প্রথম পর্ব

২০১৬ অক্টোবর।

স্বাধীন ভাবে রোজগার করব বলে উঁচু পদের সুখের চাকরি ছাড়ার মাসুল যখন সকাল-বিকেল গুণে চলেছি, ব্যবসা করার খোয়াব যখন পাল্টি খেয়ে দুঃস্বপ্ন হয়ে ঝুলন্ত আর আমি ঘেঁটে ঘোল, সেই সময়ে আমার জীবনে অরিন্দমের পুনঃপ্রবেশ। একসময়ে একসঙ্গে চাকরি করেছি, হুঁকো-তামাক খেয়েছি। কিন্তু সংশয়ে ভরা একটা সম্মানজনক দূরত্ব রেখে। কারণ অরিন্দমের একটা “সুনাম” ছিল, কখন কোন ক্ষণে কাকে যে ঝুলিয়ে দেবে ঠিক নেই! আমার তো গলায় দড়ি দিয়ে ঝোলা ছাড়া আর কোনওরকমের ঝোলা বাকি নেই জীবনে- তাই পুরনো বন্ধুকে পেয়ে সব কষ্টের কথা উজাড় করে দিলাম। আমার রোদনভরা হিস্টিরিয়া শুনে অরিন্দম জিজ্ঞেস করল “চাকরি করবি?”

এ কে! অরিন্দম? না মানব রূপে আমাদের গৃহদেবতা! এ কি সত্য! এ কি মায়া! এইসব ভাবতে ভাবতে জিজ্ঞেস করলাম “কী চাকরি?”

“কচ্ছের রানে একটা লাক্সারি রিসর্টের জেনারেল ম্যানেজার দরকার।” আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম, অরিন্দম নিঘঘাত নির্বাণের খুব কাছাকাছি থাকা শাপমুক্তির অপেক্ষারত মহাপুরুষ! কচ্ছ তো চেনা জায়গা! ম্যাপে দেখেছি। বিজ্ঞাপনে দেখেছি, “কচ্ছ নাহি দেখা তো কুছ নহি দেখা!” ঘাড় হেলানোর কথা ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ অরিন্দম জিজ্ঞেস করল “তুই ড্রিঙ্ক করিস?” রাজস্থানে থাকাকালীন দেখেছি গুজরাতিরা সপ্তাহান্তে পাশের রাজ্যের পানশালায় ভিড় জমাতো। সেই অভিজ্ঞতা ওমনি দুই দিকে সজোরে মাথা নেড়ে বললাম “পাগল নাকি!” পাছে চাকরি ফস্কে যায়!

ইন্টারভিউ ফোনেই হল। চাকরিতে নিয়োগের চিঠি আর বিমানের টিকিট পেয়ে মনে মনে মানব-রুপী দেবতা অরিন্দমকে প্রণাম করে এক বিকেলে আমদাবাদ পৌঁছলাম। পরের দিন সকালে অরিন্দম আমাকে নিয়ে রওনা হল সেই রিসর্টের উদ্দেশে। গাড়ি চলেছে তো চলেছে। ঘণ্টা তিনেক চলার পর এক জায়গায় চা খেতে নেমে অরিন্দম বলল “তুই তো সিগারেট খাস। কিনে নে!” সত্যিই তো! সিগারেট প্রায় শেষ। ততক্ষণে আমি নিশ্চিত অরিন্দম দেবত্ব পেয়ে গিয়েছে জীবদ্দশাতেই। পাছে নিজের ব্র্যান্ড না পাই, তিন প্যাকেট সিগারেট কিনে নিলাম। গাড়ি আরও কিছুক্ষণ চলার পর জানতে পারলাম, আমার কর্মস্থল যে গ্রামে, সেই ‘ধরধো’ আমদাবাদ থেকে সাড়ে তিনশো কিলোমিটার। আরও ঘণ্টা দুই বাদে ভিরান্দিয়ারাতে গাড়ি থামল। সেখানে গাড়িতে উঠল দিলীপ পটেল আর রাজেশ পারেখ বলে দু’জন। আলাপ করিয়ে দেওয়া হল “এঁরা তোর দুই হাত” বলে।

ভিরান্দিয়ারা থেকে কিছুদূর গিয়ে গাড়ি বাঁ দিকের রাস্তা ধরল। সামনে পুলিশের চেকপোস্ট। সেখানে নিজের পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে শুনে কিছুটা অস্বস্তি হল। এর আগে যেখানেই চাকরি করেছি, পুলিশের খাতায় নাম ওঠেনি কখনও। গাড়ি ফের রওনা দিল। বেশ কয়েকটা গ্রাম পেরিয়ে এক ধূ-ধূ মাঠে পৌঁছলাম। শুনলাম সেটার অপর প্রান্তে রিসর্ট। পাশে একটা বিএসএফ ক্যাম্প। পরে জেনেছিলাম সেটাই শেষ ক্যাম্প, কারণ আমাদের রিসর্টের সামনে থেকেই শুরু হচ্ছে দিগন্তবিস্তৃত সাদা প্রান্তর– যাকে লোকে সল্ট ডেসার্ট বা রান বলে জানে।

ভিরান্দিয়ারাতে লাঞ্চ খেয়েই এসেছিলাম। রিসর্টে পৌঁছেই অরিন্দম আমাকে কাজ বোঝাতে শুরু করল। শুনলাম ও আমদাবাদে থাকে আর কয়েকদিন অন্তর এসে এসে এখানে কাজ ম্যানেজ করছিল। তখনও সিজন শুরু হয়নি। কাজেই কাজ বুঝতে কয়েক ঘণ্টার বেশি লাগল না। হঠাৎ খেয়াল করলাম ফোনে সিগন্যাল নেই। অরিন্দম রিসেপশনের দোতলায় নিয়ে গিয়ে জানলা খুলে দিয়ে বলল, “আপাতত এইখানে সিগন্যাল পাবি। দু’এক দিনের মধ্যেই বিএসএনএল টাওয়ার লাগাবে।” অবাক হয়ে ওর দিকে তাকাতে ও দিলীপকে আমার সামনেই জিজ্ঞাসা করলো “ইঁহা পে টাওয়ার লাগতা হ্যায় কি নহি?” দিলীপ উত্তরে “হাঁ জি জরুর” বলার পরেই আমার আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হল। ছিঃ! আমি ভগবানকে সন্দেহ করছি?

পরের দিন সক্কালবেলা অরিন্দম ফিরে গেল। আমি রয়ে গেলাম। সকলের সঙ্গে আলাপ হতে দেখলাম, আমি ছাড়া ভিন রাজ্যের মানুষ কেন- হিন্দিভাষী অবধি কেউ নেই। রাজেশভাই আর দিলীপভাই ছাড়া আর গুটিকয়েক স্টাফ কোম্পানির। বাকি সব্বাই স্থানীয় গ্রামবাসী। তাদের কাজ শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে আগেই। তারা হিন্দি বোঝে কিন্তু ওদের কথ্য ভাষা সিন্ধি বুঝতে আমার রীতিমতো অসুবিধে হয়। দিলীপের সঙ্গে বেশ ভালো আলাপ হয়ে গেল। ওর কাছে শুনলাম, আগের বছর সিজনের শেষ মাসটা অরিন্দম এই রিসর্টে ছিল জেনারেল ম্যানেজার পালিয়ে গিয়েছিল বলে। এই বছরও অরিন্দমের আসার কথা ছিল জেনারেল ম্যানেজার না পাওয়া গেলে। তাই অরিন্দম কলকাতা গিয়েছিল জেনারেল ম্যানেজার ধরে আনতে। “পালিয়ে যাওয়া”  আর “ধরে আনা” কথাগুলো কেমন কানে বাজল- কিন্তু জিজ্ঞেস করতে হোঁচট খেলাম।

একসময়ে বুঝেও ফেললাম সে সবের মানে। বুঝলাম এখানে নৈঃশব্দ আর একাকিত্বই আমার সঙ্গী। কাছের বলতে আর কেউ নেই। জানলাম ফোনের টাওয়ার পনেরো কুড়ি দিনের মধ্যে আসবে না। দিলীপ মিথ্যে বলেনি। ওকে তো জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো টাওয়ার লাগবে কিনা, কবে লাগবে সেটা তো জিজ্ঞাসা করা হয়নি! দিনের মধ্যে বার কয়েক ভোঙ্গার দোতলায় এক নির্দিষ্ট জানালার পাশে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোন এক নির্দিষ্ট অ্যাঙ্গেলে ধরলে তবে সিগন্যাল পাওয়া যেত। পাছে লাইন কেটে যায়, সবার আগে বাড়িতে জানাতাম “আমি ভালো আছি, চিন্তা কোরও না।” রিসর্টের বাকি লোকেরা স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলত -যার প্রায় কিছুই বুঝতাম না।

একসময় সিগারেট ফুরিয়ে গেল। শুনলাম সবচেয়ে কাছের দোকান তিন কিলোমিটার দূরে। দিলীপকে সঙ্গে নিয়ে সেই দোকানে গিয়ে দেখলাম কোনও সিগারেট রাখে না। আরও কিছু দূর এগিয়ে হদ্‌কো গ্রামে পাকিস্তানি সিগারেট পেয়ে প্রতিবেশী শব্দটার মূল্য আলাদা করে বুঝলাম। অরিন্দম কেন ড্রিঙ্কের কথা জিজ্ঞেস করেছিল সেটাও হাড়ে হাড়ে বুঝলাম। অন্য রাজ্যের বাসিন্দা কেউ বেড়াতে এলে এয়ারপোর্টে নির্দিষ্ট দফতর আছে, যেখানে বোর্ডিং পাস দেখালে দুটো বোতলের পারমিট পাওয়া যায়। কিন্তু তখন আর জেনে কী লাভ!

রিসর্টে অতিথি সমাগম হতে তখনও পনেরো বিশ দিন বাকি। সকালে রোজ জলখাবার হচ্ছে পোহা। চাওল-রোটি-সবজি-পাঁপড়-ছাস- এই হল রোজকার দুপুর আর রাতের মেন্যু। আমিষের প্রশ্নই ওঠে না। রোজ নিরামিষ। অজানা মশলার স্বাদ। কিন্তু খেতে তো হবে! হপ্তায় একদিন তিরিশ কিলোমিটার দূরে খাওরাতে যেতাম থানায় রিসর্টে নতুন গ্রামবাসীদের নাম নিয়ে। কিন্তু সেখানেও একা যাওয়ার উপায় ছিল না। গুজরাতিতেই কথা বলতে বা দরখাস্ত লিখতে হবে। তাই সঙ্গে কাউকে নিয়ে যেতাম।

কিন্তু একসময়ে এগুলোতেই অভ্যেস হয়ে গেল। চোগা-চাপকান যা নিয়ে গিয়েছিলাম পদমর্যাদার জন্যে, সেই সব ছেড়ে নিজের খেয়ালে নিজের মতো থাকতে শুরু করলাম। ভোঙ্গার খড়ের চালে বসা কোনও পাখির মুখ থেকে একটা খড় উড়ে এসে হাওয়ার ধাক্কায় যখন পাথরের ওপর দিয়ে যেতো, সেই শব্দ পর্যন্ত কানে শুনতে পেতাম। চুপচাপ বসে থাকতাম আর ভাবা প্র্যাকটিস করতাম। ভাবতে ভাবতে ভাবনাটাই একটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছিল!

তারপর একসময় অতিথিরা আসতে শুরু করল। কচ্ছের রান্‌ জমজমাট হয়ে উঠল। মোবাইলের টাওয়ার বসল, এটিএম বসল, রেস্তোরাঁ বসল। যে রাস্তায় ঘণ্টায় একটা গাড়ি অবধি দেখা যেত না, সেখানে যানজট হতে শুরু করল। আমিষ থেকে হুইস্কি সব চালু হয়ে গেল হুড়হুড়িয়ে। সব্বার সঙ্গে ভাব হয়ে গেল আস্তে আস্তে। কী করে, সে গল্প তোলা থাক আর একদিনের জন্য। সিজন শেষ হতে এক সময়ে সেখান থেকে চলেও এলাম। একা আসিনি। সঙ্গে এনেছিলাম এক পরম প্রিয় বন্ধুকে-একাকীত্ব।

 

দ্বিতীয় পর্ব

২০২০ সালের মার্চ

বিছানা তোলা, মশারি ভাঁজ করাটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। পাখির ডাক শুনি, বালিশগুলোকে রোদে দিই। আবার উল্টে দিই সময়মতো। গিন্নি কাপড় কাচলে সেগুলো বারান্দাতে মেলি। জামাকাপড় শুকিয়ে গেলে সেগুলো তুলে ভাঁজ করে সব্বারটা আলাদা আলাদা জায়গায় রাখি। চা বানিয়ে খাই। অন্যদের বানিয়ে দিই। খাওয়া শেষ হলে কাপ থেকে শুরু করে টি-পট পর্যন্ত সব ধুয়ে রাখি। আর এর ফাঁকে ফাঁকে টিভি দেখি- স্কোর আপডেট। কত হল, কত গেল- রাজ্যের, দেশের, বিশ্বের। আত্মীয়দের ফোন করে খোঁজ নিই। বেশ খানিক গল্প করি তাদের সঙ্গে-ঠিক যেমন ছোটবেলায় বাবা-মা’দের করতে দেখেছি। ছুটকির রুটিন করে দিয়েছি। মানছে কিনা দেখছি। কোথাও আটকালে রাস্তা বাতলে দিচ্ছি। দুপুরে ভাত খেয়ে বাকিদের দেখাদেখি বাসন মাজছি, যেমন মাজতাম বিভিন্ন পোস্টিংয়ের দিনগুলোতে। ইনহেলর নেওয়া কমে গিয়েছে। ভালো ছেলে হয়ে গিয়েছি।

শুধু আমি নয়, বন্ধুরাও ভালো ছেলে হয়ে গিয়েছে। বিজনেস ম্যাগাজিন ছেড়ে বই পড়ছে। মেল না লিখে কবিতা লিখছে, গল্প লিখছে। বাংলাতে লিখছে। বাংলায় কথা বলছে। সব্বাই গুটিগুটি পায়ে ওয়াটস্যাপ গ্রুপে জয়েন করেছে। আগে ওপরতলার আর অনাবাসী বন্ধুদের এইসব ছোটবেলার গপ্পো বোকাবোকা ন্যাকান্যাকা লাগত। ওরাও এখন কলকাতার খবর নেয়। খাবার দোকান, সিনেমা হলের কথা জিজ্ঞেস করে। ভিডিও চ্যাট করতে চায় যাতে সব্বাইকে দেখতে পায়। বিলুর ব্যবসায় বড় চোট খেয়েছে লকডাউনে। কাল ফোনে “কী করছিস” জিজ্ঞাসা করতে বলল “ময়দা মাখছি।” বলল দিব্যি আছে। সরকার যদি দিনে একটা করে কোয়ার্টার হুইস্কি বিলি করার ব্যবস্থা করে, আরও একমাস এরকম চললেও ক্ষতি নেই। গতকাল রাতে চিরু লন্ডন থেকে ফোনে বলল সাবধানে থাকতে। কী করে সাবধান থাকব জিজ্ঞেস করতে বলল সেটা জানে না। তবে এখন সব্বাইকে এটা বলতে হয়। চিরুও ভালো আছে। আমরা সব্বাই ভালো হয়ে গিয়েছি।

পুনশ্চঃ গুগলে দেখলাম কোয়ারান্টাইনের অন্যতম প্রধান আভিধানিক অর্থ- সামাজিক কারণে সমাজের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা। কচ্ছে গিয়েছিলাম পেটের দায়ে- নিজের আর পরিবারের সামাজিক দায়দায়িত্ব মেটাতে। এখন ভালো আছি- কচ্ছ থেকে নিয়ে আসা বন্ধুকে পরিবারের সদস্য করে নিয়ে। অরিন্দমকে আজও ভগবান মনে করি ওই দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আর এত কাছে থাকা এক অচেনা বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করানোর জন্য।

পেশার তাগিদে সার্ভিস সেক্টর বিশেষজ্ঞ, নেশা আর বাঁচার তাগিদে বই পড়া আর আড্ডা দেওয়া। পত্রপত্রিকায় রম্যরচনা থেকে রুপোলি পর্দায় অভিনয়, ধর্মেও আছেন জিরাফেও আছেন তিনি। খেতে ভালোবাসেন বলে কি খাবারের ইতিহাস খুঁড়ে চলেন? পিনাকী ভট্টাচার্য কিন্তু সবচেয়ে ভালোবাসেন ঘুমোতে।

21 Responses

  1. কচ্ছ এ আমি গিয়েছিলাম, সেখানে আকাশে একরকম একাকিত্বের হাওয়া বইতো. সেটার মধ্যেও একটা ভালো লাগা ছিলো, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতে একা না থেকেও একা থাকার ভয় কাজ করছে, সেটাই তোমার লেখাতে সুন্দর অথচ প্রচ্ছন্ন ভাবে ফুটে উঠেছে…. খুব সুন্দর হয়েছে লেখাটা

  2. দুটোকে কি সুন্দর মেলালে।
    এই কোয়ারেন্টাইন আমার কাছে ছোটবেলার গরমের ছুটিকে ফিরে পাওয়া। তখন খেলার সাথে গল্পের বই পড়ে সময় কাটতো। এখন WFH এর সাথে তোমার লেখা পড়ছি।
    ভালো থেকো, আরও লেখ। ?

  3. খুব ভাল লিখেছিস। হরষে বিষাদে মেশানো । অনেকদিন পর তোর ” রসনা হীন ” লেখা। যদিও কিছু খাবার দাবার এর উল্লেখ আছে কিন্তু সেগুলির বর্ণনা খুবই হত ছেদ্দা সহকারে। লক ডাউন এর সদুপযোগ করে আরো লিখে যা।

  4. ভালো লাগল! কচ্ছের নির্জনতা আপনি দেখেছেন বলে আপনাকে হিংসে হল অল্প। আমাদের দেখা তো ট্যুরিস্টএর দেখা। তাতে শব্দ, চকচকানি, ঝকমকানি বেশি। লকডাউনের সব অসুবিধা বুঝছি। মানসিক চাপটাও । তবু এই শান্ত ভাবটা খুব ভালো লাগছে।

  5. খুব ভালো লাগলো। আমার তো শুরুতে ‘দ্য শাইনিং’-এর কথা মনে হচ্ছিল। দুটো পার্ট খুব সুন্দর মিলেছে। খুব উপভোগ্য লেখাটা।

  6. পিনাকী র লেখা সবসময়ই পড়তে ভালোলাগে , যথারিতি এই লেখাটা ও পড়ে খুব ভালো এবং সময়চিত বলে মনে হলো । একটা লাইন পড়ে দারুন মজা পেলাম : “ গতকাল রাতে চিরু লন্ডন থেকে ফোনে বলল সাবধানে থাকতে। কী করে সাবধান থাকব জিজ্ঞেস করতে বলল সেটা জানে না। তবে এখন সব্বাইকে এটা বলতে হয়।” পিনাকী লেখা আরো পড়তে উদগ্রীব হয়ে আছি ????

  7. পিনাকী, তোমার একাকীত্ব র সাথে বন্ধুত্ব, তার প্রেক্ষাপট– তোমার লেখনীতে ভর করে এক অসাধারণ উপস্থাপনা। সব কিছুই এত সরস বর্ণনা করো যে আমি তোমার লেখা পড়তে গেলে বারবার অবাক হই ।
    সামাজিক পরিমণ্ডলে থেকে সামাজিক দূরত্ব! না সামাজিক পরিমণ্ডলে থেকে ফিজিক্যাল দূরত্ব! কোনটা বলা ঠিক- এটা খুব ভাবাচ্ছে আমায়।
    ” বিলেতের বন্ধু র সাবধানে থাকিস- ” অসাধারণ! যেমন স্থান ও পরিবেশের বর্ণনা, তেমন একাকীত্ব র সাথে বন্ধুত্বর গল্প— অনবদ্য !

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *