সম্প্রতি বাংলা সাহিত্যজগৎ সাক্ষী থাকল এক ইন্দ্রপতনের। চলে গেলেন অরণ্যপুরুষ বুদ্ধদেব গুহ। অভিভাবকহীন হল বাংলার সঙ্গীতজগতও, কারণ টপ্পা, পুরাতনী ও রবীন্দ্রনাথের গানে বুদ্ধদেব গুহর দরাজ মুক্ত কণ্ঠ আজও সকলের কানে বাজে। ব্যক্তিগত স্মৃতির পাতা উল্টে প্রিয় মানুষ, প্রিয় লেখকে স্মরণ করলেন তাঁর তিন ঘনিষ্ঠজন– তাঁর অনুজপ্রতিম লেখক অমর মিত্র, তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র শংকর গুহ এবং তাঁর বন্ধুপুত্র অরিজিৎ মৈত্র।
বনপাহাড়ের লেখক
অমর মিত্র। সাহিত্যিক।
ম্যাকলাস্কিগঞ্জের শীতে যখন আপনার সঙ্গে আমাদের প্রথম দেখা, বিস্ময়ে আপনাকে অনুসরণ করেই চলেছি তারপর থেকে। সে কতদিন হল, কত মাস, কত বছর। আপনার সঙ্গে মনে মনে হেঁটেছিলাম এই জীবনে একটু উষ্ণতার জন্য। মনে পড়ে, “সুবিস্তৃত মাঠ– মাঝে মাঝে পিটিস ঝোঁপ, কুঁচফুলের গাছ, হলুদরঙা গোল গোল ফলের ঝোপ (আমি এদের নাম দিয়েছি জাফরানি), মাঝে মাঝে মহুয়া গাছ। বাঁ দিকে নাকটা পাহাড়, কঙ্কা বস্তীর রাস্তা– সামনে দূরে কয়েক ঘর ওরাঁও-এর গ্রাম– আর যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। সর্ষে আর সরগুঞ্জা লাগিয়েছে ওরা। উপরে ঝকঝকে নীল আকাশ, নীচে সবুজের আঁচলঘেরা এই হলুদ স্বপ্নভূমি।”
হলুদ স্বপ্নভূমির কথাই জীবনভর লিখে গেছেন, এঁকে গেছেন। আপনার পাণ্ডুলিপি বসন্তের হলুদ রঙে ভরা। সেখানে আছে শঙ্খিনী একটি নদীর ছবি। নদীর নাম কোয়েল। কোয়েলের ভিতরে গিয়ে মিশেছে আর এক ছোট নদী সোহাগী। কালো অক্ষর নেই তাতে, শাল, পিয়াল, কেঁদ, আসন, পন্নান, পুঁইসার, গমহার, সাগুয়ান এই সব বৃক্ষ আর ফুলদাওয়াই, জীরহুল, মনরঙ্গোলি, পিলাবিবি, করৌঞ্জ, সফেদিয়া… ফুলের খুশবুতে ভারী হাওয়া। হলুদ বসন্তের বনভূমিই আপনার মনোভূমি।
মাননীয় বুদ্ধদেব গুহ, আপনার প্রিয় লবঙ্গীর জঙ্গলে আপনারই পিছুপিছু চলেছি। আপনি উদ্ধার করেছেন চন্দনীকে, নিষিদ্ধ পল্লী থেকে, মিলিয়ে দেবেন তার বর চন্দ্রকান্তের সঙ্গে। চন্দ্রকান্ত পলাতক। একটি মস্ত দাঁতাল তাকে অহঙ্কার দেখিয়েছিল। তার পথ আটকেছিল। সহ্য না করতে পেরে সেই পাহাড়ের অহঙ্কারকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। ফলে তাকে খুঁজছে পুলিশ। জঙ্গল আপনি চিনতেন, বুদ্ধদেব গুহ। জঙ্গলের প্রাণী, পাখ-পাখালি, কীটপতঙ্গও আপনাকে চিনত। এক এক সময় মনে হত, আপনার জীবন ছিল যৌথজীবনের অংশ। জঙ্গলের প্রাণ এবং চিরনবীন বুদ্ধদেব গুহ।

একবার ক্যালকাটা ক্লাবে আপনার আমন্ত্রণে গিয়ে দেখি, বসে আছেন এক ঋষিকল্প মানুষ। সাদা হয়ে গেছে মাথার চুল। বুক অবধি শ্বেতশ্মশ্রু। পুরাতন সেই হাসি দুলছে মুখের উপর। বললেন, অনেকদিন দেখিনি তোমাদের। তাই ডাকা। আমি ভাবছি, এই সেই লেখক, যিনি হলুদ বসন্ত নিয়েই সমস্ত জীবন কাটিয়ে দিলেন? তাঁর জীবনের বসন্ত যায় না। সেই বছর না পরের বছর, আমি একটি উপন্যাস লিখি ‘ভিনদেশি পুরুষ দেখি’। বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া এক লেখক বসে থাকেন ব্যালকনিতে। স্ত্রী নেই। একা মানুষ। একদিন একটি যুবতী এসে বলে, ‘আপনি তিরিশ বছর আগে একটি উপন্যাস লিখেছিলেন, সেই উপন্যাসের সঙ্গে আমার জীবন মিলে গেছে। আমার বয়স পঁচিশ। জন্মের পাঁচবছর আগে আমার জীবনে যা যা ঘটবে, তা জানলেন কী করে?’
লেখকের মনেই নেই কোন উপন্যাস তা। তখন তিনি প্রায় অন্ধ। তাঁকে একজন সেই উপন্যাস পড়ে শুনিয়েছিল।
হে ভিনদেশি পুরুষ, আপনি ম্যাকলাস্কিগঞ্জে না কোথায় চলে গেলেন, আমার প্রণাম গ্রহণ করুন, যদি সেথায় গিয়ে এই পৃথিবীর কথা মনে থাকে।
বুদ্ধং স্মরণম্
শংকর গুহ। ভ্রাতুষ্পুত্র।
জন্মাষ্টমীর দিন বুদ্ধদেব গুহ, আমার লালাকাকা, চলে গেলেন। কৃষ্ণের বহুমুখী প্রতিভার মতো লালাকাকারও ছিল নানারকম প্রতিভা। শিক্ষায়, লেখায়, গানে, খেলাধুলায়– সব বিষয়ে তিনি ছিলেন পারদর্শী।
আমার ছোটবেলায় লালাকাকা ছিলেন খুব দূরের মানুষ। আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। কালেভদ্রে আমাদের বাড়ি আসতেন, যেটা ছিল ওঁর মাসির বাড়ি। আমার বাবার থেকে তিনি ছিলেন অনেকটাই ছোট, বরঞ্চ ওঁর বাবার (শচীন গুহ) সঙ্গে আমার বাবা, জ্যাঠামশাইয়ের সম্পর্ক অনেক ঘনিষ্ঠ ছিল। আমাদের বাড়ির যে কোনও অনুষ্ঠানে শচীনদাদু ও তাঁর ছেলে-বৌমারা উপস্থিত থাকতেন।
মনে পড়ে, ছোটবেলায় যখন লালাকাকার বাড়ি গেছি, দেখতাম ফ্রিজটা ভালুকের চামড়ায় ঢাকা কিংবা দেয়ালে ঝুলছে ভালুক কিংবা হরিণ কিংবা বাইসন-এর মুন্ডু। লালাকাকা বিয়ের পর নতুন বৌ নিয়ে আমাদের বাড়ি এসেছেন, আমার বয়স তখন পাঁচ-ছ’ বছর। ভয়মিশ্রিত কৌতূহলে পর্দার আড়াল থেকে সব লক্ষ করছি, সঙ্গে আমার থেকে বড় দাদারা।
নতুন বৌয়ের জন্য বাড়িতে প্রচুর আয়োজন করা হয়েছে। তখনকার প্রথামতো চপ, কাটলেট মিষ্টি ইত্যাদি। নবদম্পতি প্রায় কিছুই খেলেন না। ঋতু কাকিমা কয়েকটা গান শোনালেন। এবার বিদায়ের পালা। বড়রা সব অতিথিদের বিদায় দিতে বাইরে গেলেন, আর সেই ফাঁকে চোখের নিমেষে আমরা ছোটরা টেবিল থেকে চপ, কাটলেট মিষ্টির সদ্গতি করলাম।

লালাকাকার প্রথম বই ‘জঙ্গল মহল’ প্রকাশিত হয়েছে। শচীনদাদুকে উৎসর্গ করা প্রথম বইটা আমার জ্যাঠামশাইকে দিতে এসেছিলেন। তখন তাঁর মুখে নতুন লেখকসুলভ একটু লাজুক ভাব দেখেছিলাম- যেটা একেবারেই তাঁর খোলামেলা, দাপুটে, আত্মবিশ্বাসী স্বভাবের বিপরীত, বাকি জীবনে আর দেখেছি বলে মনে পড়ে না।
আমার বাবার ব্যবসার ব্যাপারে লালাকাকা একদিন আমাদের বাড়ি আসবেন শুনলাম। সবাই বেশ ব্যস্তসমস্ত। লালাকাকা এলে কথাবার্তার পর বাবা জিগ্যেস করলেন, ‘লালা কী নিবি, চা না ঠান্ডা?’ লালাকাকা জবাব দিল, ‘মেজদা ব্ল্যাক কফি খাবো।’ তখন আমার বয়স পনেরো-ষোয়ো। এই প্রথম শুনলাম ‘ব্ল্যাক কফি’ শব্দটা। এর অনেকদিন পর, যখন কলেজের পড়া শেষ করে চাকরির চেষ্টা করছি, পেলাম এক বিজ্ঞাপন সংস্থার ইন্টারভিউ। এখনকার সফটঅয়্যারের মতো তখন বিজ্ঞাপন ছিল খুব গ্ল্যামারাস কাজ, সঙ্গে কিছু খারাপ দিকও ছিল। বাবা বললেন, ‘যা লালাকে জিগ্যেস করে আয়।’
সালটা সম্ভবত ১৯৮০-৮১। লালাকাকা তখন অসুস্থ হয়ে বেলভিউতে ভর্তি। ভয়ে ভয়ে গেলাম সেখানে, জানি না চিনতে পারবেন কিনা। অবাক কাণ্ড, নার্সিংহোমের কেবিনের দরজা ঠেলে ঢুকতে আমার দিকে একবার তাকিয়েই সাদর সম্ভাষণ- ‘আয় আয়, কী খবর? মেজদা পাঠিয়েছে বুঝি? খালি চিন্তা করে। বলিস ভালো আছি।’ কথায় কথায় বললাম আমার আসার উদ্দেশ্য। সব শুনে বললেন, ‘চাকরিটা তো ভালো, কিন্তু তুই কি পারবি? ওদের লাইফস্টাইলই আলাদা। তোদের বাড়ির কালচারের সঙ্গে মেলে না।’

গত বছর কুড়ি কাকার সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক কাছের হয়ে যায়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে উনি আমার সঙ্গে খুবই সহজ হয়ে যান। এর মধ্যে আমার বাবা গত হয়েছেন, হয়তো কিছুটা কর্তব্যবোধেও উনি আমাদের খোঁজখবর করতেন। ওঁর চল্লিশতম বিবাহবার্ষিকীতে ক্যালকাটা ক্লাবে একটা ঘরোয়া পার্টি দেন কাকা। সেদিন ঋতু কাকিমা ও লালাকাকা খুবই মুডে ছিলেন। তখন প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতেন। উনি এলে হাসি গল্প গানে বাড়ি একেবারে জমজমাট। কখনও লেকে রোয়িং, কিংবা ক্যালকাটা ক্লাবে স্কোয়াশ খেলা নয়তো কোনও জঙ্গলে শিকারের গল্প, অ্যাডভেঞ্চারের শেষ নেই। প্রতিবারই নতুন প্রকাশিত বই উপহার পেতাম।
নিজেকে নিয়ে ঠাট্টা করে বলতেন, ‘আমি গরিব লেখক, বই লিখে দুটো পয়সা রোজগার করি।’ ওঁর সঙ্গে বড় প্রকাশনা সংস্থার কোনও সমস্যা হয়েছিল বলে শুনেছিলাম। তবে উনি কিন্তু মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করতেন, ওঁর কোনও বইয়ের রয়্যালটির টাকা কখনও বাকি থাকেনি। এখন মনে পড়ছে, কতবার আমাকে শান্তিনিকেতনে ওঁর বাড়ি যেতে বলেছেন, সময়ের অভাবে যাওয়া হয়নি। ইদানীং চোখের সমস্যার জন্য আসতে পারতেন না, কিন্ত ফোনে বরাবর যোগাযোগ রাখতেন। এ বছর পয়লা বৈশাখেও আমার মায়ের জন্য শাড়ি পাঠিয়েছেন।

লালাকাকার গান সবাই শুনেছে, সবাই জানে উনি খুব ভালো রবীন্দ্রসংগীত আর নিধুবাবুর টপ্পা গান। কিন্তু ওঁর কালীকীর্তন হয়তো কেউই শোনেননি। “আমার সাধ না মিটিল, আশা না পুরিল…” গানটা ওঁর দরাজ গলায় না শুনলে সত্যি বিশ্বাস করা যায় না, এমনভাবেও গানটা গাওয়া যায়। আমার দুর্ভাগ্য যে আমি ওই গানটা রেকর্ড করে রাখিনি। আজ উনি আর নেই। সেই দুঃখ তো যাবার নয়। তার সঙ্গে মিশে গিয়েছে একটু আফশোসও, ওঁকে আর একটু সময় দিলে আরও কত অজানা গল্প, আরও কত গান শোনা যেত!
লালাকাকার সঙ্গে আর দেখা হবে না, অনেকেই নিশ্চয়ই এখনও সেটা পুরোপুরি মেনে উঠতে পারেননি। তবে স্বাভাবিকভাবেই বাংলা সাহিত্যের যত ক্ষতি হল, আমাদের, ওঁর আত্মজনেদের ক্ষতি ও দুঃখ, তার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।
স্থবির হল চলকে পড়া অরণ্যপ্রেম
অরিজিৎ মৈত্র। লেখক ও বন্ধুপুত্র
সহসা ডালপালারা উতলা হয়ে উঠেছে বনে-জঙ্গলে, কারণ তাদের ভালোবাসার মানুষটিকে আর দেখা যাবে না রুমান্ডি, বাংরিপোসির রাস্তায়। করৌঞ্জ, মহুয়ার গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে বনে-পাহাড়ে, তবু তিনি আসবেন না। ম্যাকলাস্কিগঞ্জের বাংলো অনেকদিন আগেই হাতবদল হয়ে গেছে, কিন্তু অরণ্যে তাঁর প্রবেশ কখনও থেমে থাকেনি।
মানুষী প্রেম, ঐশ্বরিক প্রেম নিয়ে তো অনেক কথা শোনা আছে। কিন্তু জঙ্গলের সঙ্গে যে প্রেম হতে পারে, তা জানা যেত না বুদ্ধদেব গুহ না থাকলে। গভীর রাতের অন্ধকারে কোনও বনবাংলোর পাশে দাঁড়ানো একলা জ্যাকারান্ডা গাছের সঙ্গে বিরহের কথা বলার মতো ঘটনাও কি ঘটত? তাঁর মতো চম্পাঝরন-এর নালাটার পাশে, বালির ওপর চাঁদের আলোতে রোম্যান্টিক হতে কতজন পারেন? কতজন পারেন অঙ্গবিহীন আলিঙ্গনে বাংরিপোসির বাংলোয় কিশাকে আদর করতে! তাকে দুধলি পাখির সঙ্গে তুলনা করতে!
জঙ্গলের নিজস্ব গন্ধ গায়ে মেখে, মেরুদণ্ড ঋজু রেখে, বাজারি কাগজের পদলেহন না করে কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের পঁচাশিটি হলুদ বসন্ত। লবঙ্গীর জঙ্গলের হাওয়ায় ভেসে গেছেন। কখনও অভিমান জানিয়েছেন প্রথমাদের প্রতি। কোয়েল নদীর ধারে আবিষ্কার করেছেন দুরন্ত যশবন্তকে। তাঁর কল্পনা কখনও ডিজিটাইসড হয়নি। শুধু যে জঙ্গল নিয়ে লিখেছেন, এমন নয়। অরণ্যপ্রেমের সঙ্গে মিশে গিয়েছে ওঁর দর্শন, জীবনবোধ।
কোনওদিনই প্রাচীনপন্থী ছিলেন না। ভালবাসতেন তারুণ্যের সবুজ রং আর গভীর জঙ্গলের বনানী। ঘামের ভাত, শ্রমের ভাতের গন্ধ যে এত মিষ্টি হতে পারে, বুদ্ধদেব গুহর বই না পড়লে জানা যেত না। তিনি বাঙালির চিরকেলে ঋজুদা। মুক্তকণ্ঠে সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন, সে ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধেই হোক বা কোনও সংগঠনের বিরুদ্ধে।

অনুভূতিপ্রবণ মানুষটিকে বারবার প্রবঞ্চনা করেছে বড় বড় প্রকাশনা সংস্থা, পত্রপত্রিকা। পুরস্কারের থেকে তিরস্কারই সহজে পথ চিনে এসেছে তাঁর দুয়ারে। তথাপি ওঁকে আটকানো যায়নি। বন্ধুপুত্র হিসেবে বুদ্ধদেববাবুর এ হেন অপমান নিজের গায়ে লাগে বৈকি। খুব কাছ থেকে একাধিকবার তাঁর সান্নিধ্যে গিয়ে দেখেছি, কী অসম্ভব অনুভূতিপ্রবণ, প্রকৃতিপ্রেমী এবং সুভদ্র একজন মানুষ। এমন দরাজ মনের অধিকারী, সুলেখক, বন্ধুবৎসল, গানপাগল মানুষটি তাঁর পরিণত বয়সে প্রিয় ছুটির কাছ থেকে ছুটি চেয়ে পাড়ি দিলেন কোনও নাম না জানা অরণ্যের উদ্দেশে, এক রবিবার রাতে। এখন হয়তো তিনি ঘুরছেন বন থেকে বনান্তরে। পশ্চাতে শূন্যই পড়ে রইল শান্তিনিকেতনে তাঁর সাধের ‘রবিবার।’
বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।