শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১২)

গলুইয়ের ভেতর টিমটিমে আলোয় বসে রয়েছে বিজয়াবালা। গলায় ফিনফিনে একটা মটরমালা। কানে দুল আর দুগাছি চুড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই অঙ্গে। মাথার ঘোমটা ঈষৎ সরে গিয়ে গলুইয়ের আলো এসে পড়ছে ফরসা অপরূপ সুন্দর মুখখানায়। গভীর আয়ত একজোড়া চোখ। এই মুহূর্তে অজানা এক দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগের ছাপ সেই চোখে।
কলকাতার কোকিল গওহর (শেষ পর্ব)

১৯২৮ সালে গওহর জান শেষ বারের মত কলকাতা ছাড়েন এবং পয়লা আগস্ট তারিখে তিনি মাত্র ৫০০ টাকা মাসিক বেতনে মাইসোরের মহারাজার দরবারে সভাগায়ক হিসাবে যোগ দেন। কিন্তু তত দিনে গওহরের জীবনে অনেক কিছুই বদলে গেছে।
রাহুলদেবের মিউজি-ম্যাজিক (স্মৃতিতর্পণ)

কুড়িতে পা দেবার আগেই এসেছিল স্বপ্নপূরণের হাতছানি। গুরু দত্ত তাঁর একটি ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাহুল দেব বর্মণকে। চারটে গান তৈরিও হয়ে গেল, কিন্তু খামখেয়ালি গুরুদত্ত দিলেন সে ছবির কাজ বন্ধ করে।
জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক যুগ্মসঙ্কট এবং মোকাবিলার পথ – কথোপকথন

করোনাভাইরাসের কবলে ধুঁকতে থাকা বিশ্ব-অর্থনীতি, দুনিয়াজোড়া মন্দা, লাগাতার কর্মহীনতা এবং তার মোকাবিলা করতে সরকারি পদক্ষেপ — এই নিয়েই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মৈত্রীশ ঘটকের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলালাইভ।
কলকাতার কোকিল গওহর (পর্ব ১)

গান শেখার ব্যাপারে গওহরের কোনও বাছবিচার কিংবা অহঙ্কার ছিল না। সারা জীবন ধরে তিনি যখন যারই গান ভালো লেগেছে তার কাছেই শিখে নিয়েছেন অজস্র ভাষার বিভিন্ন গান। কেরিয়ারের পিক ফর্মে থাকা অবস্থাতেও তিনি নিজের হাঁটুর বয়সী গায়ককে সর্বসমক্ষে নির্দ্বিধায় গান শেখানোর অনুরোধ করছেন – এ দৃষ্টান্তও বিরল নয়।
স্মৃতি স্বপ্ন স্বগতোক্তি (কবিতা)

অথচ দেখো, অমাবস্যার রাতে প্রচ্ছন্ন চাঁদের অস্তিত্ব কেন তোমার কাছে বেহায়া পূর্ণিমার চেয়ে বেশি স্পর্শসহ মনে হয়…
ভাবের কবি (কবিতা)

কবি তুমি বললে ভেবে, “দিনগুলো সব সন্ধ্যেগামী“। আমিও ভাবি একই কথা, লাশকাটা ঘর দিব্যি জানে, সব পথিকই মৃত্যুকামী। দিনটা পোড়ে ভেবে ভেবেই, আমার কি আর ভাবতে মানা? কবি তোমায় ছুঁলেই ভাবি, আকাশ জুড়ে বাড়ছে ডানা!
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ১১)

বিশে ডাকাতকে সমূলে উৎপাটন করতে ব্রিটিশ শাসকের নির্দেশ মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করলেন দারোগা খোদাবক্স খান। প্রথমেই দ্বারস্থ হলেন কাদের? কারা পারবে সর্ষের মধ্যে ভূত হয়ে ঢুকে বিশের সাম্রাজ্য ধ্বংস করতে?