অনুরণন (কবিতা)

বাস ছাড়ার সময়ের মুহূর্তটাকে কোনওদিন অভিশাপ দিতে পারে না, / এমনকি ঠোঁট দিয়ে হাত ছুঁয়ে দেবে ভেবেও ছুঁতে পারে না,আমি অনেকটা তাদের মতো…
আলাপচারিতার সোপান (কবিতা)

তারপর…
ট্রাম, হাতেটানা রিকশা, সাঁতার কাটার শব্দ, প্রেমের ছোঁয়াছুঁয়ি…
দেখতে দেখতে দেখতে বইপাড়া।
ধারালো লেখার মতো দুপুর, পুরনো মলাট বিকেল
দুটো হাতের ছোঁয়ার লালন
একটা ল্যান্ডস্কেপের অক্ষরমালা

অর্ক আর ঝিলিকের সম্পর্কে লম্বা ছায়া ফেলে ঝাউবন। জঙ্গলের কটেজে কফির ধোঁয়া মিশে যায় কুয়াশায়।
মেঘরাশি ঢেউলগ্নের মেয়ে (গল্প)

ইশ্ আজকেও এগারোটা হয়ে যাবে ফিরতে ফিরতে। মোবাইল সুইচড্ অফ দেখে রাহুল নিশ্চয়ই বাড়িতে ফোন করবে। পাবে না। দেখা হয় না কতদিন। আকাশে ঘন মেঘ। সেই সন্ধ্যের পর থেকেই। দমকা ঠান্ডা হাওয়ায় জানলা খোলা রাখা যাচ্ছিল না। তাই বাইরেটা দেখা না গেলেও শব্দের ঘনঘটায় বোঝা যাচ্ছিল একটা বেশ ওলটপালট হচ্ছে। এখন আবার বৃষ্টিও নেমেছে। সঙ্গে […]
বিসর্জন লেন

একটা আলতো শীত মেখে দাঁড়িয়ে আছে শহরটা। কেমন যেন আনমনা। বা উদাসীন। মাঝরাতে জানলা খুলে দেখা কার্নিশে দুটো বেড়ালের লড়াই বা ল্যাম্পপোস্ট চুঁইয়ে পড়া আলোর ছায়াপথ, কুয়াশার ভেতর হারিয়ে যাওয়া গলিমুখ, অবিরাম ডেকে চলা কুকুরগুলোর সাথে মাতালের কথার টুকরো সংলাপ অথবা পুলিশের টহলদার জিপের নিঝুমকাড়া ভাঙাচোরা শব্দ, এইসব ইলিউশনের ট্রাফিকে ঈশান অহেতুক আটকে পড়ে প্রায়ই। সবকিছুতেই একটা দেরি ওকে পিছিয়ে দেয়।
পোষ মানানোর খেল

আগে সার্কাস মানে ছিল একটা মিনি চিড়িয়াখানা। বাঘ, সিংহ, হাতি, জলহস্তি, উট, ঘোড়া, কুকুর, ম্যাকাও, কাকাতুয়া-সহ নানারকম পাখি। সেইসব বাঘ-সিংহের খেলা দেখানো এখন ইতিহাস বা রূপকথা। অন্যান্য প্রাণীদের সার্কাসে ব্যবহার করাও হয়ত আগামীতে আইন করে বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাতে আকর্ষণ কমবে সন্দেহ নেই। যেমন কমেছে বাঘ-সিংহের অনুপস্থিতিতে। কমেছে জৌলুস। উত্তেজনা। উন্মাদনা। আগে যেমন বাড়ির লোকের সন্তানকে সার্কাস দেখাতে নিয়ে যাওয়াটা একটা আবশ্যিক বিষয় ছিল, এখন তেমন নেই আর।
মনের ঝুলবারান্দা

আমি সুরঞ্জন। একটা অদ্ভুত সমস্যায় পড়েছি জানেন! কার সঙ্গে আলোচনা করব বুঝতে পারছি না। বাড়িতে আমি একা। না মানে ঠিক একা নই, সঙ্গে কয়েকটা বদ্রী পাখি আর দুটো বেড়াল আছে। অ্যাকোরিয়ামও আছে একটা। পাথর ভরা। জল নেই। এসব মৌলির শখের জিনিস। মৌলি আমার স্ত্রী। মৌলি থাকলে মাছগুলোও থাকত। সবথেকে বড় কথা আমার সমস্যাটা ওর সঙ্গে […]