সিজার ভ্যালেজো। কবি পরিচিতি:

সিজার ভ্যালেজো (Caesar Vallejo), যাঁর পুরো নাম সিজার আব্রাহাম ভ্যালেজো মেনডোসা, ১৮৯২ সালে পেরুতে জন্মগ্রহণ করেন। কবিতা রচনা করেছেন স্প্যানিশ ভাষায়। তিনি ছিলেন শিমু সংস্কৃতি ও স্প্যানিশ ক্যাথলিক ধারার সংমিশ্রণের সম্পন্ন উত্তরাধিকারবাহী। ফলে তাঁর চেতনায় গভীর আধ্যাত্মিকতার ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। উচ্চশিক্ষিত কবির সৃষ্টিতে ছিল সমাজচেতনা, রাজনীতি, এমনকী সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের লড়াইয়ের উজ্বল উপস্থিতি। জীবদ্দশায় মাত্র তিনটি বই ছাপা হলেও প্রতিটিও ছিল ভাষা ও চেতনার দিক থেকে বৈপ্লবিক। ভ্যালেজোর রাজনৈতিক বিশ্বাস ও মতাদর্শের কারণে তাঁকে ১৯৩০-এ পেরু থেকে নির্বাসিত করা হয়। তিনি ইউরোপ চলে যান। উপরোক্ত কবিতাটি তাঁর প্যারিসে বসবাসকালে লিখিত।
অনূদিত কবিতা:
সাদা পাথরের ওপর শুয়ে কালো পাথর
এক বর্ষণমুখর দিনে প্যারিসে আমার জীবনাবসান হবে
আমার স্মৃতিতে সে দিন বিমূর্ত।
প্যারিসে আমার মৃত্যু হবে। সেদিন এক পা-ও নড়ব না।
সম্ভবত বৃহস্পতিবার, যেমন আজও শরৎকালের এক বৃহস্পতিবার।
এ বৃহস্পতিবার না হয়ে যায় না কারণ আজই অবতীর্ণ হচ্ছে
এই পঙক্তিগুলি, ঘোর আসঞ্জনে স্পর্শ করে আছি
সমূহ ভুল, আজকের মতো কোনওদিনই নিজের সঙ্গে এভাবে দেখা হয়ে যায়নি
সম্মুখে প্রসারিত রাস্তাগুলিতে, একা।
সিজার ভ্যালেজো প্রয়াত। ওরা তাকে প্রহার করে তৃপ্তি পাবে
যদিও সে কখনও কারও প্রতি বিরূপ ছিল না;
তাঁকে নির্দয় বেত্রাঘাত করবে এবং
শত্রু দড়িতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলতেও ছাড়বে না, প্রত্যক্ষদর্শনের এই অভিঘাত
বৃহস্পতিবারেরই, এবং আমার আর্তি ছুঁয়ে থাকে
অপার নৈঃশব্দ, অবিরাম বর্ষণ ও অফুরান রাস্তাগুলিকে…
অক্তাভিও পাজ়। কবি পরিচিতি:

অক্টাভিও পাজ় (Octavio Paz) ১৯১৪ সালে মেক্সিকো সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯০-তে, মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হন। আজীবন স্প্যানিশ ভাষায় কাব্যচর্চা করে চলা পাজ়ের লেখা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন স্যামুয়েল বেকেট, চার্লস টমলিনসন, এলিজ়াবেথ বিশপের মতো বিশিষ্ট লেখকরা। এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম হয়েছিল পাজ়ের। তাঁর সাহিত্যে মেক্সিকোর সমাজ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটে। উদ্ধৃত কবিতাটিতে মানব অস্তিত্ব ও দর্শনের মিশ্রণ ঘটিয়েছেন পাজ়, সুচারু দক্ষতায়।
অনূদিত কবিতা:
সৌভ্রাতৃত্ব
একজন মানুষ হিসেবে আমার অস্তিত্ব আর কতটুকু
কিন্তু রাত্রি অসীম।
ওপরে তাকিয়ে দেখি
তারকালিখিত এক পৃষ্ঠা।
জানা নেই কিন্তু মনে হল
আমিও লিখিত এভাবে
এবং ঠিক সেই মুহূর্তেই
কেউ একজন আমায় লিখে উঠল।
আলেজান্দ্রা পিয়ারনিক। কবি পরিচিতি:

আলেজান্দ্রা পিয়ারনিক (Alejandra Pizernik) ১৯৩৬ সালে আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণ করেন। কবিতচা রচনা করতেন স্প্যানিশ ভাষায়। তিনি ছিলেন রাশিয়া থেকে আসা এক ইহুদি অভিবাসী পরিবারের সন্তান। তাঁর লেখা ও দর্শন প্রবল নারীবাদী চেতনার প্রতিফলন। ভালবাসা ও মৃত্যু তাঁর লেখায় সম্যক রূপ পরিগ্রহ করেছে। তাঁর লেখায় আত্মজীবনীমূলক ভঙ্গি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। উক্ত কবিতাটিতে ভালবাসা ও মৃত্যুর বিষাদ উপস্থাপিত।
অনূদিত কবিতা:
বিদায়
আলো নেভাও, আগুন পরিত্যক্ত হোক
একটি বিরহী পাখির সুরে ভেসে আসে ভালবাসা
আমার নৈঃশব্দ ঘিরে কত লিপ্সা প্রাণিত হয়ে আছে
এবং এই অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত আমাকে সান্নিধ্য দেয়
*ছবি সৌজন্য: wikipedia commons, pixabay
জন্ম ১৯৭১ সালে কলকাতায়। বর্তমানে রাজ্য সরকারের কর্মচারী। রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্প ও কবিতা দুই বাংলার একাধিক ছোট ও বড় পত্রপত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশ পায়।
Mul Kabitar bhasa kintu Engreji noy. Engreji tao anudito. Prothom ti Robert Bly er translation. Dwitiyo ti Eliot Weingerger er. Sob kota r i
Mul bhasha Spanish.