মে দিবসের বিস্মৃত বিপ্লবী

Shapurji Saklatvala

সাপুরজি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ক্রমাগত ভারতের স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে গেছেন। তৎকালীন ভারতের জুটমিলে শ্রমিকদের দৈন্যদশার কথা তুলে ধরেছেন। ১৯২৬ সালে ব্রিটেনের সাধারণ ধর্মঘটে সাপুরজি গ্রেফতার হন।

মে দিবসের প্রাক্কালে বিস্মৃত ভারতীয় বিপ্লবীর নানা অজানা দিক, লিখলেন ড. পাঞ্চজন্য ঘটক

প্রয়াণলেখ: সন্দীপ দত্ত

memoir of Sandip Dutta owner of little magazine library

বঙ্কিমের সম্পাদনায় প্রকাশিত বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রথম সংখ্যা (১৮৭২), প্রমথ চৌধুরির সম্পাদনায় প্রকাশিত সবুজ পত্র পত্রিকার প্রথম সংখ্যা (১৯১৪) সংগ্রহে আছে। এই তালিকাই প্রমাণ করে, কত দুষ্প্রাপ্য পত্রিকার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে সন্দীপদা’র এই লাইব্রেরি। এতসব ত্যাগ স্বীকারের পাশাপাশি, তাঁর লেখকসত্তাও ব্যাহত হয়েছে। এসবের মধ্যেও অবশ্য কবিতা লিখেছেন, প্রবন্ধের বই উপহার দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য সম্পাদনা কর্মের সঙ্গেও যুক্ত থেকেছেন।

প্রয়াত সন্দীপ দত্তকে নিয়ে স্মৃতি-রোমন্থন করলেন বোধিসত্ত্ব ভট্টাচার্য…

বই-বিশ্ব : নেপথ্য কথা

essay on Book editing

যিনি লিখেছেন অর্থাৎ যিনি লেখক তার অধিকার বা লেখকের স্বত্ব সর্বদা সুরক্ষিত থাকে—যাকে বলে কপিরাইট (Copyright)। অনেক সময় অসাধু প্রকাশক লেখকের কাছ থেকে চুক্তিপত্রে কপিরাইট নিয়ে নেন, লেখকরা কপিরাইট ও পাব্লিশিং রাইট বোঝেন না, ফলে পরবর্তীকালে, লেখক- প্রকাশকের সম্পর্ক মধুর থাকে না। লেখকের কাছে তাঁর লেখা বই স্বাভাবিকভাবেই খুব ভালো এবং প্রিয়, প্রকাশকের কাছে তা ব্যবসার বস্তু মাত্র। যতদিন সেই জিনিস থেকে টাকা বা লাভ আসবে ততদিন তার কদর করবেন প্রকাশক, যে মুহূর্তে সেই বই-এর আর কোনও বাজারমূল্য নেই, সেই মুহূর্ত থেকে প্রকাশক সেই বইকে নিয়ে আর কোনও আগ্রহ দেখাবেন না। এতে লেখককুল দুঃখ পান বটে, কিন্তু এতে কিছু করার নেই।

বইপাড়ায় বর্ষবরণের আড্ডা

Bengali New Year in College Street

বুক কোম্পানিতে বসত পয়লা বৈশাখের বিরাট আড্ডা। সামনে পালিশ করা ঝকঝকে কাঠের বিরাট কাউন্টার, তার পেছনে বিরাট বিরাট বইয়ের আলমারি অলিগলি, তার পেছনে গুদামঘর, চারিদিকে সদ্য জাহাজ থেকে নামানো বইপত্রের কাঠের বাক্স মেঝেতে ছড়ানো, স্তূপাকার বই, বই এর বিচিত্র গন্ধ, তারই মাঝে নিখুঁত বাঙালি পোশাক পরিহিত দুই আঙুলের মাঝে সোনা বাঁধানো সিগারেটের পাইপ মুখে বসে প্রমথ চৌধুরী, আনন্দবাজার পত্রিকার সুরেশচন্দ্র মজুমদার, ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং পাঠককূল ।

আমার সেজঠাকুর্দামশায় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, কেমন আছে তাঁর জন্মভিটা?

Feature on Prafulla Chandra Ray

ছুটিতে বাড়িতে এলে দুপুরে খাওয়ার পরে মা ভুবনমোহিনীর কাছে বসতেন প্রফুল্লচন্দ্র। মা তখন তাঁর স্নেহের ‘ফনু’র সাথে অনেক সুখদুঃখের কথা বলতেন। বিকেলে ছাত্রদের জন্য বাড়ির গাছের মিষ্টি আম কেটে দেওয়া হত, সঙ্গে কাঁচাগোল্লার সন্দেশ। কখনও গ্রামবাসীরা তাঁর সঙ্গে দোতলার লম্বা টানা বারান্দায় দেখা করতে এলে তিনি নানা অরগ্যানিক কম্পাউন্ড দিয়ে নিজের হাতে লিচু, লেবু এইরকম নানা স্বাদের শরবত খাইয়ে তাঁদের চমৎকৃত করে দিতেন। তবে সকাল ছ’টা থেকে ন’টা, তিনি নিজের ঘরে দরজা দিয়ে পড়াশোনা করতেন। সেই সময় তাঁকে ডাকা চলবে না।

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রয়ের জীবনের নানা অজানা দিক, লিখলেন শিখা সেনগুপ্ত…

ক্যান্টো ফেস্টিভ্যাল: কবিতার আনন্দমেলা, উৎসবে শরিক দিল্লি-কলকাতা

Canto Poetry Festival

চারদিন-ব্যাপী এই উৎসবের প্রথম পর্বটি হয়েছিল নয়া দিল্লির ‘ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো সেন্টার’-এ। একই ছাদের নীচে জড়ো হবেন বিশ্বের খ্যাতনামা কবি, অনুবাদক, শিক্ষাবিদ, অধ্যাপকরা। জড়ো হবেন দেশের কবিতাপ্রেমী মানুষ, সাহিত্যের ছাত্রছাত্রীরা। চলবে কবিতা পাঠ ও কবিতাকেন্দ্রিক আলোচনা— এমন ভাবনাই জন্ম দিয়েছিল এই অভিনব উৎসবের। বলা বাহুল্য, বাংলা তথা ভারতে এমন আয়োজন বিরল।

একটা চড়ুই স্মৃতির ভিতর ‘এক্কা দোক্কা খেলছে’

Feature on Sparrow Day

পুরনো কলকাতার অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে বা কমতে কমতে তলানিতে এসে ঠেকেছে। সেই সঙ্গে চড়ুইদের সংখ্যাও হু হু করে কমেছে। সারা পৃথিবীতে ওদের জনসংখ্যা এতটাই কমে গেছে যে ওদের সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করার জন্য, বিলুপ্ত হওয়ার মুখ থেকে বাঁচানোর জন্য ২০১০ সালের ২০ মার্চ প্রথম আন্তর্জাতিক ‘World Sparrow Day’ পালন করা হয়৷

চড়ুইয়ের ডানায় ভর করে কলকাতা থেকে নিউইয়র্ক, স্মৃতি থেকে ইতিহাসের পাতায় পাতায় ঘুরলেন মৌসুমী দত্ত রায়…

কিশোর আইনস্টাইন: কিছু সত্য কিছু মিথ

Albert Einstein Myth and Facts

ভালো রেজাল্ট করা সত্ত্বেও আলবার্ট স্কুলকে প্রচণ্ড অপছন্দ করতেন। স্কুলের মুখস্থবিদ্যার উপর জোর বা জবরদস্তি করে চাপিয়ে দেওয়া শৃঙ্খলা তাঁর সহ্য হত না। যে আইনস্টাইন সারা জীবন বিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত সত্যকে প্রশ্ন করে আমাদের সামনে নতুন জগৎ খুলে দিয়েছেন, সেই বিদ্রোহী কালাপাহাড়ের জন্ম হয়তো এই সময়েই।

আইনস্টাইনের জীবনের নানা অজানা দিক তুলে ধরলেন গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়