উপন্যাস: নাগবন্ধন- শেষ পর্ব

Bengali Novella by Indira Mukhopadhyay

এমনই কোনও প্রত্যন্ত এক গ্রামেই তো শ্রাবণ মাসে অঝোরে বৃষ্টি পড়ছিল। সাপে কাটা সায়ন কে অচৈতন্য অবস্থায় কোনও এক গ্রামের কুঁড়েতেই সেবা শুশ্রূষা করে ভালো করে তুলেছিল সেই মেয়ে। তার নাম মনে নেই আজ আর কিন্তু স্মৃতির ক্যানভাসে আজও তুলে ধরা আছে অনেক কিছু।
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ শেষ পর্ব…

উপন্যাস: নাগবন্ধন: সপ্তম পর্ব

Novella Nagbandhan part-7

সে ভাবে, হয়তো সেই সন্ন্যাসীকে সিডিউস করেছিল পদ্মিনী নামের এক রূপসী কন্যা। কিংবা উল্টোটাও হতে পারে। মানে সন্ন্যাসীও পদ্মিনীর প্রেমে আকুল হয়ে তাকে হয়ত ভোগ করার লোভ সামলাতে পারেনি। সবই তো লোকায়ত ঘটনা। মানুষ নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করে আসছে।

ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ সপ্তম পর্ব…

‘ঘন ঘন চিঠি দিয়ো, সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো’: নরেন্দ্রনাথ মিত্রের স্ত্রীকে লেখা চিঠি

letters of Narendranath Mitra -book review

ঠিক কী পড়া যায় এই বইতে? অভিজিৎ এমনি এমনি বলেননি, এ বই বাবার আত্মজীবনী। শেষ জীবনে আত্মজীবনী লেখার ইচ্ছে অপূর্ণ থেকে গেছিল নরেন্দ্রনাথের। চিঠিগুলি কি সেই অপূর্ণ ইচ্ছেটাই ভরিয়ে দিয়েছে? তার আগে একটু প্রাকবিষয়ে ঢুকে যাই। ফরিদপুরের সদরদি গ্রামের নরেন্দ্রনাথ কলকাতায় এসেছিলেন বঙ্গবাসী কলেজে বি.এ. পড়তে। দুবার ড্রপ। পাশ করতে দেরি হয়ে গেছিল। ওদিকে পিতা মহেন্দ্রনাথের আতিশয্যে গ্রামের নরম সাদাসিধে ছেলে নরেনের বিয়ে ঠিক হল পাশের গ্রাম চোমোরদির ক্লাস এইটে পড়া চোদ্দ বছরের সঙ্গীতপ্রেমী ডাকাবুকো মেয়ে শোভনার সঙ্গে।

নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ব্যক্তিগত চিঠির সংকলন ‘ননামি’ নিয়ে কিছু কথা, লিখলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য

গল্প: শিবার প্রতিশোধ

Short story by Shib Kinkar Basu

কলফিল্ড গোমড়া হয়ে খেয়ে গেলেন, হুঁ হাঁ ছাড়া বিশেষ কিছু বললেন না। ওঁর ধারণা কেউ ইচ্ছে করেই আমাদের শিকার নষ্ট করছে। খাওয়া শেষ করে সকলে বিশ্রাম নিচ্ছে, আমি আনমনে বসে আকাশ-পাতাল ভাবছি, বাবা কার্তুজের খালি খোলগুলো আলাদা করে একটা থলিতে ভরে রাকস্যাকের নীচের দিকে ঢুকিয়ে রাখছেন, দ্বিজেনদা একটু আড়ালে গেছে, বোধহয় বিড়ি খেতে— এমন সময় ঘটনাটা ঘটল।

শিব কিংকর বসুর নতুন গল্প…

কবিতাগুচ্ছ: যে স্মৃতি বিচ্ছিন্নতাকামী

5 poems by Rajesh Gangopadhyay

গাছের নাম অর্জুন হলেও তা থেকে খসে যাওয়া পাতাকে অপেক্ষমান হাওয়া/ উড়িয়ে নিয়ে যায় উদ্দেশ্যবিহীন, ঠিকানাহীন/ সাকিনে বনজ বলয় গড়ে ওঠে/ তুমি হেঁটে এলে সে পথে মর্মর বেজে উঠতে পারে/ আসছ?

রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন একগুচ্ছ কবিতা

উপন্যাস: নাগবন্ধন: ষষ্ঠ পর্ব

Bengali Novella by Indira Mukhopadhyay

পকেটে হাত দিতেই সেই তান্ত্রিকের টকটকে লাল গ্লসি পেপারের ঝিনচ্যাক কার্ডটা বেরিয়ে আসে। খানিক কিন্তু কিন্তু করে ছিদামকে তান্ত্রিক রাজাবাবার কথাটা জিজ্ঞাসা করেই ফেলে সায়ন। ততক্ষণে সীমা মৌলীক্ষা দেবীর মন্দিরে ঢুকেছে পুজোর প্রসাদ আর প্রসাদী ফুল নিতে। এটাই সুযোগ। সীমার অনুপস্থিতিতে এসবের খোঁজ নেওয়াই ভালো। নয়তো আবার সে গোল বাধাতে পারে।

ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাগবন্ধন’, আজ ষষ্ঠ পর্ব…

গল্প: বন্ধু

Short story Bondhu

তিস্তা টর্চটা বন্ধ করে মোবাইলটা ট্রের ওপরেই রাখল। টর্চ আর লাগবে না। আর কটা সিঁড়ি ও টর্চ ছাড়াই উঠে যেতে পারবে। দুটো সিঁড়ি তিস্তা নির্বিঘ্নে উঠে পড়ল। তারপরই ঠিক কি যে হল, ও ভাল করে বুঝে উঠতে পারল না। সামনের দিক থেকে একটা প্রবল ধাক্কা লাগল। মুহূর্তের মধ্যে তিস্তার হাত থেকে খাবারের ট্রে সশব্দে ছিটকে পড়ল। তিস্তা শুনল কেউ একজন “ও মাই গড!” বলতে বলতে ওকে জাপটে ধরেছে।

… শুভব্রতা রায়ের গল্প ‘বন্ধু’

‘অন্দর সে চিলে নিকলকে উড় জায়েঙ্গে’: ‘অল দ্যাট ব্রিদস’, একটি আলোচনা

All That Breathes review

চিল বলতে কালো চিল, এবং তার সঙ্গে কিছু স্পটেড হকসহ অন্যান্য অনেক শিকারী পাখি, যাদের ‘নন-ভেজ বার্ড’-এর আওতায় ফেলে চিকিৎসায় সাহায্য করে না প্রথাগত বার্ড হসপিটালগুলি। অক্লান্ত পরিশ্রমে কুড়ি বছর ধরে প্রায় কুড়ি হাজার অসুস্থ চিল বাঁচানো, আঘাত সারিয়ে আবার আকাশে পাঠানো– “যা, জি লে আপনি জিন্দেগি”। চিলকে খাবার দিলে দোয়া করবে ওদের ঈশ্বর, ‘সওয়াব’ মিলবে, তারপর সেই চিল মনের সব কষ্ট খেয়ে নেবে–‘দিককত খা জায়েগা’।