করোনার বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়াতে, আমরা বুড়োরা আবার পার্কে প্রাতর্ভ্রমণ শুরু করেছি। হাঁটা সামান্যই, বাকিটা সিমেন্টের বাঁধানো বেঞ্চে বসে দেশোদ্ধার করা। রান্নার গ্যাস আর পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে একেবারে ভারত পাকিস্তানের ঝামেলা কী করে সহজে মিটমাট করা যায়, সব নিয়েই আমরা গভীর আলোচনা করি। অগ্রণী ভূমিকা নেন রিটায়ার্ড প্রফেসর ডঃ বড়াল। যাদবপুরে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন। কিন্তু সব বিষয়েই ওঁর একটা বিশেষ মতামত থাকে। পাড়ার ছেলে ছোকরারা অবিশ্যি ওঁকে এড়িয়ে চলে। কারণ, ফলের দোকানে, বাজারে কোনও স্কুল বা কলেজ পড়ুয়াকে দেখলেই এমন সব জটিল প্রশ্ন করেন, বা জ্ঞান দেন, যে তারা ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি বলে পালায়। এদিকে বড়াল সাহেবও ছাড়বার পাত্র নন। প্রায়ই ‘অ শ্যামাদাস, বোস তো দেখি এখানে’ করে যখন কোনও ছাত্রকে তিনি ধরেন, সে আর পালাবার পথ পায় না। এবং কখনওই তারা প্রফেসর বড়ালের পদার্থবিদ্যার গুঢ় তত্ত্বের বা প্রশ্নের মনোমতো উত্তর দিতে পারে না। হতাশ বড়ালবাবু তাই প্রায়ই আক্ষেপ করেন– সব অপদার্থের দল। দেশের আর কিসুই হইল না।
আমাদের আড্ডায় অবিশ্যি ওঁর মনের যথেষ্ট পুষ্টি হয়ে যায়, কারণ এখানে উনিই প্রধান বক্তা আর আমরা একনিষ্ঠ শ্রোতা। এবার অনেকদিন পরে আড্ডায় এসে সবাই একমত যে বাড়িতে বসে বসে সবাই তিতিবিরক্ত। আমাদের অধিকাংশের ছেলেমেয়েরা বাইরে থাকে। কলকাতাতে থাকলেও, একসঙ্গে থাকে না। পত্রনবিশবাবু বিপত্নিক। উনি আবার টিভিও বিশেষ দেখেন না। গল্পের বইও পড়ার অভ্যাস নেই। সারাদিন বাড়িতে বসে প্রায় কিছুই করার নেই। উনিই প্রথম কথাটা বললেন– ভাবছি একটা কুকুর বা বেড়াল পুষব। শেষ জীবনের ভালো সঙ্গী। আর দেখভাল করে সময়টাও কাটবে ভালো। আমরা উৎসাহ দিই…
– বেশ তো! দেরি কেন তাহলে? পেট হোম থেকে নিয়ে আসুন কুকুর বা বেড়াল।
– আসলে ডিসিশন নিতে পারছি না। পত্রনবিশ পেট চুলকে বলেন
– কুকুর না বেড়াল… আসলে পোষ্য ব্যাপারে আমি একেবারেই নবিশ কিনা…
– দেখুন কুকুর ব্যাপারটা বেশ কমন। বরং আপনি একটা বেড়াল পুষুন। কুকুরের তুলনায় অনেক লো মেন্টেনেন্স, আওয়াজ কম, বাড়িতে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে মুক্তি, কুকুরের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে।
আমি অনেকগুলো সুবিধা দেখিয়ে দিই। আসলে ছোটবেলায় আমাকে একবার কুকুরে কামড়েছিল। তাই আমার কুকুর সম্পর্কে একটু অ্যালার্জি আছে। পত্রনবিশবাবু সহমত হয়ে বললেন,
– আমিও সেরকমই ভাবছিলাম। কিন্তু আসলে বেড়াল-পুষিয়ে কারুর সঙ্গে আমার আলাপ নেই তো। তাই নানারকম প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাচ্ছি না। তারপর ধরুন, কুকুর যেমন বন্ধুত্বের জন্য, লয়্যাল্টির জন্য পরিচিত, কিন্তু বেড়ালের সঙ্গে বনিবনা হবে তো? শেষে নিয়ে তো ফেললাম একখানা মার্জার কিন্তু অ্যাকুইজিশনটা ঠিক মিউচুয়ালি বেনিফিশিয়াল হল না, তখন?
যেই না এই ‘কী হলে কী হবে’ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন এককালের কর্পোরেট মার্জার অ্যান্ড অ্যাকুইজিশন বাভাগের বড়কত্তা পত্রনবিশ, অমনি ডঃ বড়াল ফস্ করে বলে উঠলেন– তাহলে ওটা শ্রডিঞ্জারের বেড়াল।
– আজ্ঞে? কার কথা বলছেন? কার বেড়াল ?
আমাদের সকলের হয়েই প্রশ্নটা করলেন পত্রনবিশবাবু। তারপর আরো জুড়ে দিলেন…
– ওহ্! ঐ কালকের ছোকরা সৃঞ্জয়, যে ঐ মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানিতে কাজ করে বলে একটা কেউকেটা গোছের ভাব নিয়ে চলাফেলা করে? সে যে বেড়ালও পোষে তা জানা ছিল না তো।
– আরে, ধুর মশাই, সৃঞ্জয় নয়, সৃঞ্জয় নয়। শ্রডিঞ্জার। আরউইন শ্রডিঞ্জার। আর তিনি কালকের ছোকরা নন, আইনস্টাইনের সময়কার এক বিরাট মাপের বৈজ্ঞানিক।
বড়ালবাবু স্বভাবতই আমাদের অজ্ঞানতায় বিরক্ত।
– অ তাই বলুন। তা সেই শ্রডিঞ্জার না কার কথা বলছেন, তিনি কি বেড়াল পুষেছিলেন? তাই নিয়ে কোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন?
– হরিবোল, হরিবোল…

বড়ালবাবু ভগবানের নাম নিলেন নাকি ইংরাজিতে horrible বললেন, আমরা ঠিক ঠাহর করতে পারলাম না, তবে এটুকু বুঝলাম উনি খুবই বীতশ্রদ্ধ। অতএব তৈরি হলাম জ্ঞান বিচ্ছুরণের অপেক্ষায়। বড়ালবাবু বেড়াল বৃতান্ত শুরু করলেন:
– যতদূর জানা যায় শ্রডিঞ্জারের কোনও পোষা বেড়াল ছিল না, বরং একটা কুকুরই ছিল। ‘শ্রডিঞ্জারের বেড়াল’ একটা ‘থট এক্সপেরিমেন্ট।’
আমরা আবার হোঁচট খেয়েছি। আমাদের মুখ দেখেই বড়াল সাহেব বুঝলেন যে আমরা বিন্দুবিসর্গও বুঝিনি। উনি নতুন উদ্যমে আবার শুরু করলেন:
থট্ এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে একটা হাইপোথেটিক্যাল সিচুয়েশন অর্থাৎ কল্পিত পরিস্থিতি, যার দ্বারা বিজ্ঞানের কোনও একটি তত্ত্ব বা থিয়োরি বোঝানো হয়। এগুলো ল্যাবরেটরিতে করা সম্ভব নয় বলেই চিন্তনের মাধ্যমেই করতে হয়। ‘শ্রডিঞ্জারের বেড়াল’ সেরকমই একটা থট এক্সপেরিমেন্ট। ১৯৩৫ সালে শ্রডিঞ্জার এই চিন্তন পরীক্ষার মাধ্যমে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের এক গুঢ় তত্ত্ব বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। সে কীরকম? ধরা যাক একটা বেড়ালকে একটা স্টিলের বন্ধ বাক্সে ঢুকিয়ে দেওয়া হল, যেখানে একটা ক্ষুদ্রতম তেজষ্ক্রিয় বস্তুও আছে যা প্রতি ঘণ্টায় একটু করে ক্ষয় হতেও পারে, আবার না-ও হতে পারে। কিন্তু যদি ক্ষয় হয়, তাহলে তার সঙ্গে লাগোয়া একটা হাতুড়ি বাক্সের ভেতরেই রাখা একটা হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিডের টিউবের উপর পড়বে এবং তা ভেঙে বিষাক্ত গ্যাস বেরবে। এই গ্যাসের প্রভাবে বেড়ালটা মারা যাবে। এখন বাক্সের বাইরে থেকে এটা বলা সম্ভব নয় যে বেড়ালটা বেঁচে আছে না মরে গেছে। বাক্সের ভেতরে কী আছে, সেটা দুটো পারস্পরিক বিপরীতধর্মী অবস্থার মিশ্রণ– অর্থাৎ বেড়ালটা বেঁচেও থাকতে পারে অথবা মরে গিয়েও থাকতে পারে। আসল ঘটনা জানতে হলে, বাক্সটাকে খুলতেই হবে।

আমরা সবাই কিছুক্ষণ চুপ। অতঃপর পত্রনবিশবাবু নিজের নাকের উপর ঝুলে পড়া চশমাটা ঠেলে দিয়ে বললেন–
– বোজো! এ তো চন্দ্রবিন্দুর চ, বেড়ালের তালব্য শ আর রুমালের মা!!
– বুঝলেন না? বড়াল নাছোড়বান্দা…
– মানে বেড়ালের সঙ্গে আপনার বনিবনা হবে কি না দেখতে, আপনাকে আগে বাক্সটা খুলতে হবে। অর্থাৎ এগিয়ে যান, বেড়াল পুষুন। তবেই তো বুঝবেন সুবিধে আর অসুবিধে!
– সত্যি বাবা, আপনি পারেনও।
বড়ালের বেড়াল বৃতান্তে পত্রনবিশবাবু বোধহয় একটু অসন্তুষ্ট।
– সহজ কথা কি সহজভাবে বলা যায় না? বেড়াল পোষার পর তো তার ভালোমন্দ জানা যাবেই, এ আর বলার কি আছে? তার জন্য এত তত্ত্বেরই বা দরকার কী?
– তাহলে তো আর আড্ডার কোনও মানে হয় না। আড্ডায় যদি জ্ঞানের আদানপ্রদানই না হল, তবে তো সেটা নিছক একটা টাইমপাস্! সময় নষ্টও বলা যায়।
– তা তো ঠিকই।
আমি বড়ালবাবুকে সামান্য সমর্থন করে ব্যাপারটাকে হাল্কা করার চেষ্টা করি। তাতে বোধহয় বড়ালবাবু উৎসাহিত বোধ করেন। এমন লোককে সমর্থন করার এই বিপদ। আরো প্রবল আকারে তাদের জ্ঞানের বর্ষণ শুরু হয়। অবিশ্যি এবার যা বললেন ভদ্রলোক, সেটা বেশ ইন্টারেস্টিং।
– আরে শুনুন না, আরো আছে। এই যে পত্রনবিশবাবু বললেন না চন্দ্রবিন্দুর চ ইত্যাদি? এটা তো সুকুমার রায়ের ‘হ য ব র ল’ বই থেকে নেওয়া। ওটা বেরিয়েছিল ১৯২১ সালে। অর্থাৎ আজ থেকে ঠিক একশো বছর আগে। তো যেটা বলতে চাইছি, যে এই ‘হ য ব র ল’ গপ্পোটাকে শুধুমাত্র ননসেন্স ভার্স হিসেবে ভাববেন না কিন্তু! আমি তো বটেই, অনেক বিজ্ঞান গবেষকেরই মনে হয়, শ্রডিঞ্জারেরও প্রায় চোদ্দো বছর আগে, সুকুমার রায়ও এই একইরকম ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন।
এই মন্তব্যে যথারীতি চাঞ্চল্য দেখা গেল। একদল বৃদ্ধ এগুলোকে পাগলের প্রলাপ, গাঁজাখুরি গালগল্পের শুরু হিসেবে দাগিয়ে দিলেন। আবার আমার মতন কয়েকজন ব্যাপারটাতে বেশ একটা মজাদার তর্কের ইন্ধন পেলেন। অতএব বড়ালবাবু ফের শুরু করলেন।
– না না, ভেবে দেখুন, ‘হ য ব র ল’ তে কী কী লেখা ছিল? আচ্ছা আমি কয়েকটা উদাহরণ দিচ্ছি, মনে করে দেখুন! এক নম্বর, ‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল বেড়াল।’ আপাতদৃষ্টিতে আজগুবি, তাই তো? কিন্তু ভেবে দেখুন সুকুমার বলছেন– বেড়ালটা আছেও আবার নেইও। সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয় তার অস্তিত্ব সম্বন্ধে। অনেকটা শ্রডিঞ্জারের বেড়ালের মতন, তাই না? মানে বেড়ালটা বেঁচেও থাকতে পারে আবার মরেও যেতে পারে। আবার দেখুন আর এক জায়গায় সেই বেড়ালটা বলছে তার গেছোদাদা কোথায় আছে সেটা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। বলছে– ‘মনে করো তুমি যখন যাবে উলুবেড়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে, তখন তিনি থাকবেন মতিহারি। যদি মতিহারি যাও, তা হলে শুনবে তিনি আছেন রামকিষ্টপুর। আবার সেখানে গেলে দেখবে তিনি গেছেন কাশিমবাজার। কিছুতেই দেখা হবার যো নেই।’
– আরিব্বাস্, ভালো ফেঁদেছেন তো এই গপ্পোটা!
– আরো আছে, মশাই আরো আছে। ভুললে চলবে না, সুকুমার রায়ও কিন্তু পদার্থবিদ্যায় স্নাতক। এবং ওরকম ক্ষণজন্মা পুরুষ, দূরদ্রষ্টা হতেই পারেন। এই পৃথিবীতে কতরকম আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে বা ঘটছে যার আপাতদৃষ্টিতে কোনও ব্যাখ্যা হয় না। আমি তো বলবো, সুকুমার রায় এও বলে গেছিলেন যে চোদ্দো বছর পরে ওঁর এই প্যারাডক্সিক্যাল থিওরির ব্যাখ্যাও করবে কেউ কেউ– এক্ষেত্রে যা শ্রডিঞ্জার করেছিলেন।
– কীরকম, কীরকম?
– মনে করে দেখুন না, বেড়াল যখন তার গেছোদাদাকে খুঁজে পেতে জটিল প্রব্যাবিলিটির কথা বলছিল, তার খানিক পরেই কাক্কেশ্বর কুচকুচে এসে গণনা করে কী বলেছিল।

– কী বলুন তো? ঠিক মনে পড়ছে না…
– বলছি। বলেছিল, সাত দুগুণে কত হয়? উত্তর চোদ্দো। অনেকেই মনে করেন, সুকুমার রায় গুপ্তসঙ্কেত দিয়ে গেছিলেন যে ঠিক চোদ্দো বছর পরে এই আপাত স্ববিরোধ বা প্যারাডক্সটি প্রকাশিত হবে।
– ধ্যার বাবা। যত্তসব আজগুবি।
পত্রনবিশ বিরক্তমুখে মাথা নাড়েন।
– তা এতই যদি জানা ছিল, তাহলে উনি নিজেই তো, কী বলে, আপনার ঐ থট এক্সপেরিমেন্টটা করে যেতে পারতেন।
– না, সেটা সময়োপযোগী হত না। বড় বড় কৃতি মানুষেরা সেটা বোঝেন। আর তাই নিজের কাজের মাধ্যমে নিজের স্বাক্ষরে গোপনে সেই সঙ্কেত দিয়ে যান। এ তো হামেশাই লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, নিউটনের মতো জ্ঞানীগুণীরা আগেও করে গেছেন। সিমবায়োলজিস্ট বা যাঁরা সঙ্কেত নিয়ে পড়াশুনো করেন, তাঁরা এগুলো পরবর্তীকালে আবিষ্কার করেন। মনে রাখতে হবে, সুকুমার ও শ্রডিঞ্জার দু’জনেই ১৮৮৭ সালে জন্মেছিলেন। কিন্তু সুকুমার জানতেন তিনি বেশিদিন বাঁচবেন না। অতএব কাজটা অন্য কাউকেই সম্পন্ন করতে হবে পরে। ঠিক যেমন চার্লস্ ডজসন, যিনি বেশি পরিচিত লিউস ক্যারল হিসেবে, যখন অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড লেখেন, তখন অনেক গুপ্ত প্রশ্ন তাঁর আপাত আজগুবি গল্পের মধ্যে রেখে গেছিলেন। পরবর্তীকালে আইনস্টাইন সেইসব উত্তর খুঁজে বার করার চেষ্টা করেন। ফলে ক্যারলের খরগোশের গর্ত হয়ে যায় বিজ্ঞানের ‘wormhole’ যেখানে নিউটনের সূত্র আর খাটে না। সে গল্পে বলা হয়েছিল অ্যালিস একবার ন’ ফিট লম্বা হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে প্রমাণ হয়েছিল যে আলোর গতিতে গেলে, বস্তুর আপাত আকৃতি অনেকসময়ই বদলে যায়। সেটাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘লরেনৎস ট্রান্সফরমেশন’ (Lorentz transformation) হিসেবে জানি। মনে রাখতে হবে লিউস ক্যারলও একজন বিদগ্ধ গণিতজ্ঞ ছিলেন। এরকম আরো অনেক গল্প আছে… যেমন আইনস্টাইন কেন বলেছিলেন ‘God does not play dice!’ তবে সেটা আর একদিন বলব।
আমরা সবাই একটু তাজ্জব বনে গেছি। তাই কিছুক্ষণ সব চুপচাপ। হঠাৎ চমক ভাঙল ‘মিয়াঁও’ ডাকে! আরে, এটা কখন এল? দেখি পায়ের কাছে গুটিশুটি মেরে এসে বসেছে পাটকিলে ছোপ ধরা একটা হুলো। আমাদের সশব্দ আলোচনা থামতে, সে নিজের উপস্থিতি জানান দিল ম্যাঁওরবে। আর ওমনি মনে পড়ে গেল, আজই তো শ্রডিঞ্জারের জন্মদিন!
*ছবি সৌজন্য: Simply Charly, Times Literary Supplement, Outlook
‘কুহকী’ তাঁর ছদ্মনাম। এ নামেই প্রকাশিত হয়েছে “একলব্য অতঃপর ও অন্যান্য গল্প" বইটি, যা পাঠকের ভালোবাসা পেয়েছে। কুহকীর জন্ম ১৯৭৫-এ কলকাতায়। আইআইটি থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার, বর্তমানে একটি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পেশা হলেও দেশবিদেশের সিনেমার বিশেষ অনুরাগী। নেশা, সাহিত্যচর্চা ও ছবি আঁকা।
Khub bhalo hoyeche…
বাঃ খুব সুন্দর👌👌👌
বিজ্ঞান ও সাহিত্য কে একেবারে গুলিয়ে দিয়েছো।
বাঃ খুব মনোরঞ্জক! সাহিত্য ও বিজ্ঞানের অপূর্ব সমন্বয়।
লেখকের আরও সৃষ্টির আশায় রইলাম।
khub shundor likhechish – besh interesting and onyo rokom