মাছ‚ মাংস‚ ডিম খাওয়া ভাল না কি নিরামিষ খাওয়া ভাল এই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই| নিরামিষাশীরা অনেকেই আমিষাশীদের ভাল চোখে দেখেন না| অনেক নিরামিষাশীরা আবার মনে করেন আমিষাশীদের কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে| সম্প্রতি কিন্তু অন্য কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা| তাঁদের মতে দিনে এক বার আমিষ খাবার খেলে তেমন কোনও প্রভাব পড়ে না জলবায়ু পরিবর্তনে|

অন্য দিকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মাছ‚ মাংসের পরিবর্তে যাঁরা দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার এবং ডিম খান তাঁরা পরিবেশের অনেক বেশি ক্ষতি করছেন| তাঁদের মতে গরু ও মুরগি পালন করতে এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার তৈরি করতে জমি‚জল‚ বিদ্যুৎ প্রযোজন| এ ছাড়াও গরুর খাবার (খাস‚ বিচালি‚ খড়) এই সবের জন্য সার ও কীটনাশক লাগে| যা থেকে ক্ষতিকর গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয় যা জলবায়ুর পক্ষে খুবই ক্ষতিকর|

জন হপকিনস রিসার্চ সেন্টারে এই নিয়ে বহু দিন ধরেই গবেষণা চলছে| সেখানকার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যাঁরা নিরামিষ ও ভিগান খাবার খান তাঁদের তুলনায় যাঁরা ছোট মাছ‚ অয়েস্টার‚ এই ধরনের খাবর খান তাঁদের শরীরে অনেক বেশি পুষ্টি হয় | তবে সব ক্ষেত্রেই পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়ে|

অন্য দিকে অনেক বিজ্ঞানীদের মতে নিরামিষ খাবার জলবায়ু পরিবর্তন দমন করতে সাহায্য করে| তাঁরা জানিয়েছেন আমিষ খাবার বিশেষত, রেড মিট উৎপাদন করার জন্য জঙ্গল কেটে সাফ করে দেওয়া হচ্ছে, যা পরিবেশের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর|

বিজ্ঞানী কিভ ন্যাচম্যানের মতে এত সহজে সব কিছু বিবেচনা করা সম্ভব না| উনি বিভিন্ন দেশের ডায়েট নিয়ে পড়াশোনা করেন| ওঁর মতে শরীরে যথেষ্ট পুষ্টির জন্য ইন্দোনেশিয়ার মত গরিব দেশের মানুষদের বেশি প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া উচিত | আবার, যে সব দেশে মানুষরা বেশি উপার্জন করেন তাঁদের মাংস‚ দুগ্ধজাতীয় খাবার ও ডিম খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে| এই ভাবেই ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *