যাপনকথা

সামনের বস্তির মেয়েটা রাত জেগে হ্যারিকেনের আলোয় পড়ে| দু’দিন অঙ্ক দেখিয়ে দিয়েছিলাম, বকাঝকাও কম করিনি|
উত্তরাধিকার (গল্প)

“সাহেব, গুড প্রন, ভেরি চিপ। একটু পাঠিয়ে দিই?” কাঠে করাত ঘষার মত গলায় নাসিমের প্রশ্নটা শুনে অ্যালেক্সের চিন্তাজাল ছিঁড়ে গেল। কতক্ষণ এখানে এসেছে সে, কে জানে? বাইরে আবার পিটপিট করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দু চারটে ল্যাণ্ডো বা হ্যাকনির শব্দও শোনা যাচ্ছে। নাকের সামনে ভনভন করে চলা মাছিদুটোকে হাত নাড়িয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করতেই, কে জানে কী বুঝে নাসিম চলে গেল।
গোলকিপার (পর্ব ১৫)

মাঝের তিনটে দিন সুমিত্রাকে সত্যিই নিয়ম করে অরিত্রর খবর দিয়ে গেছে দেবদীপ। সুমিত্রা জানেন অরিত্রর অবস্থা স্থিতিশীল, চিকিৎসায় ভালোই সাড়া দিচ্ছে সে। তবু সারাটা রাস্তা এলেন দুরুদুরু বুকে। নার্সিং হোমে পৌছে লবির সামনে দেবদীপ অপেক্ষা করছে দেখে আরও যেন বেড়ে গেল তাঁর বুকের কাঁপুনি। লিফট থেকে নেমে আইসিইউ-এর দিকে যেতে যেতে বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল বছর চারেক আগে হাসপাতালে তাঁর স্বামীর শেষ কয়েকটা দিনের দৃশ্য। ভয় হচ্ছিল, চনমনে ছেলেটা যন্ত্রের ঘেরাটোপে কী জানি কী কষ্টের মধ্যেই না আছে! যত এসব কথা ভাবছেন, ততই যেন পা অসাড় হয়ে আসছিল তাঁর। টকটকে লাল হয়ে উঠেছে তাঁর মুখ।
পুরাণের পুনর্নিমাণ (বই রিভিউ)

ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের কসমিক পুরাণ বইয়ের সমালোচনা
বহু বাসনায় (কবিতা)

মানুষের জীবনে তো তেমন আমোদ
নেই। বিনোদন নেই। তারা তাই অবসর পেলে
কষ্টের কথাগুলি কাগজের বলের মত গোল্লা করে
পরস্পর লোফালুফি করে, বেলুনের মতো তাকে
ওড়ায় বাতাসে। সংসারে এমনই নিয়ম।
জোয়াই (পর্ব ৩)

শিলং-এর পূর্ব প্রান্ত থেকে শুরু করে বরাক নদীর উপত্যকার উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিল জয়ন্তিয়া রাজাদের রাজত্ব। এখনকার বাংলাদেশের সিলেট জেলার একটা বড় অংশও ছিল জয়ন্তিয়া রাজাদের আয়ত্বে।
বরণ (কবিতা)

দীপান্বিতা সরকারের কবিতা
ঘাড় ধরে কিনিয়ে নিল যেসব লিটল ম্যাগাজিন

কলকাতা বইমেলায় প্রতি বছরই কিছু লিটল ম্যাগাজিন বইমেলা সংখ্যা নিয়ে হাজির হয়। তারই কয়েকটার লেখা আঁকা প্রচ্ছদ পরিবেশনা নিয়ে লিখলেন সুস্নাত চৌধুরী।