গ্রামের নাম মিম

আমাদের ঘরের জানালা দিয়েই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। কিন্তু আকাশ খুব মেঘলা। তাই কাঞ্চনজঙ্ঘা তো অনেক দূরের কথা, সামনের পাহাড়টাও দেখা যাচ্ছে না। তবু জলখাবার খেয়ে ছাতা নিয়ে তিনজনে বেড়িয়ে পড়লাম। এখন বৃষ্টি হচ্ছে না। চা বাগানের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে লাগলাম। অসমান রাস্তা, বোঝা যায় এই অঞ্চলে খুব বেশি গাড়ির যাতায়াত শুরু হয়নি। লোকও বিশেষ আসে না এদিকে, তা আগেই লক্ষ্য করেছি। রাস্তায় আমরা ছাড়া আর ট্যুরিস্ট চোখে পড়ছে না। রাস্তার দুদিকেই চা বাগান, তার মাঝে মাঝে বাড়ি।
ঘুরে এসে লিখলেন অঙ্কিতা দত্ত।
অন্য ভ্রমণ: নোভা স্কটিয়া

হ্যালিফাক্স শহরের অদূরে আর এক বিপর্যয়ের সাক্ষী ফেয়ারভিউ লন সমাধিক্ষেত্র। টাইটানিকের একশো একুশ জন এখানে সমাধিস্থ। অনেকের নাম খোদাই করা দেখলাম পাথরের গায়ে, কেউ আবার শুধুই দেহ উদ্ধারের ক্রমিক সংখ্যা মাত্র। সবচেয়ে বিখ্যাত হল সেই জ্যাক ডসন-এর সমাধি, টাইটানিক ছবির নায়কের চরিত্র যার আদলে তৈরি।
ঘুরে এসে লিখলেন সরিৎ চট্টোপাধ্যায়…
এলোমেলো বেড়ানো: ১৭

বাগরাকোটে আর রয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জ। অনেককালের পুরনো চাঁদমারি। দেশের পঞ্চাশটি ফায়ারিং রেঞ্জের অন্যতম। দিনের পারাবারে রাত্রি মিশে যাওয়ার লগ্নে কানে ভেসে আসে ‘ঠাস ঠাস দ্রুম দ্রুম’।
নির্জন একাকী টোডে

সামনে চোখ মেললে দূরে বহু দূরে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড় সারি। বাঁদিকে তুলনামূলক নিকট দূরের পাহাড়েরা ভুটানের। সে পাহাড়ের গায়ে হলুদ ফুলের জলসা। তার পায়ের কাছ দিয়ে বয়ে চলেছে চুমাং নদী। সেই পাহাড় আর নদী-ঘেরা বিপুল সবুজ বিস্তারের মাঝে কয়েকটা তাঁবু বিছানো। ইচ্ছে হলে এখানেও হতে পারে রাত্রিবাস। তলিয়ে গেলাম। ঘোর ঘোর আচ্ছন্নতার থেকে ফিরে এলাম উইলিয়ামের ডাকে।
টোডে ঘুরে এসে লিখলেন স্বাতি নন্দী।
এলোমেলো বেড়ানো: ১৬

ডাইনে-বামে যেদিকে নজর যায় সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে অর্ধ-গোলাকার মৃত্তিকা স্তুপ। অনেকটা বৌদ্ধ স্তুপের আকারে নির্মিত ঘাসাচ্ছাদিত মাটির স্থাপত্য। প্রতিটি সমাধি-স্তুপের অর্থাৎ মৈদামের অভ্যন্তরে রয়েছে একেকজন রাজার সমাধি।
ঈশ্বরের আপন দেশে, পাহাড়ি বাগানবিলাসে

যুবক মুখে আঙুল দিলেন। তার পর নির্দেশ করলেন ডান দিকের ঢালে। চারপেয়ে প্রাণীটা উঠে আসছে। বিলুপ্তপ্রায় নীলগিরি থার। বড় ছাগলের মতো দেখতে, বাঁকানো শিং। এই জাতীয় উদ্যানের প্রধানতম আকর্ষণ। রাজামালাই অংশেই তাদের বাস সবচেয়ে বেশি।
এরাভিকুলাম ন্যাশনাল পার্ক ঘুরে এসে লিখলেন শৌনক গুপ্ত…
এলোমেলো বেড়ানো: ১৫

পরের দিন সকালে পাহাড়ি শহর শিলং দেখে তরুণ ডাক্তার মুগ্ধ। ঘুরতে ঘুরতে দেখে এলেন বিশপ ও বিডন জলপ্রপাত। সেখানে তখন জনৈক সোনা রাম সেই জলপ্রপাতের বারিধারা ব্যবহার করে দিব্যি এক কাঠ চেরাইয়ের কারখানা গড়ে তুলেছেন। অথচ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য জায়গাটি আদর্শ।
পায়ে পায়ে পঞ্চচুল্লির পায়ের কাছে

জিরো পয়েন্টের রাস্তার বর্ণনা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়, বিভূতিভূষণ হয়তো পারতেন। শুধু এইটুকু বলতে পাড়ি স্বর্গ বোধহয় এর থেকে সুন্দর নয়। দুপাশে ম্যাজেন্টা রঙের রডোডেনড্রনের বাহার, পাইন, ধুপি গাছের সারি, জমে যাওয়া জলধারা আপনাকে মোহাবিষ্ট করে রাখবে। এই জমে যাওয়া জলধারা পার হতে হবে।
পঞ্চচুল্লি ঘুরে এসে লিখলেন প্রদীপ্ত চক্রবর্তী…