জয় ভীম। জয় ভীম।

সুদূর আগামীর কোনও এক যুগে, কোনও এক মহতী ইতিহাসকার গালে হাত দিয়ে নিশ্চয়ই বসে ভাববেন, আচ্ছা, একবিংশ শতকের প্রথম ভাগে, ভারতবর্ষের বুকে হঠাৎ কী এমন ঘটেছিল যে, দেশের সবচাইতে নাকি প্রগতিশীল ক্যাম্পাসগুলোয়, তথাকথিত বাম ইন্টেলিজেনশিয়া, সক্কলকে ছেড়ে বাবাসাহেবের নামগান শুরু করেছিল!

এ দেশে তো, যে মুহূর্ত থেকে দলিত আন্দোলনের নেতা হিসেবে ভীমরাও রামজি আম্বেদকর পরিচিত এবং প্রভাবশালী হতে শুরু করেছিলেন, কমিউনিস্ট পার্টি তাঁকে গালমন্দ করে এসেছে। মানবাধিকার কর্মী ও রাজনীতি-বিশ্লেষক অধ্যাপক আনন্দ তেলতুম্বদে লিখেছেন, “এই কমিউনিস্টরা কখনও জাতিপ্রথার বিরুদ্ধে এতটা ঔদ্ধত্য বা তিক্ততা দেখাননি, যতখানি তাঁরা আম্বেদকরের বিরুদ্ধে দেখিয়েছিলেন।’’

এমনিতে, এ দেশের নামকরা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে, যে কোনও বৃহত্তর রাজনৈতিক-সামাজিক ব্যক্তিত্বের প্রতি সবচাইতে গালাগালপ্রবণ সম্ভবত “কুইসলিং”-খ্যাত কমিউনিস্টরাই। সবতাতেই চিরকাল তাঁদের ভাষ্য অতি তীব্র, সাধারণ সৌজন্যের ধার না-ধেরে। এবং, তাঁদের ও তাঁদের অনুগামী মানুষজনের সবচাইতে পছন্দের গালাগাল সম্ভবত- দালাল। কাকে না বলেছেন! স্বয়ং সুভাষচন্দ্র যেখানে পার পাননি, আম্বেদকর তো কোন ছার! তিনিও যথারীতি সাম্রাজ্যবাদের দালাল! রিফর্মিস্ট ও বিভেদকামী এক নেতা, যিনি অস্পৃশ্য-দলিত জনসমষ্টিকে বিপথে চালিত করছেন, তাঁদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখছেন! এতদ্বারা, শ্রমজীবী মানুষের সংহতি নষ্ট করছেন, তাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছেন!

Ambedkar
১৯৪২ সালে, আম্বেদকর শিডিউলড কাস্ট ফেডারেশন ( এস সি এফ ) প্রতিষ্ঠা করেন

১৯৪২ সালে, আম্বেদকর শিডিউলড কাস্ট ফেডারেশন (এসসিএফ) প্রতিষ্ঠা করেন। কমিউনিস্ট পার্টি যে এসসিএফ-এর বিরুদ্ধে বিরাট গলা চড়িয়েছে, তা নয়। ১৯৫২-তে এসে, তারা বিশেষ নোট অবধি দিচ্ছে এসসিএফ সম্পর্কে। কিন্তু, আম্বেদকরকে যেন কোনওমতেই তারা রেয়াত করছে না। তারা এসসিএফের সেই সমস্ত ইউনিট এবং ব্যক্তিদের প্রতি নজর দিতে বলছে, যারা আম্বেদকরের দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতি মানে না, যাতে তারা দলিত জনসমষ্টির ‘র‍্যাডিকালাইজেশন’-এর প্রক্রিয়ায় সহায়ক হয়। যেন স্পষ্ট ভাবেই এসসিএফের মধ্যে একটা ভাঙন ধরিয়ে, আম্বেদকরকে বিচ্ছিন্ন করে, দলিত আন্দোলনের স্বতন্ত্র অস্তিত্বকে গিলে ফেলে, তাকে সাধারণভাবে শ্রেণী রাজনীতির কমিউনিস্ট স্রোতে হারিয়ে দেওয়ার একটা বার্তা। এ ক্ষেত্রে, আম্বেদকরকে তারা এমনকী জাতপাতভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির দোষে দুষ্ট করতেও ছাড়ছে না।

আরও পড়ুন: গৌতম বসুর কলমে: বিস্মৃত ভাবুক অন্নদাশঙ্কর

কেন? এত কেন রাগ এই লোকটির প্রতি? অথচ আম্বেদকর মার্ক্স সম্পর্কে কোনওকালেই কোনও কটু কথা বলেননি। হ্যাঁ, খানিক সমালোচনা নিশ্চয়ই ছিল। আর্থিক বা বস্তুগত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে, গৌতম বুদ্ধ যেমন করে বলে গেছেন মানুষের আধ্যাত্মিক-বৌদ্ধিক সমৃদ্ধির কথা, আম্বেদকরও বারবার সে কথা বলে যাচ্ছেন। কমিউনিস্ট পার্টি, তার বিপ্লব প্রয়াসে সহিংসতা অবলম্বন, তার রাষ্ট্র পরিচালনার দৃষ্টিভঙ্গি, এই সমস্ত কিছুর সরাসরি বিরোধিতা করে চলেছেন বাবাসাহেব, এমন একটা সময়ে দাঁড়িয়ে, যখন দুনিয়ায় কমিউনিস্ট শাসনে চলছে বৃহত্তম দু-দু’টি রাষ্ট্র, লাল ঝান্ডায় মুড়ে যাচ্ছে বেজিং থেকে বার্লিন। তার মধ্যে আম্বেদকর গণপ্রজাতন্ত্রী চিন রাষ্ট্র নিয়ে, তার সঙ্গে ভারতের বোঝাপড়া নিয়ে, যাকে বলে ঠ্যাঁটামো করছেন, আহ্লাদের “পঞ্চশীল নীতি” নিয়ে ট্যারা ট্যারা কথা বলছেন।

BR-Ambedkar
গৌতম বুদ্ধ যেমন করে বলে গেছেন মানুষের আধ্যাত্মিক বৌদ্ধিক সমৃদ্ধির কথা, আম্বেদকরও বলেছেন

পূর্ব ইউরোপ থেকে পশ্চিম গোলার্ধ জুড়ে যখন বিপুল বিরাট এক উদ্দীপনার তরঙ্গ আছড়ে পড়ছে, দিকে দিকে মুক্তির যেন একটিই পতাকা, একটিই রং, তথাকথিত সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, প্রচারে প্রেরণায় সোভিয়েতের রূপকথা, যেখানে সক্কলকার নাকি সমান অধিকার, অন্ন বস্ত্র বাসস্থান স্বাস্থ্য শিক্ষা, শুধুমাত্র শ্রেণীসংগ্রামের মধ্যে দিয়েই নাকি তা পাওয়া যাবে, শ্রেণী-দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখতে হবে দুনিয়াকে, দেখতে হবে সমাজকে, রাষ্ট্রকে ব্যক্তিকে মুক্তিকে, শ্রেণীই একমাত্র মাপকাঠি, ঘোষণাপত্রের প্রথমেই তো লেখা আছে, আজ অবধি সমস্ত ইতিহাস হল শ্রেণিসংগ্রামের ইতিহাস… আর, তার মধ্যে একটি লোক বলছে, ভারতবর্ষের ইতিহাস আসলে ব্রাহ্মণ্যবাদ আর বৌদ্ধধর্মের নৈতিক দ্বন্দ্ব ছাড়া কিছুই নয়। মানে কী?

Dr._Babasaheb_Ambedkar_delivering_speech_about_renouncing_Hinduism_at_Yeola,_Nashik_on_13_Oct,_1935.jpg_01
নাসিকে ১৯৩৫ সালে বাবাসাহেবের বক্তৃতা যেখানে তিনি ‘হিন্দুত্ববাদ’ নামক রাজনৈতিক হাতিয়ারটির সরাসরি বিপক্ষে দাঁড়ান

এই মানেটুকুন বুঝতেই জগতের যুগের পর যুগ কেটে যায়। যে জগত, ধর্ম কথাটার ইংরিজি প্রতিশব্দ করেছে রিলিজিয়ন আর মার্ক্সের উক্তির খণ্ডিত অংশ ব্যবহার করে, তার অপব্যাখ্যা করে, ধর্মকে বলেছে আফিম, যেখানে মার্ক্স আসলে সংগঠিত রিলিজিয়নের কথা বলতে চেয়েছিলেন এবং উনবিংশ শতকের ইউরোপে আফিমের ব্যবহার নেশার কারণে নয়, তার চাইতে অনেক বেশি এক ধরনের বেদনানাশক ওষুধ হিসেবে, সেখানে মার্ক্সের মূল কথাটি ভুলিয়ে দিয়ে, রিলিজিয়ন-ধর্ম-আধ্যাত্মিকতা-সাম্প্রদায়িকতা সব গুলিয়ে এক করে ফেলে তাকে নেশার সঙ্গে তুলনা করা একটা দল, তাদের পক্ষে সম্ভবত ভারতবর্ষকে বোঝা, তার ইতিহাস ভূগোল সমাজ সভ্যতা মন, আড়াইহাজার বচ্ছর আগেকার ভারতের এক রাজপুত্র কী করে ও কেন আজও আদ্ধেক পৃথিবীর ভগবান হয়ে বসে আছেন, আকাশে বসে থাকা কোনও ঈশ্বরের কল্পকথা যিনি কক্ষনও বলেননি কোথাও, বরং মানুষকে খালি “ধম্ম”-এর কথা বলে গেছেন, সে ধম্ম কী, কেন সে ধম্মের কথায় বিশ্বসংসারে সমস্ত হিংসা ঈর্ষা দ্বেষ আজও শান্ত সমাহিত হয়ে যায় মুহূর্তে, তা অন্তরে অনুধাবন করা, বোধ করি, যে কোনও রকমে শর্টকাটে একটা সশস্ত্র অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্রশক্তির অধীশ্বর হয়ে বসতে চাওয়া একদল বারফাট্টাইবাজ হঠকারীর পক্ষে, পেটে মেকলে বয়ে মুখে টুকরোটাকরা মার্ক্স আওড়ানো বাকতাল্লা বাহিনীর পক্ষে, আদৌ কোনওকালে সম্ভব কিনা, সে এক অবাক আলোচনার বিষয়। বোধহয় অবান্তরও।

আরও পড়ুন: প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলমে: মেরুকরণের রাজনীতি, ভুয়ো খবর এবং সামাজিক মাধ্যম

সাতচল্লিশ-পরবর্তী ভারতে যখন মোহনদাস করমচন্দ গান্ধীকে দেশের এক ও অদ্বিতীয় আইকন করে তোলা হচ্ছে, তখন আম্বেদকর প্রকাশ্যে বলছেন, মিঃ গান্ধীকে তিনি জীবনে কখনও মহাত্মা বলে সম্বোধন করেননি এবং মোটেই মনে করেন না, যে উনি ওই উপাধির যোগ্য। উল্টে, তিনি এই বর্ণব্যবস্থার ক্ষেত্রে গান্ধীকে যথেষ্ট “অর্থোডক্স” বলেই মনে করে এসেছেন। জাতিব্যবস্থার নিম্নতম অংশের দৃষ্টিকোণ দিয়ে তিনি, সমাজের মতো রাষ্ট্র পরিচালনাতেও ব্রাহ্মণ-বানিয়া-ক্ষত্রিয় আঁতাতের “ডিক্টেটরশিপ”-এর ভয় পাচ্ছেন। উল্টোদিকে, ইসলামি খলিফাতন্ত্রের মতো কোনও ডিক্টেটরশিপের ছায়াও দেখতে পাচ্ছেন যেন। দেখতে পাচ্ছেন প্রলেতারিয়েতের ডিক্টেটরশিপের নামে যোশি-ডাঙ্গে-রণদিভে-দের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত হওয়ার অশনি সঙ্কেত।

BR-Amedkar
রাজনৈতিক পরিসরে অস্পৃশ্যের, দলিতের, নিম্নবর্গের প্রতিনিধিত্ব কই, এ প্রশ্ন নির্ভয়ে তুলেছিলেন বাবাসাহেব

আসলে, সে সময়ের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক সংগঠন ঘুরেফিরে তো সেই ইংরিজি শিক্ষিত উচ্চবর্ণের মুঠোতেই বন্দি। অস্পৃশ্যের, দলিতের, নিম্নবর্গের প্রতিনিধিত্ব কই? তাহলে, ভারতবর্ষের ভবিষ্যতের গর্ভেও কি কোথাও তাদের মুক্তির আলো নেই? ক্ষমতার পরিসরে কি কোনওদিনই তাদের অংশগ্রহণ করা হবে না? যুগ যুগ ধরে অবদমিত অত্যাচারিত জাতিগুলির স্বতন্ত্র রাজনৈতিক আন্দোলন ছাড়া কি আদৌ সম্ভব তাদের আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠা? সম্ভব কি আসলে ভারতবর্ষের বৃহত্তম এই জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতা?

ঠিক এইখানটাতেই বোধহয় আম্বেদকরকে নিয়ে সক্কলকার আপত্তি। তিনি ভারতবর্ষকে তার সর্ব অর্থে সবচাইতে নিপীড়িত জনগণের চোখ দিয়ে চিনেছিলেন। যেভাবে চেনা আর কারুর পক্ষে সম্ভব ছিল না। কংগ্রেসের মতো উচ্চবর্ণ-উচ্চবর্গ-নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক শক্তির পক্ষে, হিন্দু মহাসভা বা মুসলিম লিগ ইত্যাদিদের কথা নয় ছেড়েই দিলুম, এমনকী সর্বহারার রাজনীতি করা কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষেও খালি শ্রেণীসংগ্রামের চশমা পরে দেখা সম্ভব ছিল না, আর্থিক শ্রেণীর বাইরেও ভারতবর্ষে শতসহস্র বচ্ছর ধরে বহমান এক অন্য অন্যায়ের বাস্তব।

দ্রুত ভারী শিল্পায়ন, জমিদারি ব্যবস্থার বিলোপ এবং উৎপাদন ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তনের মাধ্যমেই নিম্নবর্ণের মানুষ একদিন নিজেদের জীবন জীবিকা অর্জন করতে পারবেন এবং অস্পৃশ্যতার অন্ধকার থেকে মুক্তি পাবেন– এই তো মোটের ওপর তখনকার কমিউনিস্ট পার্টির রাজনৈতিক লাইন। দীর্ঘকাল ধরে, যে কোনও প্রশ্নেই, নারীর অধিকার, লিঙ্গসাম্য, এলজিবিটি বা জাতিপ্রথা, একটাই উত্তর রেডি ছিল ঠোঁটের আগায়– শ্রেণীসংগ্রাম। ব্যাস। আগে বিপ্লবটা হয়ে যাক, তারপর নয় ও সব…

এখন, বাবাসাহেবের চলে যাওয়ার চার-পাঁচ দশক পরে, সেই কমিউনিস্টদের মুখে, বাম ইন্টেলিজেনশিয়ার স্লোগানে উঠে আসছে জয় ভীম। উঠে আসছে দলিত রাজনীতি। ব্রাহ্মণ্যবাদ। মিছিলে লাল ঝান্ডার পাশাপাশি উড়ছে লিঙ্গসাম্যের ছয়রঙা। রিফর্ম মুভমেন্টকে পাত্তা না দিয়ে আসা, পারলে গালাগাল করে আসা, ক্ল্যাসিকাল বামপন্থা আজ, অন্তত বাংলার বুকে রামমোহন-বিদ্যাসাগর-লালন-চৈতন্যের কথা বলছে। জানি না, জাতীয় স্তরে তাঁরা কবে এই মনীষীদের কথা বলবেন। কবে পার্টি অফিসগুলোয় মার্ক্স এঙ্গেলস লেনিনের পাশে তাঁরা এঁদের ছবিও রাখবেন।

২০১৪ সালের পর থেকে তাঁরা হঠাৎ যেমন করে সংবিধানকে বুকে জড়িয়ে ধরতে শুরু করেছেন, যেমন করে হঠাৎ বুঝতে পেরেছেন সুভাষচন্দ্রের মূল্য, কবে তাঁরা তেমনি করে গৌতম বুদ্ধ বলে এক ভগবানকে মাথায় বসাতে পারবেন, আমি জানি না। ফ্যাসিস্তরা এ দেশের সমস্ত কিছু, সমস্ত মনীষী, সমস্ত প্রতিষ্ঠান, সমস্ত উত্তরাধিকার দখল করে নেওয়ার পর? এলিতেলি বনমালী সক্কলকার হয়ে গিয়ে তারপর, ১৯৯০ সালে এসে মনে পড়েছিল দেশের সংবিধানপ্রণেতাকে ভারতরত্ন দেওয়ার কথা।

Dr_Babasaheb_Ambedkar_with_his_wife_Msisaheb_on_his_birthday_14_April_1948
১৯৪৮ সালে জন্মদিনে তোলা ছবিতে সস্ত্রীক আম্বেদকর

বাম-কংগ্রেস অম্লমধুরে সিক্ত-সম্পৃক্ত ভারত রাষ্ট্রের দার্শনিক ভরকেন্দ্র কোনও দিন এক দলিত নায়ককে দেশের মুখ করে তুলতে চায়নি। বাবুদের আসরে জায়গা হয়নি গান্ধীকে পাত্তা না-দেওয়া কোনও প্রতিস্পর্ধীর। আজ, একটি সর্বগ্রাসী শক্তি এসে যখন, সেই অন্ধকারে বাইরে দাঁড় করিয়ে-রাখা বিরাটদের মুখে আলো ফেলে ফেলে নিজেদের রাজনৈতিক লাভের পরিসর তৈরি করতে লেগেছে, তখন হঠাৎ সেই সমস্ত মানুষের কথা, কোটেশন ঝেড়ে ঝেড়ে প্রমাণ করতে হচ্ছে, যে তাঁরা এই অপশক্তিটির কতখানি বিপ্রতীপে অবস্থান করতেন আসলে। কই, আগে তো কক্ষনও এঁদের কারুর একটি বাক্যও কোথাও উল্লেখ করতে দেখিনি, খালি গান্ধী, গান্ধী আর গান্ধী ছাড়া?

এ পাপ কবে কাটবে ?

*ছবি সৌজন্য: Wikipedia, Wikimedia Commons, Photoartinc

জন্ম কলকাতায়। কর্মও মোটের ওপর এখানেই। কারণ, সম্ভবত এ শহরের প্রতি মাত্রারিক্ত মায়া। যৌবনে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথাগত পড়াশুনোর প্রতি দায়বদ্ধতা ক্রমক্ষীয়মান, উল্টে সিলেবাস-বহির্ভূত নানা বিষয়ে আগ্রহ, বিশেষ করে রাজনীতি, ইতিহাস, ধর্ম, মনস্তত্ত্ব, সাহিত‍্য, সঙ্গীত ও সিনেমা। কর্মজীবনে শুরুর দিকে, বিভিন্ন বিনোদনমূলক বাংলা টেলিভিশন চ‍্যানেলে বেশ কিছু জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের পরিচালক। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সিনেমার দুনিয়ায় সম্মানিত কয়েকটি ফিল্মের সম্পাদক। এরই মধ‍্যে, প্রথম সারির কয়েকটি টেলিভিশন চ‍্যানেলে চাকরি। বর্তমানে স্বাধীন ভাবে তথ‍্যচিত্র ও প্রচারমূলক ছবি নির্মাণ, বিভিন্ন অডিও-ভিস‍্যুয়াল মাধ‍্যমে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত। আর, ব‍্যবসা সংক্রান্ত পরামর্শদাতা একটি সংস্থার অংশীদার। প্রথম প্রকাশিত গদ‍্য ২০০৬, ঋতুপর্ণ ঘোষ সম্পাদিত ‘রোববার’ পত্রিকায় (সংবাদ প্রতিদিন)। পরে, আনন্দবাজার পত্রিকা, এই সময় ও অন‍্যত্র। প্রবন্ধ বা ফিচারধর্মী লেখার পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি ছোটগল্পও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *