ঝড়

নগরের সীমারেখা পর্যাপ্ত নয় ভেবে
একটা নিরীহ বাঘ হঠাৎই নেচে ওঠে 

ততদিনে কেটে ফেলা প্রতিটি নিয়ম এবং তার অপ্রতিরোধ্য ঘোষণা বরাবর
হাঁটে রাতের তক্ষক 

শব্দের ভেতর পোষমানা নৈঃশব্দ্য
সঞ্চরণশীল ভ্রম ও চেতনা,
আমাদের শরীরের মধ্যে ছেড়ে দেয় দীর্ঘ তিনহাজার কবিতা 

তুমি বাঁক নিতে চাও
গো-শকটে পা ঝুলিয়ে দেখে নিতে চাও নিজের আধপোড়া শব ও ধ্বনি 

শত ভয় সত্ত্বেও শেখাতে পারলে না পূর্বপুরুষের নাম ও ঠিকুজি…

অলৌকিক 

নিরাসক্ত একটা গমের খেত পাখিদের সঙ্গে সমঝোতা করতে শিখিয়েছে
দুহাতে মুঠো করে মেলে দিচ্ছ রোদ
আর নগরের সমস্ত কাকতাড়ুয়া ও তার সম্মোহনী বর্ম
পাহারা দিচ্ছে আনন্দকবচ
রামধনু ততটা প্রাসঙ্গিক নয় ভেবে
তোমার খুলে রাখা বাসি জামা, শহরতলির মিথ্যে পরিচয়
অচল চোখের মতো করে তুলছে দৃশ্য
এসব দৃশ্যে পাপবোধ নেই,
নেই কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত মেয়েদের নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত খবর!

বেবী সাউ মূলত কবিতা এবং প্রবন্ধ লেখেন। জন্ম পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলায়। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর শহরে থাকেন। জামশেদপুর আকাশবাণীতে কর্মরত। কবি বেবী সাউ-এর "কাঁদনাগীত: সংগ্রহ ও ইতিবৃত্ত" বইটি 'কৃত্তিবাস মাসিক পুরস্কার ২০১৯' এবং 'বাংলা একাদেমি তাপসী বসু স্মারক সম্মান ২০২০' পুরস্কারে পেয়েছে। তাঁর কবিতার বইগুলিও একাধিক সম্মান পেয়েছে। যেমন- রাঢ় বাংলা রোদ্দুর সম্মান, বইতরণী পুরস্কার, শব্দপথ যুব সম্মান এবং 'এখন শান্তিনিকেতন' পদ্য সম্মান।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *