মৃণালদা ও মার্কেজ

Gabriel Garcia Marquez and Mrinal Sen

মৃণালদা’র সঙ্গে গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের প্রথম দেখা হয় ১৯৮২ সালের এপ্রিল মাসে, কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। দু’জনেই সে বছর জুরির ভূমিকা পালন করতে গেছেন। ততদিনে মৃণাল দা ‘ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অফ সলিচ্যুড’ পড়ে ফেলেছেন এবং মুগ্ধ হয়েছেন। জুরির সদস্য হিসেবে সেবার দু‘জনের প্রচুর আলাপ আলোচনা চলেছিল; প্রথম আলাপ থেকে বন্ধুত্বে পৌঁছতে খুব বেশি সময় লাগেনি।

প্রতিদিনের ইতিহাস ও মৃণাল সেনের ছবি

Mrinal Sen films and time consciousness

যখনই কোনও ছবি দর্শকের মনে যথেষ্ট প্রশ্ন জাগাতে পারেনি, মৃণাল সেন নিজের ব্যর্থতা মেনে নিয়েছেন। ‘আকালের সন্ধানে’ ছবিতে যে গ্রামের মানুষদের নিয়ে ছবি করলেন, তাদেরকেই যখন পরবর্তীকালে ছবিটা দেখান, তখন মনে এই আশা ছিল যে ছবি দেখে গ্রাম্য কুসংস্কার, দলাদলি, গোঁড়ামি— এসব সম্বন্ধে হয়তো তারা সচেতন হয়ে উঠবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। তিনি দেখলেন প্রশ্ন করা তো দূরস্ত, গ্রামের মানুষ সিনেমার পর্দায় নিজেদের দেখে বরং উচ্ছ্বসিত! এই বিচিত্র অভিজ্ঞতার জন্যই হয়তো জার্মান চলচ্চিত্রকার রাইনহার্ড হফের কাছে তিনি কবুল করেন— সমাজের যে বর্গের মানুষকে নিয়ে উনি ছবিটি করেছেন, তাদেরকে ‘শুধরে দেওয়ার’ কোনও এলেমই ওঁর নেই।

মৃণাল সেনের সিনেমার ভাষ্য আর তার কালচেতনা— লিখলেন অভিষেক রায় বর্মণ…

নিবন্ধ: ভারতের প্রথমা বাঙালি ডাক্তার

1st Bengali Woman Doctor

সেইসময়কার মেডিকেল কলেজের গোঁড়া শিক্ষকরাও কাদম্বিনীর ডাক্তারি পড়ার ঘোর বিরোধী ছিলেন। অথচ তখন ঘরে ঘরে পর্দানসীন মেয়েদের চিকিত্সার জন্য মহিলা ডাক্তারদের খুবই প্রয়োজন ছিল। মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষক রাজেন্দ্রচন্দ্র চন্দ্র কাদম্বিনীর ওপর এতটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে, তাঁর কাছে জমা পড়া তুলনামূলক শরীরবিদ্যা এবং মেটিরিয়া মেডিকার উত্তরপত্রে এক নম্বরের জন্য ফেল করলেন কাদম্বিনী। এমনকী কর্তৃপক্ষের সম্মতি থাকলেও উত্তরপত্র রিভিউয়ের সুযোগ পেলেন না কাদম্বিনী গাঙ্গুলি। … লিখছেন মধুছন্দা চক্রবর্তী।

নিবন্ধ: হরিনাথ দে: চৌত্রিশটি ভাষার ভাণ্ডারি

Harinath De

পুঁথি সংগ্রহের অদ্ভুত নেশা ছিল হরিনাথ দে-এর। অভিজ্ঞান শকুন্তলম-এর প্রাচীনতম পুঁথিটি সংগ্রহের জন্য সুদূর বাংলাদেশে ছুটে গিয়ে উদ্ধার করেছেন। পার্সি ও তুর্কি ভাষায় লেখা বৈরাম খানের পাণ্ডুলিপি থেকে ওয়ারেন হেস্টিংসের নিজের হাতে চিঠি, দারা শিকোর করা বেদের পার্সি অনুবাদ– ছিল হরিনাথের সংগ্রহে।

ইতিহাসের ভূমিপুত্র রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

Rakhaldas Banerji archaeologist

১৯০৭ সালে ইতিহাস নিয়ে স্নাতক হবার আগেই এশিয়াটিক সোসাইটির জার্নালে ‘লেখ’ ও ‘মুদ্রা’ নিয়ে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখনী চিনিয়ে দিয়েছিল ইতিহাসের অনুসন্ধানে তাঁর জহুরির দৃষ্টি। ১৯১১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করার পরেই ভারতীয় জাদুঘরের পুরাতত্ত্ব বিভাগে চাকরি পান রাখালদাস।

যে স্বাধীনাকে মনে রাখিনি

Chandramukhi Basu

যাঁর সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়েছে সে যদি চন্দ্রমুখী হয়, অন্যজন কে? চন্দ্রমুখীর বাবা ভুবনমোহন বসুকে যেমন বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে হয় দেরাদুনে, অন্যজনের বাবাকেও হতে হয় সমাজচ্যুত। লিখছেন ঈশা দাশগুপ্ত।

কালাজ্বরের প্রতিষেধক এসেছিল তাঁর হাতেই

Upendranath_Brahmachari

১৮৭০ সালে কালাজ্বরের প্রথম রিপোর্ট এল ভারতের অসম অঞ্চল থেকে, যেখানে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চা বাগান তৈরি করেছিল সাহেবরা। কয়েক বছরের মধ্যেই এই জ্বর ছড়িয়ে পড়তে লাগল অসমের চা বাগানের স্থানীয় অধিবাসী এবং শ্রমিকদের মধ্যে। লিখছেন মধুছন্দা চক্রবর্তী।

এক স্বাধীন নারীর কথা

Nightingale of India

নিজের বৈভব, বিত্ত চিরকাল লতাজি রেখেছেন চর্চা থেকে দূরে, লোকচক্ষুর অন্তরালে। শ্রদ্ধার্ঘ্য বাংলালাইভের।