বসে আছি এক অনন্ত রত্নভাণ্ডারের সামনে খজ়ানাও বলতে পারেন তিনদিন ধরে শুধু শুনছি আর শুনছি গানের ভাঙাগড়া ভাবমূর্তিরও এক কথায় প্রকাশ করলে, সুর চুরি কারও কারও ক্ষেত্রে, মন্দার বোসের মতো ‘একেবারে টপ টু বটম’ আবার কিছু ক্ষেত্রে, অনুপ্রেরণা শুধু স্থায়ী অংশটুকু তাতেই গান সুপারহিট 

মোৎজার্ট থেকে রবীন্দ্রনাথ, জ্যাজ-পপ-রক, রেগে-ক্যালিপসো-নার্সারি রাইমস, ডিস্কো-ল্যাটিনো-র‍্যাপ, বাদ যায়নি কিছুই লোকে বলে, ‘চুরিবিদ্যা বড় বিদ্যা, যদি না পড় ধরা’ ভারতীয় সঙ্গীতের ‘স্বর্ণযুগ’-এ এমন অসংখ্য মণিমানিক্যের উৎস সন্ধান সেই সময় ততটা সম্ভব হয়নি, কারণ বেশিরভাগ সুরকারই চাননি মূল কম্পোজারের সঙ্গে কৃতিত্ব ভাগ করে নিতে। পরে, কিছুটা পাশ্চাত্যসঙ্গীত বোদ্ধাদের কল্যাণে, আর কিছুটা উন্নত প্রযুক্তি চলে আসার ফলে, ‘অনুপ্রেরণা’র বহু উদাহরণ এসে যায় হাতের মুঠোয়। 

নৌশাদ, অনিল বিশ্বাস, শচীন দেববর্মণ, সি রামচন্দ্র, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সলিল চৌধুরী, শঙ্কর-জয়কিষণ, কল্যাণজি-আনন্দজি, লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলাল, রাহুল দেববর্মণ, বাপ্পি লাহিড়ী, রাজেশ রোশন, অনু মালিক থেকে আজকের প্রীতম চক্রবর্তী ও শান্তনু মৈত্র, সবাই রয়েছেন এই ‘হল অফ ফেম’-এ এর পাশাপাশি কৃতিত্ব প্রাপ্য মজরুহ সুলতানপুরি, রাজেন্দ্র কৃষ্ণ, প্রেম ধাওয়ান, আনন্দ বক্সি, ইন্দীবর, অনজান এবং সানন্দ কিরকিরের মতো কিছু অসাধারণ গীতিকারের, যাঁরা চেনা সুরের কাঠামোয় কথার পিঠে কথা বসানোর পাশাপাশি গানগুলিকে বসিয়ে দিয়েছেন শ্রোতাদের হৃদয়াসনেও 

যে সব গানের তালিকা নিয়ে বসেছি তা যে পূর্ণাঙ্গ নয়, বলাই বাহুল্য এখানে ব্যক্তিগত পছন্দই প্রাধান্য পেয়েছে রবীন্দ্রসঙ্গীতের আদলে হিন্দি ফিল্মের গান বললে প্রথমেই মনে পড়ে ‘অভিমান’ (১৯৭৩) ছবিতে শচীন দেব বর্মণের সুরে ‘তেরে মেরে মিলন কি ইয়ে রয়না (যদি তারে নাই চিনি গো)’ এবং ‘ইয়ারানা’ (১৯৮১) ছবিতে রাজেশ রোশনের সুরে ‘ছু কর মেরে মনকো (তোমার হল শুরু, আমার হল সারা)’ কিন্তু এই ট্র্যাডিশনের শুরু ১৯৫০ সালে, যখন ‘অফসর’ ছবিতে শচীনকর্তারই সুরে সুরাইয়াকে গাইতে দেখি ‘নয়ন দিওয়ানে এক নহী মানে (সে দিন দু’জনে)’

‘দিদার’ (১৯৫১) ছবিতে নৌশাদের সুরে লতা মঙ্গেশকর ও শামশাদ বেগমকে গাইতে শুনি ‘বচপনকে দিন ভুলা না দেনা (মনে রবে কী না রবে আমারে)’ সে যুগের অন্যতম সেরা গায়ক তালাত মাহমুদ, ১৯৫৪ সালে কণ্ঠ দিয়েছিলেন দু’টি গানের হিন্দি রূপান্তরে, অনিল বিশ্বাসের সুরে ‘ওয়ারিস’-এ ‘রাহি মতওয়ালে (ওরে গৃহবাসী)’ এবং শচীন দেববর্মণের সুরে ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ ছবিতে ‘যায়ে তো যায়ে কহাঁ (হে ক্ষণিকের অতিথি)’ ১৯৬২ সালে ‘মা বেটা’ ছবিতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে ‘মন মেরা উড়তা যায় রে’, ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী’র একেবারে আক্ষরিক অনুবাদ

এর পর, সাত ও আটের দশকে ‘টুটে খিলোনে’ এবং ‘ঝুঠি’ ছবিতে বাপ্পি লাহিড়ী এবং নয়ের দশকে ‘যুগপুরুষ’ ছবিতে রাজেশ রোশন রবীন্দ্রসঙ্গীতের উপর ভিত্তি করে বেশ কিছু গান তৈরি করেন এর প্রায় এক দশক পর হিন্দি ছবিতে শান্তনু মৈত্র ফিরিয়ে আনেন রবীন্দ্রনাথকে ২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পরিণীতা’ ছবিতে সোনু নিগম ও শ্রেয়া ঘোষালের দ্বৈতকণ্ঠে গাওয়া ‘সুনা মন কা আঙ্গন’-এ ফিরে ফিরে আসে ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে’র স্মৃতি

এবার স্মৃতির সরণিতে একটু পিছু হাঁটা যাক পাঁচ ও ছ’য়ের দশকে হিন্দি ছবিকে হিট করাতে বহু প্রযোজক, সঙ্গীত পরিচালকদের পশ্চিমি ধাঁচের গান রাখতে বলতেন সেই কারণে ওই সময়ের বহু গান প্রবলভাবে ঋণী জ্যাজ়, রক ও পপ মিউজিকের কাছে এই ধরনের গানের পথিকৃৎ ছিলেন বিশিষ্ট পরিচালক সি রামচন্দ্র স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে, এসব গান কীভাবে পৌঁছত সি রামচন্দ্র ও তাঁর সমসাময়িক সঙ্গীত পরিচালকদের কাছে? তখন তো গুগল, ইউটিউব কিছুই ছিল না!

সেই সময় পাশ্চাত্য সঙ্গীতের সব থেকে বড় উৎসস্থল ছিল রেডিয়ো, রেকর্ড এবং হলে মুক্তিপ্রাপ্ত ইংরেজি সিনেমা তা ছাড়া সেই সময় মাঝে মাঝে বিদেশ থেকে ভারত সফরে আসতেন সঙ্গীতশিল্পীরা তাঁরা অনুষ্ঠান করতেন পাঁচতারা হোটেল, দূতাবাস এবং প্রেক্ষাগৃহে এর পাশাপাশি সেই সময় গোয়া থেকে মুম্বইয়ে পাকাপাকি ভাবে থিতু হন চিক চকোলেট ও মিকি কোরিয়ার মতো অসাধারণ দুই জ্যাজ় বাদ্যযন্ত্রী এঁরা না থাকলে সি রামচন্দ্র এবং ও পি নাইয়ারের বহু সৃষ্টি আমরা পেতামই না। 

এবার চোখ রাখা যাক পাঁচ ও ছ’য়ের দশকের কিছু অসাধারণ গান ও তাদের ‘অনুপ্রেরণা’র উপর 

‘গোরে গোরে ও বাঁকে ছোরে’ (১৯৫০): ‘সমাধি’ ছবিতে যখন এই গানটি হত, তখন আলোড়ন উঠত সিনেমা হলে সি রামচন্দ্রের সুরে, লতা মঙ্গেশকর ও আমিরবাই কর্নাটকির কণ্ঠে এই গান, ছবি হিট হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল কিন্তু গানের প্রথম চার লাইন রামচন্দ্র ধার করেছিলেন ১৯৪৫ সালের হলিউড ছবি ‘ডলফেস’-এ কারমেন মিরান্ডার গাওয়া ‘চিকো চিকো ফ্রম পুয়ের্তো রিকো’ থেকে সব থেকে আশ্চর্যের ব্যাপার, সেই সময় ‘গোরে গোরে’র বাংলা রূপান্তর ‘শোনো শোনো কথাটি শোনো’ গেয়েছিলেন ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য বছর সাতেক পর, ‘আশা’ ছবিতে রামচন্দ্র রাখেন ‘ইনা মিনা ডিকা’ গানটি কিশোর কুমার ও আশা ভোঁসলের গাওয়া গানটির অনুপ্রেরণা ছিলেন হলিউডের বিখ্যাত গায়ক-নায়ক ড্যানি কে ‘ইনা মিনা ডিকা’ নতুন প্রজন্মের কাছেও সমান জনপ্রিয়

‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল জিনা ইয়াহা (১৯৫৬): ‘সিআইডি’ ছবির এক দৃশ্যে তখনকার বম্বে শহরে এক্কাগাড়িতে বসে কুমকুম আর তাঁর পাশে ভারতের অন্যতম সেরা কমেডিয়ান জনি ওয়াকার। প্লেব্যাকে গীতা দত্ত ও মহম্মদ রফি। সুরসৃষ্টিতে আর এক কিংবদন্তি, ও পি নাইয়ার। কিন্তু এই কালজয়ী গানটিও মৌলিক নয়। মূল গান, ‘ও মাই ডার্লিং ক্লেমেন্টাইন’ গেয়েছিলেন বিং ক্রসবি। সেই রেকর্ড প্রকাশিত হয় ১৯৪১-এ। 

ইতনা না মুঝসে তু পেয়ার বঢ়া (১৯৬১): ‘ছায়া’ ছবির মাধ্যমেই ধ্রুপদী পাশ্চাত্য সঙ্গীতের স্বাদ পান হিন্দি ছবির দর্শকরা। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রবাদপ্রতিম কম্পোজার মোৎজার্টের ‘ফর্টিয়েথ সিম্ফনি ইন জি মাইনর’কে ভিত্তি করে এই গানের সুর বেঁধেছিলেন সলিল চৌধুরী। গেয়েছিলেন তালাত মাহমুদ ও লতা মঙ্গেশকর।

কওন হ্যায় যো সপনো মে আয়া (১৯৬৮): পাঁচ ছ’য়ের দশকে সব থেকে জনপ্রিয় সুরকার জুটি ছিলেন শঙ্কর-জয়কিষণ। ১৯৫৬ সালে ‘চোরি চোরি’ ছবিতে ‘আজা সনম মধুর চাঁদনি মে’ গানটির জন্য তাঁরা শরণাপন্ন হয়েছিলেন ইতালির লোকসঙ্গীত ‘তারান্তেল্লা নাপোলিতানা-র। ছ’য়ের দশকে রক অ্যান্ড রোলের সম্রাট ছিলেন এলভিস প্রেসলি। ১৯৬৩ সালে তাঁরই অভিনীত ‘ফান ইন অ্যাকাপুলকো’ ছবিতে তাঁরই গাওয়া বিখ্যাত গান ‘মার্গারিটা’ অবলম্বনে সুরকার জুটি তৈরি করলেন ‘কওন হ্যায় যো।’ ছবির নাম ‘ঝুক গয়া আসমান।’ গানটি অসাধারণ গেয়েছিলেন মহম্মদ রফি। মূল গানের ‘মার্গারিটা’ শুধু বদলে গিয়েছিল ‘ও প্রিয়া’য়।

সাতের দশকের বলিউডে সাংঘাতিক ট্ক্কর চলে রাহুল (আরডি) দেববর্মণ এবং লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলালের (এলপি) মধ্যে। দুই তরফই সমানতালে হিট গান দিয়ে গিয়েছেন। যদিও একুশ শতকে এসে আরডির গ্রহণযোগ্যতা ক্রমবর্ধমান। কিন্তু সেই সময় জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে দু’জনেই টুকলি করেছেন দেদার। এক এক সময় তাঁদের কপি করা গানও এত ভাল লেগেছে যে এগুলিও টুকলি, বিশ্বাস করতে মন চায়নি।  এমন কিছু উদাহরণ এ বার পেশ করা যাক।

চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে যো দিল কো (১৯৭৩): ‘ইয়াদোঁ কি বরাত’ ছবিতে গিটার হাতে জ়িনত আমন। তাঁর দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে বিজয় অরোরা। প্লেব্যাকে আশা ভোঁসলে ও মহম্মদ রফি। সুরকার আরডি বর্মণ। ছবি তো হিট হবেই। কিন্তু আপশোস। এই গানও টুকলি। ১৯৬৯ সালে ডাচ গায়িকা বজুরার গাওয়া গান, ‘ইফ ইট্‌স টিউসডে, দিস মাস্ট বি বেলজিয়াম’ অসম্ভব জনপ্রিয় হয়। ‘চুরা লিয়া’ তারই কপি-পেস্ট।

Music
হিন্দি গানটি ত্রিনিদাদের বিখ্যাত ক্যালিপসো গায়ক লর্ড শর্টির গাওয়া ‘ওম শান্তি ওম’-এর হুবহু নকল!

মেহবুবা, মেহবুবা (১৯৭৫): আরডির স্বকণ্ঠে গাওয়া এই গান ছাড়া ‘শোলে’ ভাবাই যায় না। কিন্তু মূল গান, ‘সে ইউ লাভ মি’ গেয়েছিলেন গ্রিক গায়ক, ‘কাফতান কিং’ ডেমিস রুসোস। গানটিতে ছিল মিশরীয় লোকসঙ্গীতের ছোঁয়া। ১৯৭৪ সালে লন্ডন সফরকালে ডেমিসের এক কনসার্টে সেই গান শুনে মুগ্ধ হন ‘শোলে’র পরিচালক রমেশ সিপ্পি ও তাঁর স্ত্রী। ফিরে এসে তাঁরা আরডিকে অনুরোধ করেন গানটিকে রাখতে। প্রথমে নিমরাজি হলেও, আরডি চ্যালেঞ্জটা নেন। আরডির অগণিত ভক্তের ধারণা, মূল গানের চেয়ে ‘মেহবুবা’ই বেশি ভাল। 

ওম শান্তি ওম (১৯৮০): আটের দশকের চকোলেট বয় হিরো ছিলেন ঋষি কাপুর। তাঁর অন্যতম হিট ছবি ‘কর্জ’-এর সব থেকে জনপ্রিয় গান এটি। দুঃখের কথা, এই গান ত্রিনিদাদের বিখ্যাত ক্যালিপসো গায়ক লর্ড শর্টির গাওয়া ‘ওম শান্তি ওম’-এর হুবহু নকল। শোনা যায় সাতের দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সফরে এসে গানটি শোনেন কিশোর কুমার। তাঁর অনুরোধেই ছবিতে গানটি রাখেন সুরকার জুটি লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলাল।

নীলে নীলে অম্বর পর (১৯৮৩): ‘কলাকার’ ছবিতে সমকালীন জুটি কল্যাণজি-আনন্দজি হাঁটলেন স্রোতের বিপরীতে। মূল গান ‘ইলায়া নীলা’র সুরকার ছিলেন বিশিষ্ট তামিল সুরকার ইলাইয়ারাজা। তামিল ছবি ‘পায়ানঙ্গল মুদিভাথিল্লাই’এর হিন্দি সংস্করণ ছিল ‘কলাকার’। হিন্দি গানটি ছিল কিশোরকুমারের কণ্ঠে। 

বাপ্পি লাহিড়ী, সাতের দশকে ‘চলতে চলতে’, ‘ইয়ে নয়না ইয়ে কাজল’, ‘মানা হো তুম’-এর মতো সুখশ্রাব্য গান উপহার দেওয়ার পর আটের দশকে আত্মপ্রকাশ করেন ডিস্কো অবতার হিসাবে। তাঁর তিনটি গানের কথা বলি।  

হরি ওম হরি (১৯৮০): ‘পেয়ারা দুশমন’ ছবিতে গানটি গেয়েছিলেন উষা উথুপ। মুল গান ‘ওয়ান ওয়ে টিকিট’ ১৯৭৮ সালে গেয়েছিল ব্রিটিশ ডিস্কো ব্যান্ড ইরাপশন। 

কোই ইয়াহাঁ আহা নাচে নাচে (১৯৮২): বছরের অন্যতম সেরা হিট ‘ডিস্কো ডান্সার’এ গানটি গেয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী এবং উষা উথুপ। মূল গান ‘ভিডিয়ো কিলড দ্য রেডিয়ো স্টার’ ১৯৭৯ সালে গেয়েছিল ব্রিটিশ ব্যান্ড দ্য বাগলস। 

তমা তমা লোগে (১৯৯০): ‘থানেদার’ ছবিতে বাপ্পির এই গান নিয়ে সেই সময় তুমুল বিতর্ক হয়। বিষয় ছিল এই গান কে আগে বেঁধেছে। অথচ মূল গানটি ছিল আফ্রিকার গিনির গায়ক মোরি কান্তের। ‘হম’ ছবিতে একই সুর টুকে লক্ষ্মীকান্ত প্যারেলাল তৈরি করেন ‘জুম্মা চুম্মা দে দে।’ তবে সিনেমা হলে ‘থানেদার’ ‘হম’-এর এক মাস আগে মুক্তি পায়।

ন’য়ের দশকে ভারতে ইন্টারনেটের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি গানের কপি-পেস্টের স্লুইস গেট খুলে যায়। এই বিষয়ে অনু মালিক ও প্রীতম চক্রবর্তী সব থেকে বেশি সমালোচিত হলেও, নাদিম-শ্রাবণ, আনন্দ-মিলিন্দের মতো সমকালীন সুরকাররাও পিছিয়ে ছিলেন না। সুরের জন্য তাঁরা ভার্চুয়াল পাড়ি দেন মধ্যপ্রাচ্য থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ঘরের ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলি থেকে পাকিস্তানের নুসরত ফতে আলি খান, কিছুই বাদ যায়নি। তবে ইন্টারনেটের কল্যাণেই, কপিরাইটের আইনকানুন অমান্য করলে এখন কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। 

ঠিক এই পরিস্থিতিতে এই প্রজন্মের বেশ কিছু সুরকার নতুন করে উপলব্ধি করছেন শিকড়ের টান। তাই এ কালের সুরকার তনিষ্ক বাগচি যখন ১৯৬৬ সালে ‘তিসরি কসম’-এ মান্না দে-এর গাওয়া ‘চলত মুসাফির মোহ লিয়া রে’-কে ২০১৭ সালে ‘বদরি কি দুলহানিয়া’তে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন, তখন নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত না হয়ে উপায় আছে?

*ছবি সৌজন্য: Youtube, Hiphopun
*ভিডিও সৌজন্য: Youtube

দু’দশক ইংরেজি সংবাদপত্রের কর্তার টেবিলে কাটিয়ে কলমচির শখ হল বাংলায় লেখালেখি করার। তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কয়েকজন ডাকসাইটে সাংবাদিক। লেখার বাইরে সময় কাটে বই পড়ে, গান শুনে, সিনেমা দেখে। রবীন্দ্রসঙ্গীতটাও নেহাত মন্দ গান না।

One Response

  1. উল্টো দিকের কিছু গানের কথাও বলা উচিত ছিল। শঙ্কর জয়কিষণের সুরে “গুমনাম” ছবির একটি গানের সুর পরবর্তীকালে হলিউডে ব্যবহার করা হয়েছিল; গানটি ছিল মহম্মদ রফির গাওয়া “জান পহেচান হো জীনা আসান হো”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *