শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২২)

illustration by Chiranjit Samanta

মৃদু অথচ তীক্ষ্ণ যন্ত্রণার শব্দ বেরিয়ে এল সর্দারের বুক চিরে। যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে ছিঁড়ে খাওয়ার দৃশ্যটা। এটাই হাতুড়ি মারার মোক্ষম সময়।
– মেগাইয়ের খুনের বদলা নেবে না?
পাঁচুর চোখে চোখ রেখে ঝটিতি প্রশ্ন করলেন খোদাবক্স। মুহূর্তে খালের ওপার থেকে চিতার আগুনের ঝলকটা উড়ে এসে যেন ঢুকে গেল পাঁচুর দু’চোখে।
– পীতাম্বরের রক্ত খাব আমি।
হাড়হিম করা গলায় বলে উঠল পাঁচু।

যখন কলম থমকে দাঁড়ায়

কেন হয় রাইটার্স ব্লক? কেন হঠাৎ করে থমকে যায় সৃষ্টিশীলতা? কারণটা শারীরিক না মানসিক? শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ও নাকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জানিয়েছিলেন, আগের মতো লিখতে ‘বল না পাওয়া’-র কথা। ওপার বাংলার প্রবাদপ্রতিম লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস লেখালেখি শুরু করেছিলেন গত শতাব্দীর ষাটের দশকে। কিন্তু মাত্র কয়েক বছর লেখার পরেই কলম থামিয়ে দেন তিনি। ফিরে আসেন প্রায় বছর দশেক পরে। গত দশ বছর কি রাইটার্স ব্লকের শিকার হয়েছিলেন তিনি?

এমন একজন বিখ্যাত সাহিত্যিককে কাঁঠালতলায় বসে সিগারেট টানতে দেখে খুবই অবাক হয়েছিলাম

sunil Gangopadhyay

বাংলার দিকপাল সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ৮৭তম জন্মদিন আজ। রাজ্য সরকার ঘোষিত লকডাউনও পড়েছে আজকের দিনেই। এই দুঃসময়ে তবু বিভিন্ন ফেসবুক, ইউটিউব লাইভ অনুষ্ঠানে রাজ্য জুড়ে পালিত হচ্ছে বাঙালির প্রিয় এই কবি ও সাহিত্যিকের জন্মদিন। উঠে আসছে বাংলাভাষাপ্রেমী, অসাম্প্রদায়িক এই লেখকের নানা রচনার কথা, স্মৃতির কথা। তিনি যে বাংলা ভাষার মস্ত বড় একজন কবি ছোটগল্পকার ঔপন্যাসিক […]

সাধের আসন (কবিতা)

Nakshi Kantha

ফুটোফাটা জোড়াতালির যাপন। তাকে সুচের সূক্ষ্ম ফোঁড়ে বেঁধে রাখার আয়াস। নকশি কাঁথার মতো বুনে বুনে চলা রোজকার সুখ দুঃখ দৈনন্দিনতার ওঠাপড়া। সেবন্তী ঘোষের কলমে…

আমার বাড়িতে শঙ্কর মাছের চাবুক আছে, একবার টাচ করলেই…

Teacher's Day

আজ, ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস। আমরা, যারা এখন আর ছাত্রছাত্রী নেই, এই দিনটায় মধুমাখা নস্টালজিয়ার সুড়সুড়ি খেতে খেতে ফিরে দেখি সেইসব সিন আর মুচকি হেসে হাতে তুলে নিই বাজারের থলি! শিক্ষক দিবসে স্কুল-কলেজের বাঁদরামির আখ্যান অনুব্রতর কলমে!

মৎস্যগন্ধ (ছোটগল্প)

ঝগড়া করলে তো আর গায়ের গন্ধ চলে ‌যায় না। অবশ্য বউকে এটা বোঝান ‌যায়নি। বোঝান ‌যাবেও না। শুধু পাউডারে সে ক্ষান্ত হয়নি। তিনটে অ্যালোপ্যাথি ও চারটে হোমিওপ্যাথি ডাক্তার এবং একটি কোবরেজ তাকে দেখানো হয়েছে। তাতেও কিছু হয়নি। বরং বউয়ের দাবি হল, আগের চেয়ে তার গায়ের গন্ধ নাকি আরও বিদঘুটে হয়েছে। গন্ধটা কেমন? বউয়ের কথা অনু‌যায়ী, ভোলা মাছের মতো প্রবল আঁশটে। ‌যদিও সে নিজে কোনওদিন এই গন্ধ পায়নি।

শতবর্ষ পার করলেন মানুষের কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

নজরুল ও বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

কবিতায় নিবেদিত বীরেন্দ্র অভাবকে পরোয়া করেননি। জীবনে খিদে ছিল বলেই অনুভব করেছেন বিশ্বজুড়ে, দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের খিদেকে। এই মানুষের প্রতি ছিল তাঁর অশেষ ভালোবাসা। লিখেছেন ‘আশ্চর্য ভাতের গন্ধ’ আকাশে বাতাসে।