শক্তি সিংহ। নির্দেশনায় অপরাজিতা দাস। যাঁরা অভিনয়ে ছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিউজার্সিতে নাটক করেন। কিন্তু যাত্রার অভিনয় যে চড়া মাত্রায় বাঁধা, সেই আঙ্গিক তাঁরা আয়ত্ব করেছেন প্রধানতঃ নির্দেশনার গুণে এবং অবশ্যই নিজেদের প্রচেষ্টায়। তবে নামভূমিকায় দিব্যরাজ বসু স্থানীয় গায়ক হিসেবে জনপ্রিয় হলেও, আগে কখনও অভিনয় করেননি। রামপ্রসাদী গানের চর্চাও ছিল না। রামপ্রসাদের ভূমিকায় অভিনয় আর গান— দুই নিয়েই নাকি দিব্যরাজের চিন্তা ছিল! যাত্রার শেষে দর্শকদের প্রভূত প্রশংসা আর হাততালি শুনে দিব্যরাজ তখনও যেন ধাতস্থ হতে পারেননি। পরে আমার প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন— ‘সেদিন কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। অপরাজিতাদি রিহার্সালে বারবার বলতেন— তোমাকে রামপ্রসাদ হতে হবে। তাঁর কথা, গান, একেবারে আত্মস্থ করার চেষ্টা করতে হবে। কি জানি? হয়তো সেই চেষ্টা করতে করতে যাত্রায় তাঁর ভূমিকার একটা প্রভাব অনুভব করেছিলাম। দেখুন, আমার বাবা, কাকারা থিয়েটার করেছেন। কিন্তু আমি তো কোনওদিন স্টেজে নাটক করিনি।’ যাত্রায় সর্বাণীর ভূমিকায় তন্দ্রা ভৌমিক, জগদীশ্বরীর ভূমিকায় দেবর্ণা দাসরায়, দুর্গাচরণের ভূমিকায় সৌমেন্দু ভট্টাচার্য, মীরজাফরের ভূমিকায় শুভদেব দাস ও লুৎফান্নেসার ভূমিকায় সাবিনা আহমেদ রূপার অভিনয় প্রশংসনীয়। তবে কুড়িজন চরিত্র নিয়ে এই পালার দলগত অভিনয়, পোশাক-পরিচ্ছদ, বিশেষতঃ নবাব সিরাজ, মীরজাফর, লুৎফান্নেসার রাজকীয় সাজপোশাক, কালীমূর্তির অলৌকিক আবির্ভাব, সঙ্গীত পরিচালক পার্থসারথী মুখোপাধ্যায়ের আবহসঙ্গীত পরিকল্পনা এবং নির্দেশিকা অপরাজিতা দাসের পরিচালনা নিউজার্সির দর্শকদের একটি সফল প্রযোজনা উপহার দিয়েছে।
*পরবর্তী পর্ব ২৩ জানুয়ারি ২০২৩
ছবি সৌজন্য: লেখক
দীর্ঘকাল আমেরিকা-প্রবাসী আলোলিকা মুখোপাধ্যায়ের লেখালিখির সূচনা কলকাতার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্বে। আমেরিকার নিউ জার্সির প্রথম বাংলা পত্রিকা "কল্লোল" সম্পাদনা করেছেন দশ বছর। গত আঠাশ বছর (১৯৯১ - ২০১৮) ধরে সাপ্তাহিক বর্তমান-এ "প্রবাসের চিঠি" কলাম লিখেছেন। প্রকাশিত গল্পসংকলনগুলির নাম 'পরবাস' এই জীবনের সত্য' ও 'মেঘবালিকার জন্য'। অন্য়ান্য় প্রকাশিত বই 'আরোহন', 'পরবাস', 'দেশান্তরের স্বজন'। বাংলা সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের জন্য নিউইয়র্কের বঙ্গ সংস্কৃতি সঙ্ঘ থেকে ডিস্টিংগুইশড সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।