রোজ় আউসল্যান্ডারের কবিতার অনুবাদ

জার্মান কবি রোজ় আউসল্যান্ডারের কবিতা বাংলায় তর্জমা করলেন নন্দিনী সেনগুপ্ত।
রোল–অ্যাকশন-কাট্: দ্বিতীয় দৃশ্য

আমি যদি অমানুষ হই তো, আমার দিদি হচ্ছে ব্লাফ মিস্ট্রেস জেনারেল। অতবড়ে ঢপবাজকে দেখলে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত লজ্জা পাবে। আর শোনো, ও-ও না তোমাকে দুচক্ষে দেখতে পারে না।
দুর্বার

শতাব্দী পরে এক গোধূলিতে শোরগোল শুনে/আপনি হয়ত বাইরে আসবেন।/অনামিকার আলো ঠিকরে বলবেন,/সে কি! তুমি? এত দিন পরে?
ছাড় বেদয়া পত্র: পর্ব ১

সুবাহু কর্ম ও জ্ঞানের সন্ধানী। তার যাত্রাপথে শিখী ছিল সঙ্গিনী মাত্র। প্রেমকে সে এ যাবৎ গুরুত্ত্ব দেয়নি কারণ মানবিক প্রেম ভাসিয়ে নিয়ে যায় মানুষের যাবতীয় কর্মপ্রচেষ্টা।
যখন সর্বাঙ্গ জুড়ে জ্বর, ছলোছলো…

ভোর হতে আরও কিছু বাকি।/পা দুখানি গায়ের ওপরে তুলে দিয়ে/গানে গল্পে রাত যদি শেষ/আকণ্ঠ রোদন সন্তাপে,
দ্যোতক – গতকাল, আজ ও ভাবি কালের নকশা

রাজার কর্মে ধর্ম নেমেছে গভীরে/উজির মেতেছে মেদুরতার শ্বাসে/আড়ালে কেন? এ কোন কৃষ্ণচূড়া/বিধাতা ক্লান্ত উজ্জীবিতের ত্রাসে।
একানড়ে: পর্ব ৯

ঝিমঝিম রাত্রে যখন দিদা-দাদু পাশের ঘরে গভীর ঘুমে, দাদু ঘুমের ওষুধ খায় সে জানে, চট করে জাগবে না, আর পরপর তার ঘরে রাত কাটিয়ে দিদাও ক্লান্ত, নিঃসাড় তন্দ্রায় আচ্ছন্ন এখন, টুনু পা টিপে টিপে উঠল।
কারণ, জন্মদিন

জন্মদিনের আগের সন্ধেয় অনেককিছুই করা যায়।/যেমন – প্রাচীন পাপ, একক মৃগয়া এবং আনকোরা প্রেম।