আম নিয়ে আমোদ    

Special Feature on Mango Day

মালদা, মুর্শিদাবাদ জুড়ে আমের এই বৈচিত্র্যময়তার পিছনে বাংলার নবাবকুলের অবদান সুপ্রচুর। আমের নামের সঙ্গেও মিশে আছে নবাবি আমলের ইতিহাস আর চমকপ্রদ কাহিনি। আশরাফ আলির বাগানে ফলেছে এক আম। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। নবাব নাজিম ফেরাদুন জাঁ, যার বাবা হুমায়ুন জাঁ-এর হাতে তৈরি হয়েছিল মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি, তখন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার তক্তে। এই আমের আমেজ নবাবের কাছে পৌঁছনো দরকার। আশরাফ পৌঁছয় দরবারে… আর তারপর?

বিশ্ব আম দিবসে আম নিয়ে কিছু অজানা মজাদার কাহিনি, লিখলেন সপ্তর্ষি রায় বর্ধন

‘সীতা’র কপিরাইট কেড়েও রোখা যায়নি তাঁর উত্থান, শতবর্ষে বাংলা নাটকের ‘শিশির যুগ’

Rise of Sisir kumar Bhaduri

থিয়েটার কোম্পানিতে যোগ দিয়ে, প্রথমেই শিশিরকুমার মঞ্চস্থ করলেন, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ‍্যাবিনোদের ‘আলমগীর’। নাটক সম্পাদনা থেকে শুরু করে, সামগ্রিক উপস্থাপনার প্রতিটি ক্ষেত্রে এমন নতুনত্বের ছোঁয়া এর আগে দর্শক সেভাবে দেখেননি নাট‍্যমঞ্চে। ফলে, শুরুতেই বিপুল জন-সমাদর। সময়টা ১৯২১ সাল। এর পরের বছর, ১৯২২ সালে একই নাট‍্যকারের ‘রঘুবীর’-এ নাম ভূমিকায় ও দ্বিজেন্দ্রলালের ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকে ‘চাণক‍্য’ চরিত্রে রূপদান করে চারিদিকে হৈচৈ ফেলে দিলেন। বাংলা নাট‍্যমহলের কর্তাব‍্যক্তিরা মনে মনে বেশ সমীহ করতে শুরু করলেন নবীন প্রতিভাটিকে। এই সমীহের ধরন কোন পর্যায়ের ছিল, তা বোঝা গিয়েছিল বছরখানেক পরেই।

লিখলেন অভীক চট্টোপাধ্যায়…

এক বাঙালির মিলান কুন্দেরা

Milan Kundera and his impression on a Bengali reader

স্তালিনিস্ট জমানায় রুশ সাম্রাজ্যবাদ চেকোস্লোভাকিয়ায় যখন মানুষের কণ্ঠরোধ করছে, যখন একজন ব্যক্তিমানুষ কী ভাববে বা কী লিখবে, তাও নিয়ন্ত্রণ করছে কমিউনিস্ট পার্টি, তখন মিলান কুন্দেরা তৈরি করলেন ব্যক্তি মানুষের প্রতিরোধ। কিন্তু এই প্রতিরোধ উচ্চকিত নয়, বরং তীব্র শ্লেষাত্মক, তিক্ত রসের। ক্ষমতার সমস্ত রূপভেদ নিয়েই তিনি একপ্রকার সন্দর্ভ তৈরি করলেন তাঁর লেখায়। ১৯৫০ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। ৫৬ তে ফিরে আসেন। আবার ৭০ সালে বহিষ্কৃত হন। তাঁর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। তিনি ফ্রান্সে চলে যান। বাকি জীবন আর তিনি তাঁর প্রিয় প্রাগে ফিরে যাননি।

লিখলেন হিন্দোল ভট্টাচার্য…

রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সাক্ষী, কলমের খোঁচায় ইতিহাস পালটে দিয়েছিলেন এই নারী

Harriet Beecher Stowe and Uncle Tom's cabin

আমেরিকার গৃহযুদ্ধের লেলিহান আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছিল এই বইটি। দাসপ্রথার বিরুদ্ধে লেখা এই বই আমূল বদলে দিয়েছিল আমেরিকার ইতিহাস। গৃহযুদ্ধ আরম্ভের পর আব্রাহাম লিংকন একবার দেখা করেন বইটির লেখিকার সঙ্গে। সেদিন প্রথম সাক্ষাতে সবিস্ময়ে তিনি বলেছিলেন : ‘So this is the little lady who started this great war.’

