সরোদিয়া ও সরস্বতী
তখন আমি ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা সার্ভিসে ব্রডকাস্টার রিপোর্টার। ওয়াশিংটন ডিসিতে থাকি, ইস্ট কোস্টে। একেবারে অন্য প্রান্তে ওয়েস্ট কোস্টে ক্যালিফর্নিয়া। যেমন সুন্দর রাজ্য, তেমনই ইন্টারেস্টিং। কিন্তু এত দূরে, ছোট দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে যাওয়া আর হয়েই ওঠে না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য হল। নেভাডা পর্যন্ত প্লেন। সেখানে নেমে গাড়ি ভাড়া করে লাস ভেগাস হয়ে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেস, সান দিয়েগো, সান ফ্রান্সিস্কো। লম্বা দৌড়। কিন্তু আর কবে যাওয়া হয় বা না হয়!

আমাদের আত্মীয় বরেনদা তখন সান ফ্রান্সিস্কো থেকে একটু দূরে থাকেন। আমাদের জন্য একেবারে শহরের ভেতরে, পাহাড়ের গায়ে ওঁর পরিচিত একজনের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। বীণাদি, মানে বীণা চৌধুরীকে ওখানে সবাই এক ডাকে চেনে। নানারকম জনহিতকর কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ওঁর স্বামী আর উনি। যেমন চমৎকার মানুষ, তেমনই সুন্দর বাড়ি। আমাদের দেখে এত খুশি হলেন, যেন মনে হল কত দিনের চেনা! স্নানঘরের কাচের সিলিং গাছ গাছালিতে ঘেরা। বসার ঘরের দু’দিকের দেওয়াল জোড়া কাচের জানালা দিয়ে গোল্ডেন গেট ব্রিজ আর সান ফ্রান্সিস্কো বে-র অসাধারণ দৃশ্য। বাড়ির লন পাহাড়ের গা বেয়ে থাকে থাকে নেমে গিয়েছে।
সেখানে ঘুরে বেরিয়ে দিন দুয়েক মহানন্দে থেকে বীণাদিকে অনেকটা স্বগতোক্তির মতো করেই বললাম:
– একবার যদি উস্তাদ আলি আকবর খানের সঙ্গে দেখা করা যেত! ওঁর একটা ইন্টারভিউ নিতাম। শুনেছি উনি সান ফ্রান্সিস্কোর শহরতলি সান রাফায়েলে থাকেন।
বীণাদি হেসে বললেন:
– কিন্তু আজ তো ওঁর ছেলের বিয়ে! এর মধ্যে উনি কি পারবেন তোমার সঙ্গে কথা বলতে?
শুনে আমার মুখ হাঁ! এতটাই জানাশোনা উস্তাদজির সঙ্গে বীণাদির! কিন্তু আমার যে আর উপায় নেই! ওই একটাই দিন হাতে। পরদিনই চলে যাচ্ছি ইয়েসোমিটি। তার ওপর সেদিন আবার আমার মেয়ের জন্মদিন। দিনটা বরাদ্দ ছিল সান ফ্রান্সিস্কোর বিখ্যাত স্ট্রিটকারে চড়া আর বীণাদিকে নিয়ে সি ফুড রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্য। সে সব মাথায় উঠল। স্বয়ং আলি আকবর খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ আর তাঁর সাক্ষাৎকার! আর কি কখনও কবে, এমন সুযোগ হবে..?

অগত্যা আমার কাতর অনুরোধ বীণাদি ফরওয়ার্ড করে দিলেন উস্তাদজিকে এবং কী কাণ্ড! হাজার হাজার মাইল উজিয়ে ইস্ট কোস্টের ওয়াশিংটন থেকে ওয়েস্ট কোস্টের সান ফ্রান্সিস্কোতে হাজির হওয়া এই অর্বাচীনকে আহ্লাদসাগরে ভাসিয়ে তিনি সাক্ষাৎকার দিতে রাজিও হয়ে গেলেন। বীণাদির কথা ফেলতে পারেননি! তবে একটু সকাল সকাল যেন যাই। ওঁর ছেলের বিয়েটা দুপুরেই কিনা!
তাড়াহুড়ো করে ব্রেকফাস্ট সেরে আমি সস্ত্রীক (ছেলে-মেয়েকে বীণাদির জিম্মায় রেখে) চললাম গোল্ডেন গেট ব্রিজ পেরিয়ে সান রাফায়েলে। সেখানেই ‘আলি আকবর খান কলেজ অফ মিউজিক’, আর কিছুটা দূরে ওঁর বাড়ি। কলেজে ঢুকেই চোখে পড়ে দেওয়ালে স্টেনড গ্লাসে আঁকা সরস্বতীর ছবি। উস্তাদ আলি আকবর খান, সরস্বতীর বরপুত্র, আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আমি তো ওঁর সাক্ষাৎ পেয়ে আর সাক্ষাৎকার পাব ভেবেই আনন্দে আত্মহারা। প্রশ্ন করতে শুরু করলাম।
আমি: আপনি নিজে রাগ সৃষ্টি করেছেন কয়েকটা। এই রাগ কী রকম? আমরা তো জানি ভারতে মোট ছয় রাগ আর ছত্রিশ রাগিণী আছে।
উস্তাদজি: ওই ছয় আর ছত্রিশের বাইরে যাওয়া যায় না। রাগ তৈরি করা মানে তার নতুন একটা রূপ দেওয়া, নতুন উপলব্ধি। খুবই কঠিন কাজ। আমি সামান্য চেষ্টা করেছি বলতে পারেন।
আমি: যেমন?
উস্তাদজি: যেমন ‘গৌরীমঞ্জরী’ তৈরি করার সময় চেষ্টা করেছিলাম যতগুলো সম্ভব নোট ব্যবহার করতে। শুদ্ধস্বর, কোমল স্বর, এইসব নিয়ে সব মিউজিকের বারোটা নোট থাকে। গৌরীমঞ্জরীতে কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও এগারোটা ছাড়িয়ে বারোটা নোট ধরাতে পারলাম না। অথচ ‘চন্দ্রনন্দন’ রাগ আমি অন দ্য স্পট মাত্র তিন মিনিটে রেকর্ড করেছি।
চন্দ্রনন্দন আমি শুনেছি। কিন্তু এত সহজে ওটা তৈরি করেছেন খান সাহেব! আমার মুখ দেখে উনি বললেন:
– ওটা আমাকে বাবা (উস্তাদ আলাউদ্দিন খান সাহেব) স্বপ্নে শিখিয়ে দিয়েছিলেন। তো, রাগটা খুব পপুলার হয়ে গেল। পরে যখন লোকে চন্দ্রনন্দন শুনতে চাইল, তখন আমাকে আমারই করা রেকর্ড কিনে আবার শিখতে হল (হাসি)।
আমি: এখন রাগ-রাগিনীর সংখ্যা কত?
উস্তাদজি: ছিল তো ছত্রিশ রাগিণী… এখন তাদের নাতিপুতি সব মিলিয়ে হাজার পঁচাত্তর হয়ে গেছে।
এ রকম অনেক কথা এত গম্ভীর মুখে এত মজা করে বলছিলেন!

আমি: পাশ্চাত্য সঙ্গীতের অর্কেস্ট্রায় বহু বাদ্যযন্ত্র ও যন্ত্রী লাগে। কিন্তু ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতে যন্ত্র থাকে মাত্র কয়েকটা। এই পার্থক্য কেন?
উস্তাদজি: ওদের সঙ্গীতে মূল কথা হলো ‘সিম্ফনি’। আর আমাদের ‘মেলোডি’। তাই ওদের অত যন্ত্র লাগে, আর আমাদের মাত্র কয়েকটিই যথেষ্ট। তা ছাড়া ব্যাপারটা আসলে একই। সেই বারোটি সুর ওদেরও আছে, আমাদেরও আছে। খাবারের কথাই ধরুন না– আলু, কপি, বেগুন, মাছ, মাংস, ওরাও খায়, আমরাও খাই। উপকরণ এক, রান্নার নিয়মটা শুধু আলাদা।
সাক্ষাৎকার আরও অনেক দীর্ঘ হয়েছিল। তার মধ্যেই জানতে চেয়েছিলাম, দেশে এত সম্মান পেয়েও, ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের ধারক হয়েও বিদেশে রয়েছেন কেন? খান সাহেব বলেছিলেন:
– তিরিশ বছর দেশে থেকে সঙ্গীতের সেবা করেছি। দেশেও আমার কলেজ আছে। প্রতি বছর যাই, বাজাই। তবে কী জানেন? ভগবান যার অন্নজল যেখানে লিখে দেন, সেখানেই থাকতে হয়।
একসময় সাক্ষাৎকার শেষ হল। দিনটা ছিল ২২শে জুলাই। ওঁকে বললাম:
– আজ আমার মেয়ের জন্মদিন। আপনি ওকে একটু আশীর্বাদ করুন। উনি বললেন:
– সে তো করবই! আমি ওর মুখ দেখে আশীর্বাদ করব। আপনারাও আমার ছেলেকে আশীর্বাদ করবেন চলুন।
আমরা তো অবাক! ছেলের বিয়ের কথা বীণাদির কাছে শুনেছি। কিন্তু সেই বিয়েতে নিমন্ত্রণ করছেন ছেলের বাবা স্বয়ং আলি আকবর খান! উনি নিজেই আবার বললেন:
– আজ আমার পুত্রের বিয়ে। আপনারা আমার সঙ্গে গেলে খুব খুশি হব।
– কিন্তু আমাদের ছেলে-মেয়ে তো বীণাদির কাছে!
– সে আপনাদের ভাবতে হবে না। বীণাদির সঙ্গে কথা হয়ে গেছে। উনি ছেলেমেয়েকে নিয়ে সোজা আমাদের বাড়িতে চলে আসবেন। চলুন চলুন!
তাড়া লাগালেন উনি। ভীষণ অবাক আর প্রচণ্ড খুশি হয়ে আমরা চললাম উস্তাদজির সঙ্গে ওঁর নিমন্ত্রনে। আমার স্ত্রী ওঁর গাড়িতে, আমি আমার গাড়ি নিয়ে পিছু পিছু। পরে আমার স্ত্রী বলেছিল:
– এমন থ্রিলিং অভিজ্ঞতা আমার কোনওদিন যে হবে, ভাবতেই পারিনি। আলি একবার খান সাহেবের গাড়িতে একসঙ্গে বসে যাচ্ছি ওঁরই বাড়িতে!

বিয়ের আসর কিন্তু খান সাহেবের বাড়িতে নয়, তাঁর স্নেহভাজন তবলাশিল্পী পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর বাড়িতে। নিতান্তই ঘরোয়া অনুষ্ঠান। অতিথি বলতে ওঁর পরিবার-পরিজন ছাড়া কয়েকজন শিষ্যশিষ্যা, আর ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধুবান্ধব, ব্যাস। সব মিলিয়ে ২৫-৩০ জন। বাড়ির লনে গোল করে চেয়ার পেতে সবার বসার ব্যবস্থা হয়েছে। আমার ভাগ্য, উস্তাদজির আমাকে বেশ পছন্দ হয়ে গিয়েছিল। হাত ধরে আমাকে ওঁর পাশেই বসালেন। জিজ্ঞেস করলেন:
– আপনার দেশ কোথায়?
ওঁর দেশ যে কুমিল্লা, জানতাম। আমার দেশও কুমিল্লা শুনে খুশি হলেন।
– কোন গ্রাম?
বললাম গ্রামের নাম।
– ওঃ, চাঁদপুরের হামান কুর্দি? গেছেন কখনও?
– না। বাবা-ঠাকুমার কাছে শুনেছি শুধু। আর বাংলাদেশ হওয়ার পরে একবার যশোর হয়ে ঢাকা গিয়েছিলাম। কুমিল্লায় আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি।
উনি একটু আনমনা হয়ে যেন স্বগতোক্তি করলেন:
– চাঁদপুর স্টিমারঘাট, মাঝিদের রান্না করা ঝাল ছালন! পারলে একবার যাবেন। দেশ আমাদের শেকড়, সেটা যেন আমরা ভুলে না যাই!
বিয়েবাড়িতে পৌঁছে দেখলাম, ওখানে উস্তাদজি একেবারে অন্য মানুষ। রাশভারী ভাব উধাও। বরকর্তা তো উনি নন, স্বপন চৌধুরী! কাজেই হালকা মেজাজে সবার সঙ্গে গালগল্প, রঙ্গরসিকতায় মেতে উঠলেন খান সাহেব। মধ্যমণি, বলাবাহুল্য তিনিই। চেয়ারে বসে একটু পরেই উশখুশ–
– পোঁদে কী ফুটছে!
আমি হতচকিত! ঠিক শুনলাম তো? বিশ্ববিখ্যাত সরোদশিল্পী কাঁচা বাংলায় ওই শব্দটা উচ্চারণ করলেন! উনি নির্বিকারভাবে আবারও বললেন:
– কী যেন পোঁদে ফুটছে! চেয়ারটা বদলে দাও তো!
শশব্যস্তে চেয়ার বদল হল। এ বার পরিচিত এক মহিলার শাড়ির দিকে তাকিয়ে বললেন:
– আচ্ছা, এটা কি ওই শাড়ি? ওই যে পেছন দিয়ে একটা মোটা বর্ডার থাকে? মহিলা বলে উঠলেন:
– না না, ওটাকে তো ‘পাছাপেড়ে শাড়ি‘ বলে! এটা তা নয়!
উস্তাদজির মুখে মজার হাসি। হাসতে হাসতেই বললেন:
– পাছাপেড়ে? হাহাহা! যেমন নাম, তেমন কাম! যাই বল, মেয়েদের কিন্তু ওই শাড়িতে আমার বেশ লাগে!
