দেবতা এবার ভক্তদের স্পর্শের ঝুঁকি নেননি বলে নীলষষ্ঠির জন্যে আনা বেল আর মন্দিরে পৌঁছয়নি। বাড়িতেই রয়ে গিয়েছে। উৎসর্গের বেল প্রসাদ হয়ে যায়, এই বিধান প্রবল ভাবে প্রমাণ করে এখন বসে আছি বেলের পানার জন্যে। গিন্নি বেলের পানা করতে রাজি হয়েছেন উৎসর্গীকৃত বেল দিয়ে। এই ২০২০-তে টিভি চালালেই আক্রান্তের সংখ্যা টি-টোয়েন্টির স্কোর-বোর্ডের চেয়েও জোরকদমে বেড়ে চলেছে। গোদের ওপর বিষফোঁড়া, ফোনে বিজ্ঞ বন্ধুদের পাঠানো বার্তা- এইসব দেখে পেট গুড়গুড় করছে। কিন্তু গর্জন আছে বর্ষণ নেই। রোজনামচা যেভাবে তিন ঘণ্টা দেরিতে চলেছে রোজ- করোনায় না মরি, কোষ্ঠকাঠিন্যে মরব এটা ভালোই বুঝতে পারছি! রাত সাড়ে এগারোটায় রাতের খাওয়া, রাত তিনটেয় ঘুমনো, সাড়ে নটায় ওঠা, বেলা সাড়ে এগারোটায় জলখাবার, দুপুর তিনটেয় লাঞ্চ- বাঙালি পেট আর কত সহ্য করবে!
বেলের শাঁসটা সবে আলাদা করেছে, এখনও শরবত হতে বাকি আছে। যদি এই সময়ে ঘুমিয়ে পড়ি কপালে অনেক ঝাড় নাচছে– “হুকুম করে দিয়ে নাক ডাকাচ্ছ! আমার তো বিশ্রাম নেওয়ার অধিকার নেই! তুমি কি পিশাচ?” জাতীয় জটিল প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে জেগে থাকা ভালো। ভালো ভালো জিনিসের কথা চিন্তা করি বরং! শরবতের কথা! শেষ কবে ভার্জিন মহিতো খেয়েছিলাম বেশ? হায়াতে বেশ বয়ামে করে স্ট্র দিয়ে পরিবেশন করত! নাহ্ একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। এইসব লোভনীয় পানীয়ের কথা বেশি ভাবলে হৃদয় বিদারক শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বুকে ব্যথা হয়ে গেলে চিত্তির- করোনার বাজারে হাসপাতালগুলোতে তালা ঝুলছে- লোভ করে হার্ট অ্যাটাক হলে খুব লজ্জার মৃত্যু হবে। তাই মনটাকে আরও ব্যাকগিয়ারে গড়িয়ে নিয়ে যাই বরং!
এ বছর দোলের দিন করোনার আতঙ্কে ভাংয়ের শরবত খাওয়া হল না। হোটেলের সহকর্মী অলোক রায় আর তার স্ত্রী মিতালি একবার আমার প্ররোচনায় শিবশক্তির ভাংয়ের শরবত খেয়ে নিয়েছিল। নেশা কমলে ওইরকম বিদঘুটে নেশা করানোর জন্যে আমায় খুন করার পরিকল্পনা করেছিল আর তারপরেই আবার নেশার ঢেউয়ে চড়ে সার্ফিং করছিল মনে করে খানিক নিজের মনে হাসলাম। মনকে আরও পিছিয়ে ইস্কুলের দিনগুলোয় নিয়ে গেলাম। ইস্কুলের গেট থেকে বেরিয়ে ডানদিকে একজন দাঁড়িয়ে থাকতো একরাশ রঙিন বোতল আর বরফ ঘষার কাঠের কল নিয়ে। ঘস্ঘস্ করে বরফ ঘষে পেঁজা পেঁজা বরফ একটা কাঁচের গ্লাসের মধ্যে ফেলে তার ওপর লাল/সবুজ/কমলা রঙের জল ছড়িয়ে আর তার ওপর চিনির সিরাপ দিয়ে যখন আরেকটা গ্লাস দিয়ে এই গ্লাসের মুখ আটকে জোরে ঝাঁকাত, আড়চোখে দেখতে দেখতে টক্ করে উদাসীন হয়ে যেতাম। ইস্কুলের অনেক বন্ধু ওই পানীয়কে শরবত বললেও আমি চিরকাল সিরাপ বলে এসেছি- শরবত বলতে জানতাম মিছরির শরবত, যেটা সকালে চিরতা খেলে বোনাস হিসেবে পাওয়া যেত, বেলের শরবত যেটা ছোটনদাদের ছাদে খেলতে গেলে ওর বাবা গরমকালের বিকেলে জোর করে খাওয়াতেন।
আবার বেলের শরবতে ফেরত চলে এসেছি। গিন্নি সবে ঘুঁটতে শুরু করেছেন! বরং আরও একটু পেছনে যাওয়া যাক।
রুহ-আফ্জা কি প্রথম শরবত? হ্যাঁ। বাজারে বিক্রির জন্যে প্রথম ভারতীয় বোতলবন্দী শরবত হচ্ছে রুহ্-আফ্জা। ১৯০৬ সালে গাজিয়াবাদের হমদর্দ ল্যাবরেটরি থেকে হাকিম হাফিজ আবদুল মজিদ নানা ফল-ফুল-তরিতরকারি আর ভেষজদ্রব্যের নির্যাস থেকে সুস্বাদু এই ইউনানি শরবত বানিয়েছিলেন। রমজান উপবাস ভঙ্গের পানীয় হিসেবে যার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল সারা এশিয়াতে। ওঁর ছেলে আবদুল হামিদ স্বাধীন ভারতে পদ্মপুরস্কার পেয়েছিলেন এই ভারতীয় পানীয় আবিষ্কারের স্বীকৃতিস্বরূপ। ইউনানি চিকিৎসা আদপে হল ফার্সি আর আরব্য চিকিৎসার এক যুগ্ম-প্রয়াস, যা তৈরি হয়েছিলো গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রিতিসের দর্শন মেনে- অর্থাৎ রুহ্-আফ্জার মধ্যে লুকিয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্য আর ইউরোপীয় মেলবন্ধন।
আরও একটু পিছন দিকে নিয়ে যাই মনটাকে। আরবি কেতায় শরবত মানে একটা মিষ্টি ব্যাপার- কচিকাঁচাদের শরবত বলে ডেকে আদর করা হয় সেখানে। আজ থেকে কয়েকশো বছর আগে টাটকা ফল সংরক্ষণ করা অসম্ভব ছিল। যেমন অসম্ভব ছিল সেই ফল এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া। তাই স্থানীয় ফলমূল নিয়েই খুশি থাকতে হতো মধ্য এশিয়ার মানুষজনকে, যারা আদপে ফল খেতে ভীষণ ভালোবাসত। তাই তারা ফল শুকিয়ে তার নির্যাস থেকে তরল সিরাপ তৈরি করা শুরু করল – যাতে সারাবছর ফলের স্বাদ পেতে পারে। আর এই সিরাপ দিয়েই বানানো শুরু হল শরবত। ইসলাম ধর্মে মদ্যপানের ওপর নিষেধাজ্ঞা শরবতকে করে তুলল আরও জনপ্রিয়। রমজানের উপবাসভঙ্গ থেকে শুরু করে শুভ অনুষ্ঠানে পরিবেশন- শরবত অপরিহার্য হয়ে উঠলো মধ্যযুগের মধ্য এশিয়াতে।
জন্ম ইস্তক পূর্বপুরুষ তৈমুরলংয়ের গপ্পো শুনে বাবর তাঁকে আইডল বানিয়ে ফেললেন আর তৈমুরের সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারের জন্যে নেচে উঠলেন। কোথায় পনেরো বছরের কচি বাবরের খোয়াবকে চাচা-বেরাদররা সামলাবেন, তা না করে হাল্লারাজার মন্ত্রী হয়ে সব্বাই উস্কে দিল- আর বাড় খেয়ে বাবর তৈমুরের রাজধানী সমরকন্দ আক্রমণ করে ফেললেন! জিতেও গেলেন। উজবেকরা প্রথমে এই আচমকা আক্রমণে হকচকিয়ে গিয়েছিল। সম্বিৎ ফিরে পেতে বাবরকে এমন তাড়া করে, বাছাধন কাবুল হয়ে সটান হিন্দুস্থানে। সেখানেও তৈমুরের চরণ-চিহ্ন খুঁজে পেয়ে বাবর বেজায় খুশি। “নাকের বদলে নরুন পেলাম” গাইতে গাইতে ১৫২৬ সালে দিল্লীর মসনদে বসে পড়লেন। ফেরত যাওয়ার ষোলো আনা ইচ্ছে থাকলেও বাবরের আর ফেরা হল না নিজের দেশে। তাঁর সঙ্গীরা আবার খাইবার-গুমাল গিরিপথ টপকে উজবেকদের কাছে পিটুনি খেতে নারাজ। তারা চাইল এই দেশে থেকে যেতে কারন এখানে সম্পদ কম ছিল না।
বাবরের অবশ্য মন পড়ে থাকল সেই সমরকন্দ আর কাবুলের জন্যে- যেখানে আঙুর, খরমুজ আর হরেক ফল ছিল, বরফ গলা জল ছিল আর বরফ ছিল। বাবরের মন এদেশে থিতু করতে ফল আর তার নির্যাস, ফুল আর শিকড় দিয়ে সিরাপ তৈরি করা হল। সেটা পরিবেশন করা হল জলের সঙ্গে মিশিয়ে, বরফ দিয়ে। সেই “শার্বা”(পানীয়) চুমুক দিয়ে বাবর তাঁর দেশের স্বাদ পেলেন আর ব্যাস! মনমেজাজ শরিফ হয়ে উঠল! মোঘল বাদশারা প্রায় সব্বাই ছিলেন শরবতের ভক্ত আর তাঁদের জন্যে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বরফ নিয়ে আসা হত। তবে কি মধ্যযুগের মধ্য এশিয়া থেকে এদেশে আসা বাবরের সঙ্গে শরবত ভারতে এসেছিল? তাই যদি হবে, তাহলে বাবরের প্রায় দু’শো বছর আগে শাসন করা মহম্মদ বিন তুঘলকের সময় ভারতবর্ষে আসা ইবন বতুতার লেখায় শরবতের উল্লেখ কেন? আল-গর্গানি বলে এক উজবেক পণ্ডিত ফার্সি ভাষায় ডাক্তারি এনসাইক্লোপিডিয়া লেখেন দ্বাদশ শতাব্দীর শুরুতে। তাঁর লেখাতেও শরবতের উল্লেখ আছে। তাহলে কি ইবন বতুতা উজবেকিস্থান হয়ে এ দেশে এসেছিলেন? তাঁর না হয় আসার পথে শরবতের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, কিন্তু সেই সময়ের বাদশাহি খানার সঙ্গে শরবত জুড়ে গেল কী করে?
শরবতের জন্ম এশিয়াতেই এমন কথাই বা নিশ্চিত হয়ে বলি কী করে? মিশরের ফ্যারাওরা তাঁদের দর্শনার্থীদের বরফ মেশানো ফলের রস পরিবেশন করতেন বলে পড়েছিলাম যে! বাইবেলে ‘জেলাতো’র উল্লেখ রয়েছে- আইজ্যাক আব্রাহামকে বরফ মেশানো ভেড়ার দুধ পরিবেশন করেছিলেন। সম্রাট নিরো, যিনি রোম আগুনে জ্বলাকালীন বেহালা বাজিয়ে বিন্দাস-শিরোমনি হয়েছিলেন, তাঁকেও তো শরবতের আদি-পুরুষ বলা হয়! বালতি বালতি বরফের সঙ্গে মধু মিশিয়ে এক বিশেষ পানীয়ের স্রষ্টা তিনি, যার সঙ্গে আজকের গ্র্যানিটার মিল আছে। তাঁর নিযুক্ত দৌড়বাজরা রিলে-রেস করে পাহাড় থেকে সম্রাটের ব্যাংকোয়েট হলে বরফ নিয়ে আসতেন আর সম্রাট সেই বরফ মধু আর মদিরা মিশিয়ে খেতেন! এ ভাবেই নাকি শরবতের জন্ম হয়!
এবার একটু পাশ্চাত্যের দিকে তাকাই। খানদানি ভোজন-বিলাসীদের স্বপ্নরাজ্য ফ্রান্সে খানদানি মেন্যু হল বারো পদের। অ্যাপেটাইজার, স্যুপ, ডিম, পাস্তা, মাছ-সহ বিভিন্ন পদের আক্রমণের পর ষষ্ঠ পদ আসে মাংসের। সেই মাংসের পর খাদ্য-বিলাসীরা পেট, মুখ, আর চোয়ালকে খানিক বিশ্রাম দেয় আর এক প্রস্থ মাংস সামলানোর আগে। এই বিশ্রামের পদের নাম ‘সরবে।’ যখন ঠান্ডা ফলের বা ফুলের নির্যাসে বরফ মিশিয়ে খেয়ে উদরকে একটু ঠান্ডা করা হয়। তাহলে কি শরবতের জন্ম আসলে ইউরোপে? নিরোর আবিস্কৃত শরবত ইউরোপের মানচিত্র থেকে কি হারিয়ে গিয়েছিল? সেটাই পৌছে গিয়েছিল আরবে? তারপর ‘সরবে’ হয়ে ফ্রান্সে ফেরত গিয়েছিল ১৫৩৩ সালে ক্যাথরিন দ্য’মদিশির হাত ধরে, যিনি সে দেশে আসেন ডিউক অফ অরলিয়ঁর সঙ্গে বিবাহসূত্রে, যিনি পরে দ্বিতীয় হেনরি হয়ে বিখ্যাত হন?
ফল আর ফুলের নির্যাসই যদি শরবত হয়, এর সঙ্গে তো আমাদের সম্পর্ক সেই আদ্যিকালের! বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সূর্যাস্তের পর আর ভোজন করতেন না, শুধু পানীয় খেয়ে থাকতেন। পাকা আম, জাম, কলা, আঙুর আর ফলসা- এই ক’টা ফলের রস খাওয়া চলত তাঁদের। আর এর সঙ্গে নারকেল আর ডাবের জল আর মধু। জৈন সাধুদের এই ফলগুলো বাদে অধিকার ছিল খেজুরের আর ডালিমের রস খাওয়ার। চাণক্যের অর্থশাস্ত্রে “ধন্যামলা” নামে আমলকির পানীয় আর “গাগোধক” বলে এক গুড়ের পানীয়ের কথা আমরা পাই। দক্ষিণ ভারতে তেঁতুল আর আমলকি মিশিয়ে তৈরি পানীয়ের কথা তামিল শাস্ত্রে পাওয়া যায় যেটা গরমকালে খাওয়া হত। প্রাচীন কালে ফলসা, লেবু, বা জামের মত অম্ল বা কষা স্বাদের ফলের রসকে “রাগ” বলা হতো, আর জ্বাল দিয়ে ঘন করা ফলের রসকে “সাধব” বলা হতো। তাহলে তো শরবতের আদি দেশ মধ্যপ্রাচ্য নয়, ইউরোপ নয়, আফ্রিকা নয়- শরবতের জন্মভূমি তো আমাদের এই ভারতবর্ষ!
শরবতের জন্মবৃত্তান্তের রহস্য সমাধান করে হাঁপিয়ে গিয়ে সবে চোখটা বন্ধ করেছি- কানে এল এক পরিচিত বামাকণ্ঠ। “আমাকে শরবত বানাতে ফরমাশ করে উনি নাক ডাকছেন! নাও গেলো!” হাতে আদি অকৃত্রিম ভারতীয় বেলের শরবতের গেলাসটি নিয়ে কোনও কথা না বাড়িয়ে ঢক্-ঢক্ করে এক চুমুকে গ্লাস নিঃশেষ করলাম। কোষ্ঠকাঠিন্য শরবতের সুলুক-সন্ধানের চেয়ে অনেক কঠিন জিনিস!
পেশার তাগিদে সার্ভিস সেক্টর বিশেষজ্ঞ, নেশা আর বাঁচার তাগিদে বই পড়া আর আড্ডা দেওয়া। পত্রপত্রিকায় রম্যরচনা থেকে রুপোলি পর্দায় অভিনয়, ধর্মেও আছেন জিরাফেও আছেন তিনি। খেতে ভালোবাসেন বলে কি খাবারের ইতিহাস খুঁড়ে চলেন? পিনাকী ভট্টাচার্য কিন্তু সবচেয়ে ভালোবাসেন ঘুমোতে।
Very nice
তোমার লেখা ভীষন ভাবে উপভোগ করি। মজার লেখার সাথে সাথে অনেক জ্ঞান অর্জন ও হয়।
Daaarruunnn laglo re
জানা, উপভোগ করা আর পড়তে পড়তে মুচকি হাসি….. একসাথে হলো! এই অবেলায় মনটা ভাল হলো, কিন্তু বেল এর শরবত খেতে ইচ্ছে করছে এখন, এইসময়ে বেল যে কই পাই? আর বেলতলায় যাওয়া ও বারন!!
Osadharon Pinaki da, porte porte bhidhon teshta peye gelo je!!
darun lihechis – khali money porchey na , sorbot wala ba dike darato na daan dike ; hojmi walar pashei
Bravo Parry. School er onek kotha monae koriya dili.
বেলের পানা উপকারে লাগলো কিনা সেটা অন্য গল্পে পড়বো. কিন্তু শরবতের ইতিহাসে চুমুক দিতে দিতে এই বিষাক্ত কোরোনার আবহাওয়াতে মনটা ঠান্ডা হয়ে গেলো.. কলম চালিয়ে যাও আর এই গুমোট পরিবেশে একটু স্বস্তি পাই মুচকি হেঁসে
Wonderful write up. Am a fan of yours writing and of your poems. Will be waiting to read the next. Carry on.
Wonderful write up. Am a fan of yours writing and of your poems. Waiting for the next one. Carry on…
শরবতের মতোই উপাদেয়।
khub bhalo hoyeche,fatafati jake bole !
Onek kichu jante parlam.. khub bhalo laglo ?
আবার সেই সরবত কাহিনী সরস লেখনীতে। এ কিন্তু সত্যিই তোমার লেখা এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলতে বাধ্য করে। ভারাক্রান্ত আবহাওয়া উধাও। অনেক শুভেচ্ছা । এক গ্লাস বেলপানা পাওয়ার বায়নার রেশ ধরে যে তথ্য পাওয়া গেল তাই অনেক। বেলপানাটুকু তোমারই থাক।
তোর লেখাটা শুধু বেলের সরবত নয় বরং উপরি পাওনা বেলের পানার সংগে ভদকা ??
আহা, উপাদেয় ! শরবতের ভূগোল ইতিহাস।একাকার করা ভার্চুয়াল এ পানীীয় শরাবের মদিরতা অনুভূত করালো।
Pinu onek kichu janlam tor lekha pore khub bhalo laglo
Amitava, Shorbot-wala gater daan dike darato, hojmi wala ba dike.
Ar ekhon oi shorbot besh hygenic hoye 80-100 taka hoye gechey!
Parry, bhalo likhechish. Edike amar ek bondhu kolkata gelei amar jonno niyom kore Rooh Afza niye ashey 🙂 Jai ektu shorbot baniye feli. 🙂