গল্প: নবদিগন্ত

ব্যাটসম্যানের ফুটওয়ার্কের যোগাযোগ সরাসরি বাঁধা মস্তিষ্কের সঙ্গে। মনে চাপ থাকলে ব্যাটসম্যানের পা নড়ে না। দেবু মাথার ভার ঝেড়ে ফেলে বিশ বছর আগে ইস্টবেঙ্গল মাঠে একটা বিরানব্বই রানের প্রাণবন্ত ইনিংসের মধ্যে ঢুকে পড়ল। চটপটে পায়ে দু স্টেপ এগিয়ে মাথা একদম বলের লাইনের ওপরে নিয়ে বলটা হাভভলিতে নিল। নিখুঁত টাইমিং-এ বল উড়ে গেল টার্নের দিকে মিড অনের ওপর দিয়ে।
…অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন গল্প ‘নবদিগন্ত’
গল্প: রতনের মুড়ি

তাছাড়া মদন ছেলেটা খুব সৎ। আজ পর্যন্ত বাজারে কোনও দুর্নাম নেই। ক্রেতা যদি বলে খেতে ভাল নয়, মদন ফিফটি পার্সেন্ট ছেড়ে দেয়। মানে পুরো গুডউইলের ব্যাপার। মদন বিজনেসের এই সুক্ষ্ম বিষয়গুলো খুব ভাল বোঝে। যদিও ক্লাস ফোরের পর আর পড়েনি। কিন্তু মদনের বৌ, মানে কাত্যায়নী আবার উল্টো। আগে মদনের খড়ের চালের ঘর ছিল। এখন দোতালা পাকা বাড়ি, শখ করে পুরো দোতালাটা আবার টাইল বসানো, বৌয়ের নাকি টাইলসের খুব শখ, খুব শৌখীন কি না!
গল্প: অবলম্বন

ছেলেটার নাম বাবুয়া। বয়স দশ বছর। বাড়ি বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়। তার বাবার এই হাউসিং কমপ্লেক্সে একটা অস্থায়ী ইস্ত্রির দোকান আছে। ঠিক করোনার শুরুর আগে, বাবা দেশের বাড়ি গেছিল। ট্রেন, বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর ফিরে আসতে পারেনি।
উত্তুরে ধারাজল

উত্তরবঙ্গের অবস্থান হিমালয় ও হিমালয়ের ক্রমবিন্যাসের পদপ্রান্তে। ছোটখাটো প্লাবনের কথা যদি উপেক্ষাও করি তবু বারংবার,অসংখ্যবার এই অঞ্চল ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছে। অপূর্ব দাশগুপ্তের লেখা।
১৯৭৮-এ বাগবাজারে নৌকো চলল

কলকাতার দক্ষিণে আদি বালিগঞ্জ, কালীঘাট, বালিগঞ্জ ট্রামলাইন— সবই জলের তলায়। কালিঘাট– হাওড়া ট্রামলাইনও তাই। কালিঘাট ট্রামডিপোর বড়সড়, পোক্ত টিনের দরজা বন্ধ। এই বন্যা মরশুমেই কলকাতা-সহ অন্যান্য জায়গায় মুক্তি পেয়েছে সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’।
প্লাবনধারা ও ১৯৭৮

স্বাভাবিক বর্ষায় অন্তত দশ-বারো দিন খেতে হত খিচুড়ি আর আলুসেদ্ধ দু’বেলা৷ কয়লা ঘুঁটে গুল সব ভেজা, উনুন ধরে কীভাবে! স্টোভ জ্বালিয়ে কোনওক্রমে ফুটিয়ে নেওয়া৷ লিখছেন মধুময় পাল।
খামার থেকে খাবার: নারীর শ্রমকথা

আকালের বচ্ছরেও কখনও ‘অনঙ্গ বৌ’ নামে, কখনও ‘কাপালী বৌ’ নামে তারা ঝোপেঝাড়ে মেটে আলু আর শোলা কচু খুঁজে বেড়িয়েছে। ওসব মুখ কেবলই সমবেত একবচন হয়ে থিতু হতে চেয়েছে মাটির ভিতরে। … লিখছেন অমৃতা ভট্টাচার্য।
খামার থেকে খাবার: নারীর শ্রমকথা

আকালের বচ্ছরেও কখনও ‘অনঙ্গ বৌ’ নামে, কখনও ‘কাপালী বৌ’ নামে তারা ঝোপেঝাড়ে মেটে আলু আর শোলা কচু খুঁজে বেড়িয়েছে। ওসব মুখ কেবলই সমবেত একবচন হয়ে থিতু হতে চেয়েছে মাটির ভিতরে। … লিখছেন অমৃতা ভট্টাচার্য।