মহিলা লজ্জা পেয়ে গেলেন, তবে সবাই মিলে হাসলেনও খুব। ওঁরা জানেন, উস্তাদজি সুযোগ পেলেই এমন হাসিঠাট্টা করে থাকেন। যদিও সেই সুযোগটাই আসে কম।

এর মধ্যে বীণাদি আমাদের ছেলেমেয়েকে নিয়ে এসে গিয়েছেন। ওঁকে দেখে খান সাহেব উঠে হাসিমুখে এগিয়ে গেলেন। তার পর দু‘টি হাত আমার মেয়ের মাথায় বুলিয়ে বললেন:
– অনেক আশীর্বাদ! আজ তোমার জন্মদিন তো!
মেয়ের মাথায় সবকিছু ঢুকল না। হাঁ করে তাকিয়ে রইল। আমরা শুধু ওর সৌভাগ্যের কথা ভাবছিলাম।
দিব্যি আড্ডা চলছে, আসরে এক অল্পবয়সী মেমসাহেব ঢুকলেন ফুটফুটে দু‘টি বাচ্চার হাত ধরে। বাচ্চা দু‘টি মনে হল যমজ। শেরওয়ানি চোস্ত পরে চমৎকার লাগছিল। কিন্তু মেমসাহেব ঢুকেই বক্রোক্তি করলেন:
– আরে এখানেও সেই ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড টাইমে চলছ তোমরা! এতক্ষণে তো অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল! তা না, খালি আড্ডা, আড্ডা!
উস্তাদজি আমাকে ওঁর পাশে বসানোয় নিজেকে একটু কেউকেটা মনে করছিলাম। মেমসাহেবের বাঁকা কথা শুনে রাগও হচ্ছিল। দড়াম করে বলে দিলাম:
– বাকি সবাই তো কখন এসে গেছেন! আপনিই এলেন এত দেরি করে। ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড টাইমে তো দেখছি আপনি চলেন।
পুরো আসর চুপ। মেমসাহেবের গাল রাগে না লজ্জায় লাল, জানি না। আমার ওপাশ থেকে কারও একজনের ভর্ৎসনা ভেসে এল…
– কাকে কী বলছেন! উনি তো বাবার স্ত্রী!!
আমি তো তখন বেজায় অপ্রস্তুত। ছিছিছিছি! উস্তাদজির দিকে তাকাতেও পারছি না। কিন্তু চমকের তখনও বাকি। মেমবউ একটু অন্য দিকে ফিরতেই আমার পিঠে খোঁচা। দেখি খান সাহেবের মুখ গম্ভীর, কিন্তু হাসছেন চোখ দিয়ে। আমার কাঁধে একটু চাপ দিয়ে ফিসফিসিয়ে বললেন:
– দারুণ দিয়েছেন এটা! শাবাশ!
বোঝা গেল একেবারেই ‘বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা’র ব্যাপার। মেমসাহেবের বাঁকা কথা শুনেও নিজের মুখে কিছু বলে উঠতে পারেননি। আমি ওঁর হয়ে ব্যাট করতে নেমে একেবারে ছক্কা হাঁকানোয় যারপরনাই মজা পেয়েছেন। যাইহোক, খাওয়া-দাওয়া হল। খানসাহেব আর পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর কাছে বিদায় নিয়ে বেরচ্ছি, দেখি তখন তবলিয়া উস্তাদ জাকির হুসেন ঢুকছেন তাঁর কত্থক নৃত্যশিল্পী ইতালিয়ান স্ত্রী আন্তোনিয়া মিনেকোলাকে নিয়ে। স্বপন চৌধুরী আলাপ করিয়ে দিতেই ঝাঁকড়া চুল ঝাঁকিয়ে জাকির হুসেন সালাম জানালেন।
আর কী চাই? আমাদের ষোলোকলা পূর্ণ হল।
*ছবি সৌজন্য: লেখক
*উস্তাদজির মুখের ক্লোজ় আপ: Indiatimes
দুই পুরুষের সাংবাদিক দীপংকর চক্রবর্তীর চার দশকের পেশাগত জীবনের শুরু ও শেষ আনন্দবাজার পত্রিকায়। মাঝে এক দশক বেতার সাংবাদিকতা জার্মানিতে ডয়চে ভেলে, আর ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়েস অফ আমেরিকায়। প্রিন্ট মিডিয়া থেকে অবসর নিলেও মাল্টিমিডিয়ায় এখনও পুরোপুরি সক্রিয়। করেছেন বই সম্পাদনার কাজও। দেশে বিদেশে তাঁর অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারও বিচিত্র ও চিত্তাকর্ষক।
পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনি ভালো থাকবেন। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।
Excellent! Dear friend, thanks for revisiting and sharing your wonderful experience – “Down Memory Lane”
Roquia