‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’ কি ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’র সিকুয়েল? এর উত্তর হ্যাঁ, এবং না। 

আড়াই ঘণ্টার এ ছায়াছবির পনেরো আনাই দার্জিলিঙের মাটিতে। এতেও উচ্চ-মধ্যবিত্ত যৌথ পরিবারের অলস ছুটি কাটানোর ছলে নিজেদের নতুন করে চিনে নেবার গল্প আছে। তবে কিনা তাদের পদবি চৌধুরি নয়, দেব। শোভাবাজারের দেবে-দের সঙ্গে এদের কোনও সম্পর্ক না থাকলেও কলকাতার বুকে বাপপিতেমোর দশাসই ভদ্রাসন সামলাতে এদেরও কালঘাম ছুটছে। আছে আরও হাজারও ঝুটঝামেলা। এসব থেকে ঝটিতি রেহাই পাবার একটা উপায় এদের আছে। খাস দার্জিলিঙের বুকে, ম্যাল থেকে একেবারে ঢিল-ছোঁড়া দূরত্বে একটা সাহেবি আমলের কটেজ। ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’র শুরুতেই যৌথ পরিবারের বড়দা-র (কৌশিক সেন) মুখ থেকে জানা যাচ্ছে যে ১৯৬২তে বেরোনো সত্যজিৎ রায়ের ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ দেখে এমনই মোহিত হয়েছিলেন তাদের বাবা যে সাধ করে ওই কটেজ কিনে ফেলেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন ‘অভিলাষ’। ছুটি পড়লেই চার ছেলে, এক মেয়েকে নিয়ে সপরিবার দার্জিলিং পাড়ি দেওয়া আর চেটেপুটে ছুটির মজা লোটা ছিল তাদের বচ্ছরকার পাব্বন। দিনকাল পালটেছে। যৌথ পরিবারের বাঁধন আলগা হয়েছে। কেউ দিল্লিতে সেটল করেছেন, কেউ বম্বেতে। এ ধরনের পরিবারকে একজোট করার মোক্ষম বাহানা হতে পারত দুর্গাপুজো। এ বাহানায় এত ছায়াছবি হাল আমলে তৈরি হয়েছে যে আমাদের মুখে রুচত কিনা সংশয় আছে। পরিচালক রাজর্ষি দে সবাইকে এককাট্টা করে পাঠিয়ে দিলেন সিধে দার্জিলিঙে। 

আমাদের মনে পড়তে পারে যে ইঙ্গবঙ্গ মানসিকতার প্রতিভূ ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী – মানে সত্যজিতের ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’য় ছবি বিশ্বাস যে ভূমিকায় অভিনয় করতেন – সপরিবার উঠেছিলেন হোটেল উইন্ডামেয়ারে। ষাট বছর কেটেছে। উইন্ডামেয়ারে ছুটি কাটানোর মুরোদ আছে এমন বাঙালির সংখ্যা এত কমে গেছে যে রাজর্ষি ও তাঁর সহলেখক পদ্মনাভ দাশগুপ্ত হালে পানি পেতেন না। বুদ্ধি করে বাগানঘেরা কটেজের গল্প ফাঁদলেন। ওদিকে গত সাড়ে তিন দশকে দার্জিলিঙে বাঙালির মালিকানায় থাকা বাড়ির সংখ্যাও এত কমে গেছে যে হিসেবে আসে না। নেপালি কেয়ারটেকারের জিম্মেদারিতে থাকা এহেন কটেজে কুড়ি বছর বাদে মালিকপক্ষের হাজির হওয়ার মধ্যে কাঁঠালের আমসত্ত্বের মশলা আছে। তবু মেনে নেওয়া গেল। দেববাড়ির বড়দা ত্রিদিবের ডাকে সবাই হাজির হলেন অভিলাষে। বেশির ভাগই কলকাতা থেকে দল পাকিয়ে এলেন। কেউ কেউ পরে জুড়ে গেলেন। নস্ট্যালজিয়ার কুহক টানে যে ছায়াছবির শুরুয়াত হয়েছয়, তা শেষ হল চোখের জলে। 

যৌথ পরিবারের রকমসকম মাফিক অনেক চরিত্র ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’য়। বড়দা-বড়বৌদির (কৌশিক ও বিদীপ্তা চক্রবর্তী) কথা আগেই বলেছি। তাদের একমাত্র ছেলে (অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়) মোটর দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন। এখনও ট্রমা কাটেনি। মেজভাই সুদেব (পদ্মনাভ) দিল্লিতে ব্যাবসা করেন। মেজবৌমা (দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়) অবসাদে ভুগছেন। তাদের মেয়ে (রণিতা দাস) এর শয়নে-স্বপনে-জাগরণে আছেন পিসেমশাই সুমিত্র (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়)। শাশ্বতর স্ত্রী সেমন্তী ওরফে বুনি (অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়) চার ভাই চম্পার পারুল বোন। নামজাদা রাজনৈতিক সংবাদদাতা সুমিত্রকে নিয়ে বাড়ির সেজভাই তথা ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিক দেবেশের (রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রবল অসুবিধে থাকায় এতদিন দেব বাড়ির চৌকাঠ মাড়ানো হয়নি সুমিত্রর। এবারে হল। দেবেশের সঙ্গে স্ত্রী রুচিরার (তনুশ্রী চক্রবর্তী) সম্পর্ক যে বেশ নড়বড়ে সেটাও টের পাওয়া গেল। সবার শেষে বম্বে থেকে এসে পড়ল ছোটভাই (গৌরব চক্রবর্তী) আর তার লিভ-ইন-পার্টনার (দেবলীনা কুমার)। এখানেই শেষ নয়। পারিবারিক বন্ধু পরিবারও এই দলে জুড়ে গেল। এই পরিবারের কর্তা (রূপঙ্কর বাগচী), মেয়ে (সোহিনী গুহরায়) এবং দ্বিতীয় স্ত্রী (প্রিয়াঙ্কা রতি পাল)। দার্জিলিঙে এসে পড়ে জানা যাচ্ছে কেয়ারটেকার জগদীশের (অসীম রায়চৌধুরী) মেয়ে রুচিকা (রিচা শর্মা) ভালোবেসেছিল এ বাড়ির সেজভাইকে। সে প্রেম পরিণয়ে গড়ায়নি। 

full cast of abar aknchenjungha
উচ্চ-মধ্যবিত্ত যৌথ পরিবারের অলস ছুটি কাটানোর ছলে নিজেদের নতুন করে চিনে নেবার গল্প

এত এত চরিত্র এনে যাতে গাজন নষ্ট না হয় সেদিকে সতর্ক ছিল ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’র চিত্রনাট্য। মিনিট দশ-বারোর মধ্যে সবাইকে চিনিয়ে দিয়ে মন দিয়েছিল চার ভাইবোনের দিকে। মন দিয়েছিল আধুনিক দাম্পত্যর টানাপোড়েনে। আপাত সুখী গৃহকোণের আশপাশের গলিঘুঁজিতে ঘুলিয়ে ওঠা চাপ চাপ অন্ধকারে। প্রাকৃতিক অবকাশে নিজেদের ভেতরকার সম্পর্কগুলোকে ঝালিয়ে নেওয়া যায়। ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’ সে পথে গেল। যত এগোল তত মেঘ ঘনাল। চোরা বাঁক নিল ইতিউতি। রহস্য দানা বাঁধল একের পর এক। ঠোকাঠুকি লাগল এনতার। পাহাড়ের দখল নিয়ে বাঙালি-নেপালি লড়াইয়ের মধ্যেই ঢুকে পড়ল। চা-বাগানের মালিকানা, পাহাড়ের আঞ্চলিক দলের সঙ্গে সর্বভারতীয় দলের আসন সমঝোতার সরল বয়ান, এমনকি সিবিআই তদন্তকে কীভাবে হিমঘরে ঢোকানো যায় – তাও বয়ান করল। ওই কটেজের ভেতরে-বাইরে, ম্যালের আশপাশের চিরচেনা জায়গাগুলোতে ছোট ছোট দৃশ্য রচনা করে দেববাড়ির আকাশে ঘনায়মান ঘোর অন্ধকারকে চেনানোর পর দরকার পড়ল একজন প্রবলেম সলভারের। সেই ভূমিকা দেওয়া হল সুমিত্রকে। ম্যাজিক আর মির‍্যাকলের প্রতি আমাদের আস্থা বুঝি দিন কে দিন বাড়ছে। ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’র সোনার কাঠি বুলোনোয় পার্ট পেলেন সুমিত্র।

শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এত ভালো অভিনেতা, প্রেশার সিচুয়েশন এত অনায়াসে হ্যান্ডল করতে পারেন যে সুমিত্রর ভূমিকায় তিনি এই ছায়াছবির সেরা পাওনা হয়ে রইলেন। স্বতঃস্ফূর্ত চরিত্রায়ণে তাঁকে সঙ্গত করলেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। জলের মতো ঘুরে ঘুরে খুলে দেখালেন তাঁর চরিত্রের ঘাঁতঘোঁত। খুবই জটিল চরিত্র পেয়েছিলেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। অথর ব্যাকড রোল। বড়বাড়ির বখাটে ছেলে। শান্তিনিকেতনে লেখাপড়া করে আজ ইধার-কাল উধার করে বেড়ানো রাজনীতিক। সাফারি স্যুট পরা বডিগার্ড নিয়ে ঘোরেন। তারা বেমক্কা নেতার ঘরে ঢুকে পড়েন, তার হাত-পা টিপে দেন। নেতার বন্ধুপত্নী দরবার করতে এলে কান পাতেন। এই সিচুয়েশনে ‘এখানে কি খিচুড়ি খাওয়ানো হচ্ছে, অ্যাঁ? যাও, হোটেলে ওঠো গে যাও। বিল পাঠিয়ে দিও!’ গোছের ডায়লগ আওড়ান রাহুল, পরমুহূর্তে ভোল পালটান। চমৎকার। ভেতরকার দহনের ওপর জুড়ে গেছিল ভঙ্গুর দাম্পত্যের ফাটল চেনানোর দায়িত্ব। মুগ্ধ করেছেন তিনি। কোনও কোনও মুহূর্তে তনুশ্রী চক্রবর্তীও। সিনেম্যাটোগ্রাফার গোপী ভগতের ক্যামেরা তাঁকে বেশিই প্রশ্রয় দিয়েছে। মন্দ লাগেনি আমাদের।

arpita chatterjee and tanushree chakrabarty in abar kanchenjungha
নামী-অনামী কুশীলবদের অভিনয়নৈপুণ্যে ভর করেই তরতর করে এগোয় এই ছায়াছবি

বস্তুত নামী-অনামী কুশীলবদের অভিনয়নৈপুণ্যে ভর করেই তরতর করে এগোয় এই ছায়াছবি। চড়া মেক-আপ আমাদের চোখে লাগে। ডিটেলিঙের উনিশ-বিশ থেকে থেকেই চোখ টাটায়। অন্তঃদৃশ্যের এইসব দুর্বলতা ঢেকে দেয় নিচু চাবির মনস্তাত্ত্বিক অভিনয়। গির্জের ভেতর আদরের ‘পিপি’-র (অর্পিতা) সঙ্গে এক অসাধারণ দৃশ্য আছে হৃদয়-অবুঝ-মেয়ে ঋতজার (রণিতা)। ফিমেল বণ্ডিঙের এমন রূপায়ণ আমাদের আধুনিক মনকে তৃপ্তি দেয়।

এ ছায়াছবির গায়ে মেঘের মতো লেগে আছে গান। সংগীত পরিচালক আশু চক্রবর্তী যে নতুন গানগুলো তৈরি করেছেন সেগুলো শেষমেশ আর কানে লেগে নেই। ড্রোন শটের কারিকুরিতে সেগুলো ফুটে ওঠা সত্ত্বেও নেই। কানে লেগে আছে চিরচেনা সব রবীন্দ্রসংগীত। যে রুচিরা একদিন বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনে গান শিখেছিল, শীতল দাম্পত্যর পাতা ঝরা জলবায়ুতে যে গান ভুলেছিল, সেই রুচিরাকে গানে ফেরাল সুমিত্র। অভিলাষের সিঁড়িতে বসে গাইল সে – ‘দেখো সখা, ভুল করে ভালোবেসো না’। এ গান আর নিছক ‘মায়ার খেলা’র গান রইল না, শুশ্রূষা হয়ে উঠল। গাইতে গাইতে রুচিরার চোখ ছলছল করে উঠল, শুনতে শুনতে সুমিত্রর চোখের কোল ভিজল। ভিজল আমাদেরও। কে গাইলেন জানি না। প্রয়োগের কুশলতায়, দৃশ্যায়ন-সম্পাদনায় মুন্সিয়ানায় গানটা মনে রয়ে গেল। তারপর ধরুন, ছায়াছবির একেবারে শেষের দিকে পাহাড়ি নদীর ধারে জমায়েত হয়েছে সবার। বিষাদে আচ্ছন্ন সবার মন। তখন ভেসে এল ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’। ওই মুহূর্তে পরতে পরতে যে আবেগ জমেছিল সবার মনে, তাকে যেন বনরাজিনীলা পৃথিবীর কাছে মুক্তি দিল রূপঙ্করের গলায় ওই গানটা। খোদ রূপঙ্কর এ গানে ঠোঁট মেলালেন বলে আরও ভালো লাগল। মনে হল, এরই নাম ক্যাথারসিস।

যে দর্শক ‘মেঘে ঢাকা তারা’য় এই কাঞ্চনজঙ্ঘার পটভূমিতে নীতার বেঁচে থাকার আর্তি জেনেছে, কিংবা শুনেছে অস্তায়মান সূর্যের কাছে রেখে আসা ‘এ পরবাসে রবে কে’র অতলান্ত হাহারব, সেই দর্শকের কাছে এমন ক্যাথারটিক মোমেন্টের আলাদা ব্যঞ্জনা আছে। আলাদা ব্যঞ্জনা আছে সেই দর্শকের কাছে যিনি ছায়াছবির টাইটেল কার্ড দেখানোর সময় পর্দা থেকে চোখ সরাননি এবং চিনতে পেরেছিলেন টি এস এলিয়টের ‘দ্য লাভ সং জে অ্যালফ্রেড প্রুফ্রকে’র উদ্ধৃতি। সে উদ্ধৃতি আরও নিদারুণ হয়ে বাজল যখন পিসেমশাই সুমিত্রর জন্য ওই কবিতার প্রথম ক পঙ্‌ক্তি আবৃত্তি করল ঋতজা – ‘লেট আস গো দেন, ইউ অ্যান্ড আই, / হোয়েন দ্য ইভনিং ইজ স্প্রেড আউট এগেইনস্ট দ্য স্কাই…’। যাওয়া তো হল না। কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘাকে সাক্ষী রেখে ওই অচরিতার্থ বাসনা যে দলা পাকাল গলায় তার হদিশ ভ্লাদিমির নবোকভের জানা ছিল না। 

এসব থেকে মনে হতে পারে যে নাগরিক বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণি – যাদের রোজকার হিসেবনিকেশে রবীন্দ্রনাথ-এলিয়ট-সত্যজিতের আনাগোনা আছে, যাদের কাছে কলকাতার বসত বাড়ি আর দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের বি ব্লকের দূরত্ব স্রেফ ভৌগোলিক – তাদের মুখ চেয়েই ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’ বানানো হয়েছে। এই শ্রেণির কাছে দার্জিলিং মেল বা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন নয়, আকাঙ্ক্ষিত কলকাতা থেকে বাগডোগরার উড়ান। এতে দোষের কিছু নেই। ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’র ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর তৃতীয় প্রজন্ম এখন এমনই সামাজিক অবস্থানে বিরাজ করছেন। বাঙালির সাধের আহ্লাদের একান্নবর্তী পরিবার ভেঙেগড়ে এভাবেই টিঁকে আছে কোথাও কোথাও। অনেক চড়াই অনেক উতরাই পেরিয়ে তাদের মনের কাছাকাছি থাকা ভালো-লাগার অনুভব বুনে বুনে ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’ তৈরি করেছেন পরিচালক রাজর্ষি দে। ১৫২ মিনিটের ছায়াছবি। পয়লা এপ্রিল মুক্তি পেল। কদিন বাদে সাউথ সিটির আইনক্সে সন্ধে সাতটা দশের শো ভাঙতে রাত দশটা বেজে গেল। অথচ একজনও অধৈর্য হলেন না, একবারও প্রগলভ হল না চলভাষ যন্ত্র। অকাট্য প্রমাণ যে ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’ লক্ষভেদ করল।

এবারের চোত–বোশেখে বেজায় গরম পড়েছে। তিব্বতের জন্য আঁকুপাঁকু করলে সুবিধে হবে না বুঝে গিয়ে কেউ কেউ উত্তরবঙ্গে পাড়ি দিচ্ছেন। কল-কারখানা-আপিস-আদালত-ইশকুল-কলেজ পুরোদমে খুলে গেছে বলে গরমের ছুটির অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকে। সমতলে থাকলেও মন পড়ে আছে পাহাড়ের কাছে। শুধুই দার্জিলিং না-হোক, আশপাশের ছোট-বড় নানান অবকাশরঞ্জনীর কাছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছে। 

সবার মনের খিদের হদিশ দেবাঃ ন জানন্তি, তবে ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’ তাদের সবার চোখের খিদে মেটাবে – এ হলফ করে বলা যায়।

ছবি সৌজন্য: রাজর্ষি দে

anshuman bhowmick

অংশুমান ভৌমিকের জন্ম ১৯৭৫-এ কলকাতায়। ছেলেবেলা কাটিয়েছেন মামারবাড়ি নবদ্বীপে। গত চার দশক কলকাতার বাসিন্দা বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরিজির এমএ হলেও বাবার 'দেশ' বরিশাল আর মায়ের 'দেশ' নদিয়ার মধ্যে দোদুল্যমান তাঁর অস্তিত্ব। পেশায় শিক্ষক, নেশায় কালচারাল কমেন্টেটর। বাংলা ও ইংরেজিতে লেখালেখি করছেন দু'দশকের বেশি। দেশবিদেশ থেকে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা বারো। 'দ্য টেলিগ্রাফ' ও কৃত্তিবাস-এর নাট্যসমালোচক হিসেবে ইদানীং থিতু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *