গত ২৯শে ফেব্রুয়ারী প্রয়াস আয়োজিত ফেলুদার পঞ্চাশ বছর অতিক্রান্ত  উপলক্ষে আমেরিকান সেন্টারে এক অন্তরঙ্গ আলাপচারিতার
আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সন্দীপ রায়, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং তথ্যচিত্র পরিচালক
সাগ্নিক চ্যাটার্জী। বিষয় যখন ফেলুদা তখন বাঙালির আগ্রহ যে তুঙ্গ বিন্দু স্পর্শ করবে তা আর অস্বাভাবিক কি! সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন
চলচ্চিত্র-ইতিহাসবিদ শর্মিষ্ঠা গুপ্ত। আট থেকে আশি কিংবা তারও বেশি বয়সীরা আজও ফেলুদা ফ্যান। আমরা কী করে ভুলতে পারি রহস্য
রোমাঞ্চে ঘেরা জয় বাবা ফেলুনাথ,সোনার কেল্লা কিংবা পরবর্তী প্রজন্মের বোম্বাইয়ের বোম্বেটে। আজও ফেলুদার বই বেস্ট সেলার। জটায়ু থাকলে
হয়ত বলতেন ‘হাইলি সাসপিসিয়াস’। আমাদের সকলের মনে আছে জটায়ুর সেই দুর্দান্ত সংলাপ — ‘উট কি কাঁটা বেছে খায়’?
এই নস্ট্যালজিক সন্ধ্যায় ফেলুদা চরিত্রের নেপথ্য কাহিনী শোনালেন  সন্দীপ রায়। সব্যসাচী চক্রবর্তী  জানালেন তাঁর ফেলুদা হয়ে ওঠার ইতিহাস। আর শাশ্বত শোনালেন তোপসের অভিজ্ঞতা। সব্যসাচী বললেন —ফেলুদা চরিত্রের জন্য আমি সত্যজিৎ রায়ের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন আমি আর ফেলুদা করব না। কারণ আমার জটায়ু আর নেই। আমি বলেছিলাম ফেলুদার উচ্চতার সঙ্গে আমার মিল আছে। কিন্তু সত্যজিৎ রায় বলেছিলেন তুমি বাবুর (সন্দীপ রায়) সঙ্গে দেখা করো। ওর  ফেলুদা করার পরিকল্পনা আছে। সব্যসাচী আরও বললেন ফেলুদার উচ্চতার সঙ্গে আমার মিল। ফেলুদাও কড়াপাকের সন্দেশ খেতে ভালোবাসে, আমিও তাই। ফেলুদা মহিলা সঙ্গ পছন্দ করে না। আমিও না। শাশ্বতের কথায় তিনি তার মানিক জেঠুর কাছে গিয়েছিলেন। জেঠিমা মানে বিজয়া রায় বলেছিলেন তোমাকে তোপসে ভালো মানাবে। শাশ্বত মনে মনে বলেছিলেন আপনারা তো আর করবেন না। ফেলুদা বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় করলে বাংলা সংলাপের  আস্বাদ বা রসের বিঘ্ন ঘটবে। “কারণ উট কি কাটা বেছে খায়?” এর অনুবাদ অন্য ভাষায় হলে ভাষার মাধুর্য আঘাতপ্রাপ্ত হবে। যদিও সন্দীপ রায় হিন্দিতে ‘কিস্যা কাঠমান্ডু কা’ করেছিলেন। সেই রেশ ধরেই  সন্দীপ রায় বললেন—ফেলুদা আমরা হিন্দিতে করেছিলাম। সেটা জমাটি ছবি হয়েছিল। কিন্তু ফেলুদা হয়ে ওঠেনি। কারণ লালমোহনের সংলাপ অনুবাদ প্রায় অসম্ভব।
তথ্যচিত্র পরিচালক সাগ্নিক চ্যাটার্জী ফেলুদার ওপর ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেছেন যা ইতিমধ্যে জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত। তাঁর ভাষায়-
“আমার মনে হয়েছিল ফেলুদার মাধ্যমে অনেকেই সত্যজিৎ রায়কে চেনেন। এটা ডকুমেন্টারি  বলে আমি চেয়েছি ইংরাজিতে হোক।”
এই আলাপচারিতা শেষ হোল হালকা  মজার রেশে। শর্মিষ্ঠা প্রশ্ন করেছিলেন আধুনিক সময়ে  প্রাসঙ্গিক করার জন্য ফেলুদার
মধ্যে আর কী কী পরিবর্তন আনা জরুরি। রসিকতার মেজাজে শাশ্বত বললেন — ফেলুদার এবার একটা বিয়ে দিতে হবে।ঠ আলাপচারিতার
শেষে দর্শকদের মধ্যে থেকে কিছু প্রশ্ন উঠে এলো।প্রশ্ন উত্তরে উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল সেদিনের সন্ধ্যা। এদিনে প্রদর্শিত হোল সাগ্নিক চ্যাটার্জীর
তথ্যচিত্র; ফেলুদা।বাঙালির ফেলুদা নাকি ফেলুদা আন্তর্জাতিক? প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল সাগ্নিকের তথ্যচিত্র ফেলুদা দেখার পরে। শৈশবের অনেক স্মৃতি, স্মৃতির সুগন্ধ উঠে এলো এক মুহূর্তে। একটি বইয়ের কিছু লাইন স্মৃতির দরজায় কড়া নাড়ল সজোরে। না, তা ফেলুদার সরাসরি কোনও গল্প নয়। ফেলুদা
নিয়ে রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্লেষণাত্মক একটি প্রবন্ধ। ফেলুদা সত্যজিতের কার্বন কপি বা ক্যানন মেশিনে ফোটো কপি কি? এর প্রতিধ্বনি
রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় লেখায়— ‘স্থাপত্য থেকে সঙ্গীত, টাইপোগ্রাফি থেকে চিত্রকলা,শিল্পের এই বিস্তৃত ক্ষেত্রের সঙ্গে ফেলুর পরিচিতি এত গভীর এবং তার মনে রাখা ও গ্রহন করার ক্ষমতা এমনই বিস্ময়কর যে সে মুহূর্তে ষোড়শ শতাব্দীর ফ্রান্সের প্রথম  তৈরি গ্যারামণ্ড  টাইপের ইংরাজি, জার্মান, সুইস, আমেরিকান, ভারতীয়, এমনকি কলকাত্তাই সংস্করণকে  আলাদা করে চিনতে পারে। আন্তর্জাতিক সাহিত্যে শার্লক হোমস এবং আরকিউল পয়রো ফেলুর সমতুল্য।সাগ্নিকের তথ্যচিত্র এই ফেলু মিত্তিরকেই তুলে ধরল।সেই সঙ্গে স্মৃতি এবং সমকালের সংযোগ ধরা পড়ল তার লেন্সে।নিছক সাক্ষাৎকার ভিত্তিক তথ্যচিত্র নয়।ফিলম ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে সাগ্নিক জুড়ে দিলেন তার ইন্টারপ্রিটেশন। এখানেই সাগ্নিকের ফেলুদা আর পাঁচটা ডকুমেন্টারি থেকে আলাদা।স্মৃতি এবং সমকালের দ্বন্দ্বও ছবিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে।একদিকে স্মৃতি যেমন সুখকর অন্যদিকে সেই স্মৃতিই অধরা মাধুরী।যদিও সাগ্নিক এ প্রসঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি।
ছবির শুরুতে বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসে ফেলুদা। আমরা দেখতে পাই আজকের কলকাতা। ব্যস্ত কলকাতা। ব্যস্ত মহানগরীর মাঝেও
ধীরে ধীরে প্রস্ফুটিত ফেলুদা। বিভিন্ন মানুষের কথায়। কী আশ্চর্য অনিবার্য মেলবন্ধন! সত্যজিতের ফেলুদার ফুটেজ; বর্তমান ও অতীতের
অভিনেতা,পরিচালক, লেখক, গবেষকের সঙ্গে মিলিয়েছেন সাগ্নিক। মিলিয়েছেন  মেধাবী মুন্সিয়ানায়। রিল লাইফ এবং রিয়েল লাইফের
যোগসূত্র। সেই সঙ্গে লেখক সত্যজিতকে আবিষ্কার করেছেন বিভিন্ন বক্তব্যের দৃষ্টিভঙ্গীতে। সন্দীপ রায়ের ভাষায় — ‘বাবা যখন ফেলুদার
গোয়েন্দাগিরি লিখলেন, তখন আদৌ সিরিজ করার কথা ভাবেন নি। ভেবেছিলেন কিশোর কিশোরীর জন্য গোয়েন্দা গল্প। সেই সময় ছোটদের
গোয়েন্দা সেভাবে ছিল না। কারণ ব্যোমকেশ কিরীটী রায় এসবই ছিল বড়দের গোয়েন্দা।যেটা খুব ইন্টারেস্টিং সেটা হোল ফেলুদা মানেই
সত্যজিৎ রায়। বাবার যা পছন্দ তা ফেলুদার মধ্যে ঢুকিয়েছেন’। গুপি গাইন বাঘা বাইনের জয়সলমির দেখার পরেই সত্যজিৎ সোনার কেল্লা
লিখলেন।সন্দীপ রায়ের এই সাক্ষাৎকারের প্রায় সমস্বর শোনা গেলো জয়সলমিরের এক নিবাসীর মুখে। যে জয়সলমিরে এক সময়ে কালাপানির
নির্বাসনকারীরা আসত, সোনার কেল্লার পরে সেই জয়সলমির হয়ে উঠল টুরিস্ট স্পট।
আমাদের অনেকেরই জানা নেই, ফেলুদা শুধু ইংরাজি ভাষায় নয়, হিন্দী, উড়িয়া, মারার্ঠি, মালায়লম, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিস এবং জাপানি ভাষায় অনুদিত। এটাই ছিল তথ্যচিত্রের উৎসবীজ সাগ্নিকের কাছে। সাগ্নিকের শুটিং লোকেশন ছিল  কলকাতা, জয়সলমির, বেনারস এবং লণ্ডন। সন্দেশের সঙ্গে জড়িত জীবন সর্দার, দেবাশিস দেব, সন্দীপ রায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জী, কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সাহিত্যিক স্মরণজিৎ চক্রবর্তী, আবীর চট্টোপাধ্যায়, চিত্রগ্রাহক সৌমেন্দু রায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়,পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়,সব্যসাচী চক্রবর্তী, সত্যজিতের সহকারী রমেশ সেন, অতনু ঘোষ, কবীর সুমন, ধৃতিমান চ্যাটার্জী এবং আরও অনেকে ফেলুদাকে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করেছেন। তার মধ্যে কিছু তুলে ধরছি। ফিলম সমালোচক জাগরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা ইন্টারেস্টিং স্টেটমেন হোল – ‘ফেলুদা বিবাহিত নয়  বলেই ফ্যান্টাসাইস করা যায়’। সমগ্র ডকুমেন্টারি জুড়ে পরিচালক অতনু ঘোষের মন্তব্য স্মরণযোগ্য। কারণ শ্রী ঘোষ একটি ঐতিহাসিক তথ্যের দৃষ্টিকোণে সোনার কেল্লার ভাবনাকে ব্যাখ্যা করেছেন। তথাকথিত বিজ্ঞান বহির্ভূত প্যারাসাইকোলজি মান্যতা পাওয়ার পরেই সোনারকেল্লা নির্মাণ করেন সত্যজিৎ।
সাহিত্যিক স্মরণজিৎ চক্রবর্তী মনে করিয়ে দেন ফেলুদায় ডার্ক ভায়োলেন্স নেই। কবীর সুমন ফেলুদা গল্পের জনপ্রিয়তার কারণ ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন ফেলুদার কোনও গল্পই এক যে ছিল রাজা —এভাবে শুরু হয় না। বলাই বাহুল্য; ফেলুদার মধ্যে  আগাগোড়া মধ্যবিত্ত মূল্যবোধের স্রোত প্রবাহিত। জয়বাবা ফেলুনাথের সেই দৃশ্য মনে করুন যেখানে মগনলালের দিকে ফেলু তার দেওয়া অর্থ ছুঁড়ে দেওয়ার আগে বলছে —‘আমি ঘুষ নিই না মগনলালজি’। কবীর সুমনের ‘জটায়ুকে সঙ্গে নিয়ে চলে গেলেন সত্যজিৎ’ গানটা তথ্যচিত্রে কনটেন্ট মিউজিক হিসেবে ব্যবহৃত। ১৯৭৯ সালে জয়বাবা ফেলুনাথ মুক্তির পরে সিনেমায়  সত্যজিতের ফেলুদার অবসান। আর সত্যজিতের ফেলুদা সিরিজের শেষ লেখা রবার্টসনের রুবি। প্রকাশকাল ১৯৯২, প্রকাশিত শারদীয়া দেশ পত্রিকায়। সত্যজিতের জীবনাবসানও ওই বছরেই।
ফেলুদা ও সত্যজিৎ একে অপরের পরিপূরক বলেই সত্যজিতের  জাগতিক প্রস্থান যেন  এক অর্থে ফেলুদা পর্বের অবসান। তথ্যচিত্রে
সম্পাদনার জাদুতে এই ফ্যাক্ট ও ফিকশনের সহবাস আরও স্পষ্ট সনাক্ত করে, ফেলুদা সত্যজিতের অল্টার ইগো। সাগ্নিকের ভাষায়— “সত্যজিৎ রায়ের শেষ ছবি আগুন্তুকে শান্তিনিকেতন এসেছে। আবার রবার্টসনের রুবিতেও শান্তিনিকেতন শুধুমাত্র ভ্রমণস্থল নয়। এক অনিবার্য উপস্থিতি। এর কারণ সত্যজিতের শিক্ষার একাংশ এই শান্তিনিকেতনে। খুব ভালো ভাবে দেখলে বোঝা যাবে সত্যজিতের সিধু জ্যাঠার মুখের আদলের সঙ্গে শিল্পী বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের মুখের মিল যথেষ্ট।”
বহু বছর অতিক্রান্ত। সন্দীপ রায়ের ফেলুদা প্রথম দূরদর্শনে। তারপর বড় পরদায়। বোম্বাইয়ের বোম্বেটেতে ফেলুদার পিস অফ মিউজিক হয়ে
উঠল সিগনেচার টিউন। এক নতুন যুগের ফেলু। শার্প কাটিং যেখানে চলচ্চিত্রের চরিত্র হয়ে উঠছে। ফেলুদা এখানে যতটা সেরিব্র্যাল ঠিক ততটাই
ফিজিক্যাল। এই পর্বে সাগ্নিকের মেকিং সেই স্পিরিট অনুযায়ী বাঁক নিল। পরিচালক প্রতিটা পর্ব থেকে পর্বান্তরে ফেলুদাকে বহন করেছেন।
‘লণ্ডনে ফেলুদা’ উপন্যাসের মতই সাগ্নিক লণ্ডনের জনসমাগমে এ্যানিমেশনের মাধ্যমে ফেলুদা আর তোপসেকে দেখিয়েছেন। সেই সঙ্গে
ব্রিটিশ গবেষকের ভাষ্য।
এই লেখার সূচনায়  স্মৃতি ও সমকাল এবং  যে দ্বন্দ্বের  কথা বলেছিলাম, এবার সে প্রসঙ্গে ফিরে। এটি তথ্যচিত্রের একটি মূল্যবান সম্পদ।
জয় বাবা ফেলুনাথের বেনারস কালের নিয়মেই বদলেছে। সত্যজিতের সহকারী রমেশ সেন আজকের বেনারসে জয়বাবা ফেলুনাথের সেই ঘোষাল বাড়ি খুঁজছেন। অন্যদিকে সোনার কেল্লার মুকুল ওরফে কুশল চক্রবর্তী এবং সন্দীপ রায়কে নিয়ে পরিচালক গিয়েছেন জয়সলমীরে। একজনের ঘোষাল বাড়ি অনুসন্ধান, অন্যদিকে সোনারকেল্লার সেই দুর্গের খোঁজ। অবশেষে তারা খুঁজে পেলেন। খুঁজে পেলেন সমকালের দৃষ্টিভঙ্গীতে তাদের স্মৃতির সৌন্দর্য। সাগ্নিকের ছবিতে ডিটেলিং প্রতিটি শটে এবং ফ্রেমে। টাইম ল্যাপ্সের জন্য যে স্পেসের প্রয়োজন তাও দক্ষতার সঙ্গে সংযুক্ত।ফেলুদা গোয়েন্দা গল্প বলেই গোয়ান্দাধর্মী মুডের মতো ছবির গতি এগিয়েছে।
সম্পাদনার কথা বললে প্রথমেই সুজয় দত্ত রায়ের কথা বলতে হয়। অন্যান্য কলাকুশলী মধ্যে ক্যামেরায় সুবোধ কারভে, পিনাকী সরকার, সাউণ্ডে নীহার স্যামল, ব্যাকগ্রাউণ্ড মিউজিকে সোমনাথ রায়,সুদীপ্ত বিশ্বাস,শ্রীমাল্য মৈত্র উল্লেখযোগ্য। বহুদিন পরে এরকম অসামান্য এক তথ্যচিত্রের সম্মুখীন হলাম। সাগ্নিকের পরবর্তী কাজের অপেক্ষায় রইলাম। শুধু একটা প্রশ্নই অধরা থেকে গেল। লালমোহন ওরফে জটায়ুকে মগনলাল মেঘরাজের হেনস্থার পর ফেলুদা বলেছিলঃ’ হয় এর বদলা নেব, নয় গোয়েন্দাগিরি ছেড়ে দেব’। জয় বাবা ফেলুনাথের শেষে মগনলালকে একই ভাবে ঘায়েল করেছিল ফেলুদা। প্রশ্ন এখানেই; যার জীবনে ফেইলিওরের সংখ্যা খুবই কম,তার নাম ফেলু কেন? আপাতত প্রশ্নটা আপনাদের জন্যই তোলা থাকল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *