পক্ষপাতের সমারোহ

উলুধ্বনিতে শাঁখ বাজছিল টানা
খেয়ালই করিনি ট্রেনলাইনের পাশে
অসমবয়সী নিভু নিভু দুটো তারা
জ্বলে উঠেছিল গঙ্গার পাড়ে, রাতে
হাতের ভিতরে হাত নিয়ে শুধু হাসি
সম্পর্কের আড় ভেঙে দেওয়া মেয়ে

শুনশান ঘাটে তাকে এত কাছে পেয়ে
আমার ভিতরও সচল হয়েছিল ডানা
আর সেও যেন সলতে পাকানো দাসী
নাগমাতা সেজে আগুন কুড়োতে আসে
দশদিক জোড়া বেপোরোয়া সাক্ষাতে
নেচেছিল খুব ঝুপড়ির বাচ্চারা

পক্ষপাতের সমারোহটুকু ছাড়া
মনে পড়ে যায় সমস্ত পথ ছেয়ে
এলোমেলো পায়ে রাজভচ্চকীয় মৌতাতে
আমাদের কেনা শহরের মালিকানা!
তছনছ হয়ে যাওয়া সে চৈত্রমাসের
শরীরে তখনই বেজে উঠেছিল বাঁশি

এভাবে আমরা নরকের থেকে উঠে
অতীতের সব ভুল ভেঙে দিয়ে আসি

দশমী

ভোরের মণ্ডপ থেকে একে একে তারাদের ছুটি

ওই প্রায় শেষ দেখা। নবমীর বিকলাঙ্গ মাঠ,
পার করে চলে যাওয়া তোমার না-থাকাটুকু নিয়ে
পশুপালকের মতো হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরি, দূরে

স্পষ্ট হয়ে আসে যত প্রতিমার বিসর্জন ঘাট

 

জন্ম ১লা জুলাই, ১৯৯৬। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে স্নাতোকত্তর পড়ছেন। নেশা আড্ডা মারা, রাস্তায় এলোমেলো ঘুরে বেড়ানো আর লিটল ম্যাগাজিন ঘাঁটা। 'দশমিক' নামে একটা ছোট কাগজ সমপাদনা করেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'খইয়ের ভিতরে ওড়ে শোক'।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *