দুটি কবিতা

এই অন্ধকারে আমি একা রাত জেগে অনুভব করেছি রাত্রে তোমার অনুপস্থিতিজনিত হৃৎপিণ্ড মোচড়ানো ব্যথা। আমি তাই অন্ধকারের সমুদ্রে কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসিয়ে দিয়েছি তোমাকে লেখা অসংখ্য চিঠি… সৌগত চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা।
কবিতা: শাহীঘুণ

মরদ মহুয়ার নেশার হাওয়া শুঁকে/
নিব কলমের খাঁজে দম দিয়ে যায়/
টেবিল ঘড়ির ছটফটানি,/
চামড়ার কাঁপুনিও খাবলে খায় টোল পড়া জলাভূমি/
আর্ত লালার খালে ডুব দেয় তৃপ্তি, আরও একবার; শাদা কাদামাটি ছদ্মনামে কবির কথা।
নভেলা: অবন্তীনগরের বাস: পর্ব ১

ঝিল্লিকে বলেছিল মিথিলেশ চাকরি পাবার কথা। চল্লিশ পেরিয়ে চাকরি পেলে খুশির সঙ্গে যতটা নির্লিপ্তি মিশে থাকা উচিত, সেইরকমই কেঠো গলায় খবরটা দিয়েছিল।… তৃষ্ণা বসাকের নতুন নভেলা।
কবিতা: মালি

শস্য ছিল অবশ্য মেঘকালীন/ দূত পাঠাত সংকেতে সংকেতে… আষাঢ়ের মাঝামাঝি মেঘবৃষ্টির যুগলবন্দির আখ্যান, বর্ষাদিনের মনখারাপের স্তুতি, সুমন ঘোষের কবিতায়।
গল্প: চাঁদ আঘাতের দিন

ভদ্রমহিলা এবারেও কোন উত্তর না দিয়ে প্রিয়াংশুর দিকে এমনভাবে দেখেন যাতে স্পষ্ট বোঝা যায় বিষয়টা ওঁর ঠিক পছন্দ নয়। এরপর প্রিয়াংশু কোনও কথা না বলে একই রিক্সায় দুজনে চাপে। … ঋভু চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্প।
দুটি কবিতা

জটাপড়া চুল বেয়ে পুবের বারান্দা থেকে/ নেমে আসে মেঘের নিষাদ/
শুদ্ধ কোমলে আর দ্বিধা দ্বন্দ্বে গৃহহীন/
বুকে যদি পুষে রাখতে হয়… অবন্তিকা পালের কাব্য আখরমালা।
কবিতা: রাধাচূড়া গাছ

বসন্ত চলে যাওয়া, রোদে পোড়া ক্লান্ত শহরেরংচটা পার্কবেঞ্চ একা বসে থাকে বন্ধ গ্যারেজ পেরিয়ে হেঁটে যায় বিস্মৃত ছায়া ময়দান এলাকা চিরে চলে যায় ট্রামফাঁকা ট্রামের উদাসীনতা নিয়ে পড়াশোনা ছিল একদিন কোনও একদিনপড়াশোনা করতে করতেই আমরা বুঝেছিলাম -স্টুডিয়াস মেয়েদের চোখ থেকে চশমা খুলে নিলেতারা রাধাচূড়া গাছ হয়ে যায় বৈশাখ দুপুরের নির্জন অস্থিরতায় সূর্যের চুম্বনে রাস্তার পিচ গলে যায় দূরের অদৃশ্য কারখানা থেকে […]
গল্প: বিচকে- শেষ পর্ব

নক আউটের ম্যাচ। হারলেই টিম ডাস্টবিনে। তাতে যে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে, তা নয়। জীবন কখনও থেমে থাকে না। খেলার সুযোগ আরও অনেক পাওয়া যাবে। … অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প। শেষ পর্ব।