একানড়ে : পর্ব ৪

hallucinations horror old house thriller novel illustration

অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে থাকল টুনু। সাধারণ দেওয়াল একটা, কী করে হতে পারে এরকম ! চুপচাপ হাত পা ছড়িয়ে ছোপটা এখন শুয়ে আছে, নিরীহ নির্বিকার।

একানড়ে : পর্ব ৩

hallucinations horror old house thriller novel illustration

‘কে জানে ! দাদার বডি নিয়ে এসেছিল। ট্রাকটা  ধাক্কা দিয়েছিল সাইড দিয়ে। মাথার একদিক ছিল না, ফেটে ঘিলু বেরিয়ে গেছিল, আর চোখটা ঝুলছিল। কিন্তু অন্যপাশটা একদম ঠিকঠাক ছিল, দেখে মনে হবে ঘুমোচ্ছে। আমি অনেকদিন স্বপ্ন দেখেছি, দাদা আমাদের ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে কাঁদছে আর খুব চেষ্টা করছে চোখটাকে আবার সেট করে নিজের জায়গায় বসাতে, কিন্তু পারছে না। ভাল চোখটা থেকে জল বেরচ্ছে খালি।’ 

একানড়ে (পর্ব ২)

‘লজ্জা করে না গায়ে হাত দাও?’ ‘ছেনাল মেয়েছেলের আবার সম্মান !’ ‘তুমি চাইলে চলে যাও জয়রামতলা কিন্তু ছেলেকে নিয়ে যাবে না !’ ‘গলা উঁচু করবে না, এরকম অনেক দেখেছি ! তোমার তেজকে ভয় পাই ভেবেছ?’ কথাগুলো যখন ছিটকে আসত, তার ভেতরের ভয়গুলো ফ্রিজে রাখা দুধের প্যাকেটের মত ঘেমে উঠত

একানড়ে (পর্ব ১)

‘খিদে পেলে নুনে জারানো কান খায়। শুধু মাঝে মাঝে নেমে আসে, তারপর  হেঁটে হেঁটে ওই যে জঙ্গলের মাথায় গম্বুজ ওখানে চলে যায়। ওই গম্বুজের গা ঘেঁষে নদী চলে গেছে, যেখান থেকে মাছ  তুলে এনে একানড়ে শুকুতে দেয় গম্বুজের মাথায়। তারপর  সেই শুঁটকি মাছ  আগুনে পুড়িয়ে খায়।

পাঠজন্ম (গল্প)

উদ্ভাসিত মিলির শরীর পাশের বাড়ির দোতলা থেকে ছিটকে আসা ম্লান বাল্বের হলদেটে আলোয় নরম মোমের পুতুলের মত গলে যাচ্ছিল, দেখতে দেখতে চোখ বুজে ফেলল ইন্দ্র। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আপন মনে হাসল, যখন মিলি প্যাকেট থেকে ম্যাগগুলো বার করে করে দেখছে, আলগা ভালোলাগা ঝুলছে গালের তরুণী ভাঁজ থেকে। ইন্দ্র তাকে পাশ কাটিয়ে কুয়োতলায় গেল হাত পা ধুতে।

মানবপুত্র (গল্প)

illustration by Alekhya Talapatra

সন্ধেবেলায় বাদশাদাদা রুটি আলুভাজা খায়, নাহলে চায়ের সঙ্গে সিঙ্গাড়া। টাবু নানা ছলছুতোয় তখন বাদশাদাদার বাড়ি যায়। কিন্তু হাবু তার মাথায় চাঁটা মেরেছিল, ‘হ্যাংলা কোথাকার! ওরা বোঝে, তুই কেন যাস।’