শিমলার কথায় আবার ফিরে এলাম। এখনও শিমলা আমার প্রিয় স্মৃতিগুলির অন্যতম। কারণ ধুলো আর সমস্যা জড়ানো কাজের মাটিতে নামার আগে সেই ছিল আমার শেষ স্বর্গবাস। মাত্র আট মাস সময়। যেন কত আনন্দ আর ভবিষ্যত চিন্তাহীন স্বপ্নে ভরে থাকত দিনরাত। প্রতিযোগিতায় কণ্টকিত যে সিভিল সার্ভিসের উত্তাপ মসূরি অ্যাকাডেমিতে গিয়ে পেয়েছিলাম, তার যেন বাষ্পটুকুও নেই শিমলার ঝকঝকে নীল আকাশে, ঠান্ডা হাওয়া আর পাহাড়ের কোলের মধ্যে বসানো এক প্রাসাদের সবুজের ঐশ্বর্যে।
নানা রাজ্য থেকে এসেছি আমরা সবাই। এখান থেকে বার হয়ে কেউ এক গন্তব্যে যাবে না। তাই সকলেই জানে এখানে অমলিন আনন্দ ছাড়া কিছু নেই। মনে পড়ে, শরতের শেষে একদিন আমাদের বিকেলের ক্লাস হচ্ছিল লাউঞ্জে। যেখানে নিয়মিত ক্লাস হয়, সেই ঘরের কিছু সমস্যা ছিল বোধহয়। অন্যমনস্কভাবে বাইরে তাকিয়ে আছি। আকাশ মেঘলা। শীতের আরম্ভ। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হঠাৎ ঝিরঝির করে নরম, নিঃশব্দ পায়ে সাদা ফুলের খুদে পাপড়ির মতো আকাশ থেকে ঝরতে লাগল— এতো বৃষ্টি নয়! এ তুষার! আমি জীবনে প্রথমবার তুষারপাত দেখছি! যেন ফুলের ফুটে ওঠা দেখার মতনই এক আশ্চর্য সৌভাগ্য। সবাই মগ্ন হয়ে অ্যাকাউন্টস বিধি নোট করছে, আর আমি বরফ দেখছি। দেখতে দেখতে আমাদের সবুজ ঘাসের লন ঢেকে গেল নরম তুষারের চাদরে। সন্ধে হয়ে অন্ধকার ঘনাল। সকালে তাড়াহুড়ো করে নেমেছি, ব্রেকফাস্টের আগেই। দেখি মহা উৎসাহে স্নোম্যান তৈরি করছে আমার দুই বন্ধু। হায়দরাবাদের নাগার্জুন আর নাগাল্যান্ডের লালসাওটা।

সারা রাত বরফ পড়েছে। তার উপরের স্তর নরম, পা রাখলে জুতো ডুবে যাবার সম্ভাবনা। বরফ যখন কঠিন হয়ে যাবে তার উপর পা রাখলে পা হড়কে পিছলে যাবার ভয়। বরফ দেখতে যতই সুন্দর হোক, বস্তুটি যে তেমন সুবিধের নয়, পাহাড়ে এসে বুঝলাম। পরেরদিন সকালে ঐ বরফের উপর দিয়ে হেঁটে নীচে ক্লাসে যাবার সিঁড়ির কাছেই পা পিছলে পড়লাম। হিমাচলের বন্ধুরা পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতীয়দের যথেষ্ট বোঝাবার চেষ্টা করছিল, বরফের উপর আদর্শ হাঁটার পদ্ধতি কী। কিন্তু সেই কলা কি এক জন্মে আয়ত্ত করার জিনিস? আমাকে টেনে তুলল একাধিক হাত। তখন কৃশাঙ্গী ছিলাম, আকর্ষণীয়ও। নীচে পৌছে দেখলাম ব্যাগ থেকে ছিটকে পড়ে গেছে বাবার দেওয়া চাইনিজ উইং সাং কলম। সবুজ শরীর, সোনালী ক্যাপ, ইমপোর্টেড (না স্মাগল্ড?) কলম তখন আমাদের পকেটের হিসেবে মহার্ঘ। ১৮ টাকা দাম। শুনে সঙ্গে সঙ্গে ওপরে দৌড়ল গুজরাতি যুবক মুকেশ, বরফের সঙ্গে অনাত্মীয়তার নিরিখে এ তার হারাকিরিই বটে! কলমটা দাঁড়িয়ে ছিল বরফে নিব গাঁথা অবস্থায়। চারপাশের বরফ খুঁড়ে তাকে অক্ষত অবস্থায় বার করে এনেছে মুকেশ। ওর আঙুলগুলি প্রায় নীল হয়ে গেছে ঠান্ডায়। নবীন যৌবনকেই এমন স্পর্ধা মানায়!

আনন্দ ঝলমল দিনগুলি স্পষ্ট মনে পড়ে এখনও। ছুটির দিনে দেরি পর্যন্ত লেপের নীচে। তারপর ধীরেসুস্থে লম্বা টানা টেবিলে সবাই মিলে ব্রেকফাস্ট। দুপুরের খাওয়ার পর হাঁটতে হাঁটতে লোয়ার বাজার। সফটি আইসক্রিম কিংবা ভুট্টা পোড়া খেতে খেতে ইয়ারোজ়-এ ফেরা। আমরা আট দশজন যখন মানব-মানবী শৃঙ্খল হয়ে রাস্তায় বেরতাম, তখন রাস্তার একোণ থেকে ওকোণ আমরাই জুড়ে থাকতাম। এক একদিন ম্যালের সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যাওয়া। অবাস্তব অসম্ভব সব হিন্দি সিনেমা, স্রেফ পপকর্ন খেতে খেতে হাসাহাসি করার জন্যই যাওয়া। তখনও ধনেখালি, টাঙ্গাইল, মুর্শিদাবাদি সিল্ক পরে চলেছি পাহাড়ে। উৎসাহী রাকেশ আর পরমবীর একদিন ধরে নিয়ে গেল লোয়ার বাজারের মশহুর টেলর মাস্টারের কাছে। সেলাই হল গোলাপির উপর সাদার পোলকা ডট দেওয়া সালোয়ার কামিজ আর সাদা ওড়না। এখনও মনে পড়ে, ঘরের পুরনো কাঠের ড্রেসিং টেবিলের পারা-খসা আয়নায় অল্প আলোয় নিজেকে প্রথম দেখা সনাতনী শাড়ি ছাড়া এক নতুন পোশাকে। নিজের সেই মুখ ও অবয়ব যেন বহুদিনের ধূলিজালে জড়ানো হয়ে মনে আসে। বাইরে দরজার ধারে বন্ধুরা দাঁড়িয়ে। আমার প্রথম ‘লুক’ দেখবে। সে কী হৈচৈ সিটির বন্যা বাইরে আসতেই! পরমবীরের ‘ইনহি লোগোঁনে’ নাচ, পাকীজ়া ছবি থেকে। সব মিলিয়ে মারমার কাটকাট।
মাঝে মাঝে অতিথি অধ্যাপকরা আসতেন, সঙ্গে তাঁদের পরিবার থাকত, স্ত্রী পুত্রকন্যা। বন্ধুদের বাবা মা আসতেন। তাঁদের আদরযত্ন, দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল আমাদেরই। গানের আসর বসত খাওয়াদাওয়ার পর। লখনউয়ের তহজ়িব-এ নিখুঁত প্রভাতচন্দ্রের গলায় কিন্তু সুর ছিলনা। খুব আবেগ দিয়ে ‘না কিসিকে আঁখোকা নূর হুঁ’ গাইলে মনে হত আবৃত্তি। কাজেই প্রভাত গাইলেই আমরা প্রমাদ গুণতাম। আর ‘প্রভাত, ইওর লাস্ট সং প্লিজ়’ বলে চেঁচামিচি করতাম। প্রভাত তবু গেয়েই যেত গানের পর গান, কারো দিকে না তাকিয়ে।
সুব্রহ্মনিয়ম স্যার সিস্টেম বানিয়ে দিয়েছিলেন। প্রত্যেকের জন্মদিন পালন করা হবে, তাকে পছন্দমতো উপহার দিয়ে। অন্যরা সবাই টাকা জড়ো করবে। জন্মদিন উপলক্ষে পার্থসারথি যখন একজোড়া অ্যাম্বাসাডার জুতো চাইল, আমরা ব্যাজার হয়ে বললাম, জন্মদিনে জুতো? ও বলল, আমার জুতোই দরকার, অন্য কিছু নেব কেন। যাইহোক, পরে যখন দেখলাম, নতুন জুতোর বাক্স মাথার কাছে নিয়ে ঘুমোচ্ছে পার্থসারথি, শিশুর প্রশান্তি তার মুখে, ভালোই লেগেছিল।

আমি জন্মদিনে পেয়েছিলাম, শেক্সপিয়র সমগ্র। নানা স্থান বদলে আর বহুবার পড়ায় বইটা ঝরঝরে হয়ে গেছে, কিন্তু আছে। পার্থসারথি নিজের মেধা ও কৃতিত্বে ভারতের কম্প্রট্রোলার ও অডিটর জেনারেল-এর (CAG) সর্বোচ্চ পদের কাছাকাছি গিয়েছিল। আমাকে দুটো জিনিস খুব কড়াভাবে শিখিয়েছিল, থালায় খাবার নষ্ট না-করা আর আলতো করে জল গলায় ঢালা। বৃষ্টিবহুল সুফলা পূর্ব ভারতে পাতে ভাত নষ্ট করা এক বিলাসিতা। মা বলতেন, ভাত রেখে দে। মাছ খেয়ে উঠে পড়। আর, বিষম লাগার ভয়ে গ্লাসে চুমুক দিয়ে জল খেতাম। পার্থসারথির দুটো শিক্ষাই তখন থেকে ফলো করে এসেছি।
আরও পড়ুন: বাংলালাইভের বিশেষ ক্রোড়পত্র: সুরের সুরধুনী
নাগার্জুন ছিল আমার খুব ভালো বন্ধু। তার রসবোধ ছিল অসামান্য, যা ফুটে উঠত তার ছোটখাটো মজার মন্তব্যে, চোখের ইশারায়। ছ’ফুটের বেশি লম্বা ও শীর্ণদেহী নাগা নিজের চেহারা নিয়েই কত কৌতুক করত। একবার টয় ট্রেনে সমতলে নামছি, কামরাভর্তি আমরা সবাই, হিমাচল যাব,পঞ্জাব হয়ে। হঠাৎ দেখি আমার মুখের সামনে খোসা ছাড়ানো এক কলা। কোথা থেকে এল? পাশের জানলার শিক গলিয়ে নাগার কলা শুদ্ধু হাত আমার ঘাড়ের কাছে। একবার অন্ধকারে আমি নিজের ঘরে ফিরলে ভয় দেখানোর বিরাট তোড়জোড় করেছিল। অন্যরাও তাতে জুটে গিয়েছিল বলাই বাহুল্য। দরজার পাশেই লম্বা এক আয়না। তাতে নিজের ছায়া দেখে আমি ভির্মি যাব, এই ছিল ওদের প্ল্যান। যদি অজ্ঞান না হই, তবে আরও ভয় দেখানোর জন্য এক লুকোনো টেপ রেকর্ডারে গোরুর হাম্বা, বাঘের ডাক, মানুষের অট্টহাসি, পাখির চ্যাঁ চ্যাঁ মিশিয়ে ভরা ছিল। আমার মতো ভীতুর পক্ষে এসবই ছিল যথেষ্ট, কিন্তু ক্যাসেট শুরু হওয়ার আগে যে খসখস শব্দ হত, তাতে আমি সতর্ক হয়ে যাই। বন্ধু মূর্ছা না গেলে বন্ধুদের কী পরিমাণ হতাশা হতে পারে, সেই প্রথম দেখলাম।
এই রকম হট্টমালার রাজত্বে, যেখানে ট্রেনিংয়ে যা শিখেছি সব তৎক্ষণাৎ ভুলে যেতাম, আইএএস পরীক্ষার পড়া কেমন হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। ক’মাস আগে প্রিলিমিনারি পাশ করেছি নিতান্ত হেলাফেলায়, মেইনস-এর সেন্টার হিসেবে বেছেছি শৈলশহর শিমলা। শীতকাল। আমার সঙ্গে মেইনস আর যারা দেবে, তারা গেছে দিল্লি। কারণ, কে জানে সুনসান শিমলার খাতা আদৌ দেখা হবে কিনা। চারচাকার গাড়ি চলে না পথে। শীতের কনকনে হাওয়ায় সাত কিলোমিটার হেঁটে পরীক্ষার সেন্টারে যাওয়া, পৌঁছে মালসার আগুনে হাত গরম করে একমাত্র দ্বাররক্ষককে বলা, বন্ধ দেওয়াল ঘড়িটি চালু করতে। পরীক্ষা শেষ হলে শীতে কাঁপতে কাঁপতে আবার সাত কিলোমিটার হেঁটে ইয়ারোজ়-এ ফেরা। রাকেশ আর পরমবীর আমাকে ম্যালের কাছ থেকে নিতে আসত। ফিরে পা কনকন করত ব্যথায়। পরের পেপারের পড়া করব কি, ঘরের ফায়ার প্লেসের কাঠের আগুনের সামনে বসে বসে ঘুমিয়ে পড়তাম। অনেক পরে, আমি খেতে যাইনি দেখে, দীর্ঘদেহী পাহাড়ি, সাদা চুলগোঁফ, লাব্বুরাম চামচে করে খাইয়ে দিত আমাকে। আমি ওইভাবে আবার ঘুমিয়ে পড়তাম।সম্ভবত অত পায়ে হাঁটার রেকর্ডের জন্য আইএএস ইন্টারভিউতে ডাক পেলাম। আমি আর অ্যান্টনি ডি সা।
ছুটির দিনে দেরি পর্যন্ত লেপের নীচে। তারপর ধীরেসুস্থে লম্বা টানা টেবিলে সবাই মিলে ব্রেকফাস্ট। দুপুরের খাওয়ার পর হাঁটতে হাঁটতে লোয়ার বাজার। সফটি আইসক্রিম কিংবা ভুট্টা পোড়া খেতে খেতে ইয়ারোজ়-এ ফেরা। আমরা আট দশজন যখন মানব-মানবী শৃঙ্খল হয়ে রাস্তায় বেরতাম, তখন রাস্তার একোণ থেকে ওকোণ আমরাই জুড়ে থাকতাম। এক একদিন ম্যালের সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যাওয়া। অবাস্তব অসম্ভব সব হিন্দি সিনেমা, স্রেফ পপকর্ন খেতে খেতে হাসাহাসি করার জন্যই যাওয়া।
এবার আমার ইংরাজি বেশ চোস্ত— অভ্যাসের গুণে। তবে বাঁচিয়ে দিল বাংলা কবিতা। কিছু অর্থনীতির প্রশ্নের পর আমার ‘হবি’ কলামে ‘কবিতা লেখা’ দেখে ইন্টারভিউ বোর্ড জানতে চাইলেন, আমি নিজের একটা কবিতা শোনাতে পারি কিনা। ‘আমাকে বিশ্বাস করো’ শীর্ষক এমএ ফার্স্ট ইয়ারে লেখা কবিতাটা মুখস্থ ছিল। বললাম। তাঁরা বললেন, আমাদের জন্য অনুবাদ করে দাও। তাও করলাম মুখে মুখে। এইভাবে কবিতার কাঁধে ভর দিয়ে আমার প্রশাসনে প্রবেশ এবং কবিতার জোরে টিঁকে যাওয়া। পরের বর্ষায় আবার ফিরে আসা মসূরির লাল বাহাদুর শাস্ত্রী অ্যাকাডেমিতে। নাগার্জুনকে অকালে নিয়ে গেছে রোগ। পরমবীর চলে গিয়েছিল পঞ্জাবের সন্ত্রাসপর্বে। এমন সরল হাসিমুখ যুবক, যার রক্তে টগবগ করে ফুটত আনন্দ, সে কী করে নিজের জীবন নিতে পারে, তা কিছুতেই বুঝতে পারিনি। শিমলার সেই সবুজ পর্বতশ্রেণী আর তুষারসাদা কুয়াশা-মেঘ দিনগুলি আমার কাছে রয়ে গেছে চিরতরে। ‘যারা ভালো বেসে ছিল’ উপন্যাসে ধরা আছে এই সময়ের কিছু ছবি। এর ইংরাজি অনুবাদ ‘Those who had known love’, মসূরির বইয়ের দোকানের তাকে শোভা পেয়েছিল বেশ কয়েকবছর। কেনার সময় তরুণ প্রবেশনার ভাবত, এ অ্যাকাডেমি জীবনের কাহিনি। আসলে তা ছিল এক বাঙালি মেয়ের লিখতে লিখতে অনেক দূর যাওয়ার কিছু কল্পিত, কিছু আত্মজৈবনিক উপন্যাস।
*ছবি সৌজন্য: India.com, naaa.gov.in
লেখকের ছবি: লেখকের ব্যক্তিগত অ্যালবাম থেকে
কলকাতায় জন্ম, বড় হওয়া। অর্থনীতির পাঠ প্রেসিডেন্সী কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কবিতা দিয়ে লেখক জীবন আরম্ভ। সূচনা শৈশবেই। কবিতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, প্রবন্ধ, ছোটদের জন্য লেখায় অনায়াস সঞ্চরণ। ভারতীয় প্রশাসনিক সেবার সদস্য ছিলেন সাড়ে তিন দশকেরও বেশি সময়। মহুলডিহার দিন, মহানদী, কলকাতার প্রতিমা শিল্পীরা, ব্রেল, কবিতা সমগ্র , দেশের ভিতর দেশ ইত্যাদি চল্লিশটি বই। ইংরাজি সহ নানা ভারতীয় ভাষায়, জার্মান ও সুইডিশে অনূদিত হয়েছে অনিতা অগ্নিহোত্রীর লেখা। শরৎ পুরস্কার, সাহিত্য পরিষৎ সম্মান, প্রতিভা বসু স্মৃতি পুরস্কার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুবন মোহিনী দাসী স্বর্ণপদকে সম্মানিত। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমীর সোমেন চন্দ পুরস্কার ফিরিয়েছেন নন্দীগ্রামে নিরস্ত্র মানুষের হত্যার প্রতিবাদে। ভারতের নানা প্রান্তের প্রান্তিক মানুষের কন্ঠস্বর উন্মোচিত তাঁর লেখায়। ভালোবাসেন গান শুনতে, গ্রামে গঞ্জে ঘুরতে, প্রকৃতির নানা রূপ একমনে দেখতে।