পুণ্য লগ্নে পূর্ণ কুম্ভে (পর্ব ২)

শতাব্দী আর ভগীরথ সেতুর রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় হর কি পৌরি থেকে গৌঘাট একেবারে ফাঁকা। এদিকে হাজার হাজার মানুষের ভিড় উল্টোদিকের ঘাটে। গৌঘাটের ওপর হোটেল বলে আমি নির্বিঘ্নে জনশূন্য ঘাটে এসে দাঁড়ালাম।
পুণ্য লগ্নে পূর্ণ কুম্ভে (পর্ব ১)

কুম্ভে যায় ধর্মভীরু হিন্দু, সাধু সন্ন্যাসী, ধর্মব্যবসায়ী, নানা শ্রেণীর খবর সন্ধানী ও আলোকচিত্রীর দল। আমি এর কোনওটাই নই। কাগজে কোটি কোটি কুম্ভযাত্রীর সংখ্যা দেখেছি এতদিন। তার সঙ্গে আমার নম্বরটাও যুক্ত হবে এমন ধারনা ছিলনা।
মধ্যযুগের ইউরোপ – ব্রুজ ও গেন্ট ভ্রমণ

ব্রুজ, বা Brugge উচ্চারণটা একটু আলাদা হয়ে যায় ভাষাভেদে, কারণ ইউরোপের এই অংশে ইংরেজি G অক্ষরটা কখনও হ, কখনও নীরব, কখনও Zএর মত শোনায়। তাই ব্র্যুz, ব্রুহা, ব্রাহা – সবরকম নামই চলে। ইংরেজি ভাষাভাষীরা একে সাধারণভাবে ব্রুজ বলেই ডাকেন।
বালি যাত্রির ডায়রি (পর্ব ২)

তৃতীয় দিন প্রাতরাশ সেরেই বেরিয়ে পড়লাম নিওমানের সাথে। আজ অনেকটা পথ পেরিয়ে যাব বালির উত্তর ভাগে। ডেনপাসার শহর ছাড়িয়ে প্রথমে এসে হাজির হলাম এক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে। সুসজ্জিত প্রশস্ত মঞ্চ, সামনে শতাধিক দর্শক বসার গ্যালারি।
বালি যাত্রির ডায়েরি (পর্ব ১)

ঝকঝকে পরিচ্ছন্ন রাস্তা ধরে এগোচ্ছি দক্ষিণ-পূর্ব সীমার দিকে। গন্তব্য সানুর সমুদ্রসৈকত। রাস্তার দুপাশে গৃহস্থ বাড়িগুলির ছিমছাম, বাহুল্যহীন নির্মাণশৈলী চোখের আরাম দেয়। পাঁচিলঘেরা জমির মধ্যে মূল গৃহটি বসবাসের জন্য, তার পাশে মন্দির। বাড়িগুলির ছাঁদ অনেকটা গ্রাম-বাংলার একচালা বাড়ির মতো।
বিজয়দুর্গের বিজয়গাথা

অটোরিক্সা থেকে নেমে পি.ডি. সামনের দিকে তাকিয়ে বলল “বাহ!, কেল্লাটা তো বেশ জম্পেশ দেখতে। আশা করি এখানে একটু জম্পেশ আমিষ খাবার দাবার পাওয়া যাবে। একটানা দুদিন ধরে নিরামিষ খাবার আর পোষাচ্ছে না।“ পি.ডি. র ভাল নাম পরমন্তপ দাশগুপ্ত। নামটা উচ্চারণ করতে অনেকেরই জিভে জড়তা এসে যায় বলে আমরা বন্ধু বান্ধবরা ওকে পি.ডি. সম্বোধন করে থাকি। […]
বনপলাশীর পদাবলী

পুরুলিয়া কে আমার মনে হয় সেই আলগোছে খোঁপা আলতো হাতে বাঁধা আদুড় গায়ের এক আলুথালু শ্যামলা সুন্দরীর মত। নাকমাটা মাটা চোখ ভাসা সাঁওতালিরা যেমন হয়। তাদের গড়নপেটনে যেমন একটা আঁটোসাঁটো ভাব থাকে অথচ লালিত্য যেন উপচে পড়ে মাথার খোঁপায় একটা বুনোফুল গুঁজলে।
কার্তিকস্বামী – এক অলৌকিক বারান্দা

বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। এ পুজোতে যে মূর্তিকে সামনে রেখে আমরা উৎসবে মুখর হয়ে উঠি,তার মধ্যমণি অবশ্যই সিংহবাহিনী দুর্গা এবং পদতলে বিক্ষত পরাজিত অসুর। এই মূল মূর্তি ডানদিকে ও বাঁদিকে আরও দুটি করে দেবতার অবস্থান। এরা প্রত্যেকেই স্ব স্ব মহিমায় আবির্ভূত/আবির্ভূতা হন, এবং বর্তমানে প্রায় দূর্গাপূজার ব্যপ্তিতেই এঁদের পূজা-উৎসব চলে। ব্যতিক্রম কেবল কার্তিকঠাকুর। কিছু কিছু […]