মনের মানুষ, প্রাণের মানুষ, ভালবাসার মানুষ

জিলিপি আমাদের অনেকের প্রিয়, ঠাকুরেরও। জিলিপি সম্বন্ধে ঠাকুরের উক্তি, “লাটসাহেবের গাড়ির চাকা। জিলিপি গোল চক্রের মত ঘোরানো আছে, ওপরে কিছু বোঝবার নেই কিন্তু মিষ্টি রসে ডুবে ভরপুর রয়েছে।” ঠাকুরের ভেতরে রসের সন্ধান আমরা প্রায়ই পাই। দেবী ভবতারিণীর কাছে ঠাকুর প্রার্থনা করেছেন, “আমাকে রসে বশে রাখিস মা।” তিনি রসে বশেই থাকতেন, চিঁড়ে কলা সর্বস্ব বামুন হননি।
শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জানা অজানা কাহিনি- লিখলেন অশোক কুমার ঘোষ
সাহিত্যানুরাগী সত্যেন্দ্রনাথ বসু

ভাষার বিষয়ে তাঁর ছিল স্বাভাবিক দক্ষতা। স্কুলের শিক্ষকেরাও জানতেন সে কথা। ‘মেঘদূত’ ছিল তাঁর কণ্ঠস্থ, টেনিসন ও রবীন্দ্রনাথের কবিতা তখন থেকেই ছিল তাঁর সঙ্গী। একই সঙ্গে তিনি ফরাসি ভাষাটাও শিখে নিয়েছিলেন। গবেষণা জীবনের সূচনাতে রপ্ত করেছিলেন জার্মান। ইতালিয়ান ভাষাতেও ব্যুৎপত্তি ছিল।
বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সাহিত্যচর্চার নানা অজানা দিক তুলে ধরলেন গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়
গণায়নের ‘জুলিয়াস সিজার’- রোমান নাটকে বাংলার বোল

‘জুলিয়াস সিজারে’র গল্পটা মনে আছে তো? পম্পির বিদ্রোহ দমন করে সিজার (যীশু দাশ) ফিরেছেন রোমে। এখন তিনি দোর্দণ্ডপ্রতাপ। এইবারে যদি নিজেকে মহারাজাধিরাজ ঘোষণা করে বসেন সিজার, তবে আর দেখতে হবে না! ট্যাঁ ফোঁ করলেই গর্দান যাবে!
আউটরামের আদলে মূর্তি, নেতাজিকে দেখতে জনজোয়ার শ্যামবাজারে

১৫ ফিট ১ ইঞ্চি উচ্চতার ব্রোঞ্জের এই মূর্তি তৈরি করেন তখনকার বোম্বাইয়ের শিল্পী নাগেশ যবলকার। ওজন ছিল চার টন। বোম্বাই থেকে তিনটি ভাগে ভাগ করে মূর্তিটি কলকাতায় নিয়ে আসা হয়, পরে সব কটি অংশ একত্রিত করে মূর্তিটি বসানো হয় ভাস্কর নাগেশজির তত্ত্বাবধানেই। মূর্তিটি স্থাপিত হয় একটি ১৬ ফিট উঁচু বেদির ওপরে। সেই বেদিতে নেতাজির জীবন ও বাণীর কিছু প্যানেল তৈরি করে দিয়েছিলেন বাঙালি শিল্পী সুনীল পাল। কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে মূর্তিটি স্থাপিত হয়, এটি প্রতিষ্ঠার জন্যে সবসুদ্ধ আড়াই লাখ টাকা খরচ করেন পুরসভা। নেতাজির মূর্তিটি তৈরি হয়েছিল উনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ সেনাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্যার জেমস আউটরামের অশ্বারোহী ব্রোঞ্জ মূর্তির আদলে…
শ্যামবাজারে নেতাজি মূর্তি প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক মুহূর্ত নিয়ে লিখলেন সুব্রত ঘোষ
স্মৃতিচারণ: অন্ধকারের আলো

অমনি বলেছিলাম, ‘আপনিই কি সেই সুজন দাশগুপ্ত, যিনি একেন সেনের বন্ধু, মানে বাপি? আপনি জানেন, আপনার বই জোগাড় করতে গিয়ে আমার জুতোর শুকতলা ক্ষয়ে গেছে?
আঁধার ঘেঁটে কৈলাসে

কৈলাসচন্দ্র ছিলেন ভারত-বিখ্যাত চিকিৎসক, জন্ম ১৮৫০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ১৯২৭-এর ১৯ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু। তাঁকে নাইট উপাধি দিয়েছিল ইংরেজ সরকার। লক্ষ্মী ও সরস্বতী দুইয়ের বরপুত্র ছিলেন স্যর কৈলাস। এই বাড়ির সামনের অংশ হেরিটেজ, বিপরীতের অংশটি মামলা-মকদ্দমা জর্জর, নানা গাছ সে বাড়ির গায়ে গজানো, জড়ানো।
কৃষ্ণনাগরিক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

আমাদের প্রজন্ম যখন থেকে সৌমিত্রদার সঙ্গে কাজ করতে শুরু করে, তিনি তখন সত্তর ছুঁয়েছেন। তাঁর পরিচালকেরাও আর তেমন কেউ বেঁচে নেই। উত্তমকুমার গত হয়েছেন। সহযোগী বন্ধুবান্ধব ও অভিনেতা যাঁরা ছিলেন তাঁরাও এক এক করে চলে যাচ্ছেন। এমন এক অবস্থায় আমি লক্ষ করেছি সৌমিত্রদার মধ্যে এক ধরনের একাকীত্ব বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। যা ক্রমশ বেড়েছিল সময়ের সঙ্গে। টেলিভিশন আসার পর বাংলা সিনেমারও এমন এক চারিত্রিক বদল ঘটে গিয়েছিল যে তাঁর পক্ষে সেই বদলে যাওয়া চলচ্চিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।
… অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রের নানা দিক নিয়ে লিখলেন শৈবাল মিত্র
রং তুলি ক্যানভাসে অজানা সৌমিত্র

অভিনয় জীবনে শিশির ভাদুড়ির পরে সত্যজিৎ রায় ছিলেন তাঁর মেন্টর। তিনি একজন কর্মাশিয়াল আর্টিস্ট, সুতরাং সত্যজিতের শিল্পের প্রভাব তাঁর মানসপুত্রের ওপর পড়াটা খুবই স্বাভাবিক। পাশাপাশি হাওড়ায় থাকাকালীন শিল্পী রবীন মণ্ডলের কাজও তাঁকে আকৃষ্ট করত। মাঝে মাঝে বলতেন হাওড়া ময়দানে নেহরুর জনসভার এক কোণে দাঁড়িয়ে রবীন মণ্ডলের ছবি আঁকার কথা। সেই ছবি অবশ্যই নেহরুকে কেন্দ্র করে। নিজের দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে বিরতির সময়টুকুই শিল্পী করে তুলেছিল সৌমিত্রকে। বাড়ির নির্জন এক কোণে টেবিলের ওপর ঝুঁকে পড়ে একটার পর একটা ছবি এঁকে যেতেন।