গুরু দত্ত— ক্ষণজন্মা প্রতিভা শেষ হয় নেশা, নৈরাশ্য আর নারীসঙ্গে 

Guru Dutt his life work and controversies

এরপর গুরু দত্ত বানালেন ‘কাগজ কে ফুল’। ছবির প্লট যেন গীতা, গুরু আর ওয়াহিদার গল্পই পর্দায় নিয়ে এল। ছবি সেভাবে সাফল্য পেল না বক্সঅফিসে, তবে গীতার আকুতি ভরা কণ্ঠের গান— “ওয়াক্ত নে কিয়া কেয়া হাসি সিতম’ দুলিয়ে দিল সারা ভুবন।

অভিনেতা হিসেবে গুরু দত্তর আরেকটি উল্লেখযোগ্য ছবি ‘সতেলা ভাই’। এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বৈকুণ্ঠের উইল’ অবলম্বনে হিন্দি চলচ্চিত্র। বাঙালি চরিত্রে বারবার ফিরে এসেছেন গুরু। এই রোল পরে বাংলা ছবিতে দুবার জহর গাঙ্গুলি, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় করেছিলেন।

গুরু দত্তের জন্মদিনে লিখলেন শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়…

শেক্সপিয়র নাটকে অভিনয়ের জন্য সংগীতশিল্পী দান করলেন নিজের মাথার খুলি

Andre Tchaikowsky who gives his skull for theatre

মৃত্যুর আগে তাঁর শেষ ইচ্ছে ছিল ‘দ্য মার্চেন্ট অফ ভেনিস’-এর অপেরাটি যেন একদিন মঞ্চের আলো পায়। প্রাণের নাটককারের মধ্যে দিয়ে তিনি ভাবতেন তাঁর কথাগুলো সুর হয়ে মানুষের শিরায় উপশিরায় পৌঁছে যাবে। এরপর তিনি একটি উইল তৈরি করেন যেখানে তিনি মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য দেহ-দান করবেন, আর মাথার খুলিটা দান করবেন রয়্যাল শেক্সপিয়র কোম্পানিকে।

উনিশ শতকে ভোট নিয়ে একটি ব্যঙ্গগান

vote related songs in British India

একজন উচ্চ মার্গের কণ্ঠশিল্পী ও দক্ষ বাদ্যযন্ত্রীর পাশাপাশি স্বামী বিবেকানন্দের সংগীতজ্ঞান কত গভীর ছিল, এই একটি বই-ই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তথ্য অনুযায়ী বইটি সম্পূর্ণই স্বামীজীর মস্তিষ্কপ্রসূত। অন্য সম্পাদকের ভূমিকা প্রায় নগণ্য। বইতে মোট গানের সংখ্যা ৬৪৭, যেগুলি গানের রীতি ও ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট অধ্যায়ে সংকলিত হয়েছে। এরকমই ‘বিবিধ সঙ্গীত’ অধ্যায়ে থাকা একটি গানের বিষয়— ভোট। প্রশ্ন হচ্ছে, উনিশ শতকের শেষভাগে প্রকাশিত একটি গানের বইতে ভোট নিয়ে কোনও গান থাকছে কীভাবে?

স্মরণে শ্রীমধুসূদন

Feature about Michael Madhusudan Dutt

১৮৫৬ সাল, একদিকে দেশজুড়ে সিপাহি বিদ্রোহের টালমাটাল, এরই মধ্যে বিদ্যাসাগর মশায়ের উদ্যোগে বিধবা-বিবাহ আইন পাস হল, নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে দীনবন্ধু মিত্র লিখলেন ‘নীলদর্পণ’ নাটক। সরকার সে নাটক নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। আগুনের ফুলকির মতো ‘নীলদর্পণ’ বাংলার আনাচে-কানাচে অভিনীত হতে থাকল। বলা হয়, এসময় জেমস লঙ সাহেব মাইকেল মধুসূদন দত্তকে অনুরোধ ক’রে রাতারাতি এই নাটকের ইংরাজি অনুবাদ করিয়েছিলেন এবং তাঁকে সরকারের রোষ থেকে বাঁচাতে অনুবাদক হিসেবে নিজের নাম দিয়েছিলেন। তবে মধুসূদনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি নিঃসন্দেহে ‘মেঘনাদবধ কাব্য’। একমাত্র এই কাব্যটি তিনি গোটা একটি বছর ধরে রচনা করেছিলেন। অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখা এই কাব্যে তিনি লঙ্কেশ্বর রাবণকে দেশপ্রেমিক, স্নেহময় পিতা ইত্যাদি নানা মহত্বে ভূষিত করেছেন। অন্যদিকে রামকে পররাজ্যলোভী অধম নর হিসাবে লিখেছেন।
লিখলেন শিখা সেনগুপ্ত…