এবার একজন শিক্ষক বললেন, শিক্ষা সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন।
এবং তিনি বললেন:
তোমাকে কোনও শিক্ষাই কেউ দিতে পারবেনা, জ্ঞানোন্মেষের ভোরে, আধো জাগরিত অবস্থায়, এক সুপ্তজ্ঞান হিসেবে, আগেই তা যদি তোমার মধ্যে নিহিত না থাকে।
যে শিক্ষক, অনুসরণকারী পরিবৃত হয়ে মন্দিরের ছায়ায় হাঁটেন, তিনিও কিন্তু তাঁর প্রজ্ঞা দান না করে আসলে দিতে থাকেন তাঁর স্নেহ এবং বিশ্বাস।
যথার্থ সেই জ্ঞানী, তাঁর জ্ঞান সাম্রাজ্যে শুধু যে প্রবেশাধিকারই দেবেন তাই নয়, উপরন্তু পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবেন তোমারই মনের দোর গোড়ায়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীও তো ওই দু’চার কথাই তোমাকে বলতে পারেন, মহাকাশ সম্পর্কে তাঁর ধারণা বিষয়ে, কিন্তু কখনওই দিতে পারবেন না, তাঁর সেই স্বয়ং লব্ধ জ্ঞান।
সঙ্গীতজ্ঞও তোমাকে শোনাতে পারবেন সেই ছন্দময় গান, যা সর্বব্যাপী, কিন্তু তিনিও দিতে পারবেন না তাঁর সেই শ্রবণ, যা ছন্দবন্ধনকে ধরতে পারে, বা সেই স্বরটি যা তাঁর কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত করছে সুর।
সংখ্যাবিদও, ভর ও মাপ সম্পর্কে একটা ধারণা মাত্র দিতে পারবেন তোমাকে, কিন্তু সঙ্গে করে তোমাকে নিয়ে যেতে পারবেন না সেই দিকে।
কারণ, একজনের অন্তর্দৃষ্টির ডানা দু’টি যে ধার দেওয়া যায়না, অন্য আর একজনকে।
স্বয়ং ঈশ্বরের জ্ঞানে, তোমরা প্রত্যেকেই যেহেতু একা এবং এককভাবে দাঁড়িয়ে আছ, তাই, ঈশ্বর এবং পৃথিবী সম্পর্কিত তাঁর সেই জ্ঞানও, তোমাদের প্রত্যেকেরই একা এবং এককভাবে উপলব্ধি করা উচিৎ।