ইন্তিবিন্তি: ঘুম অধরা প্রেমিক, আমি নাছোড় স্টকার

সকাল-দুপুর-সন্ধে-রাত্রি আমি স্টক করতে থাকি ঘুমকে কিন্তু ঘুম আমায় ধরা দিতে চায় না। আমার আবার কোনও তুলসী চক্রবর্তীও নেই যিনি কিনা ঘুমচোর হয়ে আমারটি হাতিয়েছেন, যেমনটি তিনি মলিনাদেবীর জন্য, সাড়ে ৭৪ সিনেমায় করেছিলেন। ফলে কাকে ঠিক করে দোষ দেব বুঝে উঠতে পারি না।
যদি বলো রঙিন

গাঢ় কমলা যেন আমায় মনে করিয়ে দিতে পারে প্রবল গরমেও মনে বসন্ত জাগানো যায়। টকটকে লাল রং যেন প্রবল শীতে, সুইৎজারল্যেন্ডের বরফের ওপর শ্রীদেবীর ঠোঁট হয়ে উঠতে পারে। তবেই রঙের মাহাত্ম্য আর মাস্তানি।
নারী দিবস: কিছু যুক্তিজাল

২০২০ সালে দাঁড়িয়ে এখনও আমাদের বার বার প্রশ্ন করতে হচ্ছে যে নারী দিবস পালন করা উচিত কিনা, নারী দিবসের আলাদা করে কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে কি না— অথচ, এত দিনে এ সব প্রশ্ন অবান্তর হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। অন্যান্য ক্ষেত্রে মানুষ যত এগিয়েছে— বৌদ্ধিক এবং সামাজিক দিক দিয়ে, সেই ধারা মানলে এত দিনে সমানাধিকার স্থাপিত হওয়া খুব উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি।
নকল হইতে সাবধান

নকল হইতে সাবধান। এ কথা যে কত খাঁটি, তা বাঙালি তালমিছরির বহর দেখলেই বোঝা যায়। সুতরাং সে অন্যের দেখে নিজের চরিত্র-চলন মোটেও বদলায় না।
মুখোমুখি বসিবার

মুখোমুখি— এই শব্দটা শুনলেই একটাই ছবি মনে ঝিকিয়ে ওঠে বারবার। সারা জীবন চেয়েছি মুখোমুখি কখনও বসলে যেন সেই কাঙ্ক্ষিতকেই পাই জনম জনম। কিন্তু সত্যজিৎ রায় কেবল মাত্র একটি বারই তাঁকে শর্মিলা ঠাকুরের সামনে বসিয়ে ছিলেন, আমার সামনে নয়। কিন্তু সে ফ্রেম আমার মনের সমস্ত প্রেম ছাড়িয়ে ঠিক মধ্যিখানটায় বাঁধানো ঘাটের মতো স্থায়ী হয়ে আছে। এ […]
এত বেশি জাগ্রত, না থাকলে ভাল হত

বসন্ত ব্যাপারটা এখন যেন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে। বসন্ত নিয়ে এত আহ্লাদ করার কী আছে বোঝা দায়! বসন্তের শুরুটা তো এখন হয়ে যায় ভ্যালেন্টাইনস ডে-র অহেতুক আদিখ্যেতা দিয়ে। প্যাচপ্যাচে প্রেম, অতি মিষ্টির ঠেলায় গা গুলোতে থাকে। সেই শুরু ন্যাকা বসন্তের। তার হাওয়া, তার গন্ধ, তার রোদেলা দিন, তার গাছের কচি কচি পাতা, প্রতি বছর তার […]
একা কুম্ভ রক্ষা করে…

আগের কালে বিয়েবাড়ির ভাঁড়ার ঘরের এক জন জবরদস্ত ম্যানেজার থাকতেন। সাধারণত, মেসোমশাই, বয়সে অনেক বড় জামাইবাবু, সেজ কাকু, পাড়াতুতো দাদা গোছের সম্পর্করাই এই ঘনঘটার কাজটি নিখুঁত ভাবে পরিচালনা করতেন। কিন্তু এ দিকে আবার মিষ্টি এবং ফিশ ফ্রাই– এই দু’টি জিনিস ছেলেপুলেদের কাছে ছিল অর্জুনের পাখির চোখের ন্যায়। তাদের উদ্দেশ্যটি অত্যন্ত সরল। কখন কোমরে গামছা বাঁধা […]
মায়ার খেলা

চার দিকে মায়াবি নীল আলো। পেছনে বাজনা বাজছে। তাঁবুর নীচে এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে উড়ে বেড়াচ্ছে সাদা ঝিকমিকে ব্যালে ড্রেসের মতো শরীর জড়ানো পোশাক পরা ছেলেমেয়েরা। তারা ট্র্যাপিজের খেলা দেখাচ্ছে। তারা কি সত্যিই খেলা দেখাচ্ছিল, না কি ম্যাজিক! শিহরণ বুনছিল না কি রূপকথা! চোখের পলক পড়ে না, হাত-পা নড়ে না, মুখ বন্ধ হয় না, […]