মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ১৪

১৯৮৩-র ওই সময় পুজোয় চার-পাঁচদিন খবরের কাগজ বেরোত না⎯ সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী কাগজ বেরোত না। একাদশীর দিন খুলত, দ্বাদশীর দিন কাগজ পেতাম। সেবছর পুজোর ঠিক আগে-আগে গাড়ি নিয়ে মুর্শিদাবাদ না মালদা ঘুরতে গিয়েছিলাম। দ্বাদশীর দিন কাগজ পড়ে দেখলাম, ষষ্ঠীর দিন রাত্রিবেলা সব পুড়ে গেছে। পাঁচদিন পরে জানতে পারছি। ছুটে এলাম কলকাতায়।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…
জীবন থেকে জীবনে: তৃতীয় পর্যায়-পর্ব ৪

রাত বারোটায় আনন্দবাজারের সিঁড়ি দিয়ে শক্তিদার সঙ্গে নামলাম রস বুঝতে। পকেটে দেখলাম টাকা কুড়ি মতন আছে। এক বোতল বাংলা হয়ে যাবে। তবু জিজ্ঞেস করলাম, ‘টাকা কুড়ি আছে। হবে তো?’
শক্তিদা ঠোঁটে তর্জনী ঠেকিয়ে বলল, ‘চুপ! রসের ব্যাপারে টাকার কথা তুলতে নেই।’
শংকরলাল ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক কলাম ‘জীবন থেকে জীবনে’-র তৃতীয় পর্যায়, আজ
চতুর্থ পর্ব …
বুড়ি থুড়ি থুড়ি: জীবন তো একটাই

সমমনস্ক মানুষের অভাব মেটাতে চেয়ে, বিশেষ করে এই ষাট পেরনো শহুরেরা আজ দিশেহারা। তাদের হাতে অর্থ আছে, জীবন যাপনে আছে নিরুপদ্রব স্বাধীনতা, দেদার বেড়ানোর সুযোগ, এয়ারপোর্টে ঢুকলেই হইল চেয়ার, দিনক্ষণ মেনে দুরান্ত থেকে পাঠানো উপহার, প্রতিদিনের ভিডিও কল তবু যেন মন মানে না। শূন্য মনে হয়।
মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ১৩

যেহেতু সরস্বতী প্রেসে একমাত্র ইউনিয়ন হচ্ছে সিটু, সেখানে যাঁরা ছিলেন তাঁরা বললেন— না, আমরা এর থেকে সরে আসব না। আমি বললাম যে, দেখুন আর কোনও প্রেসে সাবসিডাইজ়ড ক্যান্টিন নেই যেখানে ৬ আনাতে ভাত, ডাল, মাছ খাওয়া যেত। ১৯৭১-’৭২-’৭৩-এ আমি নিজেও সেখানে খেয়েছি। আমরা অনেক জায়গায় মাইনে বেশি দিচ্ছি, কতগুলো জায়গায় কম ছিল ঠিকই। কিন্তু প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রির যা অবস্থা, তাতে সেটা দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁরা মানলেন না। স্ট্রাইক চলল। প্রথমে তাঁরা চেষ্টা করেছিলেন মোরারজি দেশাইকে দিয়ে অধিগ্রহণ করানোর জন্য সই করাতে। সেন্ট্রাল মিনিস্ট্রির একটা সই লাগে। সেই সইটা মোরারাজি দেশাই করেননি। হল কখন, যে সময় চরণ সিং-এর মিনিস্ট্রি ছিল। পার্লামেন্ট বসেনি।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…
রবিরাগে— পঞ্চম পর্ব: ‘বসন্ত পঞ্চমের রাগে’

প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা উচিৎ, যাকে বলছি আদি বসন্ত, সেই রাগই দাক্ষিণাত্যে বসন্ত বলে পরিচিত। উত্তর ভারতে শুদ্ধ সোহিনী বলে একটি রাগ রয়েছে, খুব যে গাওয়া বা বাজানো হয়, এমন নয়। রবীন্দ্রনাথের ‘প্রথম আদি তব শক্তি’ গানটি ওই রাগেই বাঁধা। গানটি বাইজু বাওরার একটি ধ্রুপদ থেকে প্রতিগৃহীত।
রবীন্দ্রগানে রাগসঙ্গীতের, বিশেষত বসন্ত পঞ্চম রাগের প্রয়োগ নিয়ে লিখলেন সুভদ্রকল্যাণ…
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ২০

দেশটিতে পা রাখার ক’দিনের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিলেন জোসেফ ব্যাংকস-এর অনেক তথ্যই ভুল ছিল। ১৭৭০ সালে হয়তো ভালো বৃষ্টির জন্য অঞ্চলটি গাছপালায় ভরা ছিল। ১৭৮৮-এ সম্পূর্ণ অন্য চিত্র। বেশ কয়েকবছরের অনাবৃষ্টির ফলে মাটি রুক্ষ, চাষবাসের অযোগ্য।
প্রথম কয়েক বছর জীবন একেবারেই সহজ ছিল না। নানা সমস্যায় জর্জরিত নবীন উপনিবেশটিকে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য ফিলিপকে বহু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। সময়ে সময়ে রীতিমত নিষ্ঠুরও হতে হয়েছে।
কেমন ছিল দুশো বছর আগের অস্ট্রেলিয়া, কেমন তার ইতিহাস? কলম ধরলেন সিদ্ধার্থ দে…
অন্য জীবন অন্য মনন (৯): নাদিয়া সান্তিনি

খাবারে মিশে থাকে স্বাস্থ্য আর সেবার ইচ্ছে। পৃথিবীর তাবড় তাবড় রান্নার ইস্কুলে সেসব শেখায় নিশ্চয়ই। কিন্তু সবাই তো আর সেসব ইস্কুলে যায় না, যেতে পারেও না। তাদের জন্য মা-ঠাকুমাদের ইস্কুল একটা বড়সড় জানলা খুলে দিতে পারে। আমার কথায় প্রত্যয় না হলে আপনারা নাদিয়াকে দেখুন! নাদিয়া সান্তিনি (nadia Santini। তিনি একজন রাঁধুনি। এবং বিশ্বসেরা রাঁধুনিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। লিখলেন অমৃতা ভট্টাচার্য।
গতকালের কলকাতা (পর্ব ৩): সেকালের পথঘাট ও তার নামকরণ

এই খাল অচিরেই ইংরেজদের দুয়ো-রানি হয়ে গেল, যখন ব্রিটিশদের সুরক্ষার জন্যে পরিখার অনুমতি দেওয়া আলিবর্দি খাঁর নাতি কলকাতা আক্রমণ করল আর এই পরিখা কোনোরকম সুরক্ষাই দিতে পারল না। এর চল্লিশ বছর বাদে শহরে সার্কুলার রোড তৈরির সময় এই খাত বুজিয়ে দেওয়া হয়। সেসময় এই সার্কুলার রোড হয়ে উঠল শহরের অঘোষিত সীমানা আর এই সার্কুলার রোডের পাশে বাসা বাঁধল সেই মানুষেরা যারা গ্রামেও প্রান্তিক আর অস্পৃশ্য ছিল— যাদের অভাবে পরিষেবা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ত, কিন্তু নিজেরা পরিষেবা সীমানার বাইরে থাকাকেই নিয়ম বলে মেনে নিয়েছিল।
পুরনো কলকাতার অজানা গল্প, লিখলেন পিনাকী ভট্টাচার্য। আজ তৃতীয় পর্ব…