একটুকু ছোঁয়া লাগে (গল্প)

কিন্তু এখন একটা অজানা টেনশন কাজ করছে লীনার মনে। কই একটু আগেও তো এমন মনে হচ্ছিল না। ফোনটা ধরল না সে। সঙ্গেসঙ্গেই কেকার ফোন। নাহ! এবার স্নানে অব্যাহতি দিতেই হবে। গা মুছতে মুছতেই আবার দূর্বার ফোন।
লকডাউনে সহজ খানা!

বড়োরা এই লকডাউনের মধ্যে জলখাবার বা বিকেলের নাস্তা স্কিপ করলেও ছোটরা যেন সেটা না করে। বড়োরা চা-বিস্কুট খেয়ে ক্ষান্ত দিলেও ছোটদের করে দেওয়া যাক এসব পুষ্টিকর আর মুখরোচক খাবার। বেচারাদের সেদ্ধভাত, খিচুড়ি-আলুভাজা, ডাল-ভাত-ডিমভাজা থাক দুপুরে। বিকেলে ওদের এমন বানিয়ে দাও না এক-আধদিন! …
করোনার যুগে ভরোসার রান্না

এখন করোনার লকডাউন পিরিয়ডে আমাদের সহকারীরা কাছে নেই। তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দিলে বিপদ দু’পক্ষেরই। তাই এই দুর্যোগের দিনে আমাদের নিজেদের কাজ নিজেদেরই চালিয়ে নিতে হবে। এছাড়া মনে রাখতে হবে, এই সময় ‘রিসোরসেস আর লিমিটেড।’ কিন্তু তাই বলে আমাদের ক্রিয়েটিভিটি কিন্তু আনলিমিটেড! তাই বুঝেশুঝে খরচা করতে হবে সঞ্চিত জিনিসপত্র। আর যেহেতু সহকারীরা কাছে নেই তাই সবজি কাটার সময়, মশলা বাটার সময় যেন বেশি না হয়ে যায়। কারণ তাহলে কুকিং টাইম আবার ইটিং টাইমের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে যাবে। গৃহিণীদের গলদঘর্ম অবস্থা হবে এবং সেটা পোষাবে না।
করোনার কুশপুতুলি

আচ্ছা এতে রাখঢাকের কী আছে মশাই? রোগ হলে হবে, হয়েছে। স্বীকার করুন। সবার বাড়িতে আমাদের বুড়োমানুষেরা আছেন, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিসে ভোগা প্রচুর মানুষ রয়েছেন। আমাদের লিফট ইত্যাদি পরিষ্কার করা হচ্ছে সর্বক্ষণ। কিন্তু সেই ছেলেগুলি গায়ের জোরে আবার ঢুকে পড়বে না তো? সারাক্ষণ স্যানিটাইজেশন চলছে। পেপারওয়ালা, পুজোর ফুল, দোকান থেকে কয়েন ফেরত নেওয়া, স্যুইপার, মালি, ড্রাইভার সব বন্ধ করে আমরা হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছি। কিন্তু অবোধ এই বালকেরা? এরা এত অবাধ্য? প্লিজ কথা শুনুন সবাই। রোগ লুকোবেন না। রোগ ছড়াবেন না।
কাফকার বাড়িতে কফি!

এইবার প্রাগের সেই সোহাগী দুপুরে হাঁটতে হাঁটতে হাজির হলাম ফ্রান্জ কাফকা স্কোয়ারে। “ক্যাফে কাফকা” ফ্রাঞ্জ কাফকার বসতবাটি ছিল। এখন ব্যুটিক কফিশপ। লেখালেখি করি বলে আচ্ছন্ন হই কিছুক্ষণের জন্য।
দোলপুরাণ

হোলিকা দহনের উৎস হল পিতাপুত্রের চিরাচরিত ইগোর দ্বন্দ। ধর্মান্ধতার ইগো। বাবা স্বৈরাচারী দৈত্য রাজা হিরণ্যকশিপু আর ছেলে বিষ্ণুর আশীর্বাদ ধন্য প্রহ্লাদ। বাবা বিষ্ণু বিরোধী দাপুটে রাজা তাই তাঁকে মানতেই হবে। পুত্র ঠিক উল্টো। বিষ্ণুর সমর্থক, বিষ্ণু অন্ত প্রাণ।
হেয়ারড্রায়ার কিসসা (গল্প)

মেমসাহেবের কেতাদুরস্ত স্নানঘরেই ঝুলে থাকত হেয়ারড্রায়ারটা। প্রথম প্রথম বড় লোভ হত সুদক্ষিণার। ভাড়াটে হয়ে এ বাড়িতে যবে থেকে সে উঠেছে, তবে থেকেই দেখছে সেটাকে। কিন্তু অন্যের জিনিস বলে হাত দিয়ে নেড়েচেড়ে দেখবে বা নিজের চুল শুকনোর জন্য ব্যবহার করবে বলে ভুলেও ভাবেনি সে। ছুঁয়েও দেখেনি। কারণ সুদক্ষিণার মাথায় একরাশ কালো চুল নেই। এদেশে আসার আগেই সে বয়কাট করে ফেলেছে। তাই চুল শুকনোর ঝামেলাও নেই। তবুও রোজ চানঘরে ঢুকেই সুদৃশ্য বেসিন কাউন্টারের পেল্লায় আয়নার পাশে ঝুলতে থাকা হেয়ারড্রায়ারটায় চোখ পড়ে।
হাওয়াবদলের খাওয়াদাওয়া

ঋতু বদলের সময়টায় রোদ্দুরের কমবেশি চলতেই থাকে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে ঠান্ডা-গরমের চোখরাঙানি। এই মেঘ করা গুমোট, তো এই উজ্জ্বল রোদ। আচমকা বৃষ্টি! আবার তারপরেই ফিরে আসা শীত। এমনি করতে করতেই একসময় বিদায় নেয় শীতকাল। আমাদের পরম আদরের শীত ফুরিয়ে এলেই মনখারাপের ওপর প্রলেপ দিতে প্রস্তুতি নিই আমরা। বিদায়ী শীতের প্রস্থান আগেভাগেই যেন